বিটের আশ্চর্যজনক ২১টি উপকারিতা ও অপকারিতা

বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? বিটরুটের উপকারিতা অনেক নিয়মিত বিটরুট খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য গুণ উপকারিতা পাওয়া যাবে। আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো বিটরুট এর দাম কত, বিটরুট কি এবং বিটরুট এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা।
বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা
শীতে নানান ধরনের সবজির মধ্যে অন্যতম একটি সবজি হলো বিটরুট। বিটরুট খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। চলুন আমরা তাড়াতাড়ি দেখে আসি বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা, বিটরুট এর দাম কত, বিটরুট কি এবং বিটরুট এর উপকারিতা ও অপকারিতা। 

বিটরুট এর উপকারিতা ও অপকারিতা

বিটরুট হলো উচ্চ আয়রন সম্পন্ন একটি ফল। বিটরুট থেকে ভরপুর ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এর জন্য বিজ্ঞানীরা বিট রুটকে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের জিপ ফাইল বলে থাকেন এই ফল থেকে পাওয়া যায় ফলেট এসিড পটাশিয়াম ড্রাইভিং ম্যাঙ্গানিজ আয়রন আয়োডিন ভিটামিনের ভিটামিন বি ৬ ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। 

বিটরুট স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত বিটরুট খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে দ্রুত ওজন কমতে শুরু করবে হাড় ক্ষয় রোধ হবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে। নিয়মিত বিট রুটের জুস খেলে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ বাড়ে। বিটরুট তাপকে সুন্দর করতে সাহায্য করে পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা বলেন, 

নিয়মিত বিটরুট খেলে অস্টিওপোরেসিস প্রতিরোধ হয়। তবে অতিরিক্ত বিদ্রোত খাওয়ার ফলে কিছু স্বার্থের ক্ষতি হতে পারে যেমন অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়ার ফলে অ্যানাফিলাক্সিস হবে। এতে এলার্জি তৈরি হবে ত্বকের লাল লাল রেশ চুলকানি আম্বাদ হাঁপানি ইত্যাদি তৈরি হবে।

বিটরুট এর উপকারিতা 

বিটরুট এর উপকারিতা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। নিয়মিত খেলে বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া যাবে। যেমন কিডনি ভালো থাকবে, কিডনিতে পাথর দূর হবে, ত্বক সুন্দর থাকবে, আয়রনের অভাব পূরণ হবে, ত্বকে রক্ত সঞ্চালন গতি বাড়বে, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে। পাশাপাশি নিয়মিত খেলে দুর্বল দৃষ্টি শক্তি উন্নত হবে।

বিটরুট দেখতে লাল গাঢ় গোলাপি রঙের হয়ে থাকে এই সবজিটি আমাদের বাংলাদেশে খুব বেশি পরিচিত নয়। অনেকে বাজারে দেখলেও এই সবজিটি ক্রয় করতে চান না কিন্তু আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেল থেকে বিটরুট এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে আশা করছি এরপর থেকে আপনি নিয়মিত খাদ্য তালিকা তে বিটরুট রাখবেন।

