৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন-পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়

সামনে পরীক্ষা? পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রতিদিন ৮ ঘন্টা পড়তে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন সারাদিনের মাঝে কিভাবে তিনি আট ঘন্টা বের করে পড়াশোনা করা যায় আজকে আমরা সেই বিষয়গুলো আলোচনা করব। দিনে ৮ ঘণ্টা পড়ার রুটিন পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায় পরীক্ষার আগে পড়ার রুটিন, ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন এবং দিনে দশ ঘণ্টা পরার রুটিন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন-পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়
আপনি যদি দিনে ৮ ঘন্টা পড়তে চান এবং পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল করতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি পড়ুন। কিভাবে অল্প করে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা যায়? আজকে আমরা সেই বিষয়গুলো শেয়ার করব। চলুন তাহলে ঝটপট দেখে আসি ৮ ঘণ্টা পরার রুটিন, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়, ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন এবং পরীক্ষার আগে পড়া রুটিন। 

পেজ সূচিপত্র 

    ভূমিকা    

প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি রুটিন প্রয়োজন। রুটিন অনুসারে কাজ করলে প্রতিটি কাজ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়। ঠিক তেমনি রুটিন তৈরি করলে প্রতিটি পড়ার সময় মত সম্পন্ন হবে। রুটিন থাকলে সময়ের অপব্যবহার কম হয়। রুটিন থাকলে সময়ের গুরুত্ব থাকে । 

বুদ্ধিমান এর কাজ হল রুটিন তৈরি করে পড়াশোনা করা, এতে সময়ের অপব্যবহার কম হবে এবং পড়াশোনা মনোযোগ বসবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন এবং পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো শেয়ার করব।

৮ ঘণ্টা পড়ার রুটিন

দিনে আট ঘন্টা পড়াশোনা করতে চান? আমরা সারাদিন মোবাইল ফেসবুক ব্যবহার করে কত সময় নষ্ট করি এই সময় পড়াশোনা করলে বহুদূর এগিয়ে যেতে পারবো তাই মোবাইল বন্ধ রাখুন মেসেঞ্জার কিংবা ভাইবারে চ্যাটিং বন্ধ করুন এবং বই নিয়ে টেবিল টেনে পড়তে বসুন এতে আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। মোবাইল ব্যবহারের জন্য তিনি নির্দিষ্ট টাইম বের করুন। 

যেমন দুপুর দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত এই সময়টি ইচ্ছা অনুসারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন। যারা ক্লাস এই ট ফার্স্ট এবং সেকেন্ড তারা সারাদিন পাগলের মত পড়াশোনা করে অন্তত পরীক্ষার এক মাস আগে তাদের মতো দুনিয়াদারি ভুলে যে পাগলের মতো পড়াশোনা শুরু করুন।

এতে আপনার পরীক্ষাতে রেজাল্ট ভালো হতে পারে। আর দিনে অতিরিক্ত সময় বের করার জন্য প্রতিদিন সকালে ওঠার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন সকালে উঠলে মন এবং মেজাজ উভয় ভালো থাকে পাশাপাশি সকালে উঠে শরীর চর্চা করলে শরীর ফিট থাকবে। 

এইজন্য প্রতিদিন সকালে উঠতে হবে সকালে উঠে সবার আগে ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে। আপনি কখন কোন সময় কোন কাজগুলো সম্পন্ন করবেন সেই সকল কাজ রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নিচে দেখে নিন ৮ ঘন্টা পড়া রুটিন দেওয়া রয়েছে। এই রুটিনটি আপনাদের স্টুডেন্টদের জন্য কাজে আসবে।
চোক 
  • ৮ ঘন্টা রুটিনে প্রতিদিন সকাল ৬ টাই উঠতে হবে।
  • ৬.০০-৬.৩০ এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেয়ে নিতে হবে।
  • ৬.৩০-৮.৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা  করতে হবে। (২ ঘন্টা)
  • ৮.৩০-৯.০০ এর মধ্যে স্কুলের জন্য তৈরি হতে হবে।
  • ১০.০০ এর মধ্যে স্কুলে পৌঁছাতে হবে।
  • ২.০০-২.৩০ এর মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে।
  • ২.৩০-৩.০০ এর মধ্যে গোসল সম্পন্ন করে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। 
  • ৩০ মিনিট বিশ্রাম করতে হবে।
  • ৩.৩০-৫.৩০ পর্যন্ত আবার স্কুলের পড়াশোনা করতে হবে। (২ ঘন্টা)
  • ৩০ মিনিটে বাইরে ঘুরাঘুরি, হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
  • ৬.০০-৬.১৫ এর মধ্যে নাস্তা করতে হবে।
  • ৬.৩০-১০.৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। (৪ ঘণ্টা)
  • ১০.৩০-১১.০০ এর মধ্যে রাতের খাওয়াদাওয়া করতে হবে।
  • ১১.৩০- সকাল ৬.০০ পর্যন্ত ঘুমাতে হবে। (৬.৩০ মিনিট ঘুম)
যারা প্রতিদিন ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ওপরের এই রুটিনটি পারফেক্ট ভাবে প্রতিদিন সকাল ছয়টায় উঠতে হবে এবং সকাল ৬.০০ থেকে ৬.৩০ এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে চা অথবা কফি খেয়ে নিতে হবে। তারপর ৬:৩০ থেকে ৮ টা ৩০ পর্যন্ত একটানা পড়াশোনা করতে হবে, প্রতিদিন সকালে দুই ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে।

