সমাজকর্মের জনক কে এবং সমাজকর্ম কাকে বলে
সমাজকর্মের জনক কে এবং সমাজকর্ম কাকে বলে? বিস্তারিত জানতে আজকের এই আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ দেখুন। আজকে এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো সমাজকর্মের জনক কে এবং সমাজকর্ম বলতে কী বুঝ, সমাজকর্ম কাকে বলে? পাশাপাশি সমাজকর্ম কোন ধরনের বিজ্ঞান।
আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পন্ন পড়লে সমাজকর্মের জনক কে এবং সমাজকর্ম কাকে বলে পাশাপাশি সমাজকর্ম বলতে কী বুঝ সেই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন ঝটপট দেখে আসা যাক সমাজকর্মের জনক কে।
সমাজকর্মের জনক কে
আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন সমাজকর্মের জনক কে সমাজকর্মের জনক হলেও জেন অ্যাডামস। জেন অ্যাডামস প্রথম প্রখ্যাত সমাজকর্মী এবং মানবাধিকার কর্মী তার অবদানের কারণে তাকে সমাজকর্মের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়। জেন অ্যাডামস সমাজকর্মকে বৈজ্ঞানিক পেশাগত এবং সুশৃংখল বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই জন্য জেল অ্যাডামসকে সমাজকর্মের জনক বলা হয়।আর একদিকে জেন অ্যাডামস হতদরিদ্র গরিব ব্যক্তিদের জন্য সামাজিক কাজ করেছেন। জেন অ্যাডমসের প্রতিষ্ঠিত হুল হাউস, সামাজিক ন্যায় এবং নারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে তৈরি। তার এই অসীম অবদানের কারণে তাকে সমাজকর্মের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।
জেন অ্যাডামস হুল হাউস প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর অধিকার আদায় এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও জেন অ্যাডামস সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে তিনি ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে শান্তি নোবেল লাভ করেন। তিনি এটি বিশ্বাস করেন যে শান্তি এবং সুশৃংখলের মাধ্যমে বিশ্ব মানব কল্যাণ সাধন করা সম্ভব।
তার এই অবদানের কারণে তাকে সমাজকর্মের জনক বলা হয় অর্থাৎ সমাজকর্মের জনক হলো জেন অ্যাডামস। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্মের জনক কে এবার চলুন দেখে আসি জেন অ্যাডামসকে কেন সমাজকর্মের জনক বলা হয়?
জেন অ্যাডামসকে কেন সমাজকর্মের জনক বলা হয়
আপনি কি জানেন যে অ্যাডামসকে কেন সমাজকর্মের জনক বলা হয়? জেন অ্যাডামস কে সমাজকর্মের জনক বলা হওয়ার কারণ হলো সে সামাজিক কল্যাণ এবং সমাজের উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং এই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নানান পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন।জেন অ্যাডামস সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং নারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে হুল হাউস নামক একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। হোল হাউস একটি সামাজিক কেন্দ্র এখানে সমাজের হতদরিদ্র গরিব মানুষের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হয় পাশাপাশি সমাজের মানুষের শিক্ষা নিশ্চিত করা হয় এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এটি নারীদের মাধ্যমে পরিচালিত।
জেন অ্যাডামস সমাজের দরিদ্র মানুষদের শিক্ষা নিশ্চিত করেছেন। জেন অ্যাডামস শ্রমিকদের সঠিক শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তাদের সঠিক শিক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। জেন অ্যাডামস প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করেন এবং তাদের সেবা শুশ্রুষা প্রদান করেন।
জেম অ্যাডামস শিশুদের বিষয়েও বেশ চিন্তাশীল ছিলেন তিনি শিশু সঠিক বিকাশের জন্য তাদের যত্নে এবং তাদের সঠিক শিক্ষা নিশ্চিতের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন পাশাপাশি জেম অ্যাডাম তাদের ভূমিকা পালনও এছাড়াও জেম অ্যাডাম স হতদরিদ্র এবং অশিক্ষার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় ছিলেন। তিনি সামাজিক পরিবেশকে উন্নত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন এবং প্রত্যেকের জন্য সুশিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন অবলম্বন করেছিলেন।
তার এই অসীম অবদানের কারণে তাকে সমাজ কর্মের জনক বলা হয়। জেম ম্যাডামস এর অবদানের ফলে আজ সমাজকর্ম একটি স্বাধীন শিক্ষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করতে পেরেছেন। বর্তমান সময়ের প্রত্যেকের সমাজকর্মে গুরুত্ব এবং চাহিদা সম্পর্কে জানে।
এটি শুধুমাত্র জেম অ্যাডামসের অবদানের সুফল। তার এই অসীম কৃতিত্বের এবং অবদানের কারণে তাকে সমাজকর্মের জনক বলা হয়। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্মের জনক কে এবার চলুন দেখে আসি আধুনিক সমাজকর্মের জনক কে?
