জেনে নিন লবঙ্গর ২৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা

লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? জেনে নিন লবঙ্গর ২৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা। তরকারিতে মসলার কাজে ব্যবহৃত এই লবঙ্গ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। করে কাঁচা লবঙ্গ দাঁতের নিচে নিয়ে চিবিয়ে খেলে শরীরের সমস্ত রোগবালাকে নিমিষেই দূর করা যায়। হ্যাঁ বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করতে চলেছি লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা সাথে প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা কি এবং লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা
আমাদের প্রত্যেকের বাসাতে লবঙ্গ থাকে। কিন্তু লবঙ্গ উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা তাই লবঙ্গ থাকা সত্ত্বেও ব্যবহার করি না। তবে আজকে যদি আপনি লবঙ্গ উপকারিতা গুলো জানেন তাহলে আপনি আজকের পর থেকে গ্যারান্টি সহ প্রতিদিন লবঙ্গ খাবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে আসি লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা প্রতিদিন কয়টি রঙ্গ খাওয়া উচিত লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এবং রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি। জেনে নিন লবঙ্গর ২৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা।

লবঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী 

লবঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী? আপনারা অনেকেই এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে লবঙ্গ স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক কতটুকু উপকারী? আমরা প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই লবঙ্গ চিনি? লবঙ্গ সাধারণত আমরা তরকারিতে ব্যবহার করে থাকি লবণ ঘ্রাণ তরকারি স্বাদ কে আরো বেশি বৃদ্ধি করে। তবে লবঙ্গ তরকারিতে ব্যবহার করার পাশাপাশি এটি সরাসরি খাওয়া যায়। লবঙ্গ এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। এটি নিঃসন্দেহে একটি স্বাস্থ্যকর উপাদান।

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ওজন কমাতে লবঙ্গ খাওয়া যায় মাথা ব্যথা কমাতে লবঙ্গ খাওয়া যায়। এছাড়াও জ্বর সর্দি কাশি থেকে  ত্রাণ পেতে লবঙ্গ খাওয়া যায়। লবঙ্গ একটি প্রদাহ হ্রাসকারী উপাদান। যা প্রদাহ কে কমায় এবং ব্যথা নাশক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য লাভ করার জন্য জেনে নিন লবঙ্গর ২৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা।

জেনে নিন লবঙ্গর ২৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা

লবঙ্গ যার বৈজ্ঞানিক নাম eugenia aromaticum eugenia caryophyllata। লবঙ্গ একটি গাছের কোন শিকল কিংবা পাতা নয় লবঙ্গ একটি গাছের ফুল যা শুকিয়ে তরকারি স্বাদ বৃদ্ধির জন্য আমরা লবঙ্গ হিসেবে তরকারিতে ব্যবহার করি। বহুকাল আগে থেকে আদিবাসীরা লবঙ্গ ব্যবহার করে আসছে লবঙ্গর সাধ ও ঘ্রাণ অমৃত। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া তে বসবাসকৃত মানুষরা লবঙ্গ প্রথম ব্যবহার করা শুরু করেছিল।জেনে নিন লবঙ্গর ২৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা।

এখন সময়ের ব্যবধানে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান সহ শ্রীলঙ্কাতে। লবঙ্গ জনপ্রিয় তরকারিতে ব্যবহৃত উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লবঙ্গ না দেওয়া পর্যন্ত তরকারি স্বাদ বৃদ্ধি হয় না লবঙ্গর ঘ্রাণ তরকারির স্বাদকে আরও দশ গুণ বেশি বৃদ্ধি করে। ২০০৫ সালে ইন্দোনেশিয়াতে প্রায় ৮০ পার্সেন্ট লবঙ্গ উৎপাদিত হয়েছিল। তখন ধীরে ধীরে প্রত্যেকের লবঙ্গ খাওয়া শুরু করেছিল।

লবঙ্গ থেকে ইউজেনাল উপাদান পাওয়া যায় যা লবঙ্গের সুঘ্রাণের জন্য দায়ী। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লবঙ্গ চাষ করা হয় এবং লবঙ্গ স্বাদ ও গুণে ভরপুর। লবঙ্গ আমরা প্রত্যেকে ব্যবহার করে থাকি লবঙ্গ ব্যবহার না করলে তরকারি পরিপূর্ণ হয়। তবে লবঙ্গ তরকারিতে দেওয়ার পাশাপাশি যদি লবঙ্গ সরাসরি চিবিয়ে খায় তাহলে আরো বেশি উপকারিতা লাভ করা যায়। 

