সমাজকর্মের জনক কে - সমাজকর্ম কাকে বলে বিস্তারিত জানুন
সমাজকর্মের জনক কে? বাংলাদেশের সমাজকর্মের জনক হিসেবে মানা হয় অধ্যাপক ডা: নাজমুল করিমকে। সমাজকর্মের অগ্রদূত কাকে বলা হয়? এবং সমাজকর্মের আসল জনক কে - সমাজকর্ম কাকে বলে বিস্তারিত জানুন আজকের এই প্রতিবেদনে। আজকের এই পোস্টে আমরা সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সহ ও সমাজকর্মের সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ দেখেন তাহলে সমাজকর্মের জনক কে - সমাজকর্ম কাকে বলে, সমাজকর্মের সংজ্ঞা কি এবং সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন চলুন তাহলে আর দেরি না করে ঝটপট দেখে নেওয়া যাক সমাজকর্ম কাকে বলে।
সমাজকর্ম কাকে বলে
সমাজকর্ম বলতে বোঝায় এমন একটি সাহায্যকারী পেশা বা সমাজের অবস্থা যার মাধ্যমে ব্যক্তির দল ও সমষ্টির বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও উন্নয়নে সাহায্য প্রদান করে। এবং নিজেদের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের সমস্যার মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়।
সমাজকর্ম এর ধারণায় walter a friedlender বলেন সমাজকর্ম হলো মানবীয় সম্পর্ক বিষয়ক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং দক্ষতা ভিত্তিক এমন এক পেশাদার সেবা কর্ম যা ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সন্তুষ্টি ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য একক ভাবে অথবা দলীয়ভাবে ব্যক্তিকে সহায়তা প্রদান করে।
Social work is a professional service based on scientific knowledge is skills in human relation. Which assist individual alone or groups to obtain social and personal status fraction and independence.
হার্বাট বিষ্ণু এর মতে সমাজকর্ম কাকে বলে
হাবাউট বিষ্ণু বলেন সমাজকর্ম হচ্ছে সেই ব্যবস্থা যা সমাজের পূর্ণ এবং কার্যকরী অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক বাধা বর্তমানে রয়েছে। যা ভবিষ্যতে আসতে পারে সেগুলো দূরীকরণে মানুষকে একক কিংবা দলীয়ভাবে সাহায্য প্রদান করে।
আরো দেখুন: 2025 সালের সেরা এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সাজেশন
অর্থাৎ সমাজে যে সমস্ত সমস্যাগুলো রয়েছে কিন্তু ভবিষ্যতে আসতে পারে এমন কোন সমস্যা দূর করার জন্য দলীয়ভাবে সাহায্য করাকে বলা হয় সমাজকর্ম। সমাজকর্মকে মানব সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অথবা দক্ষতা বলা হয়েছে যা ব্যক্তির দল সমষ্টিকে একত্রিত করে সন্তুষ্টির লাভ করে এবং স্বনির্ভরতা অর্জন করে থাকে।
অভিধানের ভাষায় সমাজকর্ম কাকে বলে
সমাজকর্ম বলতে বোঝায় এমন এক কলা বিজ্ঞান এবং পেশা যা ব্যক্তিদের সমাজকর্ম দল সমাজকর্ম সন্তুষ্টির গঠন প্রশাসন এবং সমাজ গবেষণা সহ সমাজকর্ম অনুশীলনের মাধ্যমে একদলীয় জনগণকে এমনভাবে সহায়তা প্রদান করে যাতে তারা তাদের ব্যক্তিগত দলীয় এবং সমস্ত সমস্যার সমাধান করে সন্তুষ্টির ব্যক্তিগত দলীয় এবং সামাজিক সম্পর্ক লাভ করতে সক্ষম হয়।
এই সমাজে সমাজকর্মের প্রয়োজনীয়তা অধিক।সমাজকর্মের পরিধি অনেক বড় যেমন ব্যক্তিগত সমাজকর্ম, দলসমাজকর্ম, সমষ্টিগত সমাজকর্ম, শিক্ষা ক্ষেত্রে সমাজকর্ম, পারিবারিক ক্ষেত্রে সমাজকর্ম, চিকিৎসা সমাজকর্ম, বেকারত্ব দূরীকরণের সমাজকর্ম ও দরিদ্রতা দূরীকরণের সমাজকর্ম। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অভিধানের ভাষায় সমাজকর্ম কাকে বলে এবং সমাজকর্মের গুরুত্ব কতটুকু এবার চলুন আমরা দেখে আসি সমাজকর্মের পরিধি।
