১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন? জানলে অবাক হবেন

১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন? জানলে অবাক হবেন কারণ ১০০ গ্রাম মুরগির মাংস থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। মানব শরীরে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন এর প্রয়োজন থাকে। সেই প্রোটিনের স্বল্পতা পূরণ করতে নিয়মিত দুই থেকে তিন পিচ মুরগির মাংস খেতে হবে। আজকের এই আর্টিকেল এর মূল আলোচ্য বিষয় হলো মুরগির মাংস থেকে কত গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় এবং মুরগির মাংসের উপকারিতা। 
১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন
 মুরগির মাংসের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এদের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় মুরগির মাংস কে প্রোটিনের ভান্ডার বলা হয় কারন মুরগির মাংস থেকে ভরপুর প্রোটিন পাওয়া যায় যার শরীরের কোষ মেরামত করে এবং পেশী বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। চলুন তাড়াতাড়ি দেখে আসি ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন পাওয়া যায়? এবং মুরগির মাংসের উপকারিতা কি। 

১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন

অনেকেই জানতে চান ১০০ গ্রাম মুরগির মাংস কত প্রোটিন?? ডিমের তুলনায় বেশি পরিমাণ মুরগির মাংস থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়। একটি মুরগির ডিমের সাদা অংশ ও কুসুমের অংশ মিলিয়ে মোট প্রোটিন পাওয়া যায় প্রায় ৬ থেকে ৮ গ্রাম। ১০০ গ্রাম মুরগির মাংস থেকে ২৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। মুরগির মাংসের বুকের অংশ থেকে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়।

মুরগির মাংসের বুকের অংশ থেকে 35 গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। পায়ের অংশ থেকে ২৩ থেকে ২৪ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। মুরগির পায়ের অংশতে সবচেয়ে বেশি চর্বি থাকে এই জন্য পায়ের অংশ থেকে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। মুরগির মাংসের পিঠের অংশ থেকে ২০ থেকে ২২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।

মুরগির মাংসের চামড়া থেকে খুব অল্প পরিমাণে 10 থেকে 12 গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। মুরগির মাংস কে প্রোটিনের উৎস বলা হয় কারন মুরগির মাংসের প্রতিটি অংশ থেকেই ভরপুর প্রোটিন পাওয়া যায় এই জন্য বিজ্ঞানীরা মুরগির মাংসকে প্রোটিনের ভান্ডার বলেন।

১০০ গ্রাম মুরগির মাংস থেকে সর্বোচ্চ ২২ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। মুরগির চামড়া থেকে ১০-১২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়, আর ১০০ গ্রাম মুরগির ড্রামস্টিক থেকে ২৪ থেকে ২৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় মুরগির বুকের মাংস থেকে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম মুরগির বুকের মাংস থেকে ৩৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে বেশিরভাগ ব্রয়লার মুরগির ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম হয়ে থাকে এবং অনেক মুরগি ১ কেজিও হয়ে থাকে। মুরগির মাংসের ছোট ছোট ২ থেকে ৩ টুকরো ১০০ গ্রাম হবে। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম মুরগি ছোট ছোট চার থেকে পাঁচটি পিচ মিলে ১০০ গ্রাম হবে আর এক কেজি ওজনের মুরগির দুই থেকে তিনটি টুকরোই ১০০ গ্রাম।

বাঙালিরা মুরগির মাংস খেতে খুবই ভালোবাসে আর বাজারে মুরগির মাংস সহজলভ্য অল্প দামেই পাওয়া যায় এই জন্য অনেকের বাসায় প্রতিদিন মুরগির মাংস রান্না করা হয় মুরগির মাংস খেতেও দুর্দান্ত সুস্বাদু এবং এটি পুষ্টিগুনে ভরপুর মুরগির মাংসকে প্রোটিনের ভান্ডার বলা হয়।

