স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের মধ্যে পার্থক্য- পরাগায়ন কি
স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের মধ্যে পার্থক্য - পরাগায়ন কি? উদ্ভিদের প্রজনন প্রক্রিয়াকে বলা হয় পরাগায়ন। ফুলের পুংকেশরের পরাগধানীতে অথবা একই ফুলের কিংবা অন্য ফুলের স্ত্রীকেশরের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরকে পরাগায়ন বলা হয়। আপনারা যারা পরাগায়ন সম্পর্কে জানতে চান তারা একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা স্ব পরাগায়ন কাকে বলে? পর পরাগায়ন কাকে বলে? এবং স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের বৈশিষ্ট্য কি? পরাগায়ন কি? পরাগরেণু কাকে বলে? সে সমস্ত বিশেষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের এ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের মধ্যে - পরাগায়ন কি, পরাগায়ন কি, পরাগরেনু কাকে বলে এবং স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের বৈশিষ্ট্য কি সেই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
স্ব পরাগায়ন কাকে বলে
স্ব পরাগায়ন বলতে বোঝায় যেখানে একই ফুলে কিংবা একই উদ্ভিদের অন্য ফুলে পরাগায়ন প্রক্রিয়া ঘটবে।স্ব পরাগায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন থাকে এবং নতুন উদ্ভিদের মধ্যে মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য স্থানান্তরিত হয়। সহজ ভাষায় স্ব পরাগায়ন বলতে বোঝায় একই ফুলে কিংবা একই গাছের বিভিন্ন ফুলের মধ্যে পরাগরেণু স্থানান্তরিত হয়ে যে পরাগায়ন পদ্ধতি হয় তাকেই স্ব পরাগায়ন বলে।
স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে মটরশুঁটি, মিষ্টি কুমড়া, কাঁঠাল, আম, জবা ফুল উদ্ভিদের জন্ম হয়। মটরশুঁটি গাছে এবং মিষ্টি কুমড়া গাছে একই ফুলের মধ্যে কিংবা একই উদ্ভিদের অন্যান্য ফুলের মধ্যে পরাজয় প্রক্রিয়া ঘটে, পরাগরেণু স্থানান্তরিত হয় যার ফলে মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য আক্ষুণ্য থাকে এবং একই ফুল অথবা ফল উৎপন্ন হয় যেমন মটরশুটি, মিষ্টি কুমড়া, কাঁঠাল, আম, জবা ফুল।
আরো দেখুন: পড়ার রুটিন তৈরি করতে চান? ক্লিক করুন এখানে
পর পরাগাওনের তুলনায় তুলনামূলক স্ব পরাগায়ন বেশ সহজ এবং এটি প্রাকৃতিক উপায়ে ঘটে থাকে। স্ব পরাগায়ন পদ্ধতি বায়ু পানি কীটপতঙ্গ অথবা পাখিদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন স্ব পরাগায়ন পদ্ধতি কাকে বলে এবার চলুন আমরা দেখে আসি পর পরাগায়ন কাকে বলে।
পর পরাগায়ন কাকে বলে
পর পরাগায়ন বলতে বোঝায় যখন একই প্রজাতি কিন্তু ২ টি ভিন্ন গাছের ফুলের মধ্যে পড়া করেনি স্থানান্তরিত হয় তখন তাকে পরপর প্রক্রিয়া বলা হয় এই প্রক্রিয়াটি স্ব পরাগায়ন পদ্ধতি তুলো নাই বেশ জটিল। পর পরাগায়ন প্রক্রিয়াতে একটি উদ্ভিদ থেকে আরেকটি উদ্ভিদের নিকট পরাগরেণু স্থানান্তরিত হতে হবে।
পর পরাগায়ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন চরিত্রের উদ্ভিদ সৃষ্টি হতে পারে যখন পড়াগধানী হতে পরাগরেণু অন্য কোন মাধ্যম হতে বাহকের দ্বারা স্থানান্তরিত হয়ে, একই প্রজাতির অন্য কোন উদ্ভিদের ফুলের পরাগরেনু স্থানান্তরিত হবে এবং ফুলের গর্ভমুন্ডে পড়ে তখন তাকে পর পরাগায়ন বলে কিংবা ক্রস পলিনেশন বলে।