  1. বিটরুট খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। বিট রুট থেকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রাস পাওয়া যায় যা রক্তনালীকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। 
  2. বিট রুট থেকে ভরপুর ফাইবার পাওয়া যায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং দুর্বল হজম শক্তি সমস্যা কে দূর করে। 
  3. বিটরুট থেকে টাইলাইন নামের এক প্রকার প্রদাহী বিরোধী যৌগ পাওয়া যায় এটি পেটের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে অনেকের পেটে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয় এই জ্বালাপোড়াকে দূর করতে নিয়মিত বিটরুট খেতে হবে।
  4. বিটরুট খেলে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমবে। 
  5. বিটরুট থেকে প্রচুর আয়রন পাওয়া যায় এটির রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে এতে রক্তস্বল্পতায় দূর হবে। 
  6. বিটরুট নিয়মিত সকালে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। 
  7. প্রতিদিন বিটরুট এর জুস খেলে শরীরের টক্সিন দূর হবে এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়বে। 
  8. শরীর থেকে এলডিএল অথবা খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে নিয়মিত বিটরুট খেতে হবে। 
  9. বিটরুট খেলে ত্বক সুন্দর হয় এবং ত্বক থেকে কালো দাগ দূর হয়। 
  10. বিটরুট খেলে বহু উপকারিতা লাভ করা সম্ভব এটি রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  11. বিটরুট থেকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  12. বিটরুট খেলে দ্রুত ওজন কমানো যায়। 
  13. বিটরুট খেলে হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি কমে।
  14. বিটরুট ছেলের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  15. বিটরুট কেরে শরীরে শক্তি বাড়ে নিয়মিত সকালে এক গ্লাস বিটরুট এর জুস পান করলে সারাদিন শরীরের শক্তি উৎপন্ন হবে।
  16. নিয়মিত বিটরুট খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
  17. বিটরুট খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। ত্বক আরো টানটান ও ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয়। 
  18. বিটরুট খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। গ্রীষ্মকালে বিটরুটের জুস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এটি পেটকে ঠান্ডা রাখে এবং প্রয়োজন শক্তিকে উন্নত করে।
  19.  বিটরুট খেলে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা কমে যায়। 
  20. বিটরুট খেলে দুর্বল হজম শক্তি দূর হয়।
  21. নিয়মিত সকালে এক গ্লাস বিটরুটের জুস খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিরোধ হবে। 
নিয়মিত বিটরুট খেলে ওপরের এই উপকারিতা গুলো লাভ করা সম্ভব। বিটরুট স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন বিটরুট খেলে এই অবিশ্বাস্য ২০টি উপকার পাওয়া সম্ভব। বিটরুট থেকে থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ পাওয়া যায় যা দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত রাখতে সাহায্য করে। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন বিটরুট এর উপকারিতা সম্পর্কে। 

বিটরুট কি

বিটরুট একটি গোলাপী অথবা লালচে রঙের সবজি এটি অনেকে আলো হিসেবে খেতে ভালোবাসে বিটরুট খেতে খুবই সুস্বাদু এবং এটি নারায়ণ পুষ্টিগুনে ভরপুর। শীতকালে বাজারে বিভিন্ন সবজির সাথে বিদ্যুৎ দেখতে পাওয়া যায় অনেকে হয়তো জানে না বিটরুট কিভাবে খেতে হয়।

বিটরুট হল শিকড় জাতীয় উদ্ভিদ এটি beta vulgaris প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। বিটরুট দেখতে লাল অথবা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। বিটরুট এর বিভিন্ন স্বাস্থ্যের উপকারিতা রয়েছে। বিটরুট প্রথম ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকাতে দেখতে পাওয়া যায় এবং বিটরুট সর্বপ্রথমে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে দেখতে পাওয়া গেছিল। কিন্তু এখন এটি সম্পূর্ণ বিশ্বব্যাপী চাষ করা হয়। 

বিটরুট এর রং দেখতে গোলাপী অথবা বেগুনি ধরনের হয়ে থাকে। বিট রুট এখন এশিয়া সহ উত্তর আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয় বিটরুট থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী যেমন বিটরুট থেকে পটাশিয়াম আয়রন ভিটামিন সি ভিটামিন এ ভিটামিন কে এবং প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। বিটরুট কে আয়োডিন ও আয়রনের উৎস বলা হয়।

বিটরুট খেলে কি ওজন কমে 

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন বিটরুট খেলে কি ওজন কমে? হ্যাঁ বিটরুট খেলে ওজন কমে। বিটরুট একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। বিটরুট থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার ফলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা অনুভূত হয়। এতে ক্ষুধার পরিমাণ হ্রাস পেলে খাবারের হার কমে যাবে এতে ওজন কোমার সম্ভাবনা রয়েছে। 

শুধুমাত্র বিটরুট খেলেই ওজন কমবে না বিদ্যুট খাবার পাশাপাশি নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ফ্যাট কিংবা তৈলাক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে এবং নিয়মিত সকালে উঠে এক গ্লাস বিটরুট এর জুস পান করতে হবে এতে দ্রুত হারে ওজন কমতে পারে।

যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে তোকে চিন্তিত রয়েছেন তারা চিন্তা বাদ দিন। এবং খাবার তালিকা থেকে অতিরিক্ত মিষ্টির জাতীয় খাবার ও তৈলাক্ত জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিন। পাশাপাশি নিয়মিত সকালে এক গ্লাস বিটরুট এর রস পান করুন। এতে আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যে আপনার ওজন অনেকটা কমে যাবে।

বিটরুট খেলে কি উচ্চ রক্তচাপ কমে? 

