বিটরুট এখন পানির দামে পাওয়া যাচ্ছে - বিটরুট এর দাম

বিটরুট এর দাম কত? বিশ্ববাজারে এখন বিট রুট এর দাম কমেছে। তাই আপনারা সবজি বাজার থেকে পানির দামে বিটরুট কিনতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো বিটরুটের দাম কত বিটরুট খাওয়ার নিয়ম কি এবং বিটরুট এর উপকারিতা কি।
বিটরুট এর দাম
বাংলাদেশের খুব কম সংখ্যক মানুষ হয়ত বিটরুট খেতে ভালোবাসে। তাছাড়া অনেকেই জানেনা বিটরুট কিভাবে খেতে হয় কিংবা বিটরুট এটি কোন ফল নাকি সবজি। বিটরুট একটি বিদেশি ফল বললেই চলে। তবে এখন সম্পূর্ণ বিশ্বব্যাপী বিটরুট চাষ করা হয়। চলুন আমরা তাড়াতাড়ি দেখে আসি বিটরুট এর দাম কত এবং বিটরুট এর উপকারিতা কি।

বিটরুট এর দাম 

বিটরুট একটি জনপ্রিয় সবজি অথবা ফল বিশ্বে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এবং ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। বিট রুট থেকে মাটির মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যায় খেতে খুবই সুস্বাদু এবং রং লালচে বেগুনি। বিট রুটের মূল পুষ্টিগুণ উপাদান হলো আয়োডিন এবং আয়রন। বিটরুট থেকে ভরপুর আয়োডিন আয়রন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ ভিটামিন সি সহ বিভিন্ন উপাদান পাওয়া যায়।

বাজারে এখন বিটরুট এর দাম অনেক কমে গেছে কারণ বাংলাদেশের বিটরুট এর চাহিদার তুলনায় চাষ অনেক বেশি হয়। খুব কম সংখ্যক মানুষ হয়তো বাংলাদেশে বিটরুট সম্পর্কে জানে এবং বিটরুট এর উপকারিতা সম্পর্কে জানে। বাজারে শীতকালে বহু সবজি পাওয়া যায় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয় বিটরুট।

বাজারে আগে এক কেজি বিটরুটের দাম ছিল ৫৪০ টাকা। এখন এক কেজি বিদ্যুতের দাম দাঁড়িয়েছে 200 টাকা। অতএব বিটরুট এর দাম প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। বাংলাদেশের স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর নতুন সরকারের আবির্ভাব ঘটলে তিনি শপথ নেন যে বাংলাদেশের সমস্ত শাক সবজির দাম অনেক কমিয়ে ফেলবেন এবং বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্যের দাম হ্রাস করবেন। 

এইজন্য বাংলাদেশের সবজির মধ্যে সর্বপ্রথমে বিট রুট এর দাম কমানো হয়েছে এখন বাংলাদেশের বিটরুট সবচেয়ে কম দামে পাওয়া যায় এবং এক কেজি বিটরুট এর দাম মাত্র ২০০ টাকা। আগের এক কেজি বিট রুটের দাম ছিল ৫৪০ থেকে ৬০০ টাকা কিন্তু এখন সেই দাম কমে দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা। 

বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতে বিটরুট একই দামে বিক্রি করা হবে। প্রতিটি জেলাতে ১ কেজি বিটরুট এর দাম 200 টাকা। রাজশাহী জেলা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, খুলনা, বরিশাল, ফেনী সহ সকল জেলা ও বিভাগে বিটরুট এর দাম এখন ২০০ টাকা কেজি। 

এই দাম আগামী মাস থেকে বাজারে কার্যকর হবে। যদি এখন বাজারে এই দামে বিটরুট না পাওয়া যায় তাহলে অনলাইন থেকে এগুলো করতে পারবেন। অনলাইন পেজে মাত্র ২০০ টাকা কেজিতে বিটরুট পাওয়া যাচ্ছে।

বিটরুট এর দাম কমার কারণ 

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না বিটরুট এর দাম কমার কারণ কি? বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিটরুট চাষ করা হয় এবং খুব সহজে বাংলাদেশে এই ফলটি চাষ করা যায়। বিট রুট চাষ করার জন্য খুব বেশি ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় না এই জন্য কৃষকরা চাইলে খুব সহজেই প্রচুর পরিমাণে বিটরুট উৎপাদন করতে পারে। 

