সবচেয়ে সেরা এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন ২০২৫ (A+ আসবেই)

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে সবচেয়ে সেরা এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন ২০২৫ নিয়ে আলোচনা করব এবং গ্যারান্টি সহ এই সাজেশন অনুসারে পরে আপনারা পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন। পরীক্ষাতে এ প্লাস পাওয়ার সহজ যদি আপনি প্রথমেই জেনে যান পরীক্ষাতে কোন চ্যাপ্টার থেকে প্রশ্ন হতে চলেছে তাহলে সেই চাপ্টার গুলো পড়ে অনায়াসে এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন। চলুন ঝটপট দেখে আসি এসএসসি ভূগোল সাজেশন ২০২৫ এসএসসি পরীক্ষা কবে শুরু হবে?  এবং অল্প পরে এসএসসিতে এ প্লাস পাওয়ার উপায় গুলো। 
এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন ২০২৫
গ্যারান্টি সহ এই সাজেশন অনুসরণ করলে আপনারা এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন ভূগোলে এ প্লাস অর্জন করা খুবই সহজ চলুন দেরি না করে এবার ঝটপট দেখে আসি সবচেয়ে সেরা এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন ২০২৫।

সবচেয়ে সেরা এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন ২০২৫ (A+ আসবেই)

এসএসসি পরীক্ষার্থীরা তোমরা অনেকে হয়তো ভূগোল ও পরিবেশ বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তিত রয়েছে এতগুলো কিভাবে মুখস্ত করব? এতগুলো চ্যাপ্টারের mcq কিভাবে মনে রাখব? তুমি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ন দেখে নাও তাহলে আজকের পর থেকে তোমার কাছে ভূগোল সাবজেক্ট সবচেয়ে সহজ মনে হবে।

কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় গুলো নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করব তুমি যদি জেনে যাও কোন অধ্যায় থেকে পরীক্ষাতে প্রশ্ন আসতে চলেছে তাহলে সহজে সে অধ্যায় গুলো পড়ার মাধ্যমে এসএসসি ভূগোল পরীক্ষা তে এ প্লাস নিশ্চিত করতে পারবে। চলো দেখে আসি এসেছে ভূগোল ও পরিবেশ পরীক্ষা দেয় কোন কোন চ্যাপ্টার থেকে সবচেয়ে বেশি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে।
  1. ভূগোল ও পরিবেশ *
  2. মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী **
  3. মানচিত্র গঠন ও ব্যবহার ***
  4. পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠন ***
  5. বারিমন্ডল **
  6. বায়ুমণ্ডল **
  7. জনসংখ্যা **
  8. মানব বসতি 
  9. সম্পদ ও অর্থনৈতিক কার্যাবলী ***
  10. বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবরণ ***
  11. বাংলাদেশের সম্পদ ও শিল্প ***
  12. বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য ***
  13. বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও পরিবেশ ভারসাম্য *
  14. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ **
  15. টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট **
এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ বইয়ে মোট ১৫ টি অধ্যায় রয়েছে এবং এ ১৫ টি অধ্যায় এর মধ্য থেকে যেকোনো ১০ টি চ্যাপ্টার থেকে পরীক্ষাতে ১১ টি প্রশ্ন আসবে। ভূগোল ও পরিবেশ পরীক্ষাটি ১১ টি সৃজনশীল প্রশ্ন এর মধ্যে থেকে যে করে সাতটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এবং ৩০ মার্কের এমসিকিউ থাকতে অর্থাৎ মোট ১০০ এর প্রশ্ন হবে।

Mcq খুব সহজে ৩০ মার্ক অর্জন করা যায় কিন্তু সৃজনশীল প্রশ্ন তে মার্ক অর্জন করা একটু কঠিন। প্রতিবছর এসেছি ভূগোল ও পরিবেশ পরীক্ষা তে দশটি চ্যাপ্টার থেকে ১১ টি সৃজনশীল প্রশ্ন করা হয় অর্থাৎ অন্যান্য সাবজেক্ট ভূগোল ও পরিবেশ পরীক্ষায় ছয়টি অথবা সাতটি চ্যাপ্টার থেকে 11 টি প্রশ্ন আসে না। এইজন্য ভূগোল পরীক্ষা তুলনামূলক একটু কঠিন হয়।