সমাজ কর্মের পরিধি
২০২৪ সালে বিশ্বে সমাজকর্মকে আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্বন্ধে সাহায্যকারী পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর পরিধি দিন দিন বেড়েই চলেছে। সমাজকর্ম না থাকলে ব্যক্তি, দল এবং সমষ্টি আলাদা আলাদা ভাগে বিভক্ত হয়ে যেত এবং কেউ কারো কোন সমস্যা সমাধান করতে পারত না।
সমাজে কোন ব্যক্তির সন্তুষ্ট লাভ করতে পারত না যার ফলে সমাজে দেখা যেতো কলহ ঝগড়া এবং বিবাদ অশান্তি। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এবং সন্তুষ্টি লাভ করতে সমাজকর্মের গুরুত্ব অধিক নিজে দেখুন সমাজ কর্মের পরিধি ব্যাখ্যা করা রয়েছে।
দল সমাজকর্ম
সমাজকর্ম এমন এক ধরনের বিজ্ঞান যা দলীয় সমস্যার সমাধান করে থাকে দলীয় ঐক্য শৃঙ্খলা দলীয় সমস্যা সমাধান করার জন্য দলীয় সমাজকর্ম প্রয়োগ করা হয়। দলীয় সমস্যা বলতে বোঝায় যেমন একটি গ্রামে টিউবয়েলের প্রয়োজন রয়েছে কিংবা টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে গেছে।
এই অবস্থায় একজন ব্যক্তির মাধ্যমে একটি গ্রামের টিউবয়েল ঠিক করা কোনভাবে সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে দলীয় সমাজকর্ম প্রয়োগ করতে হবে। সবাই মিলে একত্রে হয়ে কাজ করতে হবে তারপর সেই সমস্যার সমাধান করা যাবে। এই পদ্ধতিকে বলা হয় দলীয় সমাজকর্ম।
ব্যক্তি সমাজকর্ম
সমাজকর্মের অন্যতম একটি প্রয়োগ হল ব্যক্তি সমাজকর্ম ব্যক্তির সমস্যা প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে তারপর সেই সমস্যার ধরন জানতে হবে সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। নিজের সমস্যা সমাধান করাতে ব্যক্তির সমাজকর্ম বেশ ভূমিকা পালন করে।
যেমন মনে করুন জরুরি অবস্থায় আপনার একটি জামার প্রয়োজন এই অবস্থায় দলীয় সমাজকর্ম কাজ করবে না এর সমস্যাটি সম্পন্ন আপনার এ যেন আপনাকে ব্যক্তি সমাজ কর্ম প্রয়োগ করতে হবে এবং নিজের সমস্যার সমাধান করতে হবে।
চিকিৎসায় সমাজকর্ম
চিকিৎসায় সমাজকর্মের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে মানসিক রোগী সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে চিকিৎসা সমাজকর্মের গুরুত্ব অসীম। একজন মানসিক রোগীর সমস্যায় সম্পর্কে জানা তাকে মানসিকভাবে সাহস যোগানো এবং সারিয়ে তোলা চিকিৎসা সমাজকর্মের কাজ। সুতরাং আধুনিক বিশ্বে সমাজকর্মের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে এর কারণ হলো সমাজকর্মের প্রয়োগ বাড়ছে।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্মের পরিধি সম্পর্কে। সমাজকর্মে আরো বিভিন্ন পরিধি রয়েছে যেমন দারিদ্রতা দূরীকরণের সমাজকর্ম বেকারত্ব দূরীকরণের সমাজকর্ম শিক্ষা ক্ষেত্রে সমাজকর্ম পারিবারিক ক্ষেত্র সমাজকর্ম সমষ্টিগত উন্নয়ন ও সমষ্টি সংগঠনের সমাজকর্ম। এবার চলুন আমরা দেখে আসি সমাজকর্মের সংজ্ঞা।
সমাজকর্মের সংজ্ঞা
যারা সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদের জন্য সমাজকর্মের সংজ্ঞা জেনে রাখা খুবই জরুরী। অনার্সে সবচেয়ে সহজ সাবজেক্টের মধ্যে একটি হলো সমাজকর্ম সমাজকর্ম সমাজের জন্য খুবই জরুরী। এই সমাজে কিভাবে দলীয়ভাবে থাকতে হবে কিভাবে একে অপরের সমস্যা সমাধান করতে হবে কিভাবে সবাই মিলে মিশে থাকতে হবে সে সমস্ত বিষয় সমাজকর্মের আলোচ্য উপাদান। সমাজকর্মের সংজ্ঞা নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন
