পরাগায়ন কি এবং পরাগায়ন কাকে বলে A-Z জেনে নিন
এক ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেণু সংগ্রহ করে অন্য ফুলে স্থানান্তরিত করার পদ্ধতিকে পরাগায়ন বলে। পরাগায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে উদ্ভিদের বংশ বিস্তার হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা পরাগরেণু কাকে বলে? পরাগধনী কাকে বলে পরাগায়ন কত প্রকার ও কি কি, পরাগায়ন কি এবং পরাগায়ন কাকে বলে A-Z জেনে নিন।
নিচে দেখে নিন পরাগরেণু কাকে বলে, পরাগায়ন কত প্রকার ও কি কি, পরাগায়ন কি এবং পরাগায়ন কাকে বলে A-Z জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্র : পরাগায়ন কি এবং পরাগায়ন কাকে বলে A-Z জেনে নিন
ভূমিকা
পরিবেশে স্বাভাবিক ভারসাম্য টিকিয়ে রাখার জন্য পরাগায়ন পদ্ধতি অতি জরুরী। পরাগায়ন পদ্ধতি না ঘটলে উদ্ভিদের বংশবিস্তার করতে ব্যর্থ হবে যার ফলে সমাজে উদ্ভিদের সংকট দেখা দিলে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে এবং এতে জীব কুল এর জীবন হুমকির মুখে পড়ে যাবে ।
আরো দেখুন: Facebook bangla Status Caption 2024
তাই চলুন দেরি না করে ঝটপট দেখে নেওয়া যাক পরাগায়ন পদ্ধতির গুরুত্ব , পরাগায়ন কি, পরাগধানী কি, পরাগরেণু কাকে বলে? পরাগায়নের মাধ্যমগুলো কি কি, পরাগায়ন কি এবং পরাগায়ন কাকে বলে A-Z জেনে নিন।
পরাগায়ন কি এবং পরাগায়ন কাকে বলে A-Z জেনে নিন
পরাগায়নবলতে বোঝায়, যে পদ্ধতিতে ফুলে পড়াগধানী থেকে পরাগরেণু সেই ফুলে কিংবা সেই উদ্ভিদের অন্য কোন ফুলে কিংবা অন্য কোন উদ্ভিদের ফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত হয় তাকে পরাগায়ন পদ্ধতি বলে। উদ্ভিদের প্রয়োজন এর প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হল পরাগায়ন পদ্ধতি। পরাগায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে উদ্ভিদের একটি ফুল থেকে পরাগরেণু অন্য ফুলের স্থানান্তরিত হয় এবং যার মাধ্যমে উদ্ভিদের বংশবিস্তার ঘটে।
পরাগায়ন এর সংজ্ঞা
পরাগধানী থেকে পরাগরেণু সংগ্রহ করে অন্য একটি ফুলের গর্ভ মধ্যে পতিত করাকেই পরাগায়ন বলে। যেমন মৌমাছি একটি ফুল যখন মধু সংগ্রহ করতে চায় তখন তার পায়ের সাহায্যে সে কিছু পরাগরেণু সংগ্রহ করে এবং সেটি অন্য ফুলে স্থানান্তরিত করে। এই পদ্ধতিকে বলা হয় পর পরাগায়ন।উদ্ভিদ এবং প্রাণীকুলের বেঁচে থাকার জন্য পরাগায়ন পদ্ধতি অতি জরুরী।
প্রাচীনকালে গ্রীক ও রোমান দার্শনিকরা উদ্ভিদের প্রচলন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করেছিলেন। মধ্যযুগে আরও বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য কিছু অবদান দেখেছিলেন পাশাপাশি 1800 এবং 19 শতকে মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা পরাগরেণু এবং ফুলের গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
সর্বশেষ বিশ শতক থেকে মেন্ডেলের জীনগত নিয়ম আবিষ্কার এর পর থেকেই পরাগায়ন এবং ফুলের প্রজনন প্রক্রিয়া আরো বেশি স্পষ্ট হয়। পরাগায়নের সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা হলো একটি ফুলের পুংস্তবক থেকে যখন অন্য আরেকটি ফুলে কিংবা একই গাছের অন্য ফুলের গর্ভ মুন্ডে পতিত হবে কিন্তু স্থানান্তরিত হবে তখন তাকে পরাজয় পদ্ধতি বলা হবে।
আরো দেখুন: ২০২৫ সালের সেরা এসএসসি বাংলা ২য় পত্র সাজেশন
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পরাগায়ন কি এবং পরাগায়ন কাকে বলে। পরাগায়ন হলো উদ্ভিদের প্রজনন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ এ ধাপটি সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে উদ্ভিদ তার বংশবিস্তার করতে ব্যর্থ হবে।। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন পরাগায়ন প্রক্রিয়া উদ্ভিদের বংশবিস্তারের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। এবার চলুন আমরা দেখে আসি পরাগায়ন কত প্রকার ও কি কি
পরাগায়ন কত প্রকার ও কি কি
পরাগায়ন পদ্ধতি বলতে বোঝায় ফুলের জনন প্রক্রিয়াকে। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ তার বংশবিস্তার করে। ইতিমধ্যেই আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পরাগায়ন কি এবং পরাগায়ন কাকে বলে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি পরাগায়ন কত প্রকার ও কি কি। পরাগায়ন ২ প্রকার। যেমন : ১) স্ব পরাগায়ন , ২) পর পরাগায়ন।