এর জন্য বেশিরভাগ মানুষ মুরগি খেতে খুব ভালোবাসে আর বাংলাদেশে অন্যান্য মাংস যেমন গরুর মাংস খাসির মাংস ইত্যাদি মুরগির মাংসের দাম হাতের কাছেই রয়েছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ বাসাতে মুরগির মাংস রান্না করা হয় এবং মুরগির মাংস ভালোভাবে মশলা দিয়ে কষিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। 

১ পিস মুরগির মাংস কত প্রোটিন  থাকে 

১০০ গ্রাম মুরগির মাংস থেকে প্রায় ২২ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। বড় মুরগি দুই থেকে তিন পিস মাংসের ওজন ১০০ গ্রাম। মুরগির ছোট ছোট এক পিস মাংসের ওজন প্রায় 30 থেকে 35 গ্রাম। ৩০ থেকে ৩৫ গ্রাম মুরগির মাংস থেকে প্রায় ৫-৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। 

একটি ছোট মুরগির পিছ থেকে পাঁচ থেকে ছয় গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এক পিস মুরগির বুকের মাংস থেকে ১০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ১ পিস মুরগির পায়ের অংশ থেকে তিন থেকে চার গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। আর মুরগির অন্যান্য অংশ থেকে ১-২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় যেমন মুরগির চামড়া থেকে সবচেয়ে কম পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়।

১ পিস মুরগির মাংসের ওজন সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ গ্রাম হতে পারে। ১০০ গ্রাম মুরগির মাংস থেকে যদি ২২ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। তাহলে ৩০ থেকে ৩৫ মুরগির মাংস থেকে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ১ পিস মুরগির মাংস থেকে একটি ডিমের সমান প্রোটিন পাওয়া যাবে।

১ পিস মুরগির মাংসে কত ক্যালরি 

মুরগির মাংস থেকে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। একটি ছোট এক পিস মুরগির মাংস থেকে ৬০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। মুরগির পায়ের এবং চামড়ার অংশ থেকে সবচেয়ে বেশি ক্যালরি পাওয়া যায় কারণ চামড়া থেকে প্রচুর চর্বি পাওয়া যায় এই চর্বির মধ্যে ক্যালোর পাওয়া যায়।

মুরগির পায়ের অংশ থেকেও প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায় এক মুরগির একটি পা থেকে প্রায় ২০০ ক্যালোরি পাওয়া যায় কারণ মুরগির পায়ে সবচেয়ে বেশি চর্বি থাকে যা ক্যালরি এর পরিমাণকে বাড়িয়ে দেয়। মুরগির ১ পিস মাংস যদি ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম হয় তাহলে সেই মুরগির মাংস থেকে প্রোটিন পাওয়া যাবে ১২ থেকে ১৩ গ্রাম এবং ক্যালরি পাওয়া যাবে ৬০ থেকে ৭০। 

১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত ক্যালরি 

অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত ক্যালরি? ১০০ গ্রাম মুরগির মাংস থেকে ১২০ থেকে ১৮০ ক্যালরি পাওয়া যায়। মুরগির বুকের মাংস থেকে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি পাওয়া যায় মুরগির বুকের 100 গ্রাম মাংস থেকে ২০০ গ্রাম ক্যালোরি পাওয়া যায় এবং মুরগির পায়ের মাংস থেকে প্রায় ২২০ গ্রাম ক্যালোরি পাওয়া যায়। 

মুরগির পায়ের অংশতে সবচেয়ে বেশি চর্বি ও ক্যালরি থাকে। শীতকালে মুরগির পায়ের মাংস খেলে এই জন্য গায়ে গরম লাগে কারণ ক্যালোরি থেকে তাপ উৎপন্ন হয়। মুরগির পিঠের ১০০ গ্রাম মাংস থেকে ১৯০ ক্যালরি পাওয়া যায় এবং মুরগির হাতা অথবা পাখনা এর মাংস থেকে ১৪০ ক্যালরি পাওয়া যায়।

