সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। এটি বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ রোধ করতে। অনেকে জিজ্ঞাসা করেন সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় এবং সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর উপকারিতা কি কি। 

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার পূর্বে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন দেখে নিন। সিপ্রোফ্লক্সাসিন কিভাবে খেলে এর উপকারিতা সমূহ পাওয়া যাবে এবং সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন দেখুন।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়

সিপ্রোফ্লাক্সিন একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ এটি বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়াল এবং ভাইরাস ইনফেকশন এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এটি একটি ফ্লুরোকুইনোলন অ্যান্টিবায়োটিক। এটা শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহার উপযোগী বাচ্চারা এই ট্যাবলেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

আরো পড়ুন: মেট্রোনিডাজল কিসের ওষুধ??? এবং এর ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

এটি একটি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক ঔষধ যেকোনো ধরনের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে যেমন: চোখের সংক্রমণ, বুকে সংক্রমণ, মস্তিষ্ক ঝিলের প্রদাহ, কোষ ঝিলের প্রদাহ, ত্বক এবং হাড়ের সংক্রমণ, যৌনিবাহিত সংক্রমণ এবং কানের ইনফেকশন সহ যৌনাঙ্গের ইনফেকশন।

১) সিপ্রোফ্লাক্সিন ইউরিনারি এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

২) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ ফুসফুসের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ দূর করতে ব্যবহার করা হয়। 

৩) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ পুরুষের প্রোস্টেট গ্রন্থির সংক্রমণ রোধ করতে ব্যবহার করা হয়। 

৪) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ নারীর যৌনাঙ্গের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা হয়। 

৫) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ রক্তের সংক্রমণ এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

৬) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ জয়েন্টে জয়েন্টে কিংবা হাড়ের মাঝখানে সংক্রমণ ঘটলে এই এন্টিবায়োটিক ঔষধটি ব্যবহার করা হয়।

৭) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ গলার শ্বাসনালীতে সংক্রমণ ঘটতে ব্যবহার করা হয়। 

৮) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ অক্সিজেন এর অভাবে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ ঘটলে সেই চিকিৎসাতেও এই এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়। 

৯) শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ কম থাকলে সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়। 

১০) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর কাজ হল মস্তিষ্কের জমে যাওয়া পুঁজকে প্রতিরোধ করা।

১১) লিভারের সংক্রমণ ঘটলে সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ চিকিৎসা ব্যবহার করা হয়।

১২) যে কোন প্রকার সংক্রমণ দূর করতে সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

১৩) ব্রঙ্কিয়াল এর জীবাণু দূর করতে ব্যবহার করা হয় পেটের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়।

১৪) সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে ব্যবহার করা হয়। 

১৫) হাত-পায়ে কিংবা যৌনাঙ্গের দাদ এর সমস্যা দূর করতে সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। 

১৬) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর কাজ হল যে কোন ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধ করা। 

১৭) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ ব্যবহার করার ফলে মাত্র সাত থেকে আট দিনের মধ্যেই যে কোন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন কিংবা ফাঙ্গাল ইনফেকশন অথবা ভাইরাস ইনফেকশন প্রতিরোধ হয়। 

১৮) হেপাটাইটিস সি ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ ব্যবহার করা হয়।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়? কারণ সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খেলে যে কোন ব্যাকটেরিয়াল কিংবা ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিরোধ হবে হাত পায়ে চুলকানি তাদের সমস্যা যৌনাঙ্গের চুলকানির সমস্যা দূর করতে সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ খেতে হবে। গলায় সংক্রমণ 

কিংবা সংক্রমণ অথবা যৌনাঙ্গে সংক্রমণ দূর করতে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়া হয়। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এটি যে কোন প্রকার ফাঙ্গাল কিংবা ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ত্রিপুরা ফ্লাক্সিন হল একটি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক যা যেকোনো ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে এটি মূলত একটি ফ্লুরোকুইনোলন গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ওষুধ যা যে কোন প্রকার ইনফেকশন নিরাময়ের ব্যবহার করে। মাঝে মাঝে এই এন্টিবায়োটিক ঔষধটি ভাইরাস ইনফেকশন এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন 

এর জন্য কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্করা সেবন করতে পারবে। মাত্র সাত থেকে আট দিন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করলে ফুসফুস শ্বাসযন্ত্র কিংবা ত্বকের সংক্রমণ দূর হবে। নিচে দেখুন সিপ্রোফ্লাক্সিন এর দুর্দান্ত উপকারিতা সমূহ ব্যাখ্যা করা রয়েছে।

আরো জানুন: ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা জানুন, ৭ দিনেই চুল ও ত্বক সুন্দর করুন

১) সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর উপকারিতা অনেক এই ট্যাবলেট তিনি নিয়মিত সেবন করলে হাড়ের সংক্রমণ প্রতিরোধ হবে।

২) সিপ্রোফ্লক্সাসিন এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করার ফলে আর্থ্রাইটিস কিংবা জয়েন্টে সংক্রমণ প্রতিরোধ হবে।

৩) সিপ্রোফ্লাক্সিন একটি দুর্দান্ত অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ এটি যেকোনো ধরনের সংক্রমণ যেমন টনসেলের সংক্রমণ হাড়ের সংক্রমণ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে পারে। 

৪) সিপ্রোফ্লক্সিন ঔষধ সেবন করলে চোখের ইনফেকশন দূর হবে সাথে করনিয়ার জ্বালাপোড়া ও পানি পড়া দূর হবে।

৫) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ঔষধ সেবন করলে গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিরোধ হবে।

৬) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ঔষধ সেবন করার ফলে যৌন রোগ প্রতিরোধ হবে, যৌনাঙ্গের অতিরিক্ত চুলকানি ও প্রদাহ দূর হবে। 

৭) সিপ্রোফ্লক্সিন ঔষধ সেবন করলে রক্তে প্রবাহের জীবাণু দূর হবে এবং শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদন হবে। 

৮) সিপ্রোফ্লক্সাসিন একটি দুর্দান্ত এন্টিবায়োটিক ঔষধ যা মানুষের শরীর থেকে যে কোন প্রকার ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে। 

৯) সিপ্রোফ্লক্সাসিন একটি দুর্দান্ত এন্টিবায়োটি ঔষধ। এটি সেবন করলে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং স্ট্যাফিলোকক্কাস ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করবে। 

১০) ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধ করতে সিপ্রোফ্লাক্সিন ব্যবহার করা হয়।

১১) ব্রোনকাইটিস নিরাময়ে এই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়। 

১২) থাইরয়েড সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সিপ্রোফ্লক্সাসিন এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়।

১৩) পুরুষদের প্রসাব নলিতে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ঔষধ ব্যবহার করা হয়। 

১৪) সার্জারির পরে ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ঔষধ সেবন করতে হয়।

১৫) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ঔষধ সেবন করার ফলে ফুসফুসের সংক্রমণ দূর হবে এবং শ্বাসনালী আরও শিথিল হবে।

১৬) সিপ্রোফ্লাক্সিন ঔষধ সেবন করলে গলা এবং শ্বাসনালী সংক্রমণ প্রতিরোধ হবে এবং গলায় চুলকানি দূর হবে।

সিপ্রোফ্লাক্সিন ঔষধ সেবন করার ফলে উপরের এ সকল উপকারিতা সমূহ লাভ করা সম্ভব। এই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধটি যে কোন প্রকার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন সিপ্রোফ্লক্সাসিন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ এর উপকারিতা কি। এবার চলুন এই এন্টিবায়োটিক ঔষধটি খাওয়ার নিয়ম দেখে আসি। 

সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ কেন খাওয়া হয় এবং এই ঔষধ সেবন করলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় আশা করছি সে সকল বিষয় সম্পর্কে আপনারা প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন তবে যদি সঠিক নিয়মে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ সেবন করা না হয় তাহলে এর উপকারিতা সমূহ পাওয়া যাবে না। এমনকি ভুল নিয়মে যে কোনো এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করলে শরীরের গুরুতর রোগ তৈরি হতে পারে।

আরো পড়ুন: ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসতে কত প্রোটিন?? জানলে অবাক হবেন

১) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ পানির সাথে গুলিয়ে কিংবা ভেঙে খাওয়া যাবে না। 

২) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাবারের সাথে সেবন করতে হবে।

৩) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ দিনে সর্বোচ্চ 1 বার সেবন করতে পারবেন। 

৪) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ট্যাবলেট শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহার উপযোগী বাচ্চারা এই ঔষধদের নাগাল থেকে বাইরে থাকুন। 

৫) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ ট্যাবলেট দিনে একবার সেবন করতে হবে আর সিপ্রোফ্লক্সাসিন সিরাপ একদিনে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ৭০০ মিলিগ্রাম সেবন করা যায়। 

৬) সিপ্রোফ্লক্সাসিন শ্বাস যন্ত্রের সংক্রমণ এর উপর নির্ভর করে ২৫০-৭০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সেবন করতে পারবেন। 

৭) ছোট বাচ্চাদের জন্য এই এন্টিবায়োটিক ঔষধটি ব্যবহার উপযোগী নয়। 

৮) গনোরিয়া রোগের সমস্যা থাকলে দিনে ২৫০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত একবার সিপ্রোফ্লক্সাসিন ঔষধ সেবন করতে পারবেন। 

৯) সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধ হলে দিনে একবার সেবন করতে পারবেন। 