তবে গুরুত্বসহ এবং সাজেশন গুলো পড়লে আশা করছি খুব সহজে ভূগোল পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন। ২০২৫ সালে এসএসসি ভূগোল পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ১০টি অধ্যায় থেকে ১১ টি প্রশ্ন আসবে এবং এই 11 টি প্রশ্ন এর মধ্যে থেকে যে কোন সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ৭ টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর থেকে ৭০ মার্ক পাওয়া যাবে।

এসএসসি ভূগোল পরীক্ষাতে মানচিত্র গঠন ও ব্যবহার পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠন এই দুইটি চ্যাপ্টার খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দুইটি চ্যাপ্টার থেকে দুইটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে। ভূগোল পরীক্ষাতে একটি সিঙ্গেল অধ্যায় থেকে সিঙ্গেল সৃজনশীল প্রশ্ন করা হবে। বারিমন্ডল অথবা বায়ুমণ্ডল এই দুইটি অধ্যায় থেকে যেকোনো একটি সৃজনশীল প্রশ্ন হবে। 

সম্পদ ও অর্থনৈতিক কার্যাবলী বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবরণ এই দুইটি অধ্যায় থেকে তিনটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে। বাংলাদেশের সম্পদ ও শিল্প বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য এই দুটি অধ্যায় থেকে তিনটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে। ভূগোল ও পরিবেশ মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী এই প্রথম দুইটি অধ্যায় থেকে যেকোনো একটি অধ্যায় হতে সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এবং বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই দুইটি অধ্যায় থেকে যেকোনো একটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে এই ছিল মোট ১১ টি সৃজনশীল প্রশ্ন সেট। এই কয়েকটি অধ্যায় থেকে মোট ১১ টি প্রশ্ন আসবে। খুব গুরুত্বসহ যদি ৯ টি অধ্যায় পড়া হয় তাহলে পরীক্ষাতে গ্যারান্টি সহ এ প্লাস অর্জন হবে। 

নিচে দেখে নেন কোন নয়টি অধ্যায় পড়লে পরীক্ষাতে গ্যারান্টি সহ এ প্লাস অর্জন হবে এবং ভূগোল পরীক্ষা নিয়ে আর টেনশন থাকবে না। নিচে এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন দেখে নিন। 

এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন

এসএসসি পরীক্ষাতে কোন চ্যাপ্টার গুলো থেকে প্রশ্ন আসতে চলেছে সেই বিষয়ে আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন এসএসসি পরীক্ষাতে এই বছর ১০ টি চ্যাপ্টার থেকে প্রশ্ন হবে। ১০ টি চ্যাপ্টার থেকে মোট ১১ টি প্রশ্ন আসবে সেখান থেকে সাতটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর শিক্ষার্থীদের দিতে হবে।

ভূগোলে আমার ১৫ টি অধ্যায় রয়েছে এবং এর ১৫ টি অধ্যায় থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সমূহ হলো ১) মানচিত্র গঠন ও ব্যবহার, ২) পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠন, ৩) সম্পদ ও অর্থনৈতিক কার্যাবলী, ৪) বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবরণ, ৫) বাংলাদেশের সম্পদ ও শিল্প, ৬) বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য, ৭) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ৮) টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, ৯) মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী। 

ভূগোল বই প্রথম অধ্যায় ভূগোল ও পরিবেশ এবং মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী এই দুইটি চ্যাপ্টারের মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী। ভাবিস ও আমাদের পৃথিবী এই চ্যাপ্টার থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা প্রায় ৯৯ শতাংশ। ভূগোল ও পরিবেশ প্রথম অধ্যায় থেকে ক ও খ প্রশ্ন আসতে পারে পাশাপাশি মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী অধ্যায় থেকে গ ও ঘ প্রশ্ন আসতে পারে।

