পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম (গ্যারান্টি সহ A+ আসবেই)

পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম খুঁজছেন? রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করলে অতি দ্রুত পড়াশোনা শেষ হয় এবং পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায়। আজকের এই আর্টিকেল আমরা এমন একটি পড়া রুটিন শেয়ার করব যার মাধ্যমে গ্যারান্টি সহ পরীক্ষাতে এ প্লাস আসবে। প্রতিদিন পড়ার দুদিন ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন ১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন, ৮ ঘণ্টা পড়ার রুটিন, ৬ ঘন্টা পড়ার রুটিন, সাথে পড়ার রুটিনের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম (গ্যারান্টি সহ A+ আসবেই)।
পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম
আজকের এই একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে পড়ার রুটিন সহ পরীক্ষার সাজেশন পর্যন্ত পেয়ে যাবেন তাই এদিক ওদিক না তাকিয়ে মনোযোগ সহ আর্টিকেলটি সম্পন্ন দেখতে থাকুন। চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি ১২ ঘণ্টা পড়ার রুটিন, ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন, পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন পড়ার রুটিন তৈরি করলে কি হয় এবং পড়ার রুটিনের গুরুত্ব কি। পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম দেখুন (গ্যারান্টি সহ A+ আসবেই)।

পড়ার রুটিন তৈরি করলে কি হয়?

পড়ার রুটিন তৈরি করলে প্রতিটি পড়ার সময় মত সম্পন্ন হয় পড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য রুটিন তৈরি করা খুবই জরুরী। লক্ষ্য করে দেখলে বুঝা যাবে ক্লাসে যে টপার থাকে সে সবসময় রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করে। রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করার সুবিধা অনেক। 
  • রুটিন অনুসারে পড়া করলে কোন পড়া পড়তে হবে?সে বিষয়টি স্মৃতিশক্তিতে সংরক্ষণ থাকে ।
  • রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করলে টাইমের অপচয় রোধ হয় এবং সঠিক টাইমে পড়া সম্পন্ন হয়।। 
  • নিয়মিত পড়া রুটিন তৈরি করলে কোন পড়া কখন পড়তে হবে সেই বিষয়ে তালিকা তৈরি হয়।
  • রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করলে ধীরে ধীরে স্টুডেন্ট উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাই। 
  •  ছোট থেকে একটি বাচ্চাকে রুটিন অনুসারে পড়াশোনা শেখালে এসে বড় হয়ে সে বিষয়টি অনুসরণ করবে এবং ভবিষ্যতে ভালো কিছু অর্জন করতে পারবে।  
  • পড়ার রুটিন একজন শিক্ষার্থী থেকে আরো বেশি দায়িত্বশীল করে তোলে।
  • রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করলেই সময়ের অপচয় রোধ হয় এবং সঠিক সময়ে প্রতিটি করা সম্পন্ন হয় এতে সময় বাঁচিয়ে নিজেকে আরো অন্য কাজে নিয়োগ দেওয়া যায়।
  • রুটিন একজন ব্যক্তিকে দায়িত্বশীল করে তোলে। 
  • পড়ার রুটিন একজন শিক্ষার্থীকে ভালো ফলাফল অর্জন করতে সাহায্য করে।
  • সময়ের অপব্যবহার মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায় এই জন্য সময়ের সদ্ব্যবহার করতে রুটিন তৈরি করতে হবে।
  • জীবনের সফল হতে চাইলে কাজের পরিধি অনুসারে রুটিন তৈরি করতে হবে।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পড়ার রুটিন তৈরি করলে কি হয় পরে রুটিন তৈরি করলে উপরের এই উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন দুটি অনুসারে পড়াশোনা করার গুরুত্ব অনেক। যখন একজন ছাত্র রুটিন অনুসারে পড়া শুরু করবে তখন তার মধ্যে দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পাবে সময়ের অপব্যবহার কম করবে। 