আধুনিক সমাজকর্মের জনক কে
আপনি কি জানেন আধুনিক সমাজকর্মের জনক কে? যারা সমাজকর্ম বিভাকে শিক্ষার্থীরা রয়েছেন তাদের জন্য এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা খুব জরুরী যে সমাজকর্ম এর জনক কে এবং আধুনিক সমাজকর্মের জনক কে? ইতিমধ্যেই আমরা দেখলাম যে সমাজকর্মের জনক হল জেম এম্যাডামস। তবে আধুনিক সমাজকর্মের জনক কে?হেনরি ম্যান এবং ফ্রাঙ্ক পারকিনসন সমাজকর্মে বিশেষ ভূমিকা পালন করলেও আধুনিক সমাজ কর্মের জনক বলা হয় জেম অ্যাডামকে। তার অবদান সমাজকর্মে অধিক তার এই অবদানের কারণে তাকে আধুনিক সমাজকর্মের জনক বলা হয় তিনি প্রথম হুল সাউথ প্রতিষ্ঠা করেন এটা শুধুমাত্র হতদরিদ্র গরিব মানুষদের সঠিক শিক্ষার জন্য এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য তৈরি করা হয়।
আরো দেখুন: ৮০০+ স দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ ২০২৪ সেরা কালেকশন
জ্যাম অ্যাডামস নারীদের অধিকার অর্জনের জন্য আন্দোলন করেন এবং তিনি শ্রমিকদের জন্য উন্নত কাজের ব্যবস্থা দাবি করেন। শ্রমিকদের সঠিক পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করেন। সমাজের হতদরিদ্র এবং অশিক্ষিত ব্যক্তিদের জন্য সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা করেন এবং তাদেরকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলেন
জেম অ্যাডাম মানুষের ন্যায় এবং ন্যায্য অধিকারের জন্য আন্দোলন করেন। জ্যাম অ্যাডামস শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন এজন্য আন্তর্জাতিকভাবে তাকে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে শান্তি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। সমাজকর্মে জেম অ্যাডামস এর গুরুত্ব অসীম। তার অবদানের কারণে তাকে সমাজকর্মের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।
সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আধুনিক সমাজকর্মের জনক কে এ চলুন ঝটপট দেখে আসি সমাজকর্ম কি?
সমাজকর্ম কি
সমাজকর্ম একটি স্বাধীন এবং স্বীকৃতি সম্পন্ন পাঠ্য বিষয় যেখান থেকে শিক্ষার্থীদের সমাজ এবং সমাজের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারেন তারা একে অপরের সাথে খারাপ খাইয়ে চলাফেরা শিখতে পারেন। সমাজকর্ম একটি উচ্চশিক্ষায় নিতে পাঠ্য বিষয়। সমাজকর্ম পাঠের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সমাজ পরিবার এবং একে অপরের সম্পর্ক সমাজের মধ্যে খাপ খাইয়ে চলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবে।সমাজকর্ম একটি পেশাদারী ক্ষেত্র যেখান থেকে একজন নিজের উন্নতি পরিবারের উন্নতি সমাজের উন্নতি এবং একটি দেশের উন্নতি নিয়ে ব্যক্তি কাজ করে। সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের উন্নতি সাধন করা মানুষের মাধ্যমে সমাজের শান্তি বিস্তার করা এবং দেশের উন্নতি সাধন করা।
ক্লাস ফাইভ থেকে শিক্ষার্থীদের সমাজকর্ম সাবজেক্টে দেওয়া হয় এটি শিক্ষার্থীদেরকে সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে চলাফেরা শিখাতে সাহায্য করে। সমাজকর্ম পরের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী বুঝতে পারে কিভাবে সামাজিক উন্নতির মাধ্যমে পরিবেশের উন্নতি এবং পরিবেশের আনন্দ বৃদ্ধি করা যায়।
সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্ম কি এবার চলুন দেখে আসি সমাজকর্ম কাকে বলে??