মুরগির মাংস থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি পাওয়া যায়। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন মুরগির মাংস থেকে কত পরিমাণে ক্যালরি ও প্রোটিন পাওয়া যায় এক পিস মুরগির মাংস থেকে ৬০ ক্যালরি পাওয়া যায় যদি মুরগির মাংসটি আকারে বড় হয় তাহলে ৯০ থেকে ১০০ গ্রাম ক্যালোরি পাওয়া যায়।

মুরগির মাংসের উপকারিতা 

আপনি কি মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? আমরা অনেকেই মুরগির মাংস খেতে খুব ভালোবাসি মুরগির মাংস থেকে ভরপুর কে প্রোটিন ও ক্যালোরি পাওয়া যায়। মুরগির মাংস আমরা কম বেশি প্রত্যেকেই খেতে খুব ভালোবাসি মুরগির মাংসের ত্বকের জন্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী মুরগির মাংস ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং হার্টকে ভালো রাখে। 

অসুস্থ থাকাকালীন সময়ে বেশি বেশি মুরগির মাংস খেলে দ্রুত সেরে ওঠা যায় এই জন্য বাসায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দাদি ঠাকুমার মুরগির মাংস রান্না করে খেতে দেন। মুরগির মাংস শরীরে ওষুধ এর মত কাজ করে মুরগির মাংস থেকে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। 

মুরগির বুকের মাংস থেকে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। মুরগির মাংস থেকে খুব কম পরিমাণে কোলেস্টেরল পাওয়া যায় তাই মুরগির মাংস খেলে স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় না। মুরগির মাংস থেকে ভিটামিন এ ভিটামিন ই ভিটামিন বি এক ভিটামিন বি ২ ভিটামিন বি ১২ ইত্যাদি পাওয়া যায় নিচে দেখুন মুরগির মাংসের উপকারিতা সমূহ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা রয়েছে। 
  1. মুরগির মাংস কে প্রোটিনের উৎস বলা হয় কারণ মুরগির মাংস থেকে ভরপুর প্রোটিন পাওয়া যায়, প্রোটিন শরীরে কোষ কে বৃদ্ধি করে এবং শরীরে শক্তি উৎপাদন করে।
  2. মুরগির মাংস খেলে শরীরে প্রচুর শক্তি ও তাপ উৎপন্ন হয় ।
  3. মুরগির মাংস খেলে হাড় শক্তিশালী হয় পেশী মজবুত হয়। 
  4. মুরগির মাংস খেলে দ্রুত ওজন কমে কারণ মুরগির মাংস থেকে খুব কম পরিমাণে চর্বি পাওয়া যায়। 
  5. মুরগির মাংস খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে কারণ মুরগির মাংস থেকে খুব অল্প পরিমাণে কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। 
  6. মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এটি কোষের পুনর্গঠন করে। 
  7. মুরগির মাংস থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন এবং ভিটামিন বি ৬ পাওয়া যায় এই উপাদানগুলো হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
  8. মুরগির মাংস থেকে উচ্চমানের ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় এটি পেশিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। 
  9. মুরগির মাংস থেকে প্রচুর ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি পাওয়া যায় এটা ত্বকের জন্য উপকারী নিয়মিত মুরগির মাংস খেলে ত্বক টানটান হবে এবং ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমবে। 
  10. মুরগির মাংস খেলে ত্বক থেকে দাগ দাগালি দূর হবে।
  11. মুরগির মাংস খেলে ত্বক সুন্দর হবে এবং ত্বকে সঠিক পুষ্টি সরবরাহ হবে। 
  12. মুরগির মাংস খেলে তার থেকে বয়সের ছাপ কমবে 
  13. মুরগির মাংস খেলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম এর অভাব পূরণ হবে। 
  14. মুরগির মাংস খেলে শরীরে কোলাজেন উৎপন্ন হবে।
  15. মুরগির মাংস খেলে স্নায়ুতন্ত্র উন্নত হবে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়বে। 
  16. মুরগির মাংস খেলে হাড় ক্ষয় রোধ হবে।
  17. মুরগির মাংস খেলে শরীরে উচ্চমানের প্রোটিন সরবরাহ হবে। 
  18. মুরগির মাংস খেলে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে। 
  19. মুরগির মাংস খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়বে। 
  20. নিয়মিত মুরগির মাংস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। 
  21. মুরগির মাংস খেলে হজম শক্তি উন্নত হবে এবং পাকস্থলি এর কার্যক্রম বাড়বে। 
  22. মুরগির মাংস খেলে রক্তস্বল্পতায় সমস্যা দূর হবে। 
  23. মুরগির মাংস স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ভালো। 
  24. মুরগির মাংস খেলে শরীর থেকে ফ্রি রেডিকেলস দূর হবে।
  25. মুরগির মাংস খেলে মেটাবলিজম সুস্থ থাকে। 
  26. মুরগির মাংস খেলে স্পেস কমে এবং মানসিক চাপ কমে। 
  27. মুরগির মাংস থেকে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স পাওয়া যায় এটি রক্তের শর্করার স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে
  28. মুরগির মাংস থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বি সি  ডি পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। 
  29. মুরগির মাংস খেলে শরীরে প্রচুর শক্তি ও তাপ উৎপন্ন হবে।
মুরগির মাংস খেলে উপরের এই সকল উপকারিতা সমূহ লাভ করতে পারবেন। মুরগির মাংসের শাস্তি যেরকম উপকারী এবং মুরগির মাংস খেলে উপরের এই সকল উপকারিতা সমূহ পাওয়া যাবে মুরগির মাংস থেকে প্রায় সব ধরনের 

ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় মুরগির মাংস থেকে ভিটামিন এ ভিটামিন বি , ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন ডি ইত্যাদি পাওয়া যায়। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন মুরগির মাংস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এবার চলুন তাড়াতাড়ি দেখে আসি দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা। 

দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা 

আপনি কি দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? এখন শহরাঞ্চলে গ্রামাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে দেশি মুরগির মাংস দেখতে পাওয়া যায় বাজারে দেশি মুরগির মাংসের সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হয় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।

কিন্তু দেশি মুরগির মাংসের দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগির তুলনায় দেশি মুরগির মাংস থেকে বেশি পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় এবং ব্রয়লার মুরগিতে কোলেস্টেরল রয়েছে কিন্তু দেশি মুরগির মাংস থেকে কোন প্রকার কোলেস্টেরল পাওয়া যায় না। তাই দেশি মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং দেশী মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে ক্ষতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

দেশি মুরগির মাংস অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার দেশি মুরগির মাংস থেকে উচ্চমানের প্রোটিন পাওয়া যায় এবং দেশি মুরগি মানুষের সাথে চর্বির পরিমাণ খুব কম থাকে এই জন্য দেশি মুরগির মাংস কালে ওজন কমে। দেশি মুরগির মাংস খেলে জিংক ও সেলেনিয়াম পাওয়া যায় এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাওয়া যায়।
  1. দেশি মুরগির মাংস খেলে শরীরে উচ্চমানের প্রোটিন সরবরাহ হয়। 
  2. দেশি মুরগির মাংস খেলে দ্রুত ওজন কমতে পারে ওজন কমাতে সহায়ক। 
  3. দেশি মুরগির মাংস থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস পাওয়া যায় যা হাড়ের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করে এতে অস্টিওপোরেসিস প্রতিরোধ হবে।
  4. দেশি মুরগির মাংস থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায় এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
  5. দেশি মুরগির মাংস থেকে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ খুব কম এই জন্য দেশি মুরগির মাংস হলে হার্টের কোন ক্ষতি হবে না।
  6. দেশি মুরগির মাংস খেলে শরীরের শক্তি উৎপাদন হয়। দেশি মুরগির মাংস খেলে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ অথবা রিংকেল দূর হয়। 
  7. দেশি মুরগির মাংস খেলে পাকস্থলী উন্নত থাকে এবং পাকস্থলীর কার্যকারিতা বাড়ে।
  8. দেশি মুরগির মাংস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় দেশি মুরগির মাংস থেকে প্রচুর জিংক এবং সেলেনিয়াম পাওয়া যায় এই উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 
  9. দেশি মুরগির মাংস থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 
  10. দেশি মুরগির মাংস থেকে ভিটামিন বি ৬ পাওয়া যায়। ভিটামিন b6 ত্বকের জন্য এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপকারী।
