মিয়োসিস কোষ বিভাজন কোথায় সংঘটিত হয় এবং মায়োসিস কাকে বলে
মিয়োসিস অথবা মিয়োসিস এক বিশেষ ধরনের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া। যেকোনো কোষ বিভাজন মাতৃকোষের ঘটে থাকে। আজকের এই পোস্টে আমরা মিয়োসিস কোষ বিভাজন কোথায় সংঘটিত হয় এবং মিয়োসিস কাকে বলে? মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে সেই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
মিয়োসিস কোষ বিভাজন সম্পর্কে জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। মেসেজ কোষ বিভাজন মাতৃ কোষের হ্যাপ্লয়েড উদ্ভিদের জাইগোটের ঘটে। মিয়োসিস কোষ বিভাজন তুলনামূলক একটু জটিল প্রক্রিয়া। চলুন দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে আসি মিয়োসিস কোষ বিভাজন কোথায় সংঘটিত হয় এবং মিয়োসিস কাকে বলে, মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব এবং মিয়োসিস কাকে বলে।
পেজ সূচিপত্র : টেলিটক কাস্টমার কেয়ার কবে বন্ধ থাকে- টেলিটক কাস্টমার কেয়ার নাম্বার
ভূমিকা
আরো দেখুন: ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট দেখে নিন
তারপর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে জে বি ফার্মার এবং জে ই এস মুর এই কোষ বিভাজনের নাম দেন মিয়োসিস মিয়োসিস একটি গ্রিক শব্দ। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ এটি পরীক্ষাতে বারবার আসে বিশেষ করে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া এবং অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। নিচে দেখে নিন মিয়োসিস কাকে বলে ?
মিয়োসিস কাকে বলে
অনেকে জিজ্ঞাসা করেন যে মিয়োসিস কাকে বলে? যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় মাতৃকোষে নিউক্লিয়াস দুইবার এবং ক্রোমোজোম একবার বিভাজিত হয় তাকে বলা হয় মিয়োসিস। মিয়োসিস এর ক্রোমোজোম একবার বিভাজিত হয়ে একটি মাতৃকোষ থেকে চারটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে এবং এই অপত্য কোষের ক্রোমোজোমের সংখ্যাগুলো মাতৃকোষের অর্ধেক হয় একেই মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া বলা হয়।মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ। মিয়োসিস অথবা মায়োসিস এটি গ্রিক শব্দ থেকে তৈরি। মিয়োসিস এর ইংরেজি শব্দ হল Meiosis। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া বলতে বোঝায় যার মাধ্যমে উদ্ভিদ এবং জীব বংশবিস্তার করে। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া তিন ধরনের হয়।
- অ্যামাইটোসিস
- মাইটোসিস
- মিয়োসিস
ক্রোমোজোম একবার বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে অপত্য কোষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা মাতৃকোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যার অর্ধেক হয়। ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দের বিজ্ঞানী স্ট্রাসবার্গার Strasburger সপুষ্পক উদ্ভিদ এর জনন মাতৃকোষ থেকে এই মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার প্রত্যক্ষ করেন তারপর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে J B FARMER এবং J E S MOORE এই বিশেষ কোষ বিভাজনের নাম দেন meiosis।
কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া নিম্ন শ্রেণীর জীব হ্যাপ্লয়েড এন জীবের গ্যামেটেও হ্যাপ্লয়েড হয়, দুটি হ্যাপ্লয়েড গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে ডিপ্লয়েড জাইগোট তৈরি করা হয়। দুটি গ্যামেটের মিলনে নিষেক ক্রিয়ার মাধ্যমে মিয়োসিস প্রক্রিয়া ঘটে। এতে জিন পরম্পরায় অক্ষুন্ন থাকে এবং বংশ বিস্তার ঘটে। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মিয়োসিস কাকে বলে? মিয়োসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি, মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব
মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব
মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব অসীম। মিয়োসিস কোষ বিভাজন ক্রোমোজোম এর সংখ্যাকে স্থির রাখে যৌন জননের একটি ভিত্তি এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে আরো বৃদ্ধি করে এবং নতুন জিনগত সমন্বয়ের ফলে শরীরে রোগ বালাইকে দূর করে। মিয়োসিস কোষ বিভাজন এক বিশেষ ধরনের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া। মিয়োসিস কোষ গাজন প্রক্রিয়া জীবের শরীরে ঘটে, জেব দেহের জনন কোষ কিংবা গ্যামেটের সৃষ্টি করে
এমাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া অমেরুদন্ড প্রাণীদের মধ্যে ঘটে থাকে এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া জীবের দেহে ঘটে যেমন পুরুষের শুক্রাণু ও স্ত্রীর ডিম্বানু উৎপাদনের সময় এই মিয়োসিস কোষ ভাজন প্রক্রিয়া গঠিত হয়। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও ঘটে যেমন: পরাগেনু ও ডিম্বানু উৎপাদনের সময় মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া তৈরি হয়। নিচে দেখে নিন মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব কি
মিয়োসিস কোষ বিভাজন জিনগত বৈচিত্র্য তৈরি করে