স্ব পরাগায়ন এর তুলনায় পড়ে পড়া গায়ে অন প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল কিন্তু এই প্রক্রিয়াতে নতুন উদ্ভিদ নতুন চরিত্রের তৈরি হয়। যেমন একই প্রজাতি কিন্তু ভিন্ন উদ্ভিদের পরাগায়ন পদ্ধতি ঘটে যার ফলে নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি হয় এবং নতুন উদ্ভিদের মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য স্থানান্তরিত হয় না। একটি নতুন চরিত্রের সৃষ্টি হয়।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পর পরাগায়ন কাকে বলে এবার চলুন আমরা দেখে আসি পরাগায়ন কি। নিচে দেখে নিন পরাগায়ন কি দেওয়া রয়েছে।
পরাগায়ন কি
পড়া গান হল উদ্ভিদের বংশ বিস্তারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ফুল থেকে আরেকটি ফুলে পড়া ধরে নিয়ে স্থানান্তর ঘটে। পড়াকে আর বলতে বোঝায় উদ্ভিদের প্রজনন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। এক কথায় ফুলের পুরুষ অংশ থেকে স্ত্রী অংশে পরাগরেণু যাওয়ার প্রক্রিয়াকেই বলা হয় পরাগায়ন।
যখন ফুলের পুরুষ অংশ থেকে স্ত্রী অংশে পরাগরেণু স্থানান্তরিত হবে। তখন নিষেক ক্রিয়া ঘটবে সেখান থেকে হবে এবং নতুন উদ্ভিদ ফুল অথবা বীজের সৃষ্টি হবে।পরাগায়ন বিভিন্ন মাধ্যম থাকে যেমন বায়ু কীটপতঙ্গ পানি পাখি মানুষ।
অনেক ছোট ছোট ফুলের পড়া করে নৌ বাতাসের মাধ্যমে ভেসে যায় এবং অন্য ফুলে যে স্থানান্তরিত হয় এর মাধ্যমে পড়াবেন ঘটে আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছু পাখি ফুলের মধু খেতে গিয়ে পরাজয় অনেক সাহায্য করে
এবং একটি ফুল থেকে আরেকটি ফুলের মধ্যে পরাগরেণু স্থানান্তরিত করে। আবার অনেকেই যারা উদ্ভিদ চাষ করে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কৃত্রিম উপায়ে পরাগায়ন ঘটায়। একটি ফুল থেকে আরেকটি ফুলে পরাগরেণু স্থানান্তরিত করে যার ফলে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয়।
মানুষ কেন কৃত্রিমভাবে পরাগায়ন ঘটায়?
অনেকে প্রশ্ন করতে পারে যে মানুষ কেন কৃত্রিমভাবে পরাগায়ন ঘটায়? ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য নতুন জাতের উদ্ভিদ তৈরি করার জন্য আবার অনেকে ফসল গুণগত মানকে উন্নত করার জন্য কৃত্রিমভাবে পরাগায়ন ঘটায়।
অনেক সময় দেখা যায় কিছু উদ্ভিদ বিলুপ্ত প্রায় হয়ে যায়। অর্থাৎ খুব কম সংখ্যক পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে যদি তাদের কৃত্রিম ভাবে পরাগায়ন ঘটানো না হয় তাহলে তারা একসময় এই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
এই অবস্থায় কৃত্রিমভাবে পড়া গায়ন ঘটাতে হয় পড়া যেমন ঘটনার ফলে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। কৃত্রিমভাবে পরাজয় ঘটনা নিয়ম হলো একটি পুংকেশর থেকে পরাগরেণু সংগ্রহ করে স্ত্রী উদ্ভিদের গর্ভাশয় প্রতিস্থাপন করা এবং পরাগায়ন ঘটানো।
পরাগায়ন এই প্রক্রিয়াটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি পরাগায়ন প্রক্রিয়া না ঘটে তাহলে উদ্ভিদ নতুন উদ্ভিদ জন্ম দিতে ব্যর্থ হবে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে প্রথমে পড়া গরমে পুরুষ ফুল থেকে সংগ্রহ করতে হবে তারপর একটি ছোট ব্রাশ কিংবা অন্য কোন উপকরণের সাহায্যে পরাগরেণু স্ত্রী ফুলের গর্ভ মন্দে স্থানান্তর করতে হবে।