সময়ের মূল্য বুঝতে শিখবে। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য রুটিন তৈরি করা খুবই জরুরী। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা পড়ার রুটিন তৈরি করার নিয়ম গুলো শেয়ার করব নিচে দেখে নিন পড়া রুটিন তৈরি করার নিয়ম। 

পড়ার রুটিন তৈরি

পড়ার রুটিন তৈরি করার নিয়ম কি? রুটিন তৈরি করার একটি সহজ নিয়ম আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যথাযথ সময় পরাধীন তৈরি করে পড়াশোনা করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। পরের দিন অনুসারে পড়াশোনা করলে শিক্ষার্থীর সময়ের গুরুত্ব বাড়ে পড়াশুনা শুরু করে তাই ঝটপট দেখে নিন পড়ার রুটিন তৈরি করার নিয়ম গুলো এই নিয়ম অনুসারে খুব সহজে বাসায় পড়ার রুটিন তৈরি করতে পারবেন। 

অনেকেই খুব সকালে পড়াশোনা করতে ভালোবাসেন আবার অনেকে রাতে পড়াশোনা করতে ভালবাসেন। যার পছন্দ যেমনই হোক না কেন রুটিন তৈরি করে রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করতে হবে। আর বিজ্ঞানীরা বলেন পড়াশোনার জন্য সবচেয়ে সেরা সময় হলো সকাল। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রেইন সম্পন্ন ফ্রেস থাকে এই সময় পড়াশোনা করলে অতি দ্রুত যেকোনো পড়া বুঝা যায় এবং পড়াটি মুখস্ত করা যায়। 

যে পড়াটি মুখস্ত করার জন্য রাতে দুই ঘন্টা প্রয়োজন হয় সে পড়াটি সকালে উঠে অনায়াসে ৩০ মিনিটে সম্পূর্ণ করা যায়। এইজন্য শিক্ষার্থীদের কে প্রতিদিন সকালে উঠে পড়াশোনা করতে হবে এছাড়া সকালে ওঠা অভ্যাস খুব ভালো সকালে উঠে একটু হাটাহাটি শরীরচর্চা করলে শরীর সুস্থ থাকে মন মেজাজ ভালো থাকে। 

পড়ার রুটিন তৈরি করার জন্য প্রথমে সকালে কোন সময় উঠতে হবে এবং কখন ঘুমাতে হবে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করার জন্য প্রতিদিন সকাল ৬ টাই ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কোন কোন সাবজেক্ট গুলো পড়তে হবে সে সাবজেক্ট গুলোর নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে। তারপর স্কুলে যাওয়ার এক ঘন্টা আগে পড়াশোনা বন্ধ করে সকালের নাস্তা খেতে স্কুল অথবা কলেজের জন্য তৈরি হতে হবে।

একজন শিক্ষার্থী তার ক্লাস রুটিন কে কেন্দ্র করে সে রুটিন তৈরি করবে। ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরে বিশ্রামের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করতে হবে। অনেকেই রাতে পড়তে ভালোবাসে আবার অনেকে সকালে পড়তে ভালোবাসে আমাদের একেকজনের পছন্দ একেক রকম এই জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির পছন্দ অনুসারে রুটিন একটু আলাদা হবে।

প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পড়ার তৈরি কিভাবে করতে হয়। এবার চলুন আমরা দেখে আসি পড়ার রুটিন তৈরি করলে যা হয়।। 

পড়া রুটিন তৈরি করলে যা হয় 

পড়ার রুটিন তৈরি করলে প্রতিটি পড়ার সময় অনুসারে সম্পন্ন হয়। শিক্ষার্থীরা গভীর মনোযোগ সহ পড়ার টেবিলে বই নিয়ে পড়তে বসে। পরে দুদিন তৈরি করার ফলে শিক্ষার্থীদের সময় এর ওপর মনোযোগ দৃঢ় হয় এবং তারা সময়ের অপব্যবহার কম করে এর জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর উচিত পরার রুটিন তৈরি করা। পড়ার রুটিন তৈরি করার ফলে সময় মত পড়া সম্পন্ন হবে এবং সেখান থেকে অতিরিক্ত সময় বাঁচিয়ে অন্য কাজে নিজেকে নিয়োগ করতে পারবে।