স্ব পরাগায়ন
স্ব পরাগায়ন বলতে বোঝায় একই ফুলে কিংবা একই উদ্ভিদের অন্য কোন ফুলের মধ্যে যখন পরাগায়ন হবে তখন তাকে স্ব পরাগায়ন বলে। সহজ ভাষায় কোন ফুলের পরাগরেণু সেই ফুলে কিংবা সেই উদ্ভিদের অন্য কোন ফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত করাকে স্ব পরাগায়ন বলে। স্ব পরাগায়ন পদ্ধতি বেশ সহজ এবং স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে অন্য কোন বাহুকে প্রয়োজন হয় না।
তবে স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে উভলিঙ্গ ফুল প্রয়োজন। স্ব পরাগায়ন প্রক্রিয়ার কিছু উদাহরণ যেমন: সন্ধ্যা মালতী ফুল, সিম, টমেটো ইত্যাদি। স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে জন্ম নেওয়া উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ মাতৃ উদ্ভিদের অনুরূপ হয়।। মাতৃ উদ্ভিদের সমস্ত বৈশিষ্ট্য নতুন উদ্ভিদের স্থানান্তরিত হয়। স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন হয় না এবং পরাগরেণু নষ্ট হয় না।
পর পরাগায়ন
স্ব পরাগায়ন পদ্ধতির তুলনায় পর পরাগায়ন পদ্ধতি বেশ জটিল। কিন্তু এই পদ্ধতিতে নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন উদ্ভিদ তৈরি হয়। পর পরা জ্ঞান পদ্ধতি বলতে বোঝায় যে প্রক্রিয়ায় পরাগধানী হতে পরাগরেণু অন্য কোন মাধ্যম কিংবা বাহকের মাধ্যমে অন্য প্রজাতির ফুলের গর্ভ মুন্ডে পতিত হয় কিংবা স্থানান্তরিত হয় তাকে পর পরাগায়ন কিংবা ইতর পরাগযোগ বলা হয়।
পর পরাগায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফুলগুলো নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হয় এদের মধ্যে মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য স্থানান্তরিত হয় না যার ফলে এরা নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্ম হয়। পর পরাগায়ন প্রক্রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট বাহক কিংবা মাধ্যমে প্রয়োজন হয়। যেমন বায় ু পোকামাকড়।
পর পর আগে আমি পদ্ধতিতে অধিকাংশ পরাগরেনু নষ্ট হয়। যখন একটি বাহকের মাধ্যম হতে পরাগরেণু অন্য ফুলের স্থানান্তরিত করা হয় তখন অধিকাংশ পরাগরেণু নষ্ট হয়। পর পরাগায়ন পদ্ধতিতে মাতৃ উদ্ভিদের কোন বৈশিষ্ট্য নতুন উদ্ভিদের স্থানান্তরিত হয় না। পরপর গান পদ্ধতিতে প্রজাতির বিশুদ্ধতা রক্ষা হয় না।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পর পরাগায়ন এবং স্ব পরাগায়ন কাকে বলে।পরাগায়ন পদ্ধতি দুই প্রকার স্ব পরাগায়ন এবং পর পরাগায়ন। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পরাগায়ন কাকে বলে এবং পরাগায়ন কত প্রকার এবার চলুন আমরা দেখে আসি পরাগরেণু কাকে বলে।
পরাগরেণু কাকে বলে
পরাগরেণু বলতে বোঝায় ফুলের পুং জননকোষ। এটি নিষিক্ত করণে সরাসরি সাহায্য করে। পরাগরেণু এর মাধ্যমেই ডিম্বানু নিষিক্ত হয়। জনন প্রক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার জন্য নিশিক্তকরণ হওয়া খুবই জরুরি। আর ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মিলনে যেমন জীব এর বংশ বিস্তার হয় একই ভাবে উদ্ভিদের পরাগরেণু এবং ডিম্বাণু একত্রে মিলিত হয়ে নিষিক্ত করণ ঘটে। উদ্ভিদের জননপ্রক্রিয়ায় পরাগরেণু সবচেয়ে জরুরি উপাদান যা নিশিক্তকরণে সরাসরি ভূমিকা পালন করে।
একটি ফুলের পরাগরেণু এর সাথে ওপর ফুলের ডিম্বাণু মিলিত হয়ে পরাগায়ন ঘটে। স্ব পরাগায়ন প্রক্রিয়ায় ফুলের পরাগরেণু একই ফুলে কিংবা একই উদ্ভিদের অন্য ফুলের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে পরাগায়ন ঘটে। আবার পর পরাগায়ন পদ্ধতিতে এক লিঙ্গিক ফুলের পরাগরেণু অন্য উদ্ভিদের এক লিঙ্গীক ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে পরাগায়ন ঘটে।
উভয় লিঙ্গিক উদ্ভিদের ক্ষেত্রে স্ব পরাগায়ন প্রক্রিয়ায় একটি ফুলের পরাগরেণু একই উদ্ভিদের কিংবা একই ফুলের উভয় লিঙ্গিক ফুলের সাথে মিলিত হয়ে পরাগায়ন ঘটে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পরাগরেণু কাকে বলে। এবং পরাগরেণু এর কাজ কি। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি পরাগায়নের ওপর নাম কি?