বারিমন্ডল, বায়ুমণ্ডল এবং জনসংখ্যা এই তিনটি চ্যাপ্টার থেকে যেকোনো দুইটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে জনসংখ্যা চ্যাপ্টার থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসতে পারে। পাশাপাশি বাড়ী মন্ডল এবং বায়ুমন্ডল এই দুইটি চাপের মধ্য থেকে যেকোনো একটি চ্যাপ্টার থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে। অতএব জনসংখ্যা চ্যাপ্টার স্কিপ করে বাড়ি মন্ডল অথবা বায়ুমন্ডল এই দুইটি চ্যাপ্টার খুব ভালোভাবে পড়তে হবে কারণ গ্যারান্টি সহ এই দুইটি চ্যাপ্টারের মধ্যে থেকে যেকোনো একটি চ্যাপ্টার থেকে প্রশ্ন আসবে। 

সম্পদ ও অর্থনৈতিক কার্যাবলী, বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবরণ এই দুইটি চ্যাপ্টার থেকে দুইটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে। গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার গুলো মনোযোগ সহ পড়তে হবে। সর্বশেষ অধ্যায় রয়েছে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এই দুইটি চ্যাপ্টার থেকে দুইটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে।

বাংলাদেশের সম্পদ ও শিল্প এবং বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য এই দুইটি চ্যাপ্টার খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দুইটি চ্যাপ্টার থেকে দুইটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবে অতএব এই দশটি অধ্যায় পড়লে ৮/৯ টি সৃজনশীল প্রশ্ন কমন পাবে। যদি আরো শর্ট সাজেশনে পড়তে চাও তাহলে নিচে দেখে নাও কিভাবে সাতটি অধ্যায় পড়ে সাতটি সৃজনশীল প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়।

 এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ শর্ট সাজেশন

তুমি কি এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ শর্ট সাজেশন খুজছো? সবচেয়ে কম পড়ার মাধ্যমে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাচ্ছ? ভূগোল পরীক্ষাতে   সিঙ্গেল চ্যাপ্টার থেকে সিঙ্গেল প্রশ্ন আসে এই জন্য ১০ থেকে ১১ টি চ্যাপ্টার পড়ার মাধ্যমে ৯ থেকে ১০ টি প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়। যেহেতু তোমরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছো কোন কোন চ্যাপ্টার থেকে পরীক্ষাতে প্রশ্ন আসতে চলেছে সেক্ষেত্রে চলো দেখে আসি এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ শর্ট সাজেশন। 
  • পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠন 
  •  মানচিত্র গঠন ও ব্যবহার 
  • সম্পদ ও অর্থনৈতিক কার্যাবলী 
  • বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবরণ 
  • বাংলাদেশের সম্পদ ও শিল্প 
  • বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ 
  • বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য 
এই সাতটি চ্যাপ্টার থেকে সাতটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসবেই যদি এই সাতটি চ্যাপ্টার খুব গুরুত্ব সহ পড়া হয় তাহলে শুধুমাত্র এই সাতটি চ্যাপ্টার করার মাধ্যমে গুগল পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করা সম্ভব হবে। তবে আরো ভালো প্রেপারেশন নেওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন পরীক্ষাতে নয়টি অধ্যায় পড়ার। পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠন এবং মানচিত্র গঠন ও ব্যবহার এই দুইটি অধ্যায় খুব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে দুইটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসার পাশাপাশি mcq প্রশ্ন আসবে। 

ভালো ফলাফল অর্জন করতে প্রথমে বোর্ড বই খুব ভালোভাবে পরিণত হবে তারপর গাইড বই পড়তে হবে। বর্তমান সময় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই বোর্ড বই সাইডে রেখে গাইড বই পড়া শুরু করে যার কারণে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে না। ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য গাইড বই সাইডে রেখে বোর্ড বই বেশি পড়তে হবে।

আর পড়ার সময় পাশে একটি নোট খাতা এবং কলম রাখতে হবে যে পড়া গুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে সেটি কলমের সাহায্যে নোট খাতেই লোড করে রাখতে হবে এবং একটি কালার পেনের সাহায্যে বয়ে সে অংশগুলো মার্ক করতে হবে যেন পরীক্ষার আগের রাতে একটি মাত্র নোটের মাধ্যমে পরীক্ষার সমস্ত প্রিপারেশন তৈরি হয়ে যায়। 