পড়ার রুটিন তৈরি করার ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ার প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হয়। ছোট থেকেই বাচ্চাদেরকে প্রোটিন অনুসারে কাজ করা শিখাতে হবে এতে বড় হয়ে তাদের মধ্যে সে গুনাগুন গুলো অক্ষুন্ন থাকবে এতে তারা সবাই অনুষ্ঠানের প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করবে সময়ের গুরুত্ব দিবে এবং পড়াশোনার প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হবে। শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রেই নয় যে কোন কাজের ক্ষেত্রে রুটিন তৈরি করতে হবে রুটিন অনুসারে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে এতে সময়ের অপচয় কম হবে এবং কাজের গুরুত্ব বেড়ে যাবে। 

পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম (গ্যারান্টি সহ A+ আসবেই)

পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম খুবই সহজ এই নিয়ম অনুসারে ঝটপট একটি পড়ার রুটিন তৈরি করুন এবং পরীক্ষাতে গ্যারান্টি সহ এ প্লাস অর্জন করুন অনেকে জিজ্ঞাসা করেন উপায় কি? পরীক্ষাতে এ প্লাস কিংবা ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য রুটিন অনুসারে পড়াশোনা মাফিক পড়াশোনা করতে হবে। নিচে ঝটপট দেখে নিন পড়া রুটিন বানানোর নিয়ম। 

প্রতিদিন সকাল ৪:০০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হবে ফ্রেশ হয়ে রাতের পড়া গুলো রিভাইজ দিতে হবে। ফজরের নামাজের ৫ মিনিট পূর্বে অজু সম্পন্ন করে নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যেতে হবে। প্রত্যেক মুসলিমের সালাত আদায় করা খুবই জরুরী এদের মন মেজাজ উভয় ভালো থাকবে। 

১) সালাত আদায় করে বাইরে স্নিগ্ধ বাতাসে একটু হাঁটাহাঁটি করতে হবে। হাটাহাটি করা এক ধরনের শরীরচর্চা, প্রতিদিন সকালে উঠে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করলে শরীর ফিট থাকবে। 
২) তারপর বাসায় ফিরে নাস্তা সম্পন্ন করে পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনা শেষে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চাইতে হবে।। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে চাওয়া কোন দোয়া অপূরণ থাকে না।
৩)তারপর স্কুলের জন্য রেডি হতে হবে ক্ষুধা লাগবে আর একবার কিছু নাস্তা খেয়ে স্কুলের জন্য তৈরি হয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যেতে হবে। 
৪) স্কুলের যথাসময়ে পড়াশোনা করতে হবে এবং পরে মনোযোগ দিতে হবে। বাসার হোমওয়ার্ক খাতায় লিখে নিয়ে আসতে হবে এবং স্কুল কিংবা কলেজ শেষে বাসায় ফিরতে হবে। বন্ধু বান্ধবের সাথে অযথাই রাস্তায় সময় নষ্ট করা যাবে না।  
৫) স্কুল থেকে বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে একটু বিশ্রাম নিতে হবে তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে একটু হাটাহাটি করতে হবে।তারপর আবারো পড়াশোনা করতে হবে। ৩০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার পর মাগরিবের আজান পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। 
৬) মাগরিবের আযানের ১০ মিনিট আগে পড়াশোনা বন্ধ করে ওজন সম্পন্ন করতে হবে এবং সালাদের উদ্দেশ্যে মসজিদের নিকট রওনা দিতে হবে। 
৭) মাগরিবের সালাত আদায় করে বাসায় ফেরার সময় একটু রাস্তায় হাটাহাটি করতে হবে সন্ধার স্নিগ্ধ বাতাস উপভোগ করতে হবে।। 
৮) মাগরিবের নামাজ শেষে বাসায় ফিরে চা কিংবা কফি অথবা অন্যান্য নাস্তা খেয়ে রাত ৯ টা পর্যন্ত পড়াশুনা করতে হবে। 
৯) ৯:৩০ এর মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। রাতের খাবার খাওয়ার জন্য ৯ টা ৩০ সময় টি সবচেয়ে পারফেক্ট। 
১০) খাবার শেষে ৩০ মিনিট পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটাতে হবে। তারপর আবারও ১০টা থেকে এগারোটা পর্যন্ত সারাদিনে কি কি পড়েছেন সে বিষয়গুলো রিভাইজ দিতে হবে।
১১) রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে মহান আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা চাইবেন। মহান আল্লাহতালা যেন অধিক স্মৃতিশক্তি প্রদান করে এবং পড়ার প্রতি আরো মনোযোগী করে তোলে।