সহজ ভাষায় সমাজকর্ম হলো মানুষকে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সাহায্য করা এবং তাদের জীবনের মার্কে আরো উন্নত করার জন্য বিভিন্ন কর্ম সম্পাদন করা। বিজ্ঞানী ডব্লিউ এ ফ্রেড লেন্ডার বলেন ''সমাজকর্ম হল এক ধরনের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং মানবিক সম্পর্ক বিষয়ক এমন এক পেশাদার সেবা কর্ম এটি ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সন্তুষ্টি ও স্বাধীনতা লাভের কোন ব্যক্তিকে একক বা দলীয়ভাবে সাহায্য প্রদান করে''।
সহজ ভাষায় ব্যক্তি কিংবা সমাজের দলীয় সমস্যার সমাধানে এবং সন্তুষ্টি লাভের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কর্ম সম্পাদন করা হয় তাকেই বলা হয় সমাজকর্ম। যেমন সমাজের বিভিন্ন সমস্যা হয় মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চলে যায় কিংবা টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে যায়,
এই মুহূর্তে একজন ব্যক্তির পক্ষে সমাজের সমস্ত টি বল ঠিক করার কিংবা সমাজে বিদ্যুৎ লাইন ঠিক করা সম্ভব নয় এক্ষেত্রে প্রত্যেকে একত্রিত হয়ে দলীয়ভাবে কাজ করতে হবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে যার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে এই পদ্ধতিকে বলা হয় সমাজকর্ম।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্ম কাকে বলে এবং সমাজকর্মের সংজ্ঞা কি এবার চলুন আমরা দেখে আসি সমাজকর্মের জনক কে?
সমাজকর্মের জনক কে
অনেকে জিজ্ঞাসা করেন যে সমাজকর্মের জনক কে সমাজকর্মের নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে জনক হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব নয় সমাজকর্ম ধারণা ও অনুশীলন কার্যক্রমে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন সমাধান দেখিয়েছেন এই জন্য শুধুমাত্র একজনকে সমাজকর্মের জনক হিসেবে চিহ্নিত করা একটু কঠিন। বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে সমাজকর্ম সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন বিজ্ঞানী যেমন,
- জেন অ্যাডামস
- সেসিল রোডস
- মেরি রিচাৰ্ডস
এই তিনজন ব্যক্তি সমাজকর্ম বিশ্লেষণে এবং সমাজকর্ম এর গুরুত্ব তুলে ধরতে অসীম অবদান রেখেছেন এই জন্য এই কয়েকজন ব্যক্তিকে সমাজকর্মের পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে যদি পরীক্ষাতে আসে যে সমাজকর্মের জনক কে? সমাজকর্মের এককভাবে কি কোন জনক রয়েছে?
সমাজকর্মের এককভাবে কোন জনক নেই কিন্তু সমাজকর্ম সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন মেরি ইলেন রিচমন্ড ( Mary elan Richmond)
##Mary elen Richmond ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন তিনি ছিলেন একজন আমেরিকান সমাজ কর্মী। তাকে জেন অ্যাডামস এর সাথে একজন পেশাদার সামাজিক কাজের মা হিসেবে জানা হত তিনি সামাজিক কেস ওয়ার্কর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মেরি ইলেন রিচমন্ড নিজেই একজন কেস ওয়ার্কার ছিলেন।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে সমাজ কর্মের জনক এ সমাজকর্মের জনক বলা হয় Meri Elan Richmond কে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি সমাজকর্ম কোন ধরনের বিজ্ঞান?