  11. দেশি মুরগির মাংস খেলে শরীরে প্রাকৃতিক পুষ্টি সরবরাহ হবে।
  12. দেশি মুরগির মাংস খেতে রক্তস্বল্পতা দূর হয় কারণ দেশি মুরগির মাংস থেকে ভরপুর আয়রন পাওয়া যায়।
  13. দেশি মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে মেটাবলিজম উন্নত থাকবে। 
  14. দেশি মুরগির মাংস খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে কারণ দেশি মুরগির মাংস থেকে ভিটামিন বি৬ পাওয়া যায়।
  15. দেশি মুরগির মাংস খেলে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয় চুল এর গোড়া মজবুত হয়। 
  16. দেশি মুরগির মাংস থেকে কম পরিমাণে শর্করা পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশি মুরগির মাংস খেতে হবে। 
  17. দেশি মুরগির মাংস স্ট্রেস অথবা মানসিক চাপ কমবে। 
  18. দেশি মুরগির মাংস খেলে হজম শক্তি উন্নত হবে বিপাকক্রিয়া উন্নত হবে। 
  19. দেশি মুরগির মাংস খেলে কিডনির সুস্থ থাকবে। 
  20. দেশি মুরগির মাংস খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হবে।
দেশি মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে উপরের এই উপকারিতা গুলো পাওয়া যাবে দেশি মুরগির মাংস থেকে প্রায় সব ধরনের পুষ্টিগুণ উপাদান পাওয়া যায়। ব্রয়লার মুরগির মাংস থেকে ক্যালরি এবং চর্বি পাওয়া যায়। কিন্তু দেশি মুরগির মাংস থেকে খুব অল্প পরিমাণে ক্যালরি ও চর্বি পাওয়া যায়। 

এছাড়াও দেশি মুরগির মাংস থেকে কোলেস্টেরল পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সম্পন্ন খাবার গ্রহণ করার ফলে হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্রয়লার মুরগির চামড়া এবং পায়ের অংশ থেকে প্রচুর কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন দেশি মুরগির মাংস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। 

দেশি মুরগির মাংসে কি কি ভিটামিন রয়েছে 

দেশি মুরগির মাংস থেকে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়। দেশি মুরগির মাংস ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের উৎস। নিয়মিত ১০০ গ্রাম দেশি মুরগির মাংস খেলে শরীর থেকে যাবতীয় পুষ্টি এবং ভিটামিন এর অভাব সমূহ পূরণ হবে। নিচে দেখুন দেশি মুরগির মাংসের কি কি ভিটামিন রয়েছে।
  1. ভিটামিন এ 
  2. ভিটামিন বি১
  3. ভিটামিন সি
  4. ভিটামিন ডি
  5. ভিটামিন বি২
  6. ভিটামিন বি ৩
  7. বিতামিন বি৫
  8. ভিটামিন বি৬ 
  9. ভিটামিন বি৭
  10. ভিটামিন বি৯
  11. ভিটামিন বি১২
  12. ভিটামিন ই
  13. ক্যালসিয়াম 
  14. ম্যাগনেসিয়াম 
  15. পটাশিয়াম 
  16. ফসফরাস 
  17. আয়রন 
  18. সোডিয়াম 
  19. জিংক
  20. সেলেনিয়াম 
  21. কপার
  22. ম্যাঙ্গানিজ 
  23. প্রোটিন
  24. থায়ামিন 
  25. সোডিয়াম ক্লোরাইড 
  26. গ্লাইসিন 
  27. আয়োডিন
  28. শর্করা 
  29. ইথানল 
  30. অ্যালজালেনিক অ্যাসিড 
দেশি মুরগির মাংস খেলে ওপরের এই সকল ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যাবে। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন দেশি মুরগির মাংস থেকে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায় এবং দেশি মুরগির মাংস খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। এবার চলুন দেখে আসি ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা। 

ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা

 ব্রয়লার মুরগি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এছাড়াও বাজারে ব্রয়লার মুরগির পাওয়া যায় এজন্য বাঙ্গালীদের নিয়মিত বাসায় ব্রয়লার মুরগী রান্না করা হয়। অন্যান্য মাংস যেমন গরুর মাংস এবং খাসির মাংসের তুলনায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম অনেক কম বাজারে মাত্র ১৮০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যায়।

ব্রয়লার মুরগির দাম কম হলেও ব্রয়লার মুরগির চাহিদা এবং স্বাদ অনেক বেশি যেকোনো বিয়ে বাড়িতে কিংবা অনুষ্ঠানে বয়লার মুরগী রান্না করলে প্রত্যেকে খু অনেক বেশি পাওয়া যায়ব খুশি হয় ব্রয়লার মুরগি খেতে খুবই সুস্বাদু। ব্রয়লার মুরগির স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। চলুন আমরা দেখে আসি ব্রয়লার মুরগির উপকারিতা সমূহ।
  • ব্রয়লার মুরগি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক প্রোটিন পাওয়া যায়। ব্রয়লার মুরগিকে প্রোটিনের উৎস বলা হয়।।
  • ব্রয়লার মুরগী খেলে শরীরে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়।
  • ব্রয়লার মুরগী খেলে ওজন কমে। যারা ওজন কমাতে যাচ্ছেন তারা নিয়মিত ব্রয়লার মুরগী খাওয়া শুরু করুন। 
  • নিয়মিত ব্রয়লার মুরগী খেলে ইমিউনিটি সিস্টেম সঠিক থাকে এদের এলার্জির সমস্যা কমে যায়।
  • নিয়মিত ব্রয়লার মুরগী খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে কারণ বয়লার মুরগী থেকে ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায়।
  • ব্রয়লার মুরগি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ডিপ্রেশন কমে। উপকারী ব্রয়লার মুরগী খেলে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • ব্রয়লার মুরগির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের জন্য উপকারী।
  • ব্রয়লার মুরগী খেলে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমে এবং ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়।
করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ব্রয়লার মুরগি থেকে ভরপুর প্রোটিন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়। নিয়মিত ব্রয়লার মুরগী খাওয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে যাবতীয় রোগ বালাইয়ে দূর করতে পারবেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করলাম 100 গ্রাম মুরগির মাংস থেকে কত প্রোটিন পাওয়া যায় এবং ১০০ গ্রাম মুরগি থেকে কত ক্যালরি পাওয়া যায় আজকের এই আর্টিকেলটি ছিল শুধুমাত্র মুরগি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এবং মুরগির মাংস থেকে কত ক্যালরি পাওয়া যায় 

সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন 100 গ্রাম মুরগির মাংস থেকে কত ক্যালরি ও প্রোটিন পাওয়া যায়।  মুরগি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী নিয়মিত মুরগি খাওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন, ত্বককে সুন্দর করতে পারবেন পাশাপাশি মুরগির মাংস খেলে 

ত্বক সুন্দর হয় ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এ ছাড়া অসুস্থ থাকাকালীন সময়ে বাসায় বড় গুরুজনরা শুধুমাত্র মুরগির মাংস খেতে দেন। কারণ বিজ্ঞানীরা বলেন মুরগির মাংস খেলে দ্রুত যেকোনো রোগ বালাই দূর হয় আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন মুরগির মাংস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url