সমাজকর্ম কাকে বলে
আপনি কি জানেন সমাজকর্ম কাকে বলে? সমাজকর্ম বলতে বোঝায় একটি পেশাগত সংস্থা যেখানে সমাজের অথবা পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করা হয় এবং সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সমাজের হতে দরিদ্র গরিব এবং বঞ্চিত মানুষদের সমস্যা সমাধান করতে সমাজকর্ম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত।সমাজকর্মীরা সমাজের মধ্যে শান্তি বিচার করতে সাহায্য করে এবং সমাজ থেকে নিপীড়ন অন্যায় দূর করে এবং ন্যায় ও সমাধা প্রতিষ্ঠা করে। সমাজকর্ম একটি পেশাগত সংস্থা এখানে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সমাজকর্মের সংজ্ঞা
সমাজকর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন সমাজকর্মী বিভিন্ন প্রকার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি সংজ্ঞা নিচে দেওয়া হলো। যারা সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদের জন্য সমাজকর্মের সংজ্ঞা জানা খুবই জরুরী। নিচে দেখে নিন সমাজকর্মের সংখ্যাগুলো দেওয়া হল।কয়েকটি শ্রেষ্ঠ সমাজকর্মবিদ এর সংজ্ঞা:
বেকার: সমাজকর্ম এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া যেখানে একজন সমাজকর্মী সমাজের অবহেলিত দুস্থ এবং দরিদ্র মানুষদের কল্যাণের জন্য সমাজে কাজ পরিচালনা করেন।
ফিলিপস: সমাজকর্ম হলো একটি পেশাদারী কার্যক্রম যেখানে মানুষকে তাদের ব্যক্তিগত পারিবারিক সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যার মোকাবেলা করতে সাহায্য করে এবং তাদের জীবনকে উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সহায়তা প্রধান করে।
হার্লে: সমাজকর্ম হলো এমন এক অবস্থা যেখানে মানুষ তার অস্বাভাবিক এবং অশান্ত পরিবেশের মধ্যে সমস্যা সমাধান খুঁজে পাবে। সমাজের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য পেশাদারীকৃত সাহায্য দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় সমাজকর্ম।
আরো পড়ুন: রুকাইয়া নামের অর্থ কি - রুহি নামের অর্থ কি
মেয়ারস: সমাজকর্ম বলতে বোঝায় সেই পেশাকে যেখানে ব্যক্তি পরিবার গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বিস্তার করতে সাহায্য করে এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করতে সহায়তা প্রদান করে।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্মের সংজ্ঞা সম্পর্কে।
সমাজকর্ম সম্পর্কে বেশ কয়েকটি সমাজকর্মবিদ সংজ্ঞা প্রদান করেছেন তার মধ্যে অন্যতম চারটি সংখ্যা উপরে শেয়ার করলাম এই সংখ্যাগুলো মুখস্ত করা খুবই জরুরী বিশেষ করে যারা সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদের জন্য এ সংখ্যাগুলো সম্পর্কে জানা অধিক জরুরী।
সমাজকর্ম কোন ধরনের বিজ্ঞান
আপনি কি জানেন সমাজকর্ম কোন ধরনের বিজ্ঞান সমাজকর্ম হলো একটি মানবিক ও প্রয়োগিক বিজ্ঞান যা সমাজের এবং সমাজের মানুষের বিভিন্ন দিক ও সমস্যার সমাধানে নিয়ে আলোচনা করে পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা বিশ্লেষণ করে। সমাজকর্ম মানুষের আচরণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক পরিবর্তনে বিভিন্ন বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণা করে।সমাজকর্ম এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজ এবং সমাজের মানুষের উন্নতি সাধন করা সমাজকর্মী এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে সমস্যা গুলো সমাধান করা কিছু সমস্যা যেমন দারিদ্রতা বৈষম্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা পাশাপাশি শিক্ষক চিহ্নিত করে সেই সমস্যা গুলোর সমাধান নয় করা।
সমাজকর্ম শুধুমাত্র একটি তাত্ত্বিক বিষয় নয় বরং এটি বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য। সমাজকর্মের মাধ্যমে সমাজ এর এবং সমাজের মানুষের হতদরিদ্র ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। সমাজ কর্মীদের কাজ হল সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা।
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্ম কোন ধরনের বিজ্ঞান সমাজকর্ম হলো একটি প্রয়োগিক এবং মানবিক বিজ্ঞান এবার চলুন দেখে আসি সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি।
সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