পরাগায়নের ওপর নাম কি
পড়া গান পদ্ধতির কোনো অপর নাম নেই এটি একক নাম । পরাগায়ন পদ্ধতিটি কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন ১) স্ব পরাগায়ন এবং ২) পর পরাগায়ন। পরাগায়ন পদ্ধতিকে অনেকে পরাগ যোগ পদ্ধতি বলেন তবে পড়া জ্ঞান পদ্ধতির কোনো অপ নির্দিষ্ট নাম দেওয়া নেই। বিজ্ঞান বিভাগের বই কিংবা গুগলে পরাগায়ন পদ্ধতিকে একক নামে চেনা হয়। পরাগায়ন পদ্ধতি হলো উদ্ভিদের প্রজনন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। এই ধাপটি উদ্ভিদের প্রজনন প্রক্রিয়ার জন্য খুবই জরুরী।
পরাগায়ন কিভাবে হয়
আপনি কি জানেন পরাগায়ন কিভাবে হয়? পরাগায়ন হলো উদ্ভিদের প্রজনন প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। পড়া জ্ঞান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদের বংশবিস্তার করতে সক্ষম হয়। পরাগায়ন প্রক্রিয়া বলতে বোঝায় যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ পরাগরেণু সংগ্রহ করে এবং অন্য একটি ফুলের গর্ভ মুন্ড এ স্থানান্তরিত করে।
পরাগায়ন পদ্ধতি ২ ভাবে ঘটে। স্ব পরাগায়ন পদ্ধতির তুলনায় পর পরাগায়ন পদ্ধতি বেশি সহজ। পর পরাগায়ন পদ্ধতিতে জন্য বাহকের প্রয়োজন হয় কিন্তু স্ব পরাগায়ন পদ্ধতিতে বাহক ছাড়াই পরাগায়ন হয়। পরাগায়ন হয় পরাগরেণু মাধ্যমে। পরাগরেণু অন্য ফুলের গর্ভ মুন্ড স্থান্তরিত করে পরাগায়ন ঘটে।পরাগায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখে কিন
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পরাগায়ন কাকে বলে এবং পরাগায়ন কি, পরাগায়ন কত প্রকার ও কি কি। পরাগায়ন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম পরাগায়ন কি এবং পরাগায়ন কাকে বলে A-Z তথ্য। পরাগায়ন বলতে বোঝায় একটি ফুলের পরাগরেণু একই ফুলে কিংবা উদ্ভিদের অন্য ফুলে কিংবা অন্য প্রজাতির ফুলের গর্ভমুন্দে স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া। উদ্ভিদের প্রজনন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হল পরাগায়ন প্রক্রিয়া পরাগায়ন প্রক্রিয়া গুরুত্ব অধিক।
পরাগায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ তার বংশবিস্তার করে। আজকের এই আর্টিকেলের মূল উদ্দেশ্য ছিল পরাগায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পরাগায়ন কাকে বলে পরাগায়ন কি এবং পরাগায়ন কত প্রকার ও কি কি সাধারণত পরাগায়ন দুই প্রকার যেমন স্ব পরাগায়ন ও পর পরাগায়ন।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন এবং পরাগায়ন প্রক্রিয়া, পরাগরেণু কাকে বলে সেই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে। আজকের এই পোস্টটি দেখুন এবং পরাগায়ন কি এবং পরাগায়ন কাকে বলে A-Z জেনে নিন
বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url