মিয়োসিস কোষ বিভাজনের সময় ক্রোমোজোমের মধ্যে জিনের আধার প্রদান ঘটে এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন ধরনের তৈরি হয় এটি জীবের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করে এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ক্রসিং ওভার। এটি শুধুমাত্র মিয়োসিস প্রক্রিয়াতেই ঘটে
মিয়োসিস প্রক্রিয়া হলো যৌন জননের ভিত্তি
মিয়োসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবতার বংশ বিস্তার করে এর জন্য মিয়োসিস প্রক্রিয়াকে যৌন জননের ভিত্তি বলা হয় এটি জীবের বংশবিস্তারের করার জন্য নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি করে এবং নতুন প্রজাতির মধ্যে জিনগত বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখে এবং প্রজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে। যদি মিয়োসিস প্রক্রিয়া না থাকতো তাহলে বাবার মতো দেখতে সন্তান হতো না অথবা সন্তান দেখতে মায়ের মত হতো না।
মিয়োসিস প্রক্রিয়ার অনুকূলন
জিনের বৈচিত্র্যের কারণে প্রজাতিরা খুব সহজে পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে এবং প্রজাতির টিকে থাকার সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। যদি জিনের বৈচিত্র্য না থাকতো তাহলে আমরা প্রত্যেকে দেখতে একই রকম, একই ধরনের এবং একই বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ দেখতে হতাম। মিয়োসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রজাতির বৈচিত্র ধরনের হয়।
মিয়োসিস প্রক্রিয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করে
নতুন জিনগতের সমন্বয়ের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরে নতুন জিনিস সমন্বয়ে ঘটে এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায় এবং রোগ-বালাই দূর হয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দেয়। তাই রোকো যে ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অনেক।
জিন অক্ষুন্ন থাকে
মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে অক্ষুণ থাকে মা বাবার বৈশিষ্ট্য গুলো বংশ পরম্পরায় সন্তানের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। মেসেজ প্রক্রিয়া না ঘটলে বংশ পরম্পরায় যিনি স্থানান্তরিত হতো না যার ফলে মা বাবার বৈশিষ্ট্যের সাথে সন্তানের বৈশিষ্ট্যের কোন মিল থাকত না। জিন এখনো রাখতে এবং বংশ পরম্পরায় সন্তানের মধ্যে নিজেদের বৈশিষ্ট্য গুলোকে স্থানান্তর করতে মিয়োসিস প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অনেক।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব কি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি মিয়োসিস কোষ বিভাজন না ঘটলে কি হত।
মিয়োসিস কোষ বিভাজন না ঘটলে কি হত
মিয়োসিস কোষ বিভাজন না ঘটলে বংশবিস্তার ব্যাহত এবং সন্তানের মধ্যে নিজেদের বৈশিষ্ট্য গুলো স্থানান্তরিত হতে পারত না এই প্রক্রিয়া না ঘটলে জীবজগতের বর্তমান অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন হতো। মিয়োসিস প্রক্রিয়া না ঘটলে ক্রোমোজোমের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যেত যৌন জনন সম্ভাবনা প্রজাতি বিবর্তন থামত এবং বৈচিত্র্য হারাত। সংক্ষেপে যদি বলি তাহলে মিয়োসিস কোষ বিভাজন জীবনের বংশবিস্তার বিবর্তনের জন্য অপরিহার্য এবং জ্বীনগত বৈচিত্র এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মিয়োসিস কোষ বিভাজান প্রক্রিয়া না ঘটলে প্রজাতির বিবর্তন বন্ধ হয়ে যেত যার ফলে পৃথিবী একসময় ধ্বংস হয়ে যেত।। মিয়োসিস প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট জিনগত বৈচিত্রই হলো বিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। যদি মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া না থাকতো তাহলে প্রজাতিগুলো বিবর্তিত হতে পারত না যার ফলে পরিবেশে খারাপ খাওয়ানো সম্ভব ছিল না।
মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া না থাকলে যৌন জনন কোনভাবেই সম্ভব হতো না। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া হল যৌন জননের ভিত্তি। এই প্রক্রিয়া না থাকলে কোনভাবেই যৌন জনন সম্ভব ছিল না এবং জীবের বংশবিস্তারের এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন ভিন্ন হতো। সন্তানের মধ্যে মা-বাবার বৈশিষ্ট্যগুলো স্থানান্তরিত হতো না।
যার ফলে সন্তান ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হতো এবং জিনগত বৈচিত্র্য হারিয়ে ফেলতো। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া না ঘটলে রোগ বালাই আরো বেড়ে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে যার ফলে মানব কুল ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে।
এইজন্য কেউ মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া এই পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মানবকুলকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া না ঘটলে এই মানবকুল ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যেত। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে মিয়োসিস কোষ বিভাজন না ঘটলে কি হত। এবার চলুন আমরা দেখে আসি মিয়োসিস কোষ বিভাজন কোথায় সংঘটিত হয়?