মেধাবী শিক্ষার্থীদের সবসময় এই ট্রিকস গুলোকে এপ্লাই করে এবং পরীক্ষাতে কোন ঝামেলা ছাড়াই ভালো ফলাফল অর্জন করে। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ সবার সাজেশন সম্পর্কে এই সাজেশন অনুসারে পড়লে গ্যারান্টি সহ পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন। এবার চলুন ঝটপট দেখে আসি এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করার উপায়।

এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করার উপায় 

আপনি কি এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করার উপায় করছেন কিভাবে অল্প পড়ার মাধ্যমে এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায়? অল্প পড়ার মাধ্যমে কখনো এসএসসি তে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন না যদি জীবনে সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে সফলতার পিছনে অপরিসীম পরিশ্রম এবং ধৈর্য থাকে। 

এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করা খুব সহজ যদি কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করা যায় তাহলে অল্প খাটাখাটনি এবং পরিশ্রমে এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন। নিচে দেখে নিন কয়েকটি উপায় দেওয়া রয়েছে সেই উপায় গুলো অনুসরণ করলে এসএসসিতে এইচএসসিতে এবং যেকোনো পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন।

এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে থেকে এসএসসি প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করতে হবে। প্রতিদিন সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে যদি সকালে ওঠার অভ্যাস না থাকে তাহলে মোবাইল ফোনে অথবা ডিজিটাল ঘড়িতে আলার্ম সেট করতে হবে।
  • সকালে উঠে সবার প্রথমে রুটিন তৈরি করতে হবে কখন কোন কাজ কোন সময় সম্পন্ন করবেন সেই সমস্ত বিষয়বস্তুগুলো রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 
  • রুটিন তৈরি করার পর পড়া শুরু করতে হবে। পড়াশোনার আলাদা রুটিন তৈরি করতে হবে। কখন কোন সাবজেক্ট পড়বেন সে বিষয়গুলো তালিকাভুক্ত করতে হবে। 
  • পড়ার সময় পাশে একটি কালার পেন এবং নোট খাতা অবশ্যই রাখতে হবে। 
  • যেকোনো পড়া বারবার রিভাইজ দিতে হবে। সেই পড়াটি জানা সত্ত্বেও বারবার রিভাইজ দিলে দীর্ঘদিন ব্রেইনে পড়াটি সংরক্ষণ থাকবে।
  • পড়া শেষে না দেখে বলার এবং লিখার অভিজ্ঞতা তৈরি করতে হবে। পড়া শেষে না দেখে লিখলে এসে পড়াটি দীর্ঘদিন প্রেমের সংরক্ষণ থাকে।
  • পড়ার মাঝে বারবার বিরতি নিতে হবে এতে পড়ার প্রতি মনোযোগ সতেজ থাকবে। পড়ার সময় একটানা তিন থেকে চার ঘন্টা পড়াশোনা করলে পড়ার প্রতি একঘেয়েমি কাজ করে যার ফলে পড়ায় আর মনোযোগ বসেনা এই জন্য পড়ার সময় বারবার বিরতি নিতে হবে। 
  • বেশি বেশি বোর্ড প্রশ্ন পড়তে হবে এবং বোর্ড বই পড়তে হবে।
উপরের এ কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করে চললে আশা করছি ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষাতে আপনারা গ্যারান্টি সহ এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন কারণ এ প্লাস অর্জন করা খুব কঠিন কোন বিষয় নয় যদি একটু নিয়ম মেনে পড়াশোনা করা হয় তাহলে সহজে এ প্লাস অর্জন করা যায়। 

পরীক্ষা দেবে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের যে সমস্যাটি হয় তা হলো পড়া মনে থাকে না যে পড়া গুলো বাসা থেকে পড়ে যায় সে পড়াগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রে আর মনে পড়ে না এর কারণ হলো আপনারা সে পড়াটি বারবার রিভাইজ দেন না। যদি পড়া রিভাইজ দেওয়া না হয় তাহলে সে পড়াটি ব্রেইন থেকে আউট হয়ে যায় যার ফলে আর মনে থাকে না।

