১ মিনিটে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম দেখে নিন

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম  খুঁজছেন? মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা হচ্ছে এক ধরনের বিদেশি ভিসা যা তারা বিদেশি নাগরিকদের আমন্ত্রণ জানানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে থাকে। যেমন বাংলাদেশ থেকে অনেকে এই কলিং ভিসা ব্যবহার করে মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত থাকেন এবং এই ভিসার মেয়াদ হলো এক বছর। আজকের এই আর্টিকেলে ১ মিনিটে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম, মালয়েশিয়ার ভিসা কত প্রকার এবং মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক
যারা মালয়েশিয়াতে নতুন কর্মসংস্থান খুঁজছেন এবং কাজে নিয়োজিত হতে চাচ্ছে তাদেরকে অবশ্যই একটি কলিং ভিসা তৈরি করতে হবে। কলিং ভিসা তৈরি করার জন্য আপনাকে জানতে হবে। কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে। তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে দেখে নিন ১ মিনিটে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম এবং ভিসার দাম কত ও মালয়েশিয়ার ভিসা কত প্রকার।

পেজ সূচিপত্র : ১ মিনিটে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম দেখে নিন

        ভূমিকা        

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল তিনি বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের জন্য আবারো মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চালু করেছেন। কিছুদিন আগে বিদেশি শ্রমিকদের আবেদনের স্থগিত করা হয়েছিল 

কিন্তু সেই পদ্ধতি কাটতে না কাটতে নতুন শ্রমিক গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসায় আবেদন করতে হবে এবং মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন চলুন প্রথমে দেখে আসি মালয়েশিয়া কলিং ভিসা বন্ধ না খোলা।

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা বন্ধ না খোলা

আপনি কি জানেন মালয়েশিয়া কলিং ভিসা বন্ধ না খোলা? যারা মালয়েশিয়া যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে খোঁজ রাখতে হয়। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা বন্ধ করা হয়েছিল যার ফলে অনেক বাংলাদেশী শ্রমিক যারা মালয়েশিয়া যেতে চান তাদের আশা নষ্ট হয়েছিল।

কিন্তু আবারো মঙ্গলবার মালয়েশিয়াতে শ্রমিক নিয়োগের জন্য একে নোটিশ প্রকাশ করেন এবং এর মধ্যে দিয়ে কলিং ভিসা আবারো চালু করা হয় এখন বাংলাদেশেররা চাইলে খুব সহজেই মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা তৈরি করে মালয়েশিয়াতে যেতে পারবে।

 মালয়েশিয়াতে ব্যবসার সুযোগ অনেক বেশি সেখানে খুব সহজে যে কোন কর্মের নিয়োজিত হয়ে ইনকাম করা সম্ভব বাংলাদেশের জনসংখ্যা তুলনায় কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে এই জন্য বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ বেকারত্ব জীবন যাপন করছেন। 

যে দেশে বেকারত্বের হার যত বেশি সে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও ততটাই করুন। বাংলাদেশে দিনের পর দিন বেকারত্বের হার বেরিয়ে চলেছে কারণ বাংলাদেশ কর্মসংস্থানের হার কম। এজন্য বেশিরভাগ শ্রমিক বাইরে দেশে কাজ খোঁজেন এবং কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হয়ে ইনকাম করেন।

অনেকেই মালয়শিয়াতে শিক্ষ অর্জনের জন্য নিজের দক্ষতা ও জ্ঞান কে বৃদ্ধি করার জন্য যায়। আবার অনেকেই উচ্চতার পেশাগত দক্ষতা অর্জন করার জন্য যায়। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন মালয়েশিয়া কলিং ভিসা বন্ধ না খোলা এবার চলুন দেখে আসি মালয়েশিয়া ভিসা করতে কত টাকা লাগে ২০২৫? 

মালয়েশিয়া ভিসা করতে কত টাকা লাগে?

মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন প্রকার ভিসা রয়েছে প্রতিটি ভিসার আলাদা আলাদা খরচ রয়েছে। যেমন মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা রয়েছে কলিং ভিসা শিক্ষার্থী ভিসা সোশ্যাল ভিজিট ভিসা সহ ট্রানজিট ভিসা এবং মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভিসা রয়েছে। 

মালের সাথে বিভিন্ন কারণে যাওয়া হয় অনেকেই মানুষের সৌন্দর্যতা উপভোগ করার জন্য যায়, অনেকের শিক্ষা অর্জনের জন্য যায়, অনেকে উচ্চতার দক্ষতা অর্জনের জন্য যায়, আবার অনেকেই কর্মসংস্থান খোঁজার জন্য যায়। যদি শিক্ষা অর্জনের জন্য মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে আপনাকে শিক্ষার্থী ভিসা করতে হবে। 

শিক্ষার্থী ভিসা করতে ১০০ থেকে ১৫০ মার্কিন ডলার খরচ হবে। স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়া গেলে অল্প খরচের মধ্যেই যাওয়া সম্ভব। তবে ভিসা প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ এর সাথে যোগাযোগ করে আরো বেশি টাকা খরচ হবে।

সোশ্যাল ভিজিট ভিসা করতে মাত্র ২৫ থেকে ৩৫ মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে। সোশ্যাল ভিজিট ভিসা হলো এক ধরনের একক ভিসা। সোশ্যাল ভিজিট ভিসা বলতে বোঝায় বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন কিংবা পরিবারের সাথে 

দেখা করার জন্য মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ করা। অর্থাৎ যদি মালয়েশিয়াতে কেউ থাকে তাহলে তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য সোশ্যাল ভিজিট ভিসা করার মাধ্যমে মাত্র ২৫ থেকে ৩৫ মার্কিন ডলার এই মালিশে যেতে পারবেন। 

মালয়েশিয়া কর্মসংস্থান ভিসা করার জন্য প্রায় ২৫০ থেকে ৪৫০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এর পাশাপাশি আর অতিরিক্ত কিছু ফিশ প্রয়োজন হবে সব মিলিয়ে মোট ৫৫০ মার্কিন ডলার খরচ হবে। পাশাপাশি যদি কোন দালালের সাহায্যে মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে আরো অতিরিক্ত টাকা খরচ হবে।
 
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালের সবচেয়ে সেরা এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ সাজেশন 
টুরিস্ট ভিসা বলতে বোঝায় মালয়েশিয়াতে পর্যটন কিংবা ভ্রমণের জন্য যাওয়া। টুরিস্ট ভিসাই একক প্রবেশের জন্য প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মার্কিন ডলার প্রয়োজন। যদি পাঁচ জন বন্ধু মিলে একত্রে যেতে চান তাহলে প্রত্যেকের 50 মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত এবং মালয়েশিয়া কোন ভিসার কত টাকার দাম যেমন মালয়েশিয়ায় সোশ্যাল ভিজিট ভিসার দাম সবচেয়ে কম। 

যদি মালয়েশিয়াতে আপনার কোন আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব থাকে তাহলে তার সাহায্যে  অল্প খরচের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন মালয়েশিয়া যেতে খরচ কত হতে পারে এবার চলুন দেখে আসি মালয়েশিয়া কলিং ভিসা করার নিয়ম। 

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা করার নিয়ম

মালয়েশিয়ায় কলিং থেকে এক বিশেষ ধরনের ভিসা যা শ্রমিকদের মালয়েশিয়াতে আমন্ত্রণ জানানো হলে তখনই মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা দেওয়া হয়।। অর্থাৎ এটি আপনি চাইলেই তৈরি করতে পারবেন না যখন কেউ মালয়েশিয়া থেকে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাবে তখন আপনি এই ভিসাটি তৈরি করতে পারবেন। 