গতকাল রাতে যা যা পড়েছে সে পড়া গুলো মনে আছে কি সকালে উঠে একবার রিভাইস দিতে হবে। ৮:৩০ পর্যন্ত ২ ঘন্টা পড়াশোনা করে ৮.৩০ থেকে ৯.০০ এর মধ্যে স্কুল এর জন্য তৈরি হয়ে নাস্তা করতে হবে। তারপর দশটার মধ্যে স্কুলে পৌঁছাতে হবে। স্কুল থেকে দুফুর ২.০০ মিনিটে ছুটি হলে,

২ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে এদিক ওদিক সময় নষ্ট করা যাবে না। ২:৩০ থেকে ৩ঃ০০ এর মধ্যে গোসল সম্পন্ন করে খাওয়া দাওয়া করতে হবে তারপর ৩০ মিনিট বিশ্রাম করতে হবে। ৩:৩০ মিনিট থেকে ৫ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আবার দুই ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে আজকে স্কুলে কি কি পড়েছেন সে পড়াগুলো কমপ্লিট করতে হবে। 

সকালে ২ ঘন্টা পড়া এবং দুপুরের দুই ঘন্টা পড়া মিলিয়ে চার ঘন্টা পড়া হবে। ৫:৩০ মিনিট পর্যন্ত পড়াশোনা করে ৩০ মিনিট বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে হবে অথবা এক্সারসাইজ করতে হবে। তারপর ৬.০০ এর মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে এবং ৬.১৫ মিনিটের মধ্যেই নাস্তা কমপ্লিট করতে হবে। তারপর বাকি ১৫ মিনিট পরিবারের মানুষের সাথে কথা বলতে হবে। 

6.30 থেকে ১০:৩০ পর্যন্ত আবারও একটানা পড়াশোনা করতে হবে এই পড়াটি হলো পরীক্ষার প্রিপারেশন। ১০.৩০ এ পড়াশোনা শেষে রাতের খাবার সম্পন্ন করতে হবে তারপর ৩০ মিনিট পরিবারের সাথে সময় কাটাতে হবে এবং 11.30 এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে সকাল ছয়টায় এলার্ম সেট করতে হবে। পরের দিন আবার সকাল ছয়টায় উঠতে হবে।

পরীক্ষার আগের এক মাস পর্যন্ত এভাবে পড়াশোনা করতে হবে। তাহলে পরীক্ষা দে খুব অল্প করে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন এই পৃথিবীতে একটি পরিশ্রম না করলে সফলতাকে অর্জন করা সম্ভব নয়। ওপরের এই রুটিন অনুসারে দিনে ০৮ ঘন্টা পড়াশোনা করলে আশা করছি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন এবার চলুন আমরা দেখে আসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো। 

অল্প পড়ে পরীক্ষায় A+ পাওয়ার উপায় 

অনেক শিক্ষার্থীরা জিজ্ঞাসা করেন অল্প পরে পরীক্ষায় A+ পাওয়ার উপায় কি? অল্প পড়ে পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব? আপনি জানল অবাক হবেন যে যারা বুদ্ধিমতি এবং ভালো স্টুডেন্ট তারা দিনের চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পড়াশোনা করে। বোকা ছেলেরা দিনে 10 থেকে 12 ঘন্টা গাধার মতো পড়াশোনা করে। ভালো রেজাল্ট করতে চাইলে দিনে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পরে যথেষ্ট একটু বুদ্ধি খাটিয়ে পড়াশোনা করলে খুব অল্প করে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায়। 