আমাদের প্রত্যেকের বাসাতেই নিশ্চয়ই লবঙ্গ থাকে কিন্তু আমরা লবঙ্গর উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা এই জন্য ব্যবহার করিনা। তবে লবঙ্গ উপকার ও গুন জানলে আপনি আজকের পর থেকে গ্যারান্টি সহ প্রতিদিন লবঙ্গ খাবেন। কারো লবঙ্গ থেকে ভরপুর ভিটামিন পাওয়া যায় একজন ব্যক্তির শরীরের যা যা ভিটামিন প্রয়োজন রয়েছে এই সমস্ত ভিটামিন লবঙ্গ থেকে পাওয়া যায়। 
লবঙ্গর পুষ্টি উপাদান গুলো;

  • ভিটামিন কে
  • ভিটামিন ই
  • মেঙ্গানিজ
  • আয়রন
  • ভিটামিন সি
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • ক্যালসিয়াম 
  • অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান 
  • এন্টি ফাঙ্গাল উপাদান 
  • অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান

এই উপাদান গুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আন্টি ফাংগাল উপাদান ত্বকের যে কোন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত স্থানকে দ্রুত সারিয়ে তুলে এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান ত্বকে চুলকানিজনিত কিংবা ত্বকে ফাংগাল ছাড়া আক্রমণ হলে সেই স্থানকে দ্রুত সারিয়ে তোলে আর ফাঙ্গাস ইনফেকশন দূর করে পাশাপাশি আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান প্রদাহ কামায় এবং স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য লাভ করার জন্য নিচে দেখে নিন। জেনে নিন লবঙ্গর ২৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা

লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা
  1. লবঙ্গ দাঁতের মাড়ির জন্য ভালো এটি দাঁতের মাড়ি সংক্রমণ রোধ করে এবং দাঁতকে শক্ত ও মজবুত করে। 
  2. বাসে উঠলে বমি ভাব দেখা দিলে একটি লবঙ্গ দাঁতের নিচে নিয়ে চিবিয়ে  খেয়ে নিতে হবে এতে বমি ভাব দূর হবে।
  3. সাইনোসাইটিস রোগীদের জন্য লবঙ্গ ঔষুধের মত কাজ করে এটি সাইনোসাইটিস কে হ্রাস করে। এবং সাইনাসের ব্যথা দূর করে। লবঙ্গ থেকে শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট কোষ পাওয়া যায়। এটি প্রদাহ জনিত সমস্যাকে দূর করে।
  4. সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগার বিরুদ্ধে মহৌষধ হিসেবে কাজ করে লবঙ্গ।
  5. লবঙ্গ রক্তকে পরিশোধিত করে। অথবা রক্তকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  6. লবঙ্গ থেকে ভরপুর ফাইবার পাওয়া যায় যা হজম শক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
  7. চুল পড়া বন্ধ করে। অতিরিক্ত চুল পড়া সমস্যা আমাদের প্রত্যেকের রয়েছে। চুল পড়া সমস্যার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে লবঙ্গ।
  8. লবঙ্গ থেকে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা শরীর থেকে রোগবালাকে দূর করতে সাহায্য করে
  9. লবঙ্গ মাথা ব্যাথার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত কাজ করে।
  10. লবঙ্গ বুকে কফ জমে থাকলে বুকে কফ দূর করে। 
  11. পেট পেঁপে থাকা পেটে গ্যাস নিরাময় লবঙ্গ সাহায্য করে। 
  12. খাবারে অনীহা দেখা দিলে লবঙ্গ খেতে হবে। লবঙ্গ ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 
  13. রক্তশূন্যতা থাকলে কিংবা শরীরে রক্তের ঘাটতি দেখা দিলে নিয়মিত লবঙ্গ খেতে হবে লবঙ্গ থেকে আয়রন পাওয়া যায় যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কে বৃদ্ধি করে।
  14. লবঙ্গ খেলে প্রচন্ড স্ট্রেস এবং মানসিক চাপ দূর হয়।
  15. নিয়মিত লবঙ্গ খেলে সহজেই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
  16. রক্তের শর্করার মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যাবে।
  17. উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ রক্তচাপ থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত সকালে একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে হবে।
  18. আলসার অথবা পাকস্থলীর ক্ষতকে সারিয়ে তোলে।
  19. লবঙ্গ ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কার্যকারী হিসেবে কাজ করে।
  20. লবঙ্গ যকৃতের জন্য কার্যকরী কাজ করে, লবঙ্গ খাওয়ার ফলে যকৃতের সমস্যা দূর হয়।
  21. হাঁপানিতে গলার ভেতরের অংশ ফুলে উঠে এই অবস্থায় বেশি বেশি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে এতে লবঙ্গর পুষ্টি উপাদান হাঁপানি থেকে সৃষ্ট গলার ভেতরে সংক্রমণকে দূর করে এতে হাঁপানি দূর হয়।
  22. লবঙ্গ তে আন্টি  ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। যা পেশী কে মজবুত করে এবং পেশির ব্যথা দূর করে।
  23. ঠান্ডায় যদি শরীরের কোন অংশ ফুলে উঠে কিংবা যদি বারবার হাচ্ছির সমস্যা হয় তাহলে লবঙ্গ মিশ্রিত চা খেতে হবে।
  24. লবঙ্গ তে ভোলাটাইল তেল রয়েছে যা শরীরের সংক্রমণকে দূর করে এবং প্রদাহ কমায়। 
  25. শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে কিংবা হাঁপানি সমস্যা থাকলে লবঙ্গ খেতে হবে এদের দ্রুত শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
একটি মাত্র লবঙ্গ  চা সারাদিনের ধকল কে মেটাতে পারে। প্রতিদিন সকালে উঠে প্রথমেই একটি লবঙ্গ দাঁতের নিচে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিবেন এতে শরীরে যাবতীয় রোগবালায় ধীরে ধীরে দূর হতে থাকবে। লবঙ্গ যে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা প্রায় তিন থেকে চারবার প্রমাণ দিয়েছেন। 

