মেট্রোনিডাজল কিসের ওষুধ এবং এর ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

মেট্রোনিডাজল কিসের ওষুধ? মেট্রোনিডাজল একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। এটি বিভিন্ন প্রকার সংক্রমণ প্রতিরোধে চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। আজকের এই আর্টিকেলে মেট্রোনিডাজল এর উপকারিতা এবং  মেট্রোনিডাজল ৪০০ এর কাজ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
মেট্রোনিডাজল কিসের ওষুধ
মেট্রোনিডাজল কিসের ঔষধ এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন। যেকোন ঔষধ সেবন করার পূর্বে তার উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া খুবই জরুরী তাই চলুন আমরা তাড়াতাড়ি দেখে আসি মেট্রোনিডাজল এর উপকারিতা ও তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। 

মেট্রোনিডাজল কিসের ওষুধ 

মেট্রোনিডাজল একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন মেট্রোনিডাজল কিসের ঔষধ? এটি একটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক ঔষধ। এর প্রধান কার্যকলাপ হল ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধ করা এবং প্রোটোজোয়া ইনফেকশন রোধ করা ইনফেকশন দূর করা। মেট্রোনিডাজল ঔষুধ হ্যারিকোব্যাক্টর পাইলোরির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  1. মেট্রোনিডাজল ঔষধ পেটের সংক্রমণ দূর করতে ব্যবহার করা হয়। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমন রোধ করতে মেট্রোনিডাজল ব্যবহার করা হয়।
  2. মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেট সেবন করলে গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর হয়। 
  3. মস্তিষ্কের সংক্রমণ রোধ করতে এই ওষুধ সেবন করা হয়। 
  4. মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করলে যৌন রোগ দূর হয়।
  5. মেট্রোনিডাজল দাঁতের ইনফেকশন অথবা মারি ইনফেকশন প্রতিরোধেও ব্যবহার করা হয়।
  6. মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করলে অন্ত্রের সংক্রমণ দূর হয়। 
  7. অন্ত্রের প্রদাহ দূর হয় 
  8. মেট্রোনিডাজল সেবন করলে অস্ত্রপাতের পর সংক্রমণ হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না ।
  9. মেট্রোনিডাজল সেবন করার ফলে রক্তের সংক্রমণ দূর হয়। 
  10. এই ওষুধটি পেটের সংক্রমণ এবং মুখমন্ডলের ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে পাশাপাশি এটি নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করে।
  11.  মেট্রোনিডাজল একটি অ্যান্টিবায়োটিক এবং এন্টি এমবিক ঔষধ এটি শুধুমাত্র সংক্রমনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। 
  12. মেট্রোনিডাজল প্রধানত ব্যাকটেরিয়াল এবং প্যারাসাইটিক সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  13. মেট্রোনিডাজল ঔষধ শরীরে পানির মাধ্যমে শোষিত হয়।
  14. মেট্রোনিডাজল ঔষধ শরীরের তরল মাধ্যমে পৌঁছায় এবং এটি এক থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে শরীরে কাজ শুরু করে। 
  15. মেট্রোনিডাজল শরীর থেকে কিডনি ও যকৃত এর মাধ্যমে নিষ্কাশিত হতে থাকে। 
  16. মেট্রোনিডাজল একটি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক ঔষধ এটি শরীরের প্রদাহক আমাদের সাহায্য করে। 
  17. মেট্রোনিডাজল ওষুধ সেবন করলে মাইক্রো ফাইনাল সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়। 
  18. মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করলে পেটের সংক্রমণ, মুখের ব্যথা, মুখের সংক্রমণ, দাঁতের এবং মারীর সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়।
  19. মেট্রোনিডাজল সেবন করলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সেরে যায়।
  20. মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করার ফলে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দূর হয়। 
আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন মেট্রোনিডাজল ঔষধ এর কাজ কি এবং এটি কিসের ঔষধ। মেট্রোনিডাজল একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ যা যে কোন প্রকার ইনফেকশন এবং সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে এটি শরীরে তরল পদার্থের মাধ্যমে শোষিত হয় এবং মাত্র ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে কাজ শুরু করে।

মেট্রোনিডাজল ঔষধ যে কোন প্রকার সংক্রমণ যেমন ব্যাকটেরিয়া জড়িত ছত্রাক জনিত মুখে ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, মুখের সংক্রমণ, পেটের সংক্রমণ, অন্ত্রের সংক্রমণ ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে। মেট্রোনিডাজল এই ওষুধটি শুধুমাত্র সেবন করা হয় এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক মেট্রোনিডাজল ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