যা মন মনে করুন একটি বইয়ের দশটি অধ্যায় রয়েছে। এই দশটি অধ্যায় পড়ার পেছনে দিনে 10 থেকে 12 ঘন্টা পড়াশোনা করা ভালো হবে? নাকি যে ৫টি চ্যাপ্টারগুলো থেকে প্রশ্ন আসবে সে ৫টি চ্যাপ্টার পড়া ভালো হবে? পরীক্ষার আগে আপনাকে সাজেশন করতে হবে। 

কোন কোন প্রশ্নগুলো আসতে পারে সে প্রশ্নগুলো বেশি বেশি পড়তে হবে এবং ১০ থেকে ১২ ঘন্টা না পরে যে অধ্যায়গুলো থেকে প্রশ্ন আসবে সে অধ্যায়গুলির প্রতি বেশি গুরুত্ব আরোপ করে তিনি চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পড়তে হবে তাহলে পরীক্ষাতে আপনি অল্প করে ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। 

অল্প পড়ে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার আরো একটি দুর্দান্ত অফার হলো বোর্ড কোয়েশ্চেন করতে হবে। বোর্ড বই গাইড বই বাদ দিন এবং বোর্ড কোয়েশ্চেন বইকে হাতে নিন পরীক্ষার আগের এক মাস শুধুমাত্র বোর্ড কোশ্চেন পড়তে হবে। পরীক্ষাতে শুধুমাত্র বোর্ড কোশ্চেন থেকেই প্রশ্ন আসে। 

এজন্য পরীক্ষার আগের এক মাস যদি পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা নিয়মিত বোর্ড প্রশ্ন পড়েন তাহলে পরীক্ষাতে গ্যারান্টি সহ এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন।  এই টিপসটির ব্যাপারে আপনারা অনেকেই জানেন না যে পরীক্ষাতে বেশিরভাগ প্রশ্ন বোর্ড প্রশ্ন থেকে আসে এজন্য পরীক্ষার আগে একটি প্রশ্ন ব্যাংক কিনে নিতে হবে। 

প্রশ্ন ব্যাংক বইয়ে বিগত ১০ বছরের সমস্ত বোর্ড প্রশ্ন দেওয়া রয়েছে এই বইটি পরীক্ষার আগে আপনার যথেষ্ট কাজে আসবে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন অল্প পড়ে পরীক্ষাতে A+ পাওয়ার উপায় গুলো কি কি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো কি কি। 

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো কি কি 

পরীক্ষার নাম শুনলে আমাদের অনেকেরই হাটু কাঁপতে শুরু করে। আমরা মনে মনে ভাবতে থাকি যে পরীক্ষা যদি না থাকতো তাহলে এই ছাত্র জীবন না হয় কতটা সুন্দর হতো? পরীক্ষা মানে নিজেকে প্রমাণ করার আরও একটি সুযোগ। পরীক্ষা মানে একটি চ্যালেঞ্জ। যেখানে অংশগ্রহণ করে আপনাকে আপনার পড়াশোনা প্রমাণ করতে হবে। 

পরীক্ষা যে ভালোভাবে পড়াশোনা করলে হালকা একটু পরিশ্রম করলে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায়।  তবে অনেকে বলেন পরীক্ষার আগে ভালো প্রিপারেশন নিলেও ফলাফল ভালো হয় না কোন প্রশ্ন কমন আসে না। কিভাবে পড়াশোনা করলে প্রশ্ন কমন আসবে এবং ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারব? 

পরীক্ষাতে বেশি বেশি প্রশ্ন কমন পাওয়ার জন্য পরীক্ষার আগের প্রস্তুতি নিতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এমন কয়েকটি শেয়ার করব যে টিপস গুলো অনুসরণ করলে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। নিচে দেখে নিন পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো। 

প্রতিদিন সকালে উঠতে হবে 

পরীক্ষার আগে ভালো ফলাফল লাভ করতে চাইলে আপনাকে প্রতিদিন সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে আমরা অনেকেই সকালে উঠতে পারি না। রাতে ঘুম আসে না এবং সকালে ঘুম যায় না।। আমাদের প্রত্যেকে জীবনে এই সমস্যাটি রয়েছে তবে সমস্ত সমাধান করতে হবে এবং মোবাইলে এলার্ম সেট করতে হবে। সকাল সময়টি পড়াশোনার জন্য সবচেয়ে সেরা।

