ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই JSC SSC HSC

কীর্তিমানের মৃত্যু নিয়ে ভাব সম্প্রসারণটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাতে বারবার ভাব সম্প্রসারণটি আসতে পারে। অনেকে জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে ভাব সম্প্রসারণ লিখিয়ে পরীক্ষাতে ফুল মার্ক পাওয়া যায় আজকে আমরা ভাব সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম এবং ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই JSC SSC HSC সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই JSC SSC HSC
চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে আসি ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই JSC SSC HSC, ভাব সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম এবং কিভাবে ভাব সম্প্রসারণ শিক্ষক ফুল নাম্বার দিবে। 

ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই /মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয় 

ভাব সম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সহজ ভাষায় ভাব সম্প্রসারণটি ব্যাখ্যা করা রয়েছে। ঝটপট নিচে দেখে নিন ভাব সম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই /মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয়। 

মূলভাব
এই পৃথিবীতে যেমন সৃষ্টি রয়েছে একইভাবে মৃত্যু রয়েছে। প্রতিটি সৃষ্টির মৃত্যু আছে একদিন হও অথবা একদিন পরে মৃত্যুর স্বাদ আমাদের প্রত্যেকে গ্রহণ করতে হবে মানুষের ব্যতিক্রম নয়। তবে কিছু মানুষ রয়েছে যারা নিজের কর্মের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে অমর হয়ে থাকতে চান। এই পৃথিবীতে মানুষ অমর হয়ে থাকতে না পারো তাদের কর্মগুলো অমর হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন: A+ পেতে হলে কয়টি বিষয়ে a+ পেতে হবে ssc 2024
সম্প্রসারিত ভাব 
এই নশ্বর পৃথিবীতে চিরদিন বেঁচে থাকার জন্য কেউ আসেনি একদিন আগে হোক অথবা পরে প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে তবে এই পৃথিবীতে কিছু ভালো কাজ করার মাধ্যমেও নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব যেমন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ হতে হাজার হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন। 

যেমন সালাম রফিক বরকত জব্বার তারা তাদের অসীম কৃতিত্বের মাধ্যমে আজও এ পৃথিবীতে অমর হয়ে রয়েছেন কীর্তিমানের ব্যক্তির মৃত্যুর শত শত বছর পরেও মানুষ তাদেরকে মনে রাখে। এই পৃথিবী কাউকে অমর করে রাখে না। প্রতিটি জীবকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে কিন্তু মানুষ মরণশীল হলেও তাদের কৃতিত্ব এই পৃথিবীতে অমর হয়ে থাকে। 

যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন কিন্তু শত শত বছর ধরে এই পৃথিবী তাকে অমর করে রেখেছেন এর কারণ হলো তার মহান কৃতিত্ব। তার মৃত্যু ঘটলেও তার কৃতিত্বের মৃত্যু ঘটেনি তার কৃতিত্ব সারা জীবনের পৃথিবীতে অমর হয়ে থাকবে। 

এজন্য বিজ্ঞানীরা বলেন কীর্তিমানের ব্যক্তির মৃত্যু নেই। কীর্তিমান ব্যক্তিদের এই পৃথিবী সারা জীবন মনে রাখে। এইজন্য প্রতিটি জীবকে এমন কিছু কাজ করতে হবে যা তাদের সারা জীবন এই পৃথিবীতে অমর করে রাখবে। অবশেষে এটি বলা যায় যে কীর্তিমান ব্যক্তির মৃত্যু নেই। 

মন্তব্য 
নাসার পৃথিবীতে মানুষের কর্ম হলো অবিনশ্বর দেহের মৃত্যু ঘটলে মানুষের কর্মের মৃত্যু নেই মৃত্যুর শত শত বছর পরেও কীর্তিমানের ব্যক্তিদের কৃতিত্বকে মানুষ স্মরণ করে। সুতরাং বলা যায় যে কীর্তিমানের ব্যক্তির মৃত্যু নেই। কীর্তিমানের ব্যক্তিদের এই পৃথিবী সারা জীবন স্মরণ করেন। 