সমাজকর্ম কোন ধরনের বিজ্ঞান
সমাজকর্ম হলো এক ধরনের ব্যবহারিক বিজ্ঞান যা মানুষকে মনোসামাজিক ভূমিকা সমূহ পালন ক্ষমতার একটি কার্যকর পর্যায়ে উপনীত করতে সাহায্য করে এবং মানুষের জীবনে কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে। মানুষের কল্যাণকে শক্তিশালী এবং কার্যকর করতে সামাজিক পরিবর্তন আনায়ন করে।
সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে মানব কল্যাণকে আরো শক্তিশালী করে এবং মানুষকে স্বস্তি দেয়। সমাজকর্ম হল এক ধরনের ব্যবহারিক বিজ্ঞান এটি সরাসরি বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধন করে। সমাজকর্মের গুরুত্ব সমাজের জন্য অধিক।
এইজন্য সমাজ কর্মকে মানবতার বিজ্ঞান বলা হয়। অন্য কথায় সমাজকর্মতে সামাজিক কাজকর্ম গবেষণা সামাজিক বিশ্ব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য কিংবা সত্য ঘটনা উন্মোচন করার জন্য সংঘটিত অথবা ইচ্ছাকৃত পদ্ধতি ব্যবহার করে।সামাজিক কাজকর্ম সামাজিক বিজ্ঞানের অধীনে পড়ে।
সমাজকর্মের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষের কল্যাণ সাধন করা। এই সমাজের সমাজকর্মের গুরুত্ব অসীম। সমাজবিজ্ঞান একটি সামাজিক বিজ্ঞান এটি মানব সমাজ মিথস্ক্রিয়া এবং তাদের সংরক্ষণ ও পরিবর্তনকারী প্রক্রিয়া গুলোকে অধ্যয়ন করে। সমাজকর্মে প্রতিষ্ঠান জনসংখ্যার সম্প্রদায় এবং লিঙ্গ জাতিগত বয়স কিংবা গোষ্ঠীর মতো সমাজের উপাদান গুলোর গতি ছিল তাকে পরীক্ষা করে এবং মানুষের জীবনের শান্তি প্রতিষ্ঠা করে মানুষের কল্যাণকে আরো শক্তিশালী করে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্ম কোন ধরনের বিজ্ঞান সমাজকর্ম একটি ব্যবহারিক বিজ্ঞান। অন্যান্য বিজ্ঞানীদের মতো সামাজিক বিজ্ঞানীরা গবেষণা পরিচালনা করেন এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান সম্পর্কে খুঁটিয়ে যাচিয়ে দেখেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
অনেকে জিজ্ঞাসা করেন সমাজকর্মের লক্ষ্য কি এবং উদ্দেশ্য কি? এই সমাজে সমাজকর্মের ভূমিকা কতটুকু? সমাজে একে অপরের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে সুষ্ঠুভাবে জীবন পরিচালনা করতে সমাজকর্মের ভূমিকা অপরিসীম। এই বিষয়ে Skidmore and thackary বলেন, the aim of social work is improve the enhance social functioning.''এর অর্থ হলো সমাজ কর্মের লক্ষ্য হল সামাজিক কার্যকারিতা উন্নত করা।
সমাজকর্মের লক্ষ্য হলো সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং সামাজিক কার্যকারিতা কে উন্নত করা। সমাজকর্মের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সমাজের বিভিন্ন সমস্যা পর্যালোচনা করা এবং সে সমস্যার সমাধান বের করা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। সমাজকর্মে চারটি লক্ষ্য রয়েছে। সেই চারটি লক্ষ্য নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।
- সমস্যার সমাধান উপযোজন এবং ক্ষমতার উন্নয়ন
- সামাজিক নীতির বিকাশ ও উন্নয়ন
- সম্পদ সেবা এবং সুযোগের সাথে মানুষের সংযোগ ঘটানো
- কার্যকারী এবং মানবীয় সেবা ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা।
সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- সমাজকর্মের লক্ষ্য হলো সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণ
- প্রয়োজনীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহার
- জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা
- মানবসম্পদের আরো উন্নয়ন ঘটানো
- সমন্বয় সাধন করা। জাতীয় উন্নয়ন করা
- পারস্পারিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো
- সমস্যায় বিজ্ঞান ব্যবহার করে সমস্যা সমাধান করা
সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণ
সমাজকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করা। সমাজের উন্নয়নের পথে এই কুসংস্কার গুলো বাধা দেয় যার ফলে সমাজের উন্নয়ন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না এই জন্য সামাজিক কুসংস্কার দূর করার সমাজকর্মের প্রধান লক্ষ্য। সমাজে কিছু কুসংস্কার রয়েছে যেমন বউ বাসায় ঢুকে যদি কোন খারাপ ঘটনা ঘটে,
তাহলে বউকে বাসার অমঙ্গল ধারিনী বলা হয়। অর্থাৎ তার পরেই বাসাতে যত অমঙ্গল হচ্ছে এই গুলো হচ্ছে কুসংস্কার ২১ সংস্কারের জন্য সমাজে নানান বাধা-বিপত্তি এবং ঝামেলা লেগেই থাকে এজন্য সমাজের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য প্রথমে সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করতে হবে।।
মানব সম্পদের উন্নয়ন