শীতকালে বিটরুট সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয় তবে বাংলাদেশে খুব কম সংখ্যক মানুষ বিট রুট খেতে ভালোবাসেন অনেকেই জানেন না বিটরুট এর উপকারিতা সমূহ কি কি। বাজারে বিটরুট কিনতে পাওয়া গেলেও অনেকেই এই সবজিটিকে না চেনার কারণে ক্রয় করেনা এবং অবহেলা করেন।

এই জন্য বাংলাদেশের বিটরুট এর চাহিদা অনেক কম যার কারণে বাজারে বিটরুট থাকা সত্ত্বেও ক্রেতারা এই ফলটি ক্রয় করে না যার ফলে অযথাই পণ্যগুলো নষ্ট হয় এই জন্য এখন ব্যবসায়ীরা বিটরুট এর দাম অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছেন এবং বাজারে সবচেয়ে কম মূল্য এখন বিটরুট কিনতে পাওয়া যায়।

আগে বিটরুট এর দাম বাজারে ৬০০ টাকা কেজি ছিল এখন বাজারে বিট রুটের দাম মাত্র ২০০ টাকা কেজি তাই এই সুযোগ হাতছাড়া না করে বাজার থেকে আজই কিনে আনুন বিটরুট। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন কেন বাজারে বিটরুটের দাম অনেক কমে গেছে এবার চলুন দেখে আসি বিটরুটের উপকারিতা। 

বিটরুট এর উপকারিতা 

এখন বাজে রে খুব স্বল্প মূল্যে বিটরুট পাওয়া যাচ্ছে। পানির দামে বিটরুট পাওয়া যাচ্ছে বললেই চলে। নিয়মিত বিটরুট খেলে প্রচুর উপকারিতা লাভ করতে পারবেন কারণ বিদ্রোহ থেকে ম্যাঙ্গানিজ ফোলেট পটাশিয়াম , ক্যালসিয়াম , ভিটামিন বি ২, আয়রন, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬ , ভিটামিন সি সহ বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে যার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 

বাজারে সবজি কিনতে যাওয়ার সময় অনেকে নিশ্চয় দেখতে পান লাল লাল মুলা। অনেকেই লাল লাল মুলা মনে করেন আবার অনেকেই লাল আলু বলে থাকেন। তবে এর নাম হল বিটরুট এটি দেখতে লালচে এবং বেগুনি রংয়ের হয়ে থাকে। এখন সম্পূর্ণ বাংলাদেশ জুড়ে বিটরুট চাষ করা হয় তাই বাংলাদেশের স্বল্পমূল্যে বিটরুট পাওয়া যাচ্ছে। নিচে দেখে নিন এর উপকারিতা সমূহ। 

বিটরুট খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে 

উচ্চ রক্তচাপ বলতে বোঝায় তখন রক্ত সরবরাহের জন্য হার্ট অতিরিক্ত চাপ প্রদান করবে তখন এই মুহূর্তকে বলা হবে উচ্চ রক্তচাপ। তবে বিটরুট খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে কারণ বিটরুট থেকে নাইট্রেট পাওয়া যায় এটি শরীরের নাইট্রিক অক্সাইড এ রূপান্তরিত হয় এবং নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালী ও ধমনীকে প্রসারিত করে এতে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।

বিটরুট থেকে পটাশিয়াম পাওয়া যায় যা রক্তনালীকে শিথিল রাখে এবং প্রসারিত করে এতে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায় এছাড়াও বিটরুট থেকে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং ফলেট পাওয়া যায় যা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং হার্ট এটাকে ঝুঁকি কমায়। উচ্চ রক্তচাপ এ সমস্যা থাকলে নিয়মিত সকালে এক গ্লাস বিটরুটের জুস পান করতে হবে।

বিটরুট খেলে মানসিক চাপ কমেঃ বিটরুট খেলে মানসিক চাপ কমে বিটরুট থেকে ফোলেট পটাশিয়াম এবং নাইট্রেট পাওয়া যায় যা হার্টের কার্যকারিতা কে বাড়ায় এবং রক্তনালিকের শিথিল রাখতে সাহায্য করে এতে অতিরিক্ত মানসিক চাপ অথবা স্ট্রেস কমবে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের সমস্যা থাকলে এটি হার্ট এটাকে ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয় তাই মানসিক চাপ অথবা এক্সপ্রেস কমাতে নিয়মিত বিটরুট খেতে হবে।