প্রিয় পাঠকের ভাব সম্প্রসারণটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। JSC SSC এবং HSC পরীক্ষার্থীদের জন্য এই ভাব সম্প্রসারণ মুখস্থ করে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি বাস্তবতার সাথে হুবহু মিলে যায়। বাস্তবে কীর্তিমান ব্যক্তির কখনো মৃত্যু হয় না কীর্তিমান ব্যক্তির শরীরের মৃত্যু হলেও তাদের কর্ম এই পৃথিবীতে সারা জীবন বেঁচে থাকে। এই পৃথিবী মানুষকে ঠাই না দিলেও তাদের কৃতিত্বকে ঠাই দেয় এবং সারা জীবন স্মরণ করে। আশা করছি ওপরের এই ভাব সম্প্রসারণ কি আপনার পছন্দ হয়েছে এবার চলুন আমরা দেখে আসি ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই JSC 

ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই JSC 

JSC শিক্ষার্থীদের জন্য ভাব সম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। গত বছরেও JSC পরীক্ষাতে এই ভাব সম্প্রসারণ টি এসেছিল তাই এই বছরে এই ভাব সম্প্রসারণটি আপনাদের পরীক্ষা আসা সম্ভাবনা খুবই কম। তবুও নিচে দেখে নিন ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই JSC ।

মূলভাব 
এই বিশাল পৃথিবীতে কোথাও কি মানুষের ঠাঁই নেই? না। সময়ের ব্যবধানে আমাদের প্রত্যেকের মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এই বিশাল পৃথিবীতে মানুষের ঠাই না থাকলে মানুষের কর্মের ঠাঁই রয়েছে, তাই কর্মের মাধ্যমে এই নশ্বর পৃথিবীতে ওমর থাকতে হবে।

সম্প্রসারিত ভাব 
প্রতিটি জীব মরণশীল আমাদের প্রত্যেককে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে আজও অথবা কাল প্রত্যেকে মৃত্যু বরণ করতেই হবে এটি বাস্তবতার রীতিনীতি। আজ পর্যন্ত কখনো কেউ অমরত্ব লাভ করতে পারেনি আর কেউ পারবেও না প্রতিটি জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। মানুষের জীবনকে কখনো বয়সের সীমারেখা দিয়ে প্রভাব করা যায় না। 

অনেকে রয়েছে দীর্ঘজীবী মানুষ হয়ে ও জীবনে কোনো ভালো কাজ করতে পায় না কিন্তু আবার অনেকে রয়েছে খুব অল্প বয়সে মধ্যেই অসীম কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে ওঠেন। জীবনে ভালো কাজ না করতে পারলে জীবন অর্থহীন হয়ে ওঠে এই অর্থহীন জীবন নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার পর বেশিদিন মানুষ আপনাকে মনে রাখবে না। 

এক থেকে দুই বছর পর কেউ আর আপনাকে স্মরণ করবে না এই জন্য এই পৃথিবীতে অসীম কৃতিত্ব রেখে যেতে হবে যার বিনিময়ে মানুষ প্রতি মুহূর্তে স্মরণ করবে। এই স্বার্থপর পৃথিবী কাউকে ঠাই দেয় না প্রত্যেকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে আর মৃত্যুর আগে অবশ্যই একটি ভালো কাজ করতে হবে যে ভালো কাজের উসিলায় এই পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে থাকা যাবে। 

এই সার্থক জীবন অনেক সময় তার মহৎ কর্মের মাধ্যমেও স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে ওঠে। যেমন ২০২৪ সালের যে শিক্ষার্থীরা দেশের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন শহীদ হয়েছেন তাদেরকে সারা জীবন এই পৃথিবী মনে রাখবে। তারা তাদের অসীম এবং মহৎ কর্মের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে থাকবে যেমন শহীদ আবু সাঈদ। তার অসীম অবদানের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে সারা জীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ২০২৪ সালে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যারা দেশের জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসবে করেছেন তাদেরকে এই পৃথিবী সাজবে মনে রাখবে। 

মন্তব্য 
মানুষ বেশি বয়স পর্যন্ত বাঁচলেও সেই সময়টুকু যদি কোন মহৎ কাজে না ব্যবহার করে তাহলে তার কোন স্থায়ী মূল্য থাকবে না কাজেই বয়সে নয় মহৎ কমের মাধ্যমে মানুষ কীর্তিমান হয়। বয়স মানুষকে প্রতি মুহূর্ত তাড়িয়ে বেড়ায় কিন্তু কর্ম মানুষকে অনুপ্রেরণা দায়ী কর্ম মানুষকে তার মৃত্যুর পরেও এ পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