এজন্য যেকোনো পড়া জানার সাথেও সেই পড়াটি বারবার পড়ার চেষ্টা করতে হবে এবং না দেখে লেখার চেষ্টা করতে হবে এতে পড়াটি দীর্ঘদিন ব্রেনের সংরক্ষণ থাকবে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে আর ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আশা করছি এই কয়েকটি নিয়ম আপনারা অনুসরণ করলে পরীক্ষা কেন্দ্রে আর কোন টেনশন থাকবে না এবং টেনশন ফ্রি হয়ে পরীক্ষা দিয়ে এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন।

অল্প পড়ে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার উপায়

আপনি কি অল্প পড়ে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার উপায় খুঁজছেন অল্প পড়ে কি ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব? আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন অল্প পরেই কিংবা না পড়ে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার উপায় কি যারা পরীক্ষাতে অল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান তারা একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে দেখলাম সবচেয়ে শর্ট সাজেশন। 

মাত্র সাতটি অধ্যায় পরে পরীক্ষাতে সাতটি প্রশ্ন কেমন পাওয়ার উপায় গুলো দেখলাম। তবে যারা মনে করেন না পড়েও পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায়। তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ পরীক্ষাতে না পড়ে কখনো ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব নয় তবে অল্প পড়ার মাধ্যমে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে পড়ে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায় নিচে দেখে নিন অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো। 

যদি একটু নিয়ম মেনে পড়াশোনা করেন তাহলে অতিরিক্ত পড়ার প্রয়োজন নেই। অনেকে মনে করেন পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করার জন্য দিনে ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা পড়াশোনা করা প্রয়োজন। কিন্তু এই ধারণা।গুলো ভুল। যদি নিচের নিয়ম মেনে পড়াশোনা করেন তাহলে দিলে দুই ঘন্টা পড়া যথেষ্ট।  

পড়ার সময় পাশে একটি কালার পেন এবং মোট খাতা রাখতে হবে। এই উপায়টি অধিক কার্যকারী লক্ষ্য করে দেখবেন আপনার ক্লাসে যতগুলো ভালো স্টুডেন্ট রয়েছে তাদের প্রত্যেকের একটি পার্সোনাল নোট খাতা রয়েছে যেখানে তারা প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পড়াগুলো নোট করে রাখেন। এভাবে একটি নোট খাতা রাখলে অতিরিক্ত পড়ার কোন প্রয়োজন হবে না একটি নোট খাতা দেখার মাধ্যমে পরীক্ষার আগে সমস্ত প্রিপারেশন তৈরি হয়ে যাবে।

পড়ার সময় যেকোনো পড়া বারবার রিভাইজ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যদি একটি পড়া বারবার ডিভাইস দেওয়া না হয় তাহলে সেই পড়াটি ভুলে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে যার ফলে পরবর্তী সময়ে আবারও সেই পড়াটি পড়ার পিছে সবাই নষ্ট করতে হবে তাই বুদ্ধিমতী শিক্ষার্থীরা সবসময় পূর্বের পড়াগুলো বারবার রিভাইজ দেয় যার মাধ্যমে তারা সে পড়াগুলো ভুলে যায় না এবং অতিরিক্ত পড়ার কোন প্রয়োজন হয় না অল্প পরেও পড়া কভার হয়ে যায়।

বুদ্ধিমতী শিক্ষার্থীরা গাইড বই সাইডে রেখে বোর্ড বইয়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব আরোপ করে কারণ বোর্ড বই থেকে mcq এর পাশাপাশি সৃজনশীল প্রশ্ন আসে আর গাইড বইয়ে হাজার হাজার এমসিকিউ পড়ার পাশাপাশি সৃজনশীল প্রশ্ন করতে হয় যা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে। 