উপরের এই নিয়ম অনুসারে পড়ার রুটিন তৈরি করলে আশা করছি শরীর সুস্থ থাকবে মন-মানসিকতা ভালো থাকবে এবং পড়ার প্রতি আগ্রহ আরও বাড়বে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন নিয়মিত একটি রুটিন তৈরি করলে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায় শরীর সুস্থ থাকে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি পড়ার রুটিন তৈরির গুরুত্ব। 

পড়ার রুটিন তৈরির গুরুত্ব 

আশা করছি ওপরে নিয়ম অনুসারে একটি রুটিন তৈরি করতে পেরেছেন সেই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করলে জীবনে সফল হতে পারবেন। বর্তমান সময় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর সময়ের গুরুত্ব দিতে জানে না। সময়ের অপব্যবহার করে যার ফলে জীবনে ভালো কিছু অর্জন হতে পারে না। 

সময়ের গুরুত্ব দিতে না জানলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব না যে ব্যক্তি সময়ের মূল্য দিতে জানে সে ব্যক্তি জীবনের সফল হয় এই জন্য সময়ের গুরুত্ব দিতে হবে এবং পড়ার রুটিন তৈরি করতে হবে।। পড়া রুটিন একজন শিক্ষার্থীকে নিয়মানুবর্তিতা এবং শৃঙ্খলাবোধ শিখায়। 
  • পড়ার রুটিন একজন শিক্ষার্থী থেকে আরো বেশি দায়িত্বশীল করে তোলে। 
  • পড়ার রুটিন শিক্ষার্থীকে সময়ের প্রতি আরো বেশি মনোযোগী করে তোলে। 
  • পড়া রুটিন তৈরি করলে সময় অপব্যবহার অথবা অপচয় কম হয়। 
  • মহান আল্লাহ তায়ালার সময় অপচয়কারীকে অপছন্দ করেন। 
  • পড়ার রুটিন একজন শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা প্রতি আরো বেশি মনোযোগী করে তুলতে সাহায্য করে। 
  • পড়া রুটিন তৈরি করলে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায় 
  • পড়া রুটিন তৈরি করলে ক্লাস টপার হওয়া যায়। 
  • অনেক শিক্ষার্থীরা কোন একটি বিষয় পছন্দ থাকলে সেই বিষয়ের প্রতি বেশি প্রাধান্য প্রদান করে এবং যে বিষয়ে দুর্বল সে বিষয়টি পড়া বাদ দিয়ে দেয় যার ফলে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা হয় না কিন্তু পরাধীন তৈরি করলে প্রতিটি সাবজেক্ট সমান পরিমাণে পড়তে হবে।
  • পড়ার রুটিন তৈরি করলে ডেইলি পড়া সময় মতো অসম্পন্ন হয়।
  • পড়া রুটিন তৈরি করলে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পড়ার রুটিন তৈরির গুরুত্ব সম্পর্কে পড়ার রুটিন তৈরি করার গুরুত্ব অনেক পড়ার রুটিন একজন শিক্ষার্থীকে নিয়মানুবর্তিতা শিখায় এবং তাকে আর বেশি দায়িত্বশীল করে তুলে পরার প্রতি মনোযোগী করে তোলে সময়ের অপচয় রোধ করে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন একজন শিক্ষার্থীর জীবনে রুটিন তৈরি করার গুরুত্ব কতটুকু। এবার চলুন আমরা দেখে আসি পড়ার রুটিন তৈরি করার নিয়ম / ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন।