বিটরুট খেলে ওজন কমেঃ বিটরুট খেলে ওজন কমে বিটরুট একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর শাকসবজি যা কম ক্যালরিযুক্ত এবং ফাইবারের সমৃদ্ধ। নিয়মিত সকালে এক গ্লাস বিট রুটের জুস পান করলে শরীরে ফাইবার এর অভাব পূরণ হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যা দূর হবে নিয়মিত সকলে যদি এক গ্লাস বিট রুট এর জুস পান করেন তাহলে সারাদিন পেট ভরা থাকবে।

এতে ক্ষুধা কম পাবে ক্ষুদা হ্রাস পেলে খাবারের হার কমে যাবে এতে ওজন কমবে।  এছাড়াও বিটরুট থেকে তুলনামূলক কম ক্যালরি পাওয়া যায় এতে ওজন কমবে। বিটরুট খেলে শরীরে চর্বি পরিমাণ কমতে শুরু করে বিটরুট খেলে মেটাবলিজম বাড়ে। যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন তারা নিয়মিত খাওয়া শুরু করুন এতে ওজন কমবে।

বিটরুট খেলে রক্তস্বল্পতা দুর হয়ঃ বিটরুট খেলে রক্তস্বল্পতা কমে। আমরা প্রত্যেকে নিশ্চয়ই জানি বিটরুট থেকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং আয়োডিন পাওয়া যায়। বিট রোড এর রং গোলাপি ও বেগুনি ধরনের হয়ে থাকে বিট রুট থেকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় যা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে এবং হিমোগ্লোবিন রক্ততে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে এতে রক্তস্বল্পতা দূর হয়। 

বিটরুট থেকে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি নয় পাওয়া যায় যা নতুন রক্ত কণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতা দূর করতে নিয়মিত সকালে এক গ্লাস বিটরুটের জুস পান করতে হবে। রক্তস্বল্পতা এর প্রধান একটি কারণ হলো শরীরে ফোলেট এর অভাব। বিটরুট থেকে প্রচুর পরিমাণে ফলেট পাওয়া যায় যা রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে।

বিটরুট খেলে শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়ঃ বিটরুট খেলে শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়। বিট রোড থেকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট পাওয়া যায় এটি শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের রূপান্তরিত হয় এবং নাইট্রিক অক্সাইড এর কাজ হল রক্তনালীকে প্রসারিত ও শিথিল করা। 

চিকিৎসক বলেন রক্তনালী প্রসারিত ও শিথিল হলে এতে শরীরে শক্তির স্তর গুলো ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। এছাড়াও থেকে প্রচুর পরিমাণে গ্লাইকোজেন পাওয়া যায় এটি শক্তির প্রধান একটি উৎস। 

এইজন্য প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস বিটরুটের জুস পান করলে সারাদিন শরীরের প্রচুর শক্তি ও এনার্জি আসে বিক্রয় থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় এটি শরীরে এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং প্রচুর পরিমাণে শক্তি ও এনার্জি উৎপন্ন করে।

বিটরুট খেলে শরীরের প্রদাহ কমে ঃ বিটরুট খেলে শরীরের প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া কমে। বিটরুট থেকে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান পাওয়া যায় এটি শরীরের জ্বালাপোড়া এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও বিটরুট এর প্রধান উপাদান হলো বিটেইন। বিটেইন এর প্রধান কাজ হল শরীর থেকে টক্সিন দূর করা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করা। 

বিটরুট খেলে কিডনি ভালো থাকেঃ বিটরুট খেলে কিডনি ভাল থাকে। কিডনি মানব যন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি কিডনি এর কাজ হল শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ গুলো দূর করা। নিয়মিত বিটরুট খেলে কিডনি এর কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং কিডনি ভালো থাকবে।

বিটরুট থেকে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং পাওয়া যায় যা শরীরে টক্সিন পরিষ্কার করে এবং কিডনি এর কার্যকারিতা বাড়ায় এছাড়াও নিয়মিত বিটরুট খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে। এতে কিডনি কাজের জন্য সঠিক পরিমাণে পানি পাই যার ফলে কিডনি এর কার্যকারিতা বাড়ে।

নিয়মিত বিটরুটের জুস পান করে উপরের এই সকল উপকারিতা লাভ করতে পারবেন যদি বিট রুট কাঁচা খেতে ভালো না লাগে তাহলে বিট রুটের ভাজি খেতে পারবেন। বিটরুট হালকা তেল ও লবণের সাথে ভাজি করে খাওয়া যায় এতে শরীরে পুষ্টির অভাব থাকবে না এবং রোগ বালাই দূর হবে। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন বিটরুট এর উপকারিতা সম্পর্কে।