২০২৪ সালের ঘটনাটিকে যদি ভাব সম্প্রসারণ ব্যবহার করেন তাহলে শিক্ষকরা বেশি মার্ক দিতে বাধ্য। ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনকারীর কাহিনীটি ভাব সম্প্রসারণ এর মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন এতে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান এবং পরীক্ষাতে ভারত মার্ক অর্জন করা যাবে। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা আশা করছি আপনাদের উপরের এই ভাব সম্প্রসারণটি পছন্দ হয়েছে এবার চলুন আমরা দেখে আসি  ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই SSC ।

ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই SSC 

ভাব সম্প্রসারণ একই কীর্তিমানের মৃত্যু নেই ভাব সম্প্রসারনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ শুধুমাত্র এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ভাব সম্প্রসারণটি একটু বেশি বড় করে এবং গুছিয়ে লিখতে হবে। নিচে দেখুন গুছিয়ে কীর্তিমানের মৃত্যু নেই এই ভাব সম্প্রসারণ টির দেওয়া রয়েছে। 

মূলভাব 
কেবলমাত্র দীর্ঘ জীবনের মাধ্যমে মানুষ অমর হয়ে থাকে না। মানুষ তার মহৎ কাজের মাধ্যমে এ পৃথিবীতে চির অমর হয়ে থাকে। তাই মানুষ তার বয়সের মাধ্যমে নয় কর্মের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে বাঁচে। কীর্তিমানের মৃত্যু নেই এইসব ভাব-সম্প্রসারণটি বাস্তবতার সাথে হুবহু মিলে যায়।

সম্প্রসারিত ভাব 
এক বিজ্ঞানী বলেন matt does not live in years but if dead। জন্ম এবং মৃত্যু এই দুইটা জিনিস মহান আল্লাহ তায়ালার হাতে থাকে কেউ কখনো এই দুইটি জিনিসের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। মানুষ চাইলে এক মিনিটও বেশি সময় পর্যন্ত বাঁচতে পারবে না যদি মহান আল্লাহ তায়ালা না চাই। 

এ পৃথিবীতে প্রতিটি জীব মরণশীল প্রত্যেকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মানুষের জীবন এই পৃথিবীতে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে আবার স্বল্প স্থায়ী হতে পারে এটি মহান আল্লাহ তাআলার উপর নির্ভরশীল। মানুষ কত দিন বাঁচবে এতে তার হাতে নেই কিন্তু মানুষ এই পৃথিবীতে কি কি কাজ করবে এটি তার হাতে থাকে। 

মানুষ কখনো বয়সের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। মানুষ বাঁচে তার কর্মের মাধ্যমে। এই পৃথিবীতে মানুষকে মনে না রাখলেও তার কৃতিত্ব তার কর্ম গুলোকে মনে রাখে। যেমন একজন গায়কের গান শুনলে মানুষ তাকে মনে করে। একজন চিত্রশিল্পী চিত্র দেখে মানুষ তাকে মনে করে। কিন্তু আপনার যদি এমন কোন কর্ম কিংবা কৃতিত্ব না থাকে,

তাহলে আপনাকে কেউ কারো মনে করবে? এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন যে কৃতিত্ব মানেন মৃত্যু নেই। জীবন সল্পস্থায়ী হলেও অসীম কৃতিত্বের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে অমর হয়ে থাকতে চাই। যেমন ১৯৭১ সালের হাজার হাজার মানুষ মৃত্যু বরণ করেছেন তারা তাদের অসীম অবদানের মাধ্যমে এখনো এই পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।

উপসংহার 
অতএব এই বিশ্বজগতে অনন্তকাল প্রবাহে মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং স্বল্প স্থায়ী। এই স্বল্প স্থায়ী জীবন  মহিমা পেতে পারে মানুষের মহৎ কর্ম ও অবদানের মাধ্যমে। মানুষ মৃত্যুর পরে নিজেকে এই পৃথিবীতে অমর করে রাখতে পারে তাদের মহৎ কর্মের মাধ্যমে তাই বয়স মানুষের জীবনকে সার্থক করতে পারে না। কিন্তু মহৎ কৃতির মাধ্যমে মানুষ জীবনকে সফল এবং সার্থক করতে পারে।