এটি মূলত এক ধরনের ব্যবসা ভিত্তিক ভিসা। যেমন মালয়েশিয়াতে কর্মীদের প্রয়োজন হলে তারা বিদেশে শ্রমিক গ্রহণ করতে চাই এই অবস্থায় যদি কোন মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক শ্রমিকদের আমন্ত্রণ জানায় মালয়েশিয়াতে তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য তখন সেই কর্মী মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা তৈরি করতে পারবে। 

মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা তৈরি করতে খুব অল্প পরিমাণ খরচ হয়। আর যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা তৈরি করেন তাহলে সবচেয়ে অল্প খরচের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন। নিচে দেখে নেন মালয়েশিয়া কলিং ভিসা তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে।

মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমেই আমন্ত্রণপত্র প্রস্তুত করতে হবে। যখন মালিশা থেকে কোন একটি প্রতিষ্ঠান আপনাকে আমন্ত্রণ জানাবে তখনই আপনি কলিং ভিসার সাহায্যে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন এতে খরচ কম হবে।

এর জন্য প্রথমে একটি আমন্ত্রণপত্র জোগাড় করতে হবে যদি আপনার চেনা চেনা কেউ মালেশিয়াতে কোন কাজে নিযুক্ত থাকে তাহলে তার নিকট যোগাযোগ করে তার সাহায্যে এটি আমন্ত্রণ পত্র পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। 

আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংগ্রহ করতে হবে। সাথে পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস হতে হবে। পাসপোর্ট এর মূল কপি এবং ফটোকপি জমা দিতে হবে। ভিসা তৈরি করার জন্য যে সকল কাগজ পত্র প্রয়োজন নিচে দেখে নিন।

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা তৈরি করতে কি কি প্রয়োজন 
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা তৈরি করতে বিভিন্ন কাগজপত্রের প্রয়োজন তার মাধ্যমে এটি কলিং ভিসা তৈরি করা সম্ভব নিচে দেখে নিন সেই কাগজ পত্র গুলোর তালিকা দেওয়া রয়েছে।
  1. জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা এন আই ডি কার্ডের ফটোকপি। 
  2. মেডিকেল সার্টিফিকেট 
  3. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট 
  4. মালয়েশিয়া নিয়োগ কারির কোম্পানির ইনভাইটেশন পেপার।
  5. বি এম ইটি প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট 
  6. পাসপোর্ট এর ২ টি সাদা পৃষ্ঠা থাকতে হবে। 
  7. মূল পাসপোর্ট এর এবং পাসপোর্ট এর ফটোকপি। 
  8. পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন দুই বছর হতে হবে। 
  9. পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি। 
  10. আর্থিক প্রমাণ 
  11. ফ্লাইট এর টিকিট মালেশিয়ার কলিং ভিসা তৈরি করার জন্য কোথায় কি কি কাগজপত্র জমা দিয়ে কিভাবে ভিসা তৈরি করতে হবে
  12. ভিসার নির্ধারিত ফি জমা দান এর রশিদ।
  13. ভিসার আবেদনপত্র 
ওপরের এই কাগজপত্র গুলোর সাহায্যে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রতিটি আবেদন কেন্দ্রের একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে যেমন শুক্রবার হতে রবিবার। সপ্তাহে পাঁচ দিন ভিসার আবেদন কেন্দ্র খোলা থাকে এবং ছুটির দিনে আবেদন কেন্দ্র খোলা থাকে না এই জন্য মঙ্গলবার অথবা বুধবারে ভিসার আবেদন কেন্দ্রের ওপরে সকল কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে এবং নিজের একটি সিগনেচার দিতে হবে।

সবকিছু ঠিক থাকলে মালেশিয়ার কর্তৃপক্ষ ভিসা চেক করবে যাচাই বাছাই করে সবকিছু ঠিক পেলে ভিসা অনুমোদিত হবে। এই ভিসাটি কনসুলেট থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ভিসার শর্তাবলী সহ মেয়াদ সম্পূর্ণ যাচাই-বাছাই করে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা তৈরি করতে হয়। 