পড়ার রুটিন তৈরি করার নিয়ম / ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন

প্রতিদিন সকাল 4: 00 মিনিটে ঘুম থেকে উঠে ফজরের সালাতের পাঁচ মিনিট আগে পর্যন্ত পড়াশুনা করতে হবে। 
সালাত নামাজ আদায় করে 5:45 এর মধ্যে বাসায় ফিরে চা কিংবা কফি খেয়ে একটি রুটিন লেখা শুরু করতে হবে। সারাদিনে কি কি কাজ রয়েছে এবং কোন কোন কাজ কোন সময় সম্পন্ন করতে হবে সেই সমস্ত বিষয়গুলো তালিকাভুক্ত করতে হবে। 
  • 6:00 - 8:30 পর্যন্ত মিনিট থেকে একটানা পড়াশোনা করতে হবে। (2 ঘন্টা 30 মিনিট)
  • 8:30 - 9:00 পর্যন্ত ক্লাসের জন্য রেডি হতে হবে তারপর স্কুলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যেতে হবে।
  • ক্লাসে মনোযোগ সহ পড়াশুনা করতে হবে এবং প্রতিটি পরা খাতায় নোট করতে হবে। প্রতিটি সাবজেক্টের জন্য আলাদা আলাদা খাতা রাখতে হবে। 
  • স্কুল 2:00 মিনিটে শেষ হলে 2:30 এর মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে। 
  • 2:30 থেকে 3:00 এর মধ্যে ফ্রেশ হতে হবে। 
  • 3:00 - 3:30 সময়ের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং বিশ্রাম নিতে হবে। 
  •  4:00 থেকে একতলা পড়াশোনা করতে হবে মাগরিবের আজানের (6:30) আগ পর্যন্ত। (2 ঘন্টা 30 মিনিট)
  • মাগরিবের আজানের ৫ মিনিট আগে পড়াশোনা শেষ করে অজু সম্পন্ন করে সালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে রওনা দিতে হবে। 
  • মসজিদ থেকে সালাত শেষে বাসায় ফিরে আসার সময় রাস্তায় একটু হাঁটাহাঁটি করতে হবে এবং সন্ধ্যার স্নিগ্ধ বাতাস উপভোগ করতে হবে। 
  • 7:00 সময় বাসায় ফিরে 7:15 এর মধ্যে হালকা চা অথবা নাস্তা খেয়ে নিতে হবে।
  • তারপর 7:15 থেকে একটানা রাত 9:15 পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। (2 ঘন্টা)
  • 9:15 থেকে 9:30 এরমধ্যে রাতের খাওয়া সম্পন্ন করে 30 পরিবারের সাথে সময় কাটাতে হবে। 
  • 10:30 এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। পরের দিন আবার সকালে 4:00 মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হবে। 
ভালো ছাত্ররা সবসময় উপরের এই রুটির অনুসারে পড়াশোনা করে এবং তারা সময়মতো সালাত আদায় করে। সালাত আদায় করার ফলে মন মেজাজ ভালো থাকে শরীরচর্চা হয় এতে শরীর সুস্থ থাকে এবং প্রতিবার তারা তাদের সময় মহান আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করবেন।

 যেন আল্লাহ তা'আলা আপনাকে আরো অধিক জ্ঞানের সমৃদ্ধি প্রদান করে। আশা করছি ওপরের এই পড়ার রুটিন তৈরি করার নিয়ম / ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন আপনার পছন্দ হয়েছে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন।