লবঙ্গ থেকে ভরপুর ভিটামিন পাওয়া যায় যা দাঁতের মাড়ির জন্য ভালো পেট সংখ্যা হতে সমস্যা দূর করে ত্বকের জন্য ভালো হাঁপানি দূর করতে সাহায্য করে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করে পেশির ব্যথা দূর করে মাথা ব্যথা দূর করে সাথেই বুকে কফ জমে থাকলে কফকে দূর করে এবং ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। 

একটি মাত্র লবঙ্গ শরীরের সমস্ত রোগ বালাই এর বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে। অথচ আমাদের বাসায় সবসময় লবঙ্গ থাকে কিন্তু আমরা রোগবালায় নিয়ে ভুগতে থাকি। তাই এখন থেকে রোগবালাই হলে ওষুধ খেয়ে বাই বলুন এবং লবঙ্গকে ব্যবহার করুন। কারণ একটি মাত্র খাওয়ার মাধ্যমে ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে  নিমিষেই রেহাই পাওয়া যায়। আমাদের মৌসুমী সমস্যা যেমন ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশি লেগেই থাকে এক্ষেত্রে ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন। 

গরম পানির মধ্যে লবঙ্গ তিন থেকে চার মিনিট ফুটিয়ে তার মধ্যে একটা চামচ লেবুর রস অথবা মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পাশাপাশি সর্দি জ্বর কাশি কে দূর করবে। লবঙ্গ একটি স্বাস্থ্যসম্মত উপাদান এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই নিশ্চিন্তে লবঙ্গ খেতে পারেন। এছাড়াও লবঙ্গ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস কে অথবা রক্তের শর্করার পরিমাণ কে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নয় তাদের জন্য লবঙ্গ উপকারী।

আপনি জানলে অবাক হবেন যে লবঙ্গ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে বিশেষ করে যারা ব্রেস্ট ক্যান্সার অথবা ওভারিয়ান ক্যান্সারে ভুগছেন তাদের জন্য লবঙ্গ ঔষুধের সমতুল্য। ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে অথবা ওভারিয়ান ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত লবঙ্গ খেতে হবে। চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে পাশাপাশি লবঙ্গ উপকারিতা আরো অনেক লবঙ্গ রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে বৃদ্ধি করে শরীরের রক্ত উৎপন্ন করে। 

লবঙ্গ থেকে মাত্রায় এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান সহ এন্টিফাঙ্গাল উপাদান পাওয়া যায়। এই উপাদানগুলো ত্বকের চুলকানি প্রদাহকে দূর করে এবং ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করে। যাবতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এখন থেকে নিয়মিত সকালে একটি লবঙ্গ খেয়ে নিতে হবে এতে শরীরের সমস্ত রোগ বালাই দূর হবে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন লবঙ্গ উপকারিতা সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি লবঙ্গর অপকারিতা গুলো।

লবঙ্গর অপকারিতা 
আমরা অনেকেই রয়েছি যারা লবঙ্গর উপকারিতা লাভ করার জন্য অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া শুরু করি এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। লবঙ্গ উচ্চ আয