আপনি কি জানেন বিটরুট খেলে কি উচ্চ রক্তচাপ কমে নাকি? বিটরোট ভরপুর নাইট্রেট সমৃদ্ধ। নাইট্রেট শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয় এটি ধমনী এবং শিরা গুলোকে প্রসারিত করে এতে রক্ত দ্রুত প্রবাহ হয়। এছাড়াও বিটরুট পটাশিয়ামের উৎস বলেই চলে বিটরুট থেকে ভরপুর পটাশিয়াম পাওয়া যায় যার রক্তনালী প্রসারণের সহায়তা প্রদান করে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমায়। 

যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী রয়েছে নিয়মিত সকালে বিটরুট এর জুস পান করুন এতে দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ কমতে শুরু করবে।। উচ্চ রক্তচাপ অনেক জটিল রোগ। সঠিকভাবে এর চিকিৎসা না করলে এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিকে বৃদ্ধি করে। তাই নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ সেবন করতে হবে এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন বিটরুট খেলে কি উচ্চ রক্তচাপ কমে নাকি এবার চলুন দেখে আসি বিটরুট খেলে কি রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমে।

বিটরুট খেলে কি রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমে 

বিটরুট খেলে কি রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমে? বিটরুট থেকে ভরপুর আয়রন পাওয়া যায়। যা রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে রক্তস্বল্পতায় তৈরি হয়। রক্ত স্বল্পতার ফলে চোখ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে ওঠে। যারা রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভুগছেন নিয়মিত খাদ্য তালিকাতে বিটরুট রাখুন প্রতিদিন সকালে উঠে এক গ্লাস বিটরুটের জুস পান করুন এতে এক সপ্তাহের মধ্যে শরীর থেকে রক্তস্বল্পতার অভাব পূরণ হবে।

বিটরুট আয়রনের ভালো উৎসব বিট রুট থেকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় যা রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়লে অক্সিজেন সরবরাহর ক্ষমতা বেড়ে যাবে এতে রক্ত সততা কমবে এছাড়াও বিটরুট থেকে ভরপুর ভিটামিন বি নয় পাওয়া যায় এটি নতুন রক্ত কণিকা  উৎপাদন করে। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন বিটরুট খেলে কি রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমে নাকি।

বিট রোড স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। শীতকালে বিভিন্ন শাক সবজির মধ্যে বিটরুট দেখতে পাওয়া যায়। তবে অনেকে হয়তো বিটরুট এর উপকারিতা সম্পর্কে জানে না। এই জন্য বাজারে বিটরুট দেখতে পাওয়া গেলেও তারা ক্রয় করে না। 

বাংলাদেশের বিটরুট এর চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা খুবই কম কিন্তু এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী নিয়মিত যদি এক গ্লাস বিটরুটের জুস পান করা হয় তাহলে ক্যালসিয়াম এর অভাব পূরণ হবে, ত্বক সুন্দর থাকবে উচ্চ রক্তচাপ কমবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা বলেন বিটরুট খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়।

গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? বিট রুট থেকে প্রচুর হিমোগ্লোবিন এবং ফলিক এসিড পাওয়া যায় এটি গর্ভের শিশুর জন্য উপকারী এছাড়াও নিয়মিত বিটরুট খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে হজম সমস্যা দূর হয়। গর্ভাবস্থায় মেয়েদের হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দেয়।