এই সময় মাথায় করে চিনতে থাকে না যে কোন পড়া দ্রুত মুখস্ত হয়ে যায় আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যে পড়াটি আপনি রাতে মুখস্ত করতে দুই ঘন্টা সময় নিবেন, সে পড়াটি সকালে মাত্র ৩০ মিনিটে মুখস্ত হয়ে যাবে। এছাড়াও সকালে উঠলে পড়ার জন্য আরো এক্সট্রা টাইম পাওয়া যাবে। সকালে উঠে মন মেজাজ উভয় ভালো থাকে। 

সকালে উঠে রুটিন তৈরি 

সকালে উঠে সাভার আগে রুটিন তৈরি করতে হবে আজকে কি কি কাজ রয়েছে কোন সময় কি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যারা স্কুলের ফার্স্ট এবং সেকেন্ড চলাফেরা করেন প্রোটিনের বাইরে কোন কাজ করে না দুদিন তৈরি করে কাজ করলে সময়ের অপচয় কম হয় এবং প্রতিটি কাজ সময় মতো সম্পন্ন হয়। এইজন্য সকালে উঠে সবার আগে রুটিন তৈরি করতে হবে আপনি কোন সময় কোন কাজ করবেন এবং সকালে কত ঘন্টা পড়বেন সে সমস্ত বিষয় রুটিন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

পড়া বারবার রিভাইজ দিতে হবে

যেকোনো পড়া বারবার রিভাইস দিতে হবে আমরা অনেকে একটি পড়া পড়ে আবার অন্য পরা পড়তে শুরু করি কিন্তু এভাবে পড়াশোনা করলে পড়া মনে থাকে না মনে করুন আপনি এখন একটি বই পড়ছেন কিছুক্ষণ পর আবার অন্য আরেকটি বই পড়া শুরু করলেন এভাবে আগে কি পড়েছেন সে পড়াগুলো আর মনে থাকবে না। আমরা পড়তে বসি কিন্তু আমাদের পড়ার নিয়ম ভুল।

যার কারণে পড়া মনে থাকে না এবং পরীক্ষায় ফলাফল ভালো হয় না যেকোনো পড়া বারবার করতে হবে যেন পড়াটি মনে থাকে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের একই সমস্যা, পড়া মনে থাকে না। পড়া মনে না থাকার কারণ হলো আপনারা সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করেন না। যেকোনো পড়া শেষে সেই পড়াটি বারবার রিভাইস দিতে হবে পড়তে হবে তাহলে সে পড়াটি ব্রেইনে সংরক্ষণ থাকবে এবং পরবর্তী সময়ে আপনি ভুলে যাবেন না। 

পরে শেষে না দেখে লিখা

যেকোনো পড়া শেষে না দেখে লিখার অভ্যাস করতে হবে দীর্ঘদিন ব্রেনের সংরক্ষণ থাকবে আমরা একটি পরের শেষে আর একটি বই বের করে পড়া শুরু করি যার ফলে আগে কি পড়েছি কোন বই পড়েছি সে সমস্ত তথ্য আমরা ভুলে যাই, ব্রেইন থেকে আউট হয়ে যায়। এভাবে দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পরলেও ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন না।

যেগুলো পড়া শেষে পড়াটি খাতায় লিখে প্র্যাকটিস করতে হবে আপনি না দেখে লিখতে পারছেন নাকি সে বিষয়টি চেক করতে হবে।। যদি খেতে না দেখে লিখতে পারেন তাহলে অন্য পাড়ার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আর যদি পড়া অনেক বেশি বড় হয় এবং খাতায় লিখতে অনেক সময় প্রয়োজন হয় তাহলে সে পড়াটি না দেখে মুখে বলার চেষ্টা করতে হবে। 

বোর্ড প্রশ্ন পড়তে হবে

পরীক্ষার আগে শুধুমাত্র বোর্ড প্রশ্ন করতে হবে আমরা অনেকেই পরীক্ষার পড়া শুরু করি কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল প্রক্রিয়া। গাইড বই থেকে কখনো পরীক্ষাতে প্রশ্ন কেমন আসে না। পরীক্ষাতে বেশি বেশি প্রশ্ন কমেন্ট পাওয়ার জন্য এবং অল্প করে ভালো ফলাফল লাভ করার জন্য বোর্ড প্রশ্ন করতে হবে। বোর্ড প্রশ্ন পড়লে আপনি প্রশ্ন সম্পর্কে বুঝতে পারবেন বোর্ডে কেমন প্রশ্ন আসে পরীক্ষা দেয় কেমন প্রশ্ন আসতে পারে সেই ধারণাগুলো আপনার মধ্যে তৈরি হবে।।