১০) হালকা গরম কিংবা ঠান্ডা পানির সাথে এই এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে হবে। 

১১) খালি পেটে সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করা যাবে। 

১২) খাবারের পরে কিংবা খাবারের সাথে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে হবে। 

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ ওপরের এই নিয়ম অনুসারে সেবন করলে আশা করছি পরিপূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যাবে তবে মনে রাখবেন ১৮ বছরের নিচে বাচ্চাদের জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার উপযোগী নয় তাই শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্করায় সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ ট্যাবলেট সেবন করতে পারবেন। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ একটি কার্যকারী অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ যা যেকোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

ciprocin 500 একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ যা বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে তবে এটি ভাইরাল সংক্রমণ কিংবা ছত্রাক জনিত ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে না এটি শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়াল সংক্রম অথবা ইনফেকশন এর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। 

ত্বকে চোখে ফুসফুসে মস্তিষ্কে কিংবা শরীরের অভ্যন্তরে কোথাও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ঘটলে সেই চিকিৎসায় ciprocin 500 অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয় এই অংশটি ব্যবহার করার ফলে দ্রুত ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দূর হয় ব্যাকটেরিয়ার কোষ ঝিল্লি ধ্বংস হয় এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ হয়। 

ciprocin 500 এর কাজ হল ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধ করা যেমন ব্যাকটেরিয়ার কোর্স ঝিল্লি ধ্বংস করা, প্যানক্রিয়াস সংক্রমণ প্রতিরোধ করা, ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধ করা, স্টাফিলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করা, হারপিস ভাইরাস প্রতিরোধ করা, ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা, পেটের প্রদাহ প্রতিরোধ করা, থাইরয়েড সংক্রমণ প্রতিরোধ করা, যৌনাঙ্গের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা ইত্যাদি।

ciprocin 500 দিনে একবার সেবন করতে পারবেন যেকোন এন্টিবায়োটিক ঔষধ সর্বোচ্চ দিনে ১ থেকে ২ বার সেবন করা যায়। সিপ্রোসিন এবং সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ এই দুইটি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক ঔষধ। যা যে কোন প্রকার সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, সিফিলিস, ব্রোন্কাইটিস, গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই ঔষধটি দিনে সর্বোচ্চ ১ বার সেবন করতে পারবেন। 

আরো পড়ুন: ২০২৫ সালের ssc পরীক্ষার সাজেশন দেখুন (গ্যারান্টি সহ A+)

ciprocin 500 ক্যাপসুল দিনে সর্বোচ্চ একবারও সেবন করতে পারবেন। ciprocin অথবা সিপ্রোফ্লাক্সিন সিরাপ একদিনের ১০০ থেকে ৭৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সেবন করতে পারবেন তবে যদি ক্যাপসুল কিংবা ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধ হয়ে থাকে।

 

তাহলে একদিনে সর্বোচ্চ একটি সেবন করতে পারবেন আর এই ciprocin 500  এবং সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ এন্টিবায়োটিক ঔষধ শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহার উপযোগী বাচ্চারা এই ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন। 

সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ এটি একটি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক ঔষধ যার যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন অথবা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তবে সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ সেবন করার ফলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর হয় না এবং এটি ভাইরাল ইনফেকশনে প্রতিরোধও করে না।

এটি শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন এর সাথে ব্যবহার করা হয় যেমন গলায় ফুসফুসে ত্বকে কিংবা চোখে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন ঘটলে চুলকানি প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়। তখন সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ ঔষধ সেবন করতে পারবেন। তবে ফাংগাল ইনফেকশন কিংবা দাদ অথবা ভাইরাল ইনফেকশন এর চিকিৎসাতে এই সিপ্রোফ্লক্সাসিন ওষুধ ব্যবহার উপযোগী নয়। 

সিপ্রোফ্লক্সিন ৫০০ ফ্লুরোকুইনোলন গ্রুপের শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক ঔষধ বাজারে এই ঔষধি যে কোন দোকানে কিনতে পাওয়া যাবে বাজার সহজে কোন অনলাইন পেজটি কিনতে পাবেন বিশেষ করে অনলাইনে Med ex ওয়েবসাইটে এই ওষুধটি available রয়েছে। 

বাজারে সিপ্রোফ্লক্সিন ৫০০ ঔষধ এর দাম হল 15 টাকা পিচ। একটি সিপ্রোফ্লক্সের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের দাম ১৫ টাকা এবং ১ স্ট্রিপ অথবা একপাতা সিপ্রোফ্লক্সিন ৫০০ এন্টিবায়োটিক ওষুধের দাম হলো ১৫০ টাকা। এক পাতাতে মোট দশটি ওষুধ রয়েছে। এক মাসের ৩০ টি সিপ্রোফ্লক্সিন ৫০০ ঔষধ এর দাম হল ৪৫০ টাকা। 