খাবার দ্রুত হজম হয় না। গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়। এইসময় নিয়মিত বিট রুট খেলে হজম শক্তি উন্নত হবে এবং দ্রুত গ্যাসের সমস্যা সেরে যাবে। বিটরুট থেকে ফলিক এসিড পাওয়া যায়। এটি বাচ্চার দ্রুত স্নায়ুতন্ত্র গঠনে ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত এক গ্লাস বিটরুট এর জুস পান করলে দ্রুত বাচ্চার শরীর গঠন হবে। 
  1. গর্ভাবস্থায়ী জীবিত বিটরুট খেলে বাচ্চার মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু সিস্টেম উন্নত হবে। 
  2. গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত বিটরুট খেলে শরীরে শক্তি আসবে।
  3. গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী নিয়মিত বিটরুট খেলে শরীরের ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম এর অভাব পূরণ হবে এতে হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত হবে। 
  4. বিটরুট থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফলেট এসিড পাওয়া যায় এটি গর্ভের বাচ্চার সঠিকভাবে বিকাশ হতে সাহায্য করবে।
  5. বিটরুট খেলে পেটের সমস্যা দূর হবে। 
  6. গর্ভাবস্থায় নিয়মিত বিটরুট খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 
  7. গর্ভাবস্থায় নিয়মিত বিটরুট খেলে ডিপ্রেশন কমবে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ দূর হবে। 
  8. গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া বাচ্চার জন্য এবং বাচ্চার মায়ের জন্য উপকারী নিয়মিত জুস পান করলে এটি হৃদ রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করবে। 
গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত বিটরুট খেলে উপরের এই উপকারিতা সমূহ লাভ করতে পারবেন তবে গর্ভাবস্থায় যে কোন খাবার গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বিট রুট খেলে মায়ের এবং গর্ভের বাচ্চার উভয়ের ক্ষতি হয়ে পারে। তাই অতিরিক্ত বিট রুট গর্ভাবস্থায় খাওয়ার যাবে না। 

আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি  বিটরুট এর অপকারিতা

বিটরুট এর অপকারিতা

আপনি কি বিটরুট এর অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? বিট রোড একটি স্বাস্থ্যকর খাবার এর কোন অপকারিতা নেই বলেই চলে তবে অতিরিক্ত পরিমাণে বিটরুট খাওয়ার ফলে কিছু সম্ভাব্য ক্ষতি হতে পারে যেমন পেট খারাপ হওয়া গ্যাসের সমস্যা তৈরি হওয়া ত্বকে এলার্জির সমস্যা তৈরি হওয়া পাশাপাশি ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ি রেস।

বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত সকালে এক গ্লাস বিটের রস পান করতে কিন্তু যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বিটের রস পান করা হয় তাহলে এনাফিনিক্স এর সমস্যা তৈরি হতে পারে এতে তীব্র এলার্জি তৈরি হবে। এলার্জি থেকে হাঁপানি ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ি চুলকানি ইত্যাদি তৈরি হবে। 

প্রথমবার বিট খাওয়ার পরে যদি শরীরে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে বিটরুট খাওয়া দিতে হবে। যদি এই অবস্থাতে বিটরুট খাওয়া বাদ না দেন তাহলে এলার্জির সমস্যা আরও অনেক বেড়ে যাবে এতে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হবে যেমন লাল লাল রেস চুলকানি, ব্রণ মেছতা ইত্যাদি।
  1. বিট রোড থেকে অক্সালেট পাওয়া যায় অতিরিক্ত বিটরুট এর রস পান করলে কিডনিতে পাথর হবে। অতিরিক্ত অক্সালেট সম্পন্ন খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  2. অতিরিক্ত বিটরুট খাবার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ডায়রিয়া হতে পারে। 
  3. বিটরুট থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় তাই অতিরিক্ত বিটরুট খেলে হজম শক্তিতে গন্ডগোল তৈরি হবে। 
  4. বিটরুট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বিটরুট থেকে ভরপুর পটাশিয়াম পাওয়া যায় কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে যদি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাওয়া হয় তাহলে এটি মূত্রত্যাগের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে।
  5. বিটরুট খেলে রক্তচাপ হঠাৎ করে অনেক যেতে পারে। রক্তচাপ অনেক কমে গেলে লো পেশার দেখা দেয় এতে তীব্র মাথা বেথা হবে এবং ঘাড়ে ব্যথা করবে।
খাবার তালিকাতে অতিরিক্ত বিটরুট যোগ হলে ওপরের এই সমস্যাগুলো তৈরি হবে বিটরুট নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি খাবার কিন্তু যখন অতিরিক্ত পরিমাণে এই কাবাডি খাওয়া হবে তখন উপরের এই সমস্যা গুলো তৈরি হবে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে যেমন ১ গ্লাস বিটরুট এর জুস পান করতে হবে। যদি কেউ ১ গ্লাস এর পরিবর্তে তিন কিংবা চার গ্লাস বিট রুট এর জুস পান করে তাহলে ওপরের এই সমস্যা গুলো দেখা দিবে।

বিটরুট এর দাম কত?