যেমন আম কাঁঠাল এর গাছ বৃদ্ধি করার জন্য ফসল বৃদ্ধি করার জন্য কৃত্রিমভাবে পরাগায়ন করানো হয়। তবে কৃত্রিমভাবে পরাগায়ন ঘটানোর জন্য দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। যে কোন ব্যক্তি এই পদ্ধতিতে নতুন ফসল উৎপাদন করতে পারবে না।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মানুষ কেন কৃত্রিমভাবে পরাগায়ন ঘটায় এবং পরাগায়ন কি। পড়াকে আমি বলতে বোঝায় উদ্ভিদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় এটি তারা নিজেরাও ঘটিয়ে থাকে আবার অন্যের মাধ্যমে ঘটিয়ে থাকে যেমন পাখি বায়ু পানি কীটপতঙ্গ এর মাধ্যমে উদ্ভিদের পরাগায়ন পদ্ধতি সংঘটিত হয়।
কীটপতঙ্গ যেমন মৌমাছি মধু আহরণ করতে যেয়ে তার পায়ের সাহায্যে কিছু পরাগরেণু সংগ্রহ করে এবং অন্য স্ত্রীর গর্ভাশয়ে সেই পরাগরেণু স্থানান্তরিত করে যার ফলে পরাগায়ন পদ্ধতি সংঘটিত হয়। এবার চলুন আমরা দেখে আসি স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের মধ্যে পার্থক্য কি।
স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের মধ্যে পার্থক্য
স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের মধ্যে পার্থক্য হলো পরাগরেণু কোথায় থেকে কোথায় স্থানান্তরিত হচ্ছে। স্ব পরাগায়নে একই উদ্ভিদের মধ্যে অথবা একই শ্রেণির অন্য উদ্ভিদের মধ্যে পরাগায়ন পদ্ধতি ঘটে কিন্তু পরপর কেমনে অন্য উদ্ভিদ কিংবা অন্য শ্রেণীর উদ্ভিদের মধ্যে এই প্রক্রিয়াটি ঘটে থাকে এই জন্য একে বলা হয় পরপরাগায়ন।
সহজ ভাষায়, কোন ফুলের পরাগরেণু যদি সেই ফুলে কিংবা সেই একই উদ্ভিদের অন্য কোন ফুলের সাথে পরাগায়ন ঘটে তাহলে তাকে স্ব পরাগায়ন বলে। স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে একই ফুলে কিংবা একই উদ্ভিদের অন্য ফুলের মধ্যে পরাগায়ন পদ্ধতি ঘটে। এতে পড়া গড়ানোর অপচয় কম হয় এবং উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য মাতৃ উদ্ভিদের মতোই হয়।
স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে কিছু উদ্ভিদ যেমন সন্ধ্যামালতী ফুল, শিম, টমেটো। সন্ধ্যা মালতি ফুলের পরাগায়ন পদ্ধতির একই গাছের অথবা একই উদ্ভিদের ফুলে হয় অথবা একই ফুলে হয়ে থাকে এই জন্য এরা দেখতে একই রকমের হয় এবং মাতৃ বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্য থাকে। নিচে দেখে নিন স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করা রয়েছে।
স্ব পরাগায়ন প্রক্রিয়া
স্ব পরাগায়ন এর তুলনায় পর পরাগায়ন তুলনামূলক বেশ জটিল প্রক্রিয়া। স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে উদ্ভিদের জন্ম লাভ করা কে মাতৃ উদ্ভিদের মতো বলা হয়। এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন থাকে।
স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে অন্য কোন নিয়ামত কিংবা বাহকের প্রয়োজন হয় না এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায় ঘটে থাকে যেমন মৌমাছি যখন ফুল থেকে মধু আহরণ করতে যায় তখন সে মধুর সাথে পায়ের সাহায্যে পরাগরেণু সংগ্রহ করে এবং সে যখন পরবর্তী সময় আবারো অন্য ফুলে যেয়ে বসে। তখন সেই পড়া গরম গুলো অন্য ফুলে স্থানান্তরিত হয় এবং এভাবে পরাগায়ন পদ্ধতি ঘটে।
পরাগায়ন পদ্ধতি হল উদ্ভিদ প্রজননের প্রথম প্রক্রিয়া। এইজন্য বিজ্ঞানীরা বলেন স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে অন্য কোন বাহুকে প্রয়োজন হয় না এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ঘটে থাকে যেমন বায়ু,পানি অথবা কীট পতঙ্গের মাধ্যমে স্ব পরাগায়ন পদ্ধতি ঘটে।