বিটরুট খাওয়ার নিয়ম 

বিটরুট খাবার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই বিটরুট পরিষ্কারভাবে ধুয়ে তরকারি হিসেবে খেতে পারবেন কিংবা কাঁচা ফল হিসেবে খেতে পারবেন বিটরুট কাঁচা এবং তরকারি খাওয়া যায়। সম্পর্কে বিটরুট করছি আপনারা প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন বিদ্যুৎ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার পরে বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।

বিটরুট বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। যেমন বিট রুট কাঁচা খেতে পারবেন কিংবা তরকারি হিসেবে খেতে পারবেন। অথবা বিটরুট হালকা সিদ্ধ করে জুস তৈরি করে খেতে পারবেন। এর সাথে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খেলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যাবে এবং এর স্বাদও বাড়বে কিংবা বিটরুট হালকা তেল ও লবনের সাথে ভেজে খেতে পারবেন। 

আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন বিটরুট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। বেশিরভাগ মানুষ বিটরুটের জুস খেতে খুব ভালোবাসে বিটরুট এর জুস বহু জনপ্রিয় বিভিন্ন হোটেলে বিট রুটের জুস কিনতে পাওয়া যায়। বিটরুটের জুস তৈরি করার জন্য বিটরুট প্রথমে সিদ্ধ করে নিতে হবে তারপর এর মধ্যে হালকা পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে এর রস বের করে খেতে পারবেন। 

অথবা কাঁচা বিটরুট ব্লেন্ডারে মিক্স করে রস আলাদাভাবে গ্লাসে সংরক্ষণ করে তার মধ্যে একটু মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারবেন। বিটরুটের জুসের সাথে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে সাদ এর পাশাপাশি পুষ্টি উপাদানও বাড়ে। বিটরুট খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা এড়িয়ে চলতে হবে। 

সতর্কতা 

  1. বিটরুট অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবেনা। 
  2. বিটরুট কখনোই খালি পেটে খাওয়া যাবেনা। ধরা পেটে কিংবা কোন খাবার খাবার ৩০ মিনিট পর বিটরুটের জুস পান করতে পারবেন। কিংবা সকালের খাবার সম্পন্ন করে এক গ্লাস বিটরুটের জুস পান করতে হবে। 
  3. বিট রুট না ধুয়ে খাওয়া যাবেনা।
  4. বিটরুট এর সাথে অতিরিক্ত লবণ মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। 
  5. বিটরুট খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
  6. খেয়াল রাখবেন বিটরুটের পাতা খাওয়া যাবেনা।
এ কয়েকটি সতর্কতা এড়িয়ে চলে আশা করছি বিটরুট এর সমস্ত উপকারিতা লাভ করতে পারবেন। বিটরুট স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিটরুট এর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো নিয়মিত বিটরুট খেলে রক্ত সল্পতা দূর হয় এবং এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন তারা নিয়মিত খাওয়া শুরু করুন এতে অতি দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন এবং রক্তস্বল্পতায় দূর করতে পারবেন। 

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিট রোটের দাম কত বিটরুট এর উপকারিতা কি এবং বিটরুট খাওয়ার নিয়ম কি সে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আপনারা অনেকে হয়তো জানেন না যে বাজারে বিটরুট এর দাম এখন অনেক কমে গেছে।

আগে বাজারে বিটরুটের দাম ছিল 600 টাকা কেজি কিন্তু এখন বর্তমান বাজারে বিট রোড মাত্র ২০০ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে। হঠাৎ বাজারে বিটরুটের দাম এত কমে যাওয়ার কারন কি সে সকল বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম পাশাপাশি বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না বাজারে বিটরুট এর চাহিদা কম হওয়ার কারণে দাম কমে গেছে এছাড়াও স্বৈরাচারি প্রধানমন্ত্রী পতনের পর থেকে বাজারে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম কমতে শুরু করেছে। স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে গেছিল এবং হতদরিদ্র গরিব মানুষরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছিল। 

স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী পতন করতে বাংলাদেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী আবির্ভাব ঘটে এবং দ্রব্যমূল্যের দাম কমতে শুরু করে এই জন্য বাজারে এখন বিটরুট এর দাম অনেক কম। বাজারে এখন মাত্র ২০০ টাকায় এক কেজি বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে তাই এই সুযোগ হাতছাড়া না করে দ্রুত বাসায় কিনে আনুন এবং রক্তস্বল্পতার সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url