১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন

১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন করছেন? পরীক্ষার আগে ১২ ঘন্টা পড়া খুবই জরুরী পরীক্ষার আগে বেশি বেশি পড়াশোনা না করলে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা যাবে না আর ভালো ফলাফল অর্জন করতে না পারলে ভবিষ্যৎ ভালো হবে না। তাই নিজে দেখে নিন ১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন দেওয়া হয়েছে।
  • প্রতিদিন সকাল ৩:৪০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হবে এবং ৪:০০ এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে বই নিয়ে পড়ার টেবিলে পড়তে বসতে হবে। 
  • ৪:০০ থেকে ৮:০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। (৪ ঘন্টা)
  • ৮:০০ থেকে স্কুলের জন্য রেডি হতে হবে এবং সকালের নাস্তা খেয়ে নিতে হবে। 
  • স্কুলের জন্য রেডি হয়ে ৯টা এর আগে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।
  • তারপর ৯ টা এর মধ্যে স্কুলে পৌঁছে ভালো হয়ে পড়াশোনা করতে হবে শিক্ষকদের আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে হবে এবং তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। 
  • দুপুর ২ টা ০০ মিনিটে ক্লাস শেষ হলে ২:৩০ এর মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে। 
  • ২:০০ থেকে ৩:০০ এর মধ্যেই গোসল করে ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে বসে দুপুরের খাবার সম্পন্ন করতে হবে।
  • ৩:৩০ এর মধ্যে খাবার খেয়ে একটু রেস্ট করতে হবে। তারপর ৩:০০ থেকে ৭:০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। (৪ ঘন্টা)
  • ৭:০০ থেকে ৭:১০ এর মধ্যে নাস্তা খেয়ে নিতে হবে। ঘুম ঘুম ভাব কাটানোর জন্য চা অথবা কফি খেয়ে নিতে হবে। 
  • ৭:১০-৯:৪০ পর্যন্ত আবারও একটানা পড়াশোনা করতে হবে। (২ .৩০ মিনিট)
  • ৯:৪০ - ১০:০০ এর মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। 
  • ১০:০০ মিনিট থেকে ১১:৩০ পর্যন্ত আবারও একটানা পড়াশোনা করতে হবে। (১.৩০ মিনিট)
  • ১১:৩০ থেকে ১২:০০ এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে তারপর পরবর্তী দিনে আবারও সকাল ৩:৪০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
আপনারা যারা ভালো স্টুডেন্ট ১২ ঘণ্টার রুটিন খুঁজছিলেন তাদের জন্য উপরের এই রুটিনটি খুবই ভালো হবে। তবে পরীক্ষার আগের এক মাস রেগুলার স্কুলে ক্লাস না করে সম্পূর্ণ সাজেশন গুছিয়ে নিয়ে পড়া রুটিন তৈরি করে দিনে ১২ ঘন্টা থেকে ১৩ ঘন্টা পড়াশোনা করলে অনায়াসে পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করা যাবে। 

১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করা একটু কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে এই জন্য পরীক্ষার আগের এক মাস মাঝে মাঝে ক্লাস করতে হবে এবং নিয়মিত দিনে 12 থেকে 13 ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন। 