প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি ওপরের এই ভাব সম্প্রসারণটি পছন্দ হয়েছে এ ভাবসম্প্রসারণ পরীক্ষাতে লিখলে ফুল মার্ক অর্জন করতে পারবেন। এই ভাব সম্প্রসারণ টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। অর্থাৎ মানুষ তার কর্মের মধ্যে বাঁচে বয়সের মধ্যে নয়। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই HSC।

ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই HSC 

HSC শিক্ষার্থীদের জন্য ভাব সম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাতে বারবার ভাব সম্প্রসারণটি আসে একটি ভাব সম্প্রসারণ লিখলে ১০ মার্ক পাওয়া যায়। তাই ভাব সম্প্রসারণ অবশ্যই গুছিয়ে এবং বড় করে লিখতে হবে যেন বেশি মাপ পাওয়া যায়। আর ভাব সম্প্রসারণ লিখার প্রথমেই মূল কারণ গুলো  ব্যাখ্যা করতে হবে এতে বেশি মার্ক পাওয়া যাবে। নিচে দেখে নিন ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই HSC।

মূলভাব 
কাজের মাধ্যমে মানুষের পৃথিবীতে বেঁচে থাকে তার বয়সের মাধ্যমে নয়। বয়স মানুষের সময় সীমা কিন্তু এই সময় সীমার মধ্যে মানুষকে অসীম অবদান সম্পন্ন কাজ করতে হবে যার মাধ্যমে এই পৃথিবী তাকে সারাজীবন স্মরণ করবে। সময়ের ব্যবধানে আমাদের প্রত্যেকের একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে কেউ আগে মৃত্যুবরণ করবে কেউ পরে কিন্তু আমাদের প্রত্যেককে মৃত্যুবরণ করতেই হবে। 

সম্প্রসারিত ভাব
প্রতিটি জীবকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মহৎ মানুষের পৃথিবী থেকে দৈহিকভাবে মৃত্যুবরণ করলেও পেছনে থাকে তার মহৎ কাজ যার মাধ্যমে এই পৃথিবীতে সে গৌরবময় এবং স্মরণীয় হয়ে থাকে। যেমন ২০২৪ সালে কোটা আন্দোলনকারীদের মধ্যে আবু সাঈদ তার দৈহিক মৃত্যু ঘটলেও,

 সে তার অসীম কৃতিত্বের মাধ্যমে এবং অবদানের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। এবং তার নামে আবু সাঈদ চত্বর তৈরি করা হয়েছে এই পৃথিবী তাকে প্রতিমুহূর্তে স্মরণ করে। এই পৃথিবী বড় স্বার্থপর মানুষ কেমন না রাখলেও তার কর্মক্ষেত্রে কি মনে রাখে যদি আপনি এমন কোন কর্ম এই পৃথিবীতে করতে না পারেন তাহলে আপনার মৃত্যুর কয়েক বছর পরে মানুষ আপনাকে ভুলে যাবে। 

আরো দেখুন: hsc informal letter suggestion 2025
মানুষের দৈহিক মৃত্যু ঘটলেও মানুষ তার অসীম অবদানের মাধ্যমে এই পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী বেঁচে থাকার পরেও যদি ভালো কোন কাজ করতে না পারেন তাহলে এই অর্থহীন জীবন নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার পর বেশিদিন মানুষ তাকে স্মরণ করবে না। এই জীবন খুব নিরবে ঝরে যায় এবং মাটি থেকে তার অস্তিত্ব মিশে যায়। কিন্তু মানুষ যদি তার ছোট এ জীবনকে দেশ জাতি এবং সমগ্র পৃথিবীর কল্যাণী কাজে লাগায় তাহলে জীবন সার্থক হবে।

এবং তার মৃত্যুর পরেও মানুষ থাকে তার মহৎ কর্মের কারণে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখবে। মানুষ তাকে অতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। যাদের মধ্যে ভালো কাজের আগ্রহ থাকে তারা অল্প বয়সেই ভালো কাজ করতে পারে অনেকে এই পৃথিবীতে আসে থেকে একশো বছর বেঁচে থাকার পরও ভালো কোনো অবদান দিতে পারে না কিন্তু অনেকে ১৮ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে এই পৃথিবীতে ভালো অবদান দেওয়ার মাধ্যমে পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে থাকেন।