মিয়োসিস কোষ বিভাজন কোথায় সংঘটিত হয়
অনেকে জিজ্ঞাসা করেন যে মিয়োসিস কোষ বিভাজন কোথায় সংঘটিত হয়? মিয়োসিস কোষ বিভাজন জীবদেহের জনন কোষে ঘটিত হয় মানুষের ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাশয় এবং স্ত্রীর ডিম্বাশয় নিয়ে মিয়োসিস কোষ বিভাজন গঠিত হয়। উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পরাগধানী এবং ডিম্বকের মাধ্যমে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া জীবের মাতৃকোষে গঠিত হয়।
ডিম্বানু এবং শুক্রাণুর মিলনে ভ্রূণ তৈরি হয়। ভ্রম থেকে মিয়োসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয়। এই কোষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোমের সংখ্যার অর্ধেক হয়। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া জীবের জনন কোষের গ্যামেট তৈরির সময় সংঘটিত হয়।
মানুষের ক্ষেত্রে : মিয়োসিস প্রক্রিয়া পুরুষের শুক্রাশয় সংঘটিত হয় এবং স্ত্রীর ডিম্বাশয় সংঘটিত হয়।
উদ্ভিদের ক্ষেত্রে : মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া উদ্ভিদের পরাগধনীতে অথবা ডিম্বকে সংঘটিত হয়।
মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব কি?
ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব কি এবং কতটুকু? এই পৃথিবীতে মিয়োসের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া রয়েছে এই জন্যই মানুষ বংশ পরম্পরাই তাদের জিনকে অক্ষুন্ন রাখতে পারছেন এবং বংশবিস্তার করতে পারছেন যদি বিশেষ কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া না ঘটতো তাহলে এই পরিবেশের অবস্থা ভিন্ন রকম হতো।
মিয়োসিস কোষ ভাজার প্রক্রিয়া বিচিত্রতা তৈরি করে যা পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে, যদি মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া না থাকতো তাহলে মানব কুল পরিবেশের সাথে খারাপ খাওয়াতে পারত না এবং ধীরে ধীরে এরা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যেত। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অধিক। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবন তাদের বংশবিস্তার করে।
মিয়োসিস কোষ ভাজের প্রক্রিয়ার জন্য মা-বাবার মতো কিংবা পরিবারের কোনো সদস্যের মতো দেখতে সন্তান হয়ে থাকে। সন্তানের মধ্যে বংশ পরম্পরায় যে স্থানান্তরিত হয়। অন্যান্য কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া একটু জটিল এবং বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ায় ক্রোমোজোমের সংখ্যা স্থির থাকে।
মিয়োসিসের মূল কাজ হল একটি কোষের ক্রোমোজোমের সংখ্যাকে অর্ধেক করে দেওয়া যখন শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু মিলিত হয় তখন নতুন কোষে মাতৃজিন এবং পিতৃজিন উভয়ের সমান সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে। যদি জনন কোষের মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সংঘটিত না হতো তাহলে প্রতিটি নতুন প্রজন্মে ক্রোমোজোমের সংখ্যা আরো দ্বিগুণ হয়ে যেত যার ফলে পরিবেশের অবস্থায় বেশ ভিন্নতা দেখা যেত।
মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জীনগত বৈচিত্রতা দেখা যায়। মিয়োসিস কোষ বিভাজনের সময় ক্রোমোজোমের বৈচিত্র্যতা সৃষ্টি করে এরা জিনগত পদার্থের আদান-প্রদান করে এই জন্য বৈচিত্র্যতা তৈরি হয়। যদি মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সংঘটিত না হতো তাহলে বৈচিত্রতা দেখা যেত না এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো মুশকিল হয়ে পড়তো। এই বৈচিত্রটাই মূলত প্রচারের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব কি এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কোথায় সংঘটিত হয়। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া মাতৃকোষে সংঘটিত হয়। এটি ডিম্বানু এবং শুক্রাণু থেকে ভ্রূণ তৈরি করে। ভ্রূণ থেকে জাইগোট সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়াটি নারীর জনন কোষের সংঘটিত হয় এইজন্য মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াকে জনন কোষের ভিত্তি বলা হয়। এবার চলুন আমরা দেখে আসি মিউজিক কোষ বিভাজন কোথায় ঘটে।