##উপরোক্ত এই কাগজপত্র গুলো থাকলে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা তৈরি করতে পারবেন মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা তৈরি করার জন্য অবশ্যই কোন একটি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে আমন্ত্রণ পত্র জানানো হয়েছে এসে আমন্ত্রণ পত্রটি জোগাড় করতে হবে। তাহলে অল্প খরচের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা ব্যবহার করে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন এবং সেখানে কর্মসংস্থানের নিযুক্ত হতে পারবেন। 

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক 

আপনি কি মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান কিন্তু বুঝতে পারছে না কিভাবে কোন ওয়েবসাইট থেকে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করতে হবে? তাহলে নিন্মোক্ত উপায় গুলো দেখে নেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করতে পারবেন। পাশাপাশি মালয়েশিয়ার ভিসার ট্র্যাক করতে পারবেন। ইমেইল বা ফোনের মাধ্যমে কনফার্ম করতে পারবেন। 

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক 

মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার জন্য একটি অফিসিয়াল সাইট দেওয়া রয়েছে এই সাইটের মাধ্যমে ভিসার স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রবেশ করিয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মাত্র ১ থেকে ২ মিনিটের মধ্যে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করতে পারবেন।

গুগলের সার্চ করুন Malaysia immigration website।

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সামনে দেখুন একটি visa status নামক বাটন রয়েছে তার ওপর ক্লিক করুন।Visa status বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনে কয়েকটি ফর্ম আসবে। ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এখানে পাসপোর্ট নাম্বার ভিসা রেফারেন্স নাম্বার এবং আবেদন নাম্বার প্রবেশ করিয়ে নিচের সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। 

সমস্ত তথ্য সঠিক থাকলে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করতে পারবেন। সাবমিট বাটার এ ক্লিক করার পর দুই থেকে তিন মিনিট অপেক্ষা করতে হবে তারপর মালয়েশিয়া কলিং বিষয়ে সমস্ত ইনফরমেশন আপনার সামনে চলে আসবে ভিসার মেয়াদ কত রয়েছে সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভিসা এজেন্টের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক 

এজেন্টের মাধ্যমে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করতে চান? যদি আপনি অনলাইনে ভিসা চেক করতে না পারেন তাহলে এজেন্ট কিংবা ভিসা সেন্টারের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা চেক করতে পারবেন। আশেপাশের নিকটবর্তী কোন একটি ভিসা সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।আবেদন নাম্বার ভিসার রেফারেন্স নাম্বার এবং ভিসার আবেদন ফরম সাথে নিয়ে ভিসা সেন্টারের যোগাযোগ করুন। 

তারা আপনার যাচাই-বাছাই করে ভিসার স্ট্যাটাস চেক করে দিবে এবং আপনাকে জানিয়ে দেবে ভিসার সকল ইনফরমেশন সম্পর্কে। যদি আপনি অনলাইনে ভিসা চেক করতে না পারেন। তাহলে আশেপাশের ভিসার সেন্টারে কিংবা এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা চেক করতে পারবেন। আর যদি উপরের পদ্ধতি বুঝতে পারেন কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে কলিং ভিসা চেক করতে হয়। তাহলে উপরোক্ত উপায় অনুসরণ করে খুব সহজে বাসায় বসে ভিসা চেক করতে পারবেন। 

মালয়েশিয়া ভিসা ট্র্যাক করার নিয়ম

আপনি কি মালয়েশিয়া ভিসা ট্যাগ করতে চান অর্থাৎ আপনার ভিসা কি অবস্থায় রয়েছে কি পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে মালয়েশিয়ার ভিসার ট্র্যাক করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। 

মালয়েশিয়া সরকারের অনুমোদিত একটি ভিসা ট্রাকিং পোর্টাল রয়েছে। এখান থেকে যেকোনো ব্যবহারকারী তাদের ভিসার ট্র্যাক করতে পারবে। ভিসা ট্যাগ করার জন্য পাসপোর্ট নাম্বার এর পাশাপাশি ভিসার আবেদন নাম্বার দিয়ে  লগইন করতে হবে। নিচে দেখে নিন ভিসা ট্র্যাক করার নিয়মসমূহ। 