যেমন আমাদের আশেপাশে বসবাস করেন অনেক সাধারণ ব্যক্তি 80 থেকে 90 বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার পরেও ভালো কোন কাজ করে না যার কারণে এই অর্থহীন জীবন নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং তার মৃত্যুর কয়েক বছর পরে কেউ আর তাকে মনে রাখেনা। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মাত্র 18 থেকে 19 বছর বয়সেই পৃথিবীতে দেশপ্রেমের অবদান দিয়েছেন এবং তাদের এই অবদানের ফলে এই পৃথিবী তাদেরকে স্মরণীয় করে রাখবেন।

উপসংহার
মানুষ বাঁচে তার কওমের মাধ্যমে বয়সের মাধ্যমে নয়। মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী এই ক্ষণস্থায়ী জীবন অর্থপূর্ণ করাই মানুষের মূল উদ্দেশ্য হোক। অর্থহীন জীবন নিয়ে মৃত্যুবরণ করার মধ্যে কোন তৃপ্তি নেই অর্থহীন জীবন নিয়ে মৃত্যুবরণ করলে মানুষ তাকে মনে রাখেনা। অর্থপূর্ণ জীবন নিয়ে পৃথিবীতে ভালো কাজের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করতে হবে।

এতে পৃথিবী সারা জীবন স্মরণীয় করে রাখবে এবং আপনার নামে পৃথিবী থেকে কখনোই মুছবে না। পৃথিবীতে হাজার হাজার এমন স্মরণীয় মানুষ রয়েছেন যেমন মাইকেল জ্যাকসন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম। অতএব উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই বলা যায় যে কীর্তিমানের মৃত্যু নেই মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয়।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ভাব সম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই HSC সম্পর্কে। এভাবে ভাব সম্প্রসারণ লিখলে পরীক্ষাতে ফুলমার্ক অর্জন করতে পারবেন। একটি ভাব সম্প্রসারণ লিখে পরীক্ষাতে ১০ মার্ক পাওয়া যায় এই জন্য ভাব সম্প্রসারণ গুছিয়ে এবং বড় লিখতে হবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম সম্পর্কে।

ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম 

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে ভাব সম্প্রসারণ লিখলে ফুল মার্ক পাওয়া যাবে ভাব সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম কি ভাব সম্প্রসারণর লেখা খুবই সহজ শুধুমাত্র একটু বুঝিয়ে প্রথমে মূলভাব সম্প্রসারিত ভাব তারপর উপসংহার লিখে ভাব-সম্প্রসারণ শেষ করতে হবে।

ভাব সম্প্রসারণ অতিরিক্ত আমি আপনি এই সমস্ত ব্যবহার করা যাবে না শুধুমাত্র মূল ভাবটুকু এবং মূল বক্তব্য আলোচনা করতে হবে। আর ভাব সম্প্রসারণ অবশ্যই গুছিয়ে লিখতে হবে ভাব সম্প্রসারণ সময় তিন ভাগে লিখতে হবে। প্রথমে মূলভাব লিখতে হবে তারপর মধ্যের অংশ সম্প্রসারিত ভাব এবং সর্বশেষ অংশ উপসংহার দিয়ে শেষ করতে হবে। 
ভাব সম্প্রসারণের তিনটি ধাপ থাকবে 
মূলভাব সম্প্রসারিত ভাব এবং উপসংহার 

মূলভাবের হালকা বক্তব্য দিতে হবে আপনি কোন বিষয় নিয়ে ভাব সম্প্রসারণ লিখছেন সে বিষয়টি আলোচনা করতে হবে তারপর সম্প্রসারিত ভাবে কেন কিভাবে সমস্ত ব্যাখ্যা দিতে হবে সম্প্রসারিত ভাব অবশ্যই এক পেজে লিখতে হবে। এক পেজ অথবা দুই পেজ বড় করে লিখলে বেশি মার্ক পাওয়া যাবে তবে অবশ্যই গুছিয়ে বইয়ের  ভাষায় লিখার চেষ্টা করতে হবে। অতিরিক্ত আমি আপনি এই সমস্ত ওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে না। 