বিগত সালের প্রশ্নপত্র

পরীক্ষার আগে বিগত সালের প্রশ্নপত্র গুলো দেখতে হবে কিভাবে প্রশ্ন এসেছিল কোন নিয়মে প্রশ্ন এসেছিল। নিয়ম গুলো দেখে রাখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে পরীক্ষা তে কেমন প্রশ্ন আসতে পারে। গাইড বই কিংবা বোর্ড বইতে প্রশ্ন দেওয়া থাকে না। যে প্রশ্নগুলো দেওয়া থাকে সেই অনুসারে প্রশ্ন আসে না এই জন্য বিগত সালের প্রশ্নপত্র দেখতে হবে কিভাবে প্রশ্ন এসেছিল। বিগত সালের প্রশ্নপত্র দেখতে হবে এবং বেশি বেশি সাজেশন বই পড়তে হবে। 

উপরের এই কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করলে অল্প পরে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে পড়াশোনা করলে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা এখন ওপরের এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে তাই আপনি যদি পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট পেতে চান তাহলে বিগত সালের প্রশ্নপত্র দেখা শুরু করুন বেশি বেশি বোর্ড প্রশ্ন পড়ুন, পড়া শেষে না দেখে লিখার চেষ্টা করুন এবং প্রতিদিন সকালে উঠার অভ্যাস তৈরি করুন।

পরীক্ষার আগে পড়ার রুটিন 

পরীক্ষার আগে প্রতিটি স্টুডেন্টের মাথায় প্রচুর চাপ পড়ে যায় এত চাপ না নিয়ে একটু নিজেকে রিলাক্স রাখুন এবং পড়া শুরু করুন। অতিরিক্ত টেনশন করলে কিংবা মানসিক চাপ নিলে পড়া ভালো হবে না এবং পড়া মনে থাকবে না এজন্য নিজেকে শান্ত রাখুন এবং পড়ায় মনোযোগ দিন। 

পরীক্ষার আগে পড়া রুটিন তৈরি করা খুবই জরুরী পরীক্ষার আগে রুটিন তৈরি না করলে পড়া ভালো হবে না। সময় অযথাই নষ্ট হবে। তাই পরীক্ষার আগে ভালো ফলাফল লাভ করার জন্য একটি রুটিন তৈরি করতে হবে। নিচে দেখে নেন পরীক্ষার আগে পড়া রুটিন শেয়ার করেছি এই দুটি অনুসারে পড়াশোনা করলে আশা করছি ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন। 
  • সকাল ৬. থেকে ৮.৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।(২.৩০ মিনিট)
  • ৯.০০ থেকে ফুফুর ২.০০ পর্যন্ত স্কুলে পড়াশোনা করতে হবে।
  • ৩.০০-৬.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। (3 ঘন্টা পড়াশোনা)
  • ৬.০০ থেকে ৬.৩০ পর্যন্ত নাস্তা খেয়ে নিতে হবে। 
  • ৩০ মিনিটে বিশ্রাম করতে হবে।
  • ৭.০০ থেকে ৯.৩০ পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করতে হবে। (২.৩০ ঘন্টা)
  • ৯.৩০ -১০.০০ এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করতে হবে। 
  • ১০.৩০ এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। 
  • ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।
  • পরের দিন আবার সকালে ৫.৩০ এ উঠতে হবে।
  • প্রতিদিন ৭ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
এই রুটিনটি হল পরীক্ষার আগে পড়ার রুটিন প্রতিদিন পরীক্ষার আগে ৮ ঘন্টা পড়তে হবে। পরীক্ষার আগে প্রতিদিন আট ঘন্টা পড়লে পরীক্ষা দেয় খুব ভালো ফল অর্জন করতে পারবেন যেকোনো পড়া বারবার রিভাইস দিতে হবে এবং পড়াটি না দেখে লেখার চেষ্টা করতে হবে।

এতে সেই পড়া দীর্ঘদিন ব্রেনের সংরক্ষণ থাকবে। ওপরের এই নিয়ম অনুসারে পড়াশোনা করলে আশা করছি খুব ভালো ফলাফল আপনি লাভ করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি প্রতিদিন ১০ ঘন্টা পড়া রুটিন। 