তাই পরীক্ষার পূর্বে শুধুমাত্র বোর্ড বই পড়তে হবে। খুঁটিয়ে বোর্ড বই পড়লে mcq এবং সৃজনশীল উভয় প্রশ্ন কমানো পাওয়া যাবে। এতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হবে না এবং অল্প পরেও ভালো ফলাফল অর্জন করা যাবে। বোর্ড বই বাদ দিয়ে শিক্ষকরা কখনোই গাইড বই থেকে এমসিকিউ অথবা সৃজনশীল প্রশ্ন করেন না। 

নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে অনেকেই নিয়মিত পড়াশোনা করেন না এক দুই দিন পর পর পড়াশোনা করেন যা খুবই খারাপ একটি অভ্যাস। নিয়মিত পড়াশোনা করা খুব জরুরী আর পাশাপাশি প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন সম্পন্ন করতে হবে। পড়া জমিয়ে রাখলে কিংবা বাঁধিয়ে রাখলে সে পড়াটি পরবর্তী সময়ে আরো দ্বিগুণ হয়ে যায় এই জন্য কখনোই পড়ার জমিয়ে রাখা যাবে না প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন কমপ্লিট করতে হবে।

শুধুমাত্র এই কয়েকটি ছোট ছোট টিপস অনুসরণ করলে পরীক্ষাতে গ্যারান্টি সহ অল্প পড়েও এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন। পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করা খুব সহজ যদি এই কয়েকটি উপায় অনুসরণ করেন তাহলে কোন ঝামেলা ছাড়াই এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন এবং পরীক্ষার পূর্বে অতিরিক্ত পড়ার ঝামেলা থাকবে না এবং মাথায় টেনশন থাকবে না। এবার চলুন দেখে আসি এসএসসি পরীক্ষা কবে শুরু হবে। 

এসএসসি পরীক্ষা কবে শুরু হবে 

আপনি কি জানেন এসএসসি পরীক্ষা কবে শুরু হবে? ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা ঈদ উল ফিতর এর পরে অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ আপনারা নিশ্চিত থাকুন আপনাদের এসএসসি পরীক্ষা দুই থেকে তিন মাস পরেই অনুষ্ঠিত হবে। ঈদুল ফিতর ২০২৫ সালের মার্চ মাসে ৩০ অথবা ৩১ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদুল ফিতর চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল থাকে অতএব ৩০ অথবা ৩১ তারিখে ঈদুল ফিতর উজ্জপিত হবে এবং ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ পরে আপনাদের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। অতএব হাতে থাকলে শুধুমাত্র আর তিন থেকে চার মাস এই চার মাসের মধ্যে ওপরের এই নিয়ম অনুসারে প্রিপারেশন নিলে এ প্লাস নিশ্চিত।

লেখকের শেষ কথা 

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আজকের এই আর্টিকেলে দেখলাম পরীক্ষাতে অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায়, এসএসসিতে এ প্লাস পাওয়ার উপায় এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন ২০২৫ এবং এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ শর্ট সাজেশন ২০২৫। আজকের এই আর্টিকেলে এসএসসি পরীক্ষাতে এ প্লাস পাওয়ার সমস্ত নিয়ম শেয়ার করলাম।

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে এসএসসি পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করা যায় এবং যারা ভূগোল ও পরিবেশ সাবজেক্ট নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত ছিলেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ আজকের এই আর্টিকেলে ভূগোল ও পরিবেশ এই সাবজেক্টের সমস্ত সাজেশন শেয়ার করা হয়েছে। 

এই সাজেশন অনুসারে পড়লে আপনারা নিশ্চিত থাকুন পরীক্ষাতে গ্যারান্টি সহ এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন তাই এদিক ওদিক না তাকিয়ে সাজেশনটি নোট খাতায় নোট করে ফেলুন এবং পড়া শুরু করুন। মনে রাখবেন শুধুমাত্র কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করলেই পরীক্ষাতে ঝামেলা ছাড়া এ+ অর্জন করা যায়।

তাই অল্প পড়ে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার নিয়মটি একবার দেখে নিন। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের নিকট কেমন লেগেছে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন আর কোন কোন বিষয়ে আপনাদের সাজেশন প্রয়োজন রয়েছে সেটিও কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url