মেট্রোনিডাজল ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

মেট্রোনিডাজল ঔষধ খবর নিয়ম আলোচনা করব। মেট্রোনিডাজল ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম রয়েছে ভুল নিয়মে এই ঔষধটি সেবন করে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে। যে কোন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ যদি সঠিক নিয়মে সেবন করা না হয় তাহলে কিডনি এবং যকৃতের ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হতে হবে। আসুন আমরা জেনে নেই মেট্রোনিডাজল ঔষধ ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। 
  1. মেট্রোনিডাজল প্রতিদিন একবার সেবন করতে হবে। 
  2. মেট্রোনিডাজল ঔষধ দিনে একবারের বেশি সেবন করা যাবে না এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক তাই দিনে একবার সেবন করায় উত্তম। 
  3. মেট্রোনিডাজল ঔষধ কখনো খালি পেটে সেবন করা যাবে না। ভরা পেটে কিংবা খাবারের দুই ঘন্টা পর সেবন করতে পারবেন।
  4. মেট্রোনিডাজল দিনে দুইবার এর বেশি সেবন করা যাবে না।
  5. মেট্রোনিডাজল ঔষধ কিভাবে সেবন করতে হবে বিস্তারিত তথ্য আহরণ করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 
  6. মেট্রোনিডাজল ঔষধ দীর্ঘদিন সেবন করা যাবেনা।
  7. সর্বোচ্চ ১০ দিন নিয়মিত মেট্রোনিডাজল ওষুধ সেবন করতে হবে।
  8. মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করার সময় অ্যালকোহল কিংবা ধূমপান থেকে এড়িয়ে চলতে হবে বিশেষ করে অ্যালকোহল সেবন করা যাবেনা।
  9. মেট্রোনিডাজল খালি পেটে সেবন করা যাবে না। 
  10. মেট্রোনিডাজল ঔষধ হালকা গরম পানির সাথে সেবন করতে হবে অতিরিক্ত গরম কিংবা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানির সাথে সেবন করা যাবেনা। 
উপরের এই নিয়ম অনুসরণ করে মেট্রোনিডাজল এবং যে কোন এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করলে পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করতে পারবেন। আমরা প্রত্যেকে জানি কোন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খালি পেটে খাওয়া যায় না তাই চেষ্টা করবেন ভরা পেটে কিংবা খাবারের দুই ঘন্টা পর অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করার।

মেট্রোনিডাজল একটি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক ঔষধ এটি যে কোন প্রকার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন মেট্রোনিডাজল কিসের ঔষধ এবং এই ওষুধ সেবনের নিয়ম সম্পর্কে এবার চলুন দেখে আসি মেট্রোনিডাজল কখন খেতে হয়?

মেট্রোনিডাজল কখন খেতে হয়? চিকিৎসক বলেন যে কোন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাবার সেবনের পর খেতে হবে। দিনে অথবা রাতে যে কোন সময় খেতে পারবেন তবে খাবার গ্রহণের পর খেতে হবে খালি পেটে এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

নিয়মিত দশ দিন পর্যন্ত এই ওষুধটি সেবন করতে হবে যদি গুরুতর সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে আর যদি স্বাভাবিক সমস্যা থাকে তাহলে সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত নিয়মিত মেট্রোনিডাজল ঔষধ দিনে একবার সেবন করতে হবে।

যেকোনো সময় এই ওষুধটি সেবন করতে পারবেন তবে দিনের সর্বোচ্চ দুই বার সেবন করতে পারবেন এর বেশি সেবন করলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। মেট্রোনিডাজল ঔষধ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক যা যে কোন প্রকার ইনফেকশন এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে তাই এটি অতিরিক্ত সেবন করা মোটেও উচিত না। 

মেট্রোনিডাজল এর উপকারিতা

মেট্রোনিডাজল এর উপকারিতা অনেক। মেট্রোনিডাজল অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করলে যে কোন প্রকার ইনফেকশন যেমন মুখের ভেতরে সংক্রমণ অন্ত্রের সংক্রমণ পেটের সংক্রমণ ইত্যাদি দূর হবে এটি যে কোন প্রকার ব্যাকটেরিয়াজনিত এবং ছত্রাক জনিত সংক্রমণ রোধ করে। মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা গ্যাস্ট্রিক আলসার ইত্যাদি দূর হয়। 