স্ব পরাগায়নে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় ফুল উভয় লিঙ্গ হওয়ায় একাধিক ফুলের কোন প্রয়োজন হয় না। একই ফুলে স্ব পরাগায়ন পদ্ধতি ঘটে থাকে আবার একই উদ্ভিদের অন্য কোন ফুলে স্ব পরাগায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয়। স্ব পরাগায়ন পদ্ধতি শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যারা উভয় লিঙ্গের অধিকারী।
স্ব পরাগায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রজাতির বিশুদ্ধতা অক্ষুন্ন থাকে এবং প্রজাতির চরিত্রের মধ্যে কোন পরিবর্তন আসে না নতুন উদ্ভিদ সম্পূর্ণ মাতৃ উদ্ভিদের গুনাগুন সম্পন্ন হয় এবং মাতৃ উদ্ভিদের সমস্ত বৈশিষ্ট্য নতুন উদ্ভিদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। এমন একটি টমেটো গাছ থেকে টমেটো উৎপন্ন হয়। টমেটো গাছের বীজ থেকে নতুন টমেটো গাছ তৈরি হয়।
আরো দেখুন: সমাজকর্মের জনক কে? বিস্তারিত জানুন
স্ব পরাগায়ন পদ্ধতি অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়। একই ফুলে কিংবা একই উদ্ভিদের অন্য কোন ফুলে এই পদ্ধতি ঘটিত হয় এইজন্য এখানে অল্প প্রয়োজন হয়।
স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে নতুন প্রজাতির উদ্ভব হয় না প্রজাদের বিশুদ্ধতা বজায় থাকে এবং মাতৃ উদ্ভিদের সমস্ত বৈশিষ্ট্য নতুন উদ্ভিদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে কোন জিনগত পরিবর্তন হয় না যার ফলে বিশুদ্ধ উদ্ভিদ প্রকৃতিতে বহুদিন পর্যন্ত বিরাজ করে এবং উদ্ভিদের বৈচিত্রতা দেখা যায় না।
- স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে মাটি উদ্ভিদের গুনাগুন হুবহু বংশধারায় স্থানান্তরিত হয় যার ফলে মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয় না এবং মাতৃ উদ্ভিদ পরিবেশে টিকে থাকার শক্তি লাভ। স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে পরাগরেণু নষ্ট হয় না।
- স্ব পরাগায়ন পদ্ধতি অল্প সময়ের মধ্যে সংঘটিত হয়।
- স্ব পরাগায়ন পদ্ধতির প্রাকৃতিক উপায়ে ঘটে।
- স্ব পরাগায়ন পদ্ধতি ঘটনার জন্য কোন বাহকের প্রয়োজন হয় না। এটি প্রাকৃতিক ভাবেই ঘটে।
পর পরাগায়ন প্রক্রিয়া
পরপরাগায়ন প্রক্রিয়া তুলনামূলক একটু জটিল। পর পরাগায়ন প্রক্রিয়াতে বাহকের প্রয়োজন হয় এটি প্রাকৃতিকভাবে ঘটে না। যেমন কীটপতঙ্গ, পানি ,বায়ু, পাখি।
যে ফুল কিংবা উদ্ভিদগুলো এক লিঙ্গ তাদের মধ্যে পর পরাগায়ন পদ্ধতি ঘটে থাকে। স্ব পরাগায়ন পদ্ধতি উভয় লিঙ্গের উদ্ভিদের মধ্যে ঘটে।
কিন্তু পর পরাগায়ন পদ্ধতি একলিঙ্গের উদ্ভিদের মধ্যে ঘটে থাকে। এইজন্য পর পরাগায়ন পদ্ধতিতে একই ফুলে কিংবা একই উদ্ভিদের অন্যান্য ফুলের মধ্যে পরাগায়ন হয় না। পর পরাগায়ন পদ্ধতিতে পুরুষ লিঙ্গের ফুল থেকে পরাগরেণু সংগ্রহ করে স্ত্রী লিঙ্গের গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয় যার ফলে পরাগান পদ্ধতি ঘটে এবং নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয়।
পর পরাগায়ন পদ্ধতিতে অধিকাংশ একলিঙ্গিক ফুল থাকে এইজন্য একই উদ্ভিদের বেশি পরিমাণ পুষ্প পাওয়া যায়। তবে পরপর পদ্ধতিতে পরাগরেণু অধিক নষ্ট হয়।
যখন কোন বাহকের মাধ্যমে পুরুষ লিঙ্গের ফুল থেকে পরাগরেণু সংগ্রহ করে পাখি কিংবা কোন কীট পতঙ্গ স্ত্রীগর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করে তখন অনেক পরাগরেণু নষ্ট হয়।
পরপরাগায়ন বাহক আকৃষ্ট করার জন্য তারা ফুলে মধু সৃষ্টি করে। যাকে আমরা মৌচাক হিসেবে চিনি। এই মধু তৈরি করার মূল কারণ হলো পরাগায়ন পদ্ধতি ঘটানো। পরা জ্ঞান পদ্ধতি ঘটানোর জন্য বাহুকে প্রয়োজন রয়েছে