৮ ঘণ্টা পড়ার রুটিন

আপনি কি ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন খুঁজছেন? নিচে দেখে নিন ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন দেওয়া রয়েছে। 
  • প্রতিদিন সকাল ৪:০০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হবে। ৪:১৫ এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে চা অথবা কফি খেয়ে নিতে হবে এতে ঘুম ঘুম ভাব কেটে যাবে। 
  • ৪:১৫ থেকে ৮:১৫ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। রাতে কি কি পড়েছেন সে পড়া গুলো মনে আছে নাকি আরো একবার চেক করে নিতে হবে। ( ৪ ঘন্টা)
  • ৮:১৫ থেকে ৯ টা এর মধ্যে স্কুলের জন্য রেডি হয়ে, স্কুলে যেতে হবে। নিয়মিত স্কুলে ক্লাস করতে হবে স্কুলের পরীক্ষার আগে বিভিন্ন সাজেশন দেয় সেই সাজেশন গুলো সংরক্ষণ করতে হবে।
  • দুপুর ২ টা ০০ মিনিটে স্কুল শেষ হলে ২:৩০ এর মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে। এদিকে ওদিক বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সবাই নষ্ট করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব বাসায় ফিরতে হবে এবং সময়ের অপচয় রোধ করতে হবে। 
  • ২:৩০ থেকে ৩:০০ মিনিটের মধ্যে খাবার সম্পন্ন করতে হবে এবং ফ্রেশ হতে হবে। তারপর ৩০ মিনিট বিশ্রাম করতে হবে। এই সময়টি বাসায় বিশ্রাম করলে শরীরে আরো এনার্জি আসবে।
  • ৪:০০ থেকে ৬:৩০ পর্যন্ত আবারও একটানা পড়াশোনা করতে হবে। (২ ঘন্টা ৩০ মিনিট) তারপর ৩০ মিনিট বাইরে হাটাহাটি কিংবা ঘুরাঘুরি করতে হবে। 
  • ৭:১৫ এর মধ্যে বাসায় ফিরে ১৫ মিনিট বাসায় না থেকে তো হবে কিংবা চা অথবা কফি খেতে হবে এতে শরীরে ফ্রেশ ভাব আসবে। চা অথবা কফি খেলে শরীরে অতিরিক্ত এনার্জি উৎপন্ন হয়। 
  • বাসায় পরিবারের সাথে ৩০ মিনিট কাটাতে হবে। তারপর ৮:০০ থেকে ৯:৩০ পর্যন্ত আবারো পড়াশোনা করতে হবে। ( ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট)
  • ৯:৩০ থেকে দশটা এর মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করতে হবে। পরীক্ষা ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য তার কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে। 
  • ১০:৩০ এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে তারপর পরবর্তী দিনে আবারও সকাল ৪:০০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠার জন্য প্রতিদিন রাতে এলার্ম সেট করতে হবে।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি উপরের এই ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন আপনাদের পছন্দ হয়েছে। এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করলে খুব সহজেই দিনে ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতে পারবেন। অনেকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি আট ঘন্টা কিভাবে পড়বো? একটু বুদ্ধি খাটিয়ে পড়াশোনা করলে দিনে 8 ঘন্টা পড়াশোনা করা যেতে পারে আর কখনোই একটানা ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করবেন না।

এতে ব্রেনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে এবং পড়াশোনার প্রতি একঘেয়েমি কাজ করতে পারে। সারাদিনে অল্প অল্প করে সময় বের করে পড়াশোনা করতে হবে এতে পড়ার প্রতি মনোযোগ বাড়বে এবং একঘেয়েমি আসবেনা। আর পড়ার মাঝে বারবার নাস্তা খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং পড়ার প্রতি মনোযোগ আরো দৃঢ় হবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ৬ ঘন্টা পড়ার রুটিন। 

৬ ঘন্টা পড়ার রুটিন 

আপনি কি ৬ ঘন্টা পড়ার রুটিন খুজছেন? তাহলে নিচে দেখে নিন আমরা ৬ ঘন্টা পড়ার রুটিন শেয়ার করেছি এই রুটিন অনুসারে পড়লে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল ও করতে পারবেন।

প্রতিদিন সকাল ৬:০০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হবে এবং ছয়টা ১৫ এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে নিতে হবে এক কাপ চা অথবা কফি খেয়ে নিলে ঘুম ঘুম ভাব কেটে যাবে এবং শরীরে ফ্রেশনেশ ভাব আসবে।