গুগলে সার্চ করুন MyIMMS। আবেদননাম্বার এবং পাসওয়ার্ড নাম্বার এর সাহায্যে MyIMMS ওয়েবসাইটে লগইন করুন। লগইন করার পরে আপনার সামনে একটু ড্যাশবোর্ড ওপেন হবে। এখানে আপনি আপনার ভিসার সমস্ত ইনফরমেশন কালেক্ট করতে পারবেন। পাশাপাশি ভিসার স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন এবং ভিসা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকার আপডেট পেয়ে যাবেন। 

Check visa status ক্লিক করলে ভিসার বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। কলিং ভিসা চেক করার জন্য আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে আপনার কাছে যদি কিছু তথ্য দিয়ে থাকে যেমন পাসপোর্ট নাম্বার আবেদন নাম্বার মোবাইল নাম্বার তাহলে খুব সহজে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবং আশেপাশের ভিসা সেন্টার এজেন্ট এর মাধ্যমে ভিসার স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। এছাড়া সরাসরি ওয়েবসাইট থেকে উপরোক্ত ইনফরমেশন গুলো প্রদান করে কলিং ভিসা স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া ভিসা চেক করব কিভাবে? 

আপনি কি জানেন কিভাবে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করতে হয়? আপনারা অনেকে জিজ্ঞাসা করেন মালয়েশিয়া ভিসা চেক করব কিভাবে? মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে ভিসা অফিসের ওয়েবসাইট থেকে চেক করতে পারবেন কিংবা ভিসা সেন্টারে থেকে চেক করতে পারবেন। অথবা ভিসা এপ্লিকেশন ট্রাকিং এর মাধ্যমে চেক করতে পারবেন কিংবা এমএমসি সাইট ব্যবহার করেও ভিসা চেক করা সম্ভব।

ভিসা চেক করার নিয়মাবলী 

  1. Imi গভারমেন্ট ওয়েবসাইট থেকে ভিসা চেক করতে পারবেন। 
  2. আশেপাশের নিকটবর্তী ভিসা সেন্টারে যোগাযোগ করে ভিসা স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। 
  3. এম এম এ সি সাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে ভিসা চেক করতে পারবেন ভিসা স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন এই সাইটে ভিসা নাম্বার এবং আবেদন নাম্বারের সাহায্যে লগইন করে ভিসা স্ট্যাটাস চেক করা সম্ভব। 
  4. প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন পাসপোর্ট নাম্বার আবেদন নম্বর, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নাম্বার ফোন নাম্বার এর মাধ্যমে ভিসা চেক করতে পারবেন। 
  5. ভিসা সেন্টারে যোগাযোগ করে তাদেরকে পাসপোর্ট নাম্বার আবেদন নাম্বার দিলে তারা আপনার ভিসা চেক করে দিবে।
  6. ভিসা অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার এখন ট্র্যাক করা সম্ভব এটি মালয়েশিয়া ভিসা ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ভিসার অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার ট্র্যাক করার মাধ্যমে ভিসার স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। 
  7. আশেপাশে কম্পিউটারের দোকান থেকে পাসপোর্ট নাম্বার এবং আবেদন নাম্বারের সাহায্যে ভিসা চেক করতে পারবেন। 
উপরোক্ত এই উপায় গুলোর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করতে পারবেন আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করব এবার চলুন ছটফট দেখে আসি মালয়েশিয়ার ভিসা কত প্রকার?