বাহক তখনই আকৃষ্ট হবে যখন সে ফুলে মধু পাবে। এজন্য একলিঙ্গের উদ্ভিদ রাহুলের মধু সৃষ্টি করে যার ফলে অন্যান্য বাহকরা আকৃষ্ট হয় এবং সেই মধু সংগ্রহ করার সময় পরাগরেণু সংগ্রহ করে এবং স্ত্রীগর্ভাশয় প্রতিস্থাপন করে যার ফলে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয়।
পর পরাগায়ন পদ্ধতিতে একই প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন উদ্ভিদে পরাগায়ন পদ্ধতি ঘটে যার ফলে মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য নষ্ট হয়। মাতৃ উদ্ভিদের জিনগত বৈশিষ্ট্য স্থানান্তরিত হয় না যার ফলে নতুন চরিত্রের নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়।
কিন্তু পর পরাগায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে নতুন গুণাগুণ সম্পন্ন উচ্চ ফলনশীল উদ্ভিদ সৃষ্টি করা যায় এবং কৃত্রিমভাবে পর পরাগায়ন ঘটানো যায়
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পর পরাগায়ন ও স্ব পরাগায়নের মধ্যে পার্থক্য গুলো কি কি এবং পরাগায়ন কি। সহজ ভাষায় স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের মধ্যে মূল পার্থক্য হল স্ব পরাগায়ন একই উদ্ভিদের একই ফুলের কিংবা একই উদ্ভিদের অন্য ফুলের মধ্যে ঘটে আর পরপরাগায়ন একই প্রজাতির অন্য উদ্ভিদের মধ্যে ঘটে থাকে।
স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন থাকে এবং অপরদিকে পর পরাগায়নের মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য নষ্ট হয়। স্ব পরাগায়ন প্রক্রিয়াতে কোন বাহকের প্রয়োজন হয় না কিন্তু পর পরাগায়ন প্রক্রিয়াতে নির্দিষ্ট বাহক এর প্রয়োজন হয়। এবার চলুন আমরা দেখে আসি পরাগরেণু কাকে বলে
পরাগরেণু কাকে বলে
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে পড়া গড়ানো কাকে বলে? পড়া গড়ানো বলতে বোঝায় ফুলের পুংকেশরের পরাগধানী তে উৎপন্ন ছোট্ট কণিকা। এই পড়া গরমে থেকে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয় এই পড়াগুলো যখন স্ত্রী উদ্ভিদের গর্ভ মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হয় তখন নিসেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরাগায়ন পদ্ধতি ঘটে এবং নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয়।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম পরাগরেণু কাকে বলে, স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের বৈশিষ্ট্য, স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের সুবিধা ও অসুবিধা, পরাগ কাকে বলে, স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়নের মধ্যে পার্থক্য কি। পরাগায়ন বলতে বোঝায় উদ্ভিদের প্রজনন প্রক্রিয়াকে। উদ্ভিদের প্রজনন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হল পরাগায়ন।
পরাগায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরাগরেণু অন্য ফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত হয়। পরাগায়ন প্রক্রিয়া ২ ধরনের হয়। যেমন স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়ন। উভয় প্রক্রিয়া উদ্ভিদ এর বংশ বিস্তারের জন্য অতি জরুরী। আশা করছি আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনরা উপকৃত হয়েছেন এবং পরাগায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url