সিপ্রোফ্লক্সিন ৫০০ এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ এবং এটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এর জন্য ভালো। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এর বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে এবং ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে এই জন্য শরীরে কোথাও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন কিংবা সংক্রমণ ঘটে থাকলে নিয়মিত সিপ্রোফ্লাক্সিন ঔষধ সেবন করতে হবে।

বাজারে যে কোন দোকানে সিপ্রোফ্লক্সিন ৫০০  অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ কিনতে পাওয়া যাবে এবং একপাতা সিপ্রোফ্লাক্সিন ঔষধ এর দাম হল 150 টাকা। সিপ্রোফ্লাক্সিন ঔষধ সেবন করলে দ্রুত ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধ হবে। সার্জারির পরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে 

সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ ঔষধ সেবন করানো হয়।। সার্জারি পুড়বে এই রোগীকে একটি সিপ্রোফ্লক্সিন ৫০০  অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করানো হয়। এতে সার্জারি পরে কোনো প্রকার ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন ঘটবে না।

সিপ্রোফ্লক্সিন ঔষধ এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক যা নিউমোনিয়া গনোরিয়া সহ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে তবে এটি কোন জ্বরের ঔষধ নয়। সিপ্রোফ্লাক্সিন এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন কোলে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ হয় তবে জ্বর হলে সিপ্রোফ্লাক্সিন ঔষধ সেবন করা যাবে না এটি এন্টিবায়োটিক শরীর অন্তর্ভুক্ত। জ্বর হলে অন্যান্য ঔষধ যেমন নাপা এক্সট্রা সেবন করতে পারেন।

সিপ্রোফ্লক্সিন কোন জ্বরের ঔষধ নয় তবে এটি নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে পারে নিউমোনিয়া সহ আরো বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন যেমন গলা ইনফেকশন, জিহ্বায় ইনফেকশন, ত্বকে ইনফেকশন, ফুসফুসে ইনফেকশন সহ বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে তবে এটি কোন জ্বরের ঔষধ নয় সিপ্রোফ্লাক্সের অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ এর অন্তর্ভুক্ত। 

সিপ্রোফ্লক্সিন ৫০০ ঔষধ খাওয়ার সময় বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে যেমন শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, দুধ ইত্যাদি। একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এই অ্যান্টিবায়োটিক 

আরো পড়ুন: বিটরুট এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আশ্চর্য হবেন

ঔষধটি সেবন করা অবস্থায় বেশি বেশি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। যে কোন প্রকার শক্তিশালী ঔষধ সেবন করার সময় বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি ফলমূল এবং ডিম দুধ খেতে হবে এতে শরীরের শক্তি বজায় থাকবে।। 

মৃগী রোগী কিংবা যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লাক্সিন ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। আবার ১৫ থেকে ১৮ বছরের নিচে শিশুরা সিপ্রোফ্লাক্সিন ঔষধ সেবন করতে পারবেন না এই ওষুধটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহার উপযোগী। 

শরীরের অতিরিক্ত দুর্বল এমন ব্যক্তিরা ও সিপ্রোফ্লাক্সিল ঔষধ সেবন করতে পারবে না কারণ এটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ যা সেবন করার ফলে শরীর আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে এই জন্য মৃগী রোগী কিংবা কিডনির সমস্যা রয়েছে অথবা শরীর দুর্বল এমন মানুষ সেবন করতে পারবেন না।

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়??, সিপ্রোফ্লক্সিন এর উপকারিতা কি সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম কি এবং ciprocin 500 কিসের ঔষধ। সিপ্রোফ্লক্সিন এবং সিপ্রোসিন একটি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক ঔষধ যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন প্রতিরোধের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। 

সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করলে ফুসফুসের সংক্রমণ গড়ায় সংক্রমণ ত্বকের সংক্রমণ কিংবা চোখের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ দূর হবে এটি শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে পাশাপাশি নিউমোনিয়া সহ আরো বিভিন্ন রোগবালাই দূর করে তবে এই ওষুধটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক সেবন করতে পারবে।

যাদের বয়স ১৮ এর উপরে শুধুমাত্র তাদের জন্য এই এন্টিবায়োটিক ঔষধ টি ব্যবহার উপযোগী। ১৮ বছরের নিচে বয়স হলে এই ওষুধটি সেবন করা যাবে না। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা সকলে সিপ্রোফ্লাক্সিন ৫০০ এবং সিপ্রোসিন ৫০০ অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন এবং কখন এই ওষুধটি সেবন করতে হবে সে বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।