মেট্রোনিডাজল ঔষধ সঠিক নিয়মে সেবন করে বিভিন্ন উপকারিতা লাভ করতে পারবেন। নিচে মেট্রোনিডাজল এর উপকারিতা সমূহ দেওয়া রয়েছে। 
  1. মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করলে অ্যানারবিক ইনফেকশন দূর হয়।
  2. অনেক সময় হাতে কিংবা পায়ে ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন হলে পুজ জমা হয়ে থাকে। জ্বালাপোড়া এবং ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন দূর করতে মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করতে হবে। 
  3. মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করে ফুসফুসের সংক্রমণ রোধ হয়। 
  4. মেট্রোনিডাজল এর উপকারিতা হলো এটি যে কোন প্রকার ত্বকের সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে। 
  5. রক্ত নালির সংক্রমণ অথবা ব্লাড ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। 
  6. এই ওষুধটি সেবন করলে প্যাটেল ইনফেকশন দূর হয়।
  7. মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করলে ট্রাই কোমোনিয়াসিস ধরনের একপ্রকার যৌন রোগ সেরে ওঠে। 
  8. মেট্রোনিডাজল ঔষধ অত্যন্ত কার্যকারী একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ এটি যে কোন প্রকার জীবাণু যেমন ম্যালেরিয়া এবং প্রোটোজোয়ার সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে 
  9. মেট্রোনিডাজল ঔষধ  সেবন করলে লিভার অ্যাবসেস সেরে যায়। 
  10. মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করার ফলে হয় ফাঙ্গাস ইনফেকশন দূর হয়।
  11. মেট্রোনিডাজল যেকোনো প্রকার ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে তাই ফাঙ্গাস ইনফেকশন কিংবা দাউদ এর সমস্যা দূর করতে এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন।
  12. মেট্রোনিডাজল সেবন করলে অপারেশনের পরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের হার অনেকটা কমে যায় 
  13. মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং ডায়রিয়া সেরে যায় পাশাপাশি এই ঔষধটি সেবন করলে পেটের প্রদাহ কমে। 
  14. মেট্রোনিডাজল সেবন করার ফলে বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া যায় যেমন এটি জয়েন্টের সার্জারির পর সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। 
  15. টিউমার অপারেশনের পর সংক্রমণ রোধ করতে মেট্রোনিডাজল ওষুধ সেবন করতে হয়। 
মেট্রোনিডাজল ঔষধ বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় যেমন এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে ফাঙ্গাস ইনফেকশন দূর করে যে কোন প্রকার ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস জনিত ইনফেকশন দূর করে ইনফেকশন হওয়ার রোধ করে এবং এটি টিউমার এবং জয়েন্টের সার্জারির পর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।। 

মেট্রোনিডাজল বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এন্টিবায়োটিক ঔষধ তাই সঠিক নিয়মে এই ওষুধটি সেবন করতে হবে এবং এর পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করতে হবে। এবার চলুন নিচে দেখে আসি মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ কি।

মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ

মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ অনেক। এই ঔষধটি সেবন করলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দূর হয়, প্রোটোজোয়া ইনফেকশন দূর হয়, যৌন স্বাস্থ্য উন্নত হয়, অপারেশন কিংবা সার্জারির পর ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় এবং এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অঞ্চলের সমস্যা ও ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

মেট্রোনিডাজল ৪০০ একটি জনপ্রিয় অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। মেট্রোনিডাজল ৪০০ মিলিগ্রাম এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে ব্যাখ্যা করা রয়েছে দেখে নিন।
মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করলে ব্রেইন সার্জারির কিংবা যে কোন সার্জারির পর ইনফেকশন হয় না। 
  1. মেট্রোনিডাজল ওষুধ সেবন করলে পেটের আলসার পেটের সংক্রমণ দূর হয় 
  2. মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ হল গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করা এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করা। 
  3. মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ হল ব্রেইন ইনফেকশন অথবা মস্তিষ্কের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করা। 
  4. মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ হল আমোবিক ডিসেন্ট্রি সারাতে সাহায্য করা। 
  5. মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ হল লিভারে পুজ জমে গেলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া অথবা ছত্রাক দূর করতে সাহায্য করা। 
  6. মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ হল অন্ত্রের ক্ষত সারাতে সাহায্য করা এবং ব্যাকটেরিয়া সমস্যার রোধ করা। 
  7. মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ হল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ইনফেকশন রোধ করা।
  8. মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ হল যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করা। 
  9. মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ হল ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন রোধ করা। 
  10. মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা মূত্রনালীর সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করা। 
  11. মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ হল স্ত্রীদের ইউরিনারি ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করা। 
  12. মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ হল অপারেশন এরপর সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করা। 
মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা সেবন করার ফলে অপারেশনের পর কোন প্রকার ইনফেকশন হবে না। 
মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ সম্পর্কে আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন।মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা একটি জনপ্রিয় এন্টিবায়োটিক ঔষধ যা যে কোন প্রকার সংক্রমণ এবং ইনফেকশন রোধ করতে সাহায্য করে। এবার চলুন দেখে আসি মেট্রোনিডাজল কি অ্যান্টিবায়োটিক? 

মেট্রোনিডাজল কি অ্যান্টিবায়োটিক? 