মিয়োসিস কোষ বিভাজন কোথায় ঘটে
মিয়োসিস কোষ বিভাজন জীবদেহের জনন কোষে অথবা গ্যামেট তৈরি সময় সংঘটিত হয়। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে ডিম্বানু এবং শুক্রাণু মিলিত হয়ে ভ্রূণ তৈরি করা হয় এই ভ্রূণ থেকে জাইগোট তৈরি হয়। মানুষের ক্ষেত্রে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া পুরুষের শুক্রাশয় এবং স্ত্রীর ডিম্বাশয় ঘটে। আর উদ্ভিদের ক্ষেত্রে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া পরাগধানী তে অথবা ডিম্বকে ঘটে।
উদ্ভিদ এবং জীবের ক্ষেত্রে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া দেখা দেয়। আর অমেরুদন্ড প্রাণীদের ক্ষেত্রে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। অমেরুদন্ড প্রাণী বলতে বোঝায় যেমন কেঁচো, কৃমি। এই তিন ধরনের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে। এবং তিনটি কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া জীব কূল কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যে কোন একটি কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া অনুপস্থিত থাকলে পৃথিবীর সাধারণ কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং সমাজের সাথে খাপ খাওয়ানো খুবই কষ্টকর হয়ে উঠবে। মিয়োসিস কোষ বিভাজন এ পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া না করতো তাহলে বংশ পরম্পরা ব্যাহত হয়, জিন অক্ষুন্ন থাকত নাম এবং মানুষের মধ্যে বৈচিত্রতা দেখা যেত না। যার ফলে সমাজের খারাপ খাওয়াতে পারত না।
আরো দেখুন: প্রতিদিন ১টি কোলা খাওয়ার উপকারিতা দেখুন
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন যে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া এ সমাজকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কতটা জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অসীম মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া বলতে বোঝায় যেখানে একটি কোষ থেকে চারটি জাইগোট উৎপন্ন হবে এবং যেখানে মাতৃ এবং পিতৃ উভয়ের বৈশিষ্ট্য থাকে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব মিয়োসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে মিয়োসিস কোষ বিভাজন কোথায় সংঘটিত হয় এবং মিয়োসিস কাকে বলে মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব কি কি। তিন ধরনের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায় যেমন অ্যামাইটোসিস মাইটোসিস এবং মিয়োসিস কোষ বিভাগের প্রক্রিয়া।
অমেরুদন্ড প্রাণীদের মধ্যে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রক্রিয়া দেখা যায় কিন্তু জীব এবং উদ্ভিদের মধ্যে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জিন এবং উদ্ভিদের মধ্যে তাদের বৈশিষ্ট্যগুলো অক্ষুন্ন থাকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বংশ পরম্পরায় যিনি স্থানান্তরিত হয় যার ফলে বাবার মতো দেখতে ছেলে হয় অথবা মায়ের মত দেখতে সন্তান হয়।
মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজের বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয় যদি মেসেজ কোষ ভজন প্রক্রিয়া না ঘটতো তাহলে আমরা প্রত্যেকে দেখতে একই রকমের হতাম যার ফলে সমাজে খাপ খাওয়ানো মুশকিল হয়ে পড়তো এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া না ঘটলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিত। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ বালাই দূর হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বেড়ে যায়।
আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন, মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব কি?, মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কোথায় সংঘটিত হয় এবং মিয়োসিস কাকে বলে। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে একটি কমিটির মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন আর এমন আরও তথ্য জানতে ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।
বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url