৬:১৫ থেকে ৮:১৫ পর্যন্ত একটানা ২ ঘণ্টা পড়াশোনা করতে হবে। এই সময় পড়াশোনা করলে যে কোন পড়া অতি দ্রুত মুখস্ত হবে এবং পড়াটি দীর্ঘদিন ব্রেনের সংরক্ষণ থাকবে। ৮:১৫ থেকে স্কুলের জন্য তৈরি হতে হবে এবং সকালের নাস্তা খেয়ে নিতে হবে। তারপর ৯:০০ টার মধ্যে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে এবং স্কুল থেকে দুপুর ২ টাই ছুটি দিলে ২:৩০ এর মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে।
  • ২:৩০ থেকে ৩:০০ এর মধ্যে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে ৩:৩০ এরমধ্যে খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিতে হবে। 
  • ৩:৩০ থেকে ৫:৩০ পর্যন্ত আবারও দুই ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে। তারপর পাঁচটা তিরিশ থেকে ৬:৩০ পর্যন্ত বাইরে ঘুরাঘুরি করতে হবে কিংবা হাঁটাহাঁটি খেলাধুলা করতে হবে ।
  • ৭:০০ এর মধ্যে বাসায় ফিরে ৭:১৫ মিনিটে নাস্তা খেয়ে নিতে হবে তারপর চা অথবা কফি খেয়ে শরীরের ফ্রেশ ভাব আনতে হবে।
  • ৭:৩০ থেকে ৯:৩০ পর্যন্ত আবারো ২ ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে। কালকে সকালে স্কুলে কি কি হোমওয়ার্ক দিয়েছে সে পড়াগুলো কমপ্লিট করতে হবে। 
 ৯:৩০ থেকে ১০:০০ এর মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে ১০:৩০ এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। তারপর আবার পরের দিন সকাল ৬:০০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে অ্যালার্ম সেট করতে হবে। 

আরো দেখুন: tufnil খেলে কি হয়? Tufnil খেয়ে মিনিটে মাথাব্যথা দুর করুন
প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের এই ৬ ঘণ্টা পড়ার রুটিন আপনার পছন্দ হয়েছে। পড়াশোনা করলে আশা করছি পরীক্ষা দিয়ে গ্যারান্টি সহ A প্লাস অর্জন করতে পারবেন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে কালকে রাতে কি কি পড়েছেন সে পড়াগুলো স্মৃতিশক্তিতে সংরক্ষণ আছে নাকি চেক করার জন্য আগে সে পড়া গুলো না দেখে বলার চেষ্টা করবেন।

তারপর পড়াগুলো আরো একবার রিভাইজ দিতে হবে। সারাদিনে কি কি কাজ রয়েছে কোন সময় কি কি কাজ সম্পন্ন করতে হবে সেই বিষয়গুলো তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং সারাদিনের একটি রুটিন তৈরি করতে হবে। আজকের এই পোস্টে আমরা ভাল ছাত্রদের পড়ার রুটিন সহ পড়ার রুটিন তৈরি করার নিয়ম গুলো শেয়ার করলাম। 

লেখক এর শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম পড়ার রুটিন তৈরি করার নিয়ম দিনে ১২ ঘন্টা পড়ার রুটিন, আধঘন্টা পরার রুটিন এবং ৬ ঘন্টা পড়ার বিভিন্ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আপনারা যারা প্রতিদিন ৬ থেকে ১০ ঘন্টা পড়াশোনা করতে চান তাদের জন্য আজকের এ পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার আগের এক মাস অন্তত দিনে ১২ ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে। 

লক্ষ্য করে দেখবেন যারা ক্লাস টপার রয়েছে তারা প্রতিদিন ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করে। এবং প্রতিদিন সকালে উঠে আমরা অনেকেই সকালে উঠতে পারি না যার কারণে পড়াশোনায় উন্নতি করতে পারি না। পড়াশোনায় ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য প্রথম শর্ত হলো প্রতিদিন সকালে উঠতে হবে সকালে উঠে পড়াশোনা করলে সে পড়াটি দীর্ঘদিন পেড়ে সংরক্ষণ থাকে এবং যেকোনো করা অতীত দ্রুত সম্পন্ন হয়ে যায়। 

প্রতিদিন সকালে ওঠার অভ্যাস না থাকলে মোবাইলে আলার্ম সেট করবেন এবং নিয়মিত সকাল ছয়টায় চেষ্টা করবেন। নিয়মিত সকাল ছয়টায় উঠতে শুরু করলে এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে এবং প্রতিদিন সকাল ছয়টায় ঘুম ভেংগে যাবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা পড়া রুটিন তৈরি গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করলাম আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url