আপনি কি জানেন সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি? সমাজকর্ম বিভিন্ন উদ্দেশ্যে রয়েছে যেমন প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো সমাজে কল্যাণ সাধন করা দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হলো সমাজের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সমস্যা খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করা এবং সেই সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা। নিচে সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।- সমাজকর্মের উদ্দেশ্য হল আমার থেকে দারিদ্র দূরীকরণ দূর এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানো।
- সমাজকর্মের মূল উদ্দেশ্য হল বৈষম্য দূরীকরণ। আমাদের সমাজে জাতির ধর্ম লিঙ্গ রং নিয়ে বেশ বৈষম্য রয়েছে সমাজের এই বৈষম্য দূর করা হলো সমাজকর্মের মূল উদ্দেশ্য।
- সামাজিক ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা সমাজের সবার সমান অধিকার এবং সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
- প্রত্যেকের মানবাধিকার রক্ষা করা মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত রাখা।
- সমাজকর্মের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার প্রসার করা মানুষকে শিক্ষার আলোয় নিয়ে যাওয়া এবং মানুষের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা।
- মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করা এবং মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে উন্নত করে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
- সমাজে বাচ্চাদের সুরক্ষা প্রদান করা হলো সমাজকর্মের মূল উদ্দেশ্য। শিশুরা যেন নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারে এবং তারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকা।
- পরিবারের কল্যাণ সাধন করা এবং বয়স্কদের সহায়তা প্রদান করা সমাজকর্মের মূল উদ্দেশ্য।
সমাজকর্মের আরো একটি মূল উদ্দেশ্য হলো আশ্রয় হিন্দি সাহায্য করা এবং তাদের আশ্রয় প্রদান করা তাদের আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
সমাজকর্মের মূল উদ্দেশ্য হলো বাল্যবিবাহ রোধ করা।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্মের উদ্দেশ্য এবং সমাজকর্মের গুরুত্ব সম্পর্কে সমাজে সমাজ কর্ম সম্পর্কে যদি আমরা প্রত্যেকে সচেতন হই তাহলে উপরের এই সুবিধা গুলো লাভ করতে পারব। এবার চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যাক nasw এর পূর্ণরূপ কি?
nasw এর পূর্ণরূপ কি
nasw এর পূর্ণরূপ কি? nasw এর পূর্ণরূপ হল ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ সোশ্যাল ওয়ার্কার্স ( national association of social workers)। এটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সমাজকর্মীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশাদার সংগঠন যা সমাজের উন্নতি সাধন করতে কাজে পরিচালনা করে এবং সমাজের সুশান্তি বজায় রাখে।Nasw হলো সমাজকর্মীদের সবচেয়ে বৃহত্তম পেশাদার সংগঠন এটি 1955 খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়েছিল এবং এইখানে প্রতিটি সমাজকর্মীরা সমাজের কল্যাণে প্রতিনিয়ত কাজে নিয়োজিত রয়েছেন পাশাপাশি এরা সমাজের পেশাজীবীদের জন্য পেশাগত নীতি নির্ধারণ করেন এবং প্রশিক্ষণ ও সমাধান প্রদান করেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম সমাজকর্মের জনক কে সমাজকর্ম কাকে বলে, সমাজ কর্ম বলতে কী বুঝ, সমাজকর্মের সংজ্ঞা, সমাজকর্ম কোন ধরনের বিজ্ঞান, সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি এবং nasw এর পূর্ণরূপ কি।আজকের এই প্রতিবেদনের মূল লক্ষ্য হলো সমাজকর্ম সম্পর্কে আলোচনা করা আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্মের জনক কে। সমাজকর্মের জনক হল জেম অ্যাডামস। তিনি প্রথম সমাজকর্ম সম্পর্কে প্রত্যেকে সচেতন করেন এবং সমাজকর্মের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সমাজকর্মে তার অবদান অধিক তার এই অবদানের কারণে তাকে সমাজকর্মের জনক বলা হয়। সমাজকর্ম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে আজকের এই প্রতিবেদনটি স
ম্পন্ন দেখুন আশা করি আজকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্মের জনক কে।
বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url