তারপর সর্বশেষে উপসংহার দিয়ে ভাব সম্প্রসারণ শেষ করতে হবে উপসংহারে। উপসংহার অতিরিক্ত বড় করা যাবে না। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ভাব-সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম কি এবং কিভাবে ভাব সম্প্রসারণ লিখলে শিক্ষক ফুল মার্ক দিবে। ভাব সম্প্রসারণ গুছিয়ে লিখতে হবে এবং মূল বক্তব্য মূল ব্যাখ্যা গুলো আলোচনা করতে হবে তাহলে শিক্ষক ফুল নাম্বার দিবে।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন 

ভাব সম্প্রসারণ কাকে বলে?

ভার সম্প্রসারণ বলতে বোঝায় কোন গদ্য পদ্ম কিংবা গল্পের মূল অংশটিকে লিখা। যেমন কোন একটি গল্পের মূল অংশ কোনটি এবং মূল ব্যাখ্যা কি সে সম্পর্কে একটি ছোট্ট সংক্ষিপ্ত রূপ তৈরি করাকে বলা হয় ভাব সম্প্রসারণ। পরীক্ষাতে ফুল মার পেতে হলে ভাবসম্প্রসারণ সর্বনিম্ন দুই পেজ লিখতে হবে। ভাব সম্প্রসারণ ভালো করে গুছিয়ে তিন থেকে চার ভাগে লিখলে পরীক্ষাতে ফুল মার্ক পাওয়া যায়।

ভাব সম্প্রসারণ লিখলে পরীক্ষাতে কত মার্ক পাওয়া যায়?

ভাব সম্প্রসারণ লিখলে কত মার্ক পাওয়া যায় এটি নির্ভর করে পরীক্ষার উপর আপনি পরীক্ষা দিচ্ছেন যদি এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষা দেন তাহলে একটি ভাব সম্প্রসারণ লিখলে ১০ মার্ক দেওয়া হবে। আর যদি বিসিএস কিংবা আরো অন্যান্য পরীক্ষা দেন তাহলে ভাব সম্প্রসারণ লিখলে ২ থেকে ৫ মার্ক পাওয়া যাবে।

কীর্তিমানের মৃত্যু নেই ভাব সম্প্রসারণ কোথায় পাবো? 

আপনারা অনেকে কমেন্ট বক্সে জিজ্ঞাসা করেন কীর্তিমানের মৃত্যুর এই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে আপনারা যারা এই ভাব সম্প্রসারণটি পেতে চান তারা এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন দেখুন আজকের এই আর্টিকেল আমরা ভাব-সম্প্রসারণ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। কীর্তিমানের মৃত্যু নেই এই ভাব সম্প্রসারণ টিপ জেএসসি এসএসসি এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য উপরে ভাগ ভাগ করে শেয়ার করেছি।

লেখকের শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই আর্টিকলে আমরা দেখলাম ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই JSC SSC HSC , ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম এবং কিভাবে ভাব সম্প্রসারণ লিখলে শিক্ষক ফুল নাম্বার দিবে। JSC,SSC এবং HSC শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাতে ভাব সম্প্রসারণ আছে এবং ভাব সম্প্রসারণ লিখলে ১০ মার্ক দেওয়া হয়। তাই পরীক্ষাতে ভালোভাবে ভাব সম্প্রসারণটি লিখতে পারলে সহজে পাস মার্ক তোলা যায়। 

বাংলা দ্বিতীয় পত্রতে ভাব সম্প্রসারণ আসে। ১০০ এর মধ্যে ৩৩ মার্ক পেলে পরীক্ষাতে পাস করা যায় আর এটি ভাব সম্প্রসারণ লিখে যদি ১০ মাস পাওয়া যায় তাহলে আর মাত্র ২৩ মার্ক এর এক্সাম দিলে পাস মার্ক উঠে যাবে। তাই আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ভাব সম্প্রসারণের গুরুত্ব কতটুকু 

এবং সুন্দরভাবে ভাব সম্প্রসারণ লিখলে পরীক্ষাতে সহজে পাস মার্ক উঠানো যায়। আশা করছি আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন জেএসসি এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার জন্য কোন ভাব-সম্প্রসার গুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং ভাব সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম কি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url