বাংলাদেশে বিটরুট এর চাহিদা কম। এজন্য দামও একটু কম। কিন্তু বিটরুট এর দাম কম হলেও পুষ্টিগুণের দিক থেকে বিটরুট অনেক দামী একটি ফল। নিয়মিত বিটরুট খাবার ফলে ওপরের এই সমস্ত উপকারিতা সমূহ পাওয়া সম্ভব। বিদেশে বিটরুট চাহিদা এবং দাম উভয় অনেক বেশি বাংলাদেশে অনেকে হয়তো জানে না বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এজন্য বাংলাদেশে বাজারে বিটরুট দেখতে পাওয়া গেলেও অনেকে এই ফলটিকে ক্রয় করে না।


বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে এক কেজি বিটরুট দাম 600 টাকা। বাংলাদেশের রাজশাহী জেলাতে এক কেজি বিটরুটের দাম ৫৪০ টাকা। ঢাকাতে এক কেজি বিটরুট দাম ৫২০ টাকা। রাজশাহী শহর রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলাতে একই দাম বিরাজ করে রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলা জল পুঠিয়া নাটোর সিরাজগঞ্জ ইত্যাদি এই জেলাগুলোতে এক কেজি বিটরুট  এর দাম ৫৪০ টাকা। খুলনা এবং বরিশাল বিভাগে এক কেজি বিট রুটের দাম ৬০০ টাকা।

বাংলাদেশের জেলা এবং বিভাগ ভেদে বিটরুট এর দামের পার্থক্য রয়েছে কারণ প্রতিটি জেলাতে বিটরুট চাষ করা হয় না যে জেলাগুলোতে বেশি পরিমাণে বিটরুট চাষ করা হয় সেখানে বিটরুটের দাম একটু কম যেমন ঢাকা বিভাগে বিভিন্ন এলাকায় বিটরুট চাষ করা হয় এজন্য ঢাকাতে বিট রুট এর দাম একটু। পাহাড়ি এলাকাতে বিটরুট এর দাম কম।

আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন বিটরুট এর দাম কত। জেলা ভেদে বিটরুট এর এর দামের ভিন্নতা রয়েছে যেমন রাজশাহী জেলাতে বিদ্যুতের দাম  ৫৪০ টাকা কেজি। ঢাকা জেলাতে বিদ্যুতের দাম এর তুলনায় আরো কম আবার অন্যান্য জেলা খুলনা বরিশালে বিটরুট এর দাম ৫৪০ এর বেশি।

বিট কি কাঁচা খাওয়া যায় 

বিট কাঁচা এবং রান্না করে উভয় ভাবে খাওয়া যায়। বিট সুস্বাদু ফল হিসেবে কাঁচা খাওয়া যেতে পারে এর স্বাদ হালকা মিষ্টি ও ঝাল স্বাদ যুক্ত। কাঁচা বিট ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কারভাবে ধুয়ে ছোট ছোট পিচ করে কেটে সরাসরি খেতে পারবেন। বেশির ভাগ মানুষ কাঁচা বিটের জুস খেতে খুব ভালোবাসেন এবং এটি পুষ্টি গুনে ভরপুর প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কাচা বিটের জুস পান করলে সারাদিন শরীরে প্রচুর এনার্জি আসবে।

আর যদি বিটরুট রান্না করে খেতে চান তাহলে বিটরুট পরিষ্কার করে ধুয়ে আলুর মতো ছোট ছোট করে কেটে তেল ও লবণ দিয়ে ভাজি করে খাওয়া যায়। তবে বিটরুট ভাজি এর তুলনায় বিটরুট এর জুস থেকে বেশি পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায়। যদি রক্তস্বল্পতা থাকে কিংবা দৃষ্টিশক্তি সমস্যা থাকে অথবা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে তাহলে প্রতিদিন সকালে উঠে এক গ্লাস বিটরুট এর জুস পান করবেন। নিচে দেখে নিন বিটরুট এর জুস তৈরি করার নিয়ম।