মালয়েশিয়ার ভিসা কত প্রকার

আপনি কি জানেন মালয়েশিয়ার ভিসা কত প্রকার হয়? আপনারা যারা মালয়েশিয়া যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে মালয়েশিয়ার ভিসা কত প্রকার হয় এবং মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ঠিক কত টাকা প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সংখ্যা খুবই কম।

এই জন্য অনেকে বিকৃত জীবন যাপন বাদ দিয়ে মালয়েশিয়া যেয়ে কাজ করার চেষ্টা করেন এবং অর্থ উপার্জন করেন এছাড়াও বাংলাদেশের তুলনায় মালয়েশিয়ার শিক্ষা গুণগত দিক থেকে অনেক বেশি উন্নত এই জন্য অনেকে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য কিংবা উচ্চতর দক্ষতা অর্জনের জন্য মালয়েশিয়া যায়। নিজে দেখে নিন মালয়েশিয়ার ভিসা কত প্রকার?
  1. ট্রানজিট ভিসা 
  2. স্টুডেন্ট ভিসা 
  3. ব্যবসা ভিসা 
  4. টুরিস্ট ভিসা 
  5. এমপ্লয়ার ভিসা 
  6. ওয়ার্কিং ভিসা 
  7. ফ্যামিলি ভিসা 
  8. গেস্ট ভিসা 
  9. দীর্ঘমেয়াদী ভিসা 
  10. জার্নালিস্ট ভিসা 
  11. আর্টিস্ট ভিসা 
  12. রিটায়ারমেন্ট ভিসা 
  13. পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি 
  14. স্বল্পমেয়াদী ভিসা
  15. মেডিকেল ভিসা 
  16. মহিলা শ্রমিক ভিসা 
  17. এন্টারটেইনমেন্ট ভিসা 
  18. ট্যাক্সি ড্রাইভার ভিসা 
  19. রিসার্চ ভিসা 
  20. এডুকেসানাল ভিসা 
  21. কৃষি ও মৎস্য ভিসা
যারা মালয়েশিয়ার মাধ্যমে অন্য কোন দেশের যাত্রা করে এবং কিছু সময় পর্যন্ত মালয়েশিয়া থেমে থাকে তাদের জন্য ট্রানজিট ভিসা। যারা পড়াশোনার জন্য মালয়েশিয়া যেতে চায় তাদেরকে করতে হবে এডুকেশনাল অভিশাপ অথবা স্টুডেন্ট ভিসা। যারা মালয়েশিয়াতে কর্মের জন্য যেতে চান তাদেরকে এমপ্লয়ার ভিসা করতে হবে অথবা working ভিসা। 

আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন ওপরের এই বিশ্বাস সম্পর্কে এবং মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য কতগুলো ভিসা রয়েছে সে সম্পর্কে উপরে আলোচনা করলাম। যদি কেউ মালয়েশিয়াতে ভ্রমণের জন্য যেতে চান এবং মালয়েশিয়ার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য যেতে চান তাহলে টুরিস্ট ভিসা করতে হবে এবং টুরিস্ট ভিসা একক প্রতি হয়ে থাকে। 

লেখকের শেষ মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম মালয়েশিয়ার ভিসা সম্পর্কে। মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত,মালয়েশিয়া ভিসা চেক, মালয়েশিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা স্টেটাস চেক?, মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কি চালু হয়েছে?, মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করব কিভাবে?, মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত?, 

মালয়েশিয়ার ভিসা কত প্রকার? এবং মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা অনেকেই যারা মালয়েশিয়াতে যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে মালয়েশিয়ার ভিসা সম্পর্কে মালয়েশিয়ার ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয় এবং মালয়েশিয়ার ভিসা কিভাবে করতে হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। 

তাই আজকের এই পথে আলোচনা করলাম মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা নিয়ে। মালেশিয়ার কলিং ভিসা চেক করার উপায় কি এবং মালয়শিয়ার কলিং ভিসা তৈরি করার নিয়ম কি সে সমস্ত বিশেষ সম্পর্কে আলোচনা করলাম মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা বলতে বোঝায় যখন আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

কাজের জন্য তখন আপনি কলিং ভিসা তৈরি করতে পারবেন সেক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণপত্র এসেছে সেই আমন্ত্রণ পত্রের সাহায্যে বাকি সব কাগজ তৈরি রেখে ভিসা সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে। কাগজপত্র সবকিছু ঠিক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা পেয়ে যাবেন। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে মালেশিয়ার কলিং ভিসা এবং মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত সে সকল বিষয় সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url