প্রতিদিন ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন

দৈনিক 10 ঘণ্টা পড়ার রুটিন খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য দৈনিক দশ ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে। লক্ষ্য করে দেখবেন তারা ফাস্ট এবং সেকেন্ড স্টুডেন্ট রয়েছে তারা দিনে 10 থেকে 12 ঘন্টা পড়াশোনা করে এই জন্য তারা আজ ফাস্ট স্টুডেন্ট হিসেবে পরিচিত।

 আপনি যদি তাদের মতো ফাস্ট স্টুডেন্ট হতে চান তাহলে আপনাকেও দিনে দশ ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন দিনে 10 ঘণ্টা পড়াশোনা কিভাবে করব কিভাবে এত সময় বের করব? দিনে দশ ঘন্টা পড়াশোনা করার জন্য নিয়মিত সকালে উঠতে হবে। নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠলে দিনে খুব সহজেই দশ ঘন্টা পড়তে পারবেন।
  • প্রতিদিন সকাল ৫ঃ ০০ এ ঘুম থেকে উঠতে হবে।
  • সকাল ৫:০০ এ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা কমপ্লিট করতে হবে।। সকালে ঘুম ঘুম ভাবকে কাটানোর জন্য এক কাপ কফি অথবা চা পান করতে হবে।
  • সকাল ৫ঃ৩০ থেকে ৮ টা ৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। ( ৩ ঘণ্টা )
  • 8:30 থেকে 9:00 টার মধ্যে রেডি হয়ে স্কুলের জন্য বের হয়ে যেতে হবে।
  • তারপর স্কুল থেকে ২:৩০ এর মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে
  • তিরিশ মিনিটের মধ্যে ফ্রেশ হতে হবে এবং খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করতে হবে।
  • বাসায় তিরিশ মিনিট রেস্ট করতে হবে।
  • 3:30 থেকে 5:30 পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করতে হবে। (২ ঘন্টা )
  • ৫:৩০ থেকে ৬ টা পর্যন্ত বাইরে হাঁটাহাঁটি অথবা ঘোরাঘুরি করতে হবে।
  • 6:30 এর মধ্যে বাসায় এসে নাস্তা সম্পন্ন করতে হবে।
  • ৬:৩০ থেকে ১০ঃ০০  পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। (৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট)
  • ১০ঃ০০ থেকে ১০ঃ৩০ এর মধ্যে রাতের খাবার সম্পন্ন করতে হবে।
  • ১০ঃ৩০ থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত আবার পড়া গুলো রিভাইজ দিতে হবে। (১ ঘন্টা ৩০ মিনিট )
উপরের এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করলে আশা করছি খুব সহজেই পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন। দিনে 10 ঘন্টা পড়াশোনা করার জন্য প্রতিদিন সকালে উঠতে হবে প্রতিদিন সকালে উঠলে খুব সহজে সময় বের করতে পারবেন এবং সেই সময় পড়াশোনা করে নিজের পড়াশোনায় উন্নতি করতে পারবেন। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের এই ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিনটি আপনার পছন্দ হয়েছে।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম দিনে ৮ ঘণ্টা পরার রুটিন পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় দিনের দশ ঘন্টা পরে রুটিন এবং কিভাবে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা যায় সে বিষয়গুলো শেয়ার করলাম আপনার অনেকে জিজ্ঞাসা করেন অল্প পড়ে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করার উপায় কি? 

পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য সারা দিন রাত পড়ার প্রয়োজন নেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে পড়াশোনা করে খুব সহজে আপনারা পরীক্ষা দে এ প্লাস অর্জন করা যায় লক্ষ্য করে দেখুন আমাদের ক্লাসে অনেক স্টুডেন্ট থাকে যারা খুব কম পড়ে তবু কথাটি ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে।

আমরা ভাবতে থাকি ওই মেয়েটা তো পড়াশোনা করে না তাহলে ও কিভাবে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করে? এর কারণ হলো সে বুদ্ধি খাটিয়ে পড়াশোনা করে পড়াশোনা করলে গাধার মত পরিশ্রম করার দরকার। গাধার মাথায় বুদ্ধি নেই বলে এসে সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে এবং অন্যের বোঝা বয়ে বেড়ায়।

এইজন্য গাধা না হয়ে ঘোরার মত বুদ্ধিমতী হতে হবে এবং অল্প করে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে হবে। আশা করছি আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি উপরের উপায়টি অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজেই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url