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন মেট্রোনিডাজল কি অ্যান্টিবায়োটিক? হ্যাঁ এটি একটি জনপ্রিয় এন্টিবায়োটিক ঔষধ যা শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে অনেকের হাতে কিংবা পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করলে পূজ জমা হয় এবং মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি হয় এই ক্ষত নিরাময় করতে এবং ব্যাকটেরিয়া অথবা ছত্রাক প্রতিরোধ করতে মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করতে হয়।

মেট্রোনিডাজল একটি জনপ্রিয় অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ এটি খালি পেটে সেবন করা যাবেনা এবং প্রতিদিন সর্বোচ্চ একটি সেবন করতে পারবেন এই ওষুধটি ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটি যে কোন প্রকার ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

মেট্রোনিডাজল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

মেট্রোনিডাজল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তুলনামূলক কম। প্রতিটি ওষুধের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। যেহেতু ঔষধ বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় তাই প্রতিটি ঔষধেরই কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষণীয়। বর্তমান বাজারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন ঔষধ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে যদি ঔষধ সঠিক নিয়মে সেবন করা হয় তাহলে আশা করছি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্মুখীন হতে হবে না কিন্তু ভুল নিয়মে ওষুধ সেবন করলে নিচের এই সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিবে।
  1. মেট্রোনিডাজল ঔষধ অতিরিক্ত সেবন করার ফলে বমি বমি ভাব তৈরি হবে। 
  2. মাথা ব্যথা অথবা মাথা ঘোরা 
  3. ডায়রিয়া 
  4. এলার্জির 
  5. ক্ষুধামন্দ 
  6. পেট ব্যথা 
  7. গ্যাসের সমস্যা 
  8. আলসার 
  9. ত্বক সুস্থ হয়ে যাওয়া 
  10. মুখ কিংবা গলায়  জ্বালাপোড়া 
  11. ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ি 
  12. যকৃতের সমস্যা 
  13. কিডনি রোগ 
  14. অনিদ্রা 
  15. চোখ থেকে পানি পড়া 

মেট্রোনিডাজল ঔষধ অতিরিক্ত সেবনের ফলে উপরের এই সমস্যাগুলো তৈরি হবে। মেট্রোনিডাজল একটি শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক ঔষধ খালি পেটে সেবন করলে কিডনি এবং যকৃতের সমস্যা তৈরি হবে।। আর যদি অতিরিক্ত সেবন করেন তাহলে ওপরের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো তৈরি হবে। তাই যেকোন ঔষধ সঠিক নেবে সেবন করতে হবে। ওপরে মেট্রোনিডাজল সেবনের নিয়ম সম্পর্কে দেওয়া রয়েছে।

মেট্রোনিডাজল এর দাম কত 

মেট্রোনিডাজল এর দাম কত? বাজারে বিভিন্ন দোকানে এর দামে ভিন্নতা রয়েছে যেমন অনলাইন বাজারে 1 টি মেট্রোনিডাজল ঔষধ এর দাম হল ১ টাকা ২০ পয়সা। 1 পাতা মেট্রোনিডাজল ঔষধ এর দাম হল ১২ টাকা। যেকোনো ওষুধের দোকানে এই ওষুধটি কিনতে পাবেন। 

ঔষধের দোকানে মেট্রোনিডাজল একপাতা ওষুধের দাম সর্বোচ্চ ১৮ টাকা নিবে। পাইকারি দোকান থেকে মেট্রোনিডাজল ঔষধ কিনলে তুলনামূলক কম টাকায় কিনতে পারবেন। যদি লোকাল বাজারে কিংবা ওষুধের দোকানে এই অংশটি কিন্তু না পান তাহলে অনলাইন থেকে মাত্র ১২ টাকায় একপাতা মেট্রোনিডাজল ঔষধ কিনতে পারবেন। 

লেখকের শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই আর্টিকেলে মেট্রোনিডাজল কিসের ঔষধ, মেট্রোনিডাজল ৪০০ মি গ্রা এর কাজ,মেট্রোনিডাজল এর উপকারিতা এবং মেট্রোনিডাজল ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি আপনারা সবাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন মেট্রোনিডাজল ঔষধ এর কাজ কি?

এটি একটি জনপ্রিয় অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ যার যে কোন প্রকার ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে। যেকোনো ক্ষতস্থানে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণ হওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। যারা ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগী রয়েছেন তাদের যে কোন ক্ষত শুকাতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয় এবং এই সময়ে ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাক দ্বারা ক্ষতস্থানে সংক্রমণ এর সম্ভাবনা থাকে। 

তাই ক্ষতস্থানে যেন কোন প্রকার সংক্রমণ না হয় এইজন্য মেট্রোনিডাজল অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ নিয়মিত একটি সেবন করতে হবে। মেট্রোনিডাজল ঔষধ সেবন করলে সার্জারির পর ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের ইনফেকশন এর সম্ভাবনা থাকে না। এই এন্টিবায়োটিক ঔষধটি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের থেকে বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে কাজ করে এবং ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url