বিটরুট এর জুস তৈরি করা নিয়ম

বিটরুট এর জুস তৈরি করার নিয়ম খুবই সহজ প্রথমে দুই থেকে তিনটি বিট রুটি নিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে তারপর বিট রোড হালকা গরম পানির মধ্যে সিদ্ধ করতে পারবেন। দেব সিদ্ধান্ত থেকে রস বের করে একটি গ্লাসে সংরক্ষণ করুন এবং এই রসের মধ্যে এক চা চামচ লেবুর রস ও পরিমাণমতো মধু কিংবা চিনি মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে।

অথবা বিটরুট সিদ্ধ না করে ব্লেন্ডার এর সাহায্যে বিদ্রুপ থেকে রস বের করে গ্লাসে সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং এই রসের মধ্যে সরাসরি মধু মিশিয়ে খেয়ে নিতে হবে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রয়েছেন তারা চিনি এর পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধু মিষ্টি হলেও এটি প্রাকৃতিক শর্করা থাকাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে না। 

বিট ফল কোথায় পাওয়া যায় 

বর্তমান সময়ে বিট ফল বিশ্বের সব জায়গায় পাওয়া যায়। প্রথমে শুধুমাত্র ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াতেই পাওয়া যেত কিন্তু এখন সম্পূর্ণ বিশ্বব্যাপী এই বিট ফল চাষ করা হয়। বাংলাদেশের সবজি বাজারে শীতকালে বিভিন্ন সবজির মধ্যে বিট ফল দেখতে পাওয়া যায়। 

বিট অনেকে ফল হিসেবে চিনে আবার অনেকেই সবজি হিসেবে চিনে। অনেকে বিটফলকে লাল আলু বলে থাকে। এই বিটফল এর উপকারিতা সম্পর্কে আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছেন বিড ইউরোপে ফ্রান্স জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসহ আরো বিভিন্ন যে লাইট চাষ করা হয় পাশাপাশি কানাডার আলবার্ট প্রদেশে বিদ্যুৎ দেখতে পাওয়া যায়। 

বিটরুট অস্ট্রেলিয়ায় কুইন্স ল্যান্ড প্রদেশে দেখতে পাওয়া যায়। এক কথায় এখন বিশ্বের সব জায়গায় বিটরুট পাওয়া যায়। আপনি যদি বিটফল কিনতে যান তাহলে সবজি বাজার থেকে কিনতে পারবেন অথবা যদি সবজি বাজারে না পাওয়া যায় তাহলে অনলাইন থেকে ক্রয় করতে পারবেন অনলাইনে প্রতিটি মার্কেটে বিট ফল কিনতে পাওয়া যায় এবং এক কেজি বিট ফল এর দাম ৫৪০ টাকা থেকে 600 টাকা। 

লেখক এর শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা, বিটরুট এর দাম কত, বিট কি কাঁচা খাওয়া যায় এবং বিটরুট এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে বিটরুট দেখতে পাওয়া যায়।

কিন্তু অনেকে হয়তো জানেনা বিট রুট এর উপকারিতা সম্পর্কে এই জন্য শীতকালে হাজারে সবজির মাঝে বিটরুট অবহেলিত হয়। বাংলাদেশের প্রায় 40% মানুষ বিটরুট সম্পর্কে জানে। এইজন্য বাংলাদেশের বিটরুট এর চাহিদা কম এবং বিটরুট এর দামও অনেক কম অন্যান্য দেশে উচ্চ দামে বিটরুট বিক্রি করা হয়। 

বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় বিটরুট চাষ করা হয়। বিটরুট এর চাহিদা কম হওয়ায় সবজি বিক্রেতারা কম দামে বিটরুট বিক্রি করেন। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার পর এখন থেকে নিয়মিত খাদ্য তালিকাতে বিটরুট রাখবেন। কারণ একজন মানুষের শরীরে সারাদিনের যা যা পুষ্টি এবং ভিটামিন প্রয়োজন সে সবকিছু একটি মাত্র বিট ফল থেকে পাওয়া যায়।

তাই এত উপকারী ফল কি কখনো অবহেলা করা ঠিক না। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা প্রত্যেকে বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন পাশাপাশি বিটরুট এর দাম কত। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে বিটরুট এর দামের ভিন্নতা রয়েছে যেমন রাজশাহী জেলাতে ১ কেজি বিটরুট এর দাম ৫৪০ টাকা। বিটরুট সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url