মানব সম্পদের উন্নয়ন বলতে বোঝায় সমাজের উন্নয়ন। মানব সম্পদের উন্নয়ন করা সমাজকর্মের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে সম্পদের সাহায্যে সমাজের উন্নয়ন করা। দল মত নির্বিশেষে সমাজের সকলের মানুষের উন্নয়ন অনুকূল পরিবেশ তৈরি করায় হলো আধুনিক সমাজকর্মে অন্যতম লক্ষ্য।
সমন্বয় সাধন করা
সমাজের সকল সরকারি এবং বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ে সাধন করাই হলো সমাজ কর্মের মূল উদ্দেশ্য। কারণ সমন্বয়হীন কাজের মাধ্যমে সুফল কখনো আশা করা সম্ভব হয় না এই জন্য সমাজের মঙ্গলে প্রতিটি সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সম্মান সাধন করতে হবে এটি সমাজকর্মের অন্যতম একটি লক্ষ্য।
পারস্পারিক সম্পর্কের উন্নয়ন
সমাজকর্মের মধ্যে একে অপরকে সাহায্য করলে সম্প্রীতি ও সৌন্দর্যমূলক পরিবেশ বজায় থাকে। মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমাজের থেকে আরও বৃদ্ধি করে এ জন্য সমাজকে উন্নত করতে চাইলে সমাজের উন্নয়ন ঘটাতে চাইলে প্রথমে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে উন্নত করতে হবে এবং একে অপরের সাথে ভালোবাসা ও প্রীতি সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো সমাজকর্মের মূল উদ্দেশ্য।
সমস্যার বৈজ্ঞানিক সমাধান
সমাজে প্রকৃত প্রদানের জন্য বিজ্ঞান ব্যবহার করা খুবই জরুরী বিজ্ঞান কে ব্যবহার করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে হবে স্থায়ী সমাধান তখন বৈজ্ঞানিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। এইজন্য বিভিন্ন সমস্যা সমাধান পেতে বিজ্ঞান ব্যবহার করতে হবে এখন বিজ্ঞানের মানবজীবনকে আরো বেশি সহজ করে তোলেছে। বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করা হলো সমাজকর্মের মূল উদ্দেশ্য।
জাতীয় উন্নয়ন ঘটানো
সমাজের উন্নয়ন মানে জাতীয় উন্নয়ন। একটি দেশের উন্নয়নকে জাতীয় উন্নয়ন বলা হয় এখানে বিশেষ করে ব্যক্তি কিংবা ক্লিন করে অঞ্চলের উন্নয়নকে বোঝায় না।। তবে সমাজের সকল শ্রেণীর উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন ঘটানো যায় যখন সমাজের প্রত্যেকটি জাতি স্বস্তিতে বসবাস করবে এবং সমাজ উন্নত হবে তখন দেশ ও উন্নয়ন হবে। এজন্য বিজ্ঞানীরা বলেন সমাজকর্মের ফলে দেশের উন্নয়ন ঘটে।
প্রয়োজনীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহার
সমাজকর্মের মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য হলো প্রয়োজনীয় সম্পদ গুলোর সঠিক ব্যবহার করা। সম্পদ বলতে বোঝায় মানুষের জমি কিংবা অর্থ যার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে আরও অধিক অর্থ উপার্জন করা যায়। একজন ব্যক্তি তার সম্পদের কিছু অংশ বিনিয়োগ এর জন্য ব্যবহার করে।
এবং কিছু অংশ সঞ্চয় করে আর যা বেঁচে যাই ভোগ কাজে ব্যবহার করে। সম্পদের সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে বিনিয়োগ করা হবে না সঞ্চয় করা হবে না যার ফলে সম্পদের মূল্য থাকবে না। এইজন্য সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য হলো প্রয়োজনীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সমাজ কর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সমাজকর্ম সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করলাম সমাজকর্মের জনক হল Mary Ellen Richmond।
লেখকের শেষ বক্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে সমাজকর্ম কাকে বলে সমাজকর্মের জনক কে সমাজকর্মের সংজ্ঞা এবং সমাজকর্ম কোন ধরনের বিজ্ঞান পাশাপাশি সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম সমাজকর্ম হলো ব্যবহারিক বিজ্ঞান। সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য হলো সমাজে মানুষের সমস্যা সমাধান করা এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য হল প্রয়োজনীয় সম্পর্কে সঠিকভাবে ব্যবহার করা এবং সামান্য সাধন করা একে অপরের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করা পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা। এবং সমাজে শান্তি বিস্তার করাই হলো সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য আপনি যদি সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য আহরণ করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ দেখুন।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আরো দেখলাম সমাজকর্মের জনক কে সমাজকর্মের জনক বলা হয় Mary Elen Richmond কে। সমাজকর্মের প্রতি তার অবদান সবচেয়ে বেশি এজন্য তাকে সমাজকর্মের জনক বলা হয়। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন সমাজকর্মের লক্ষ্য কি এবং সমাজকর্মের জনক কে সমাজকর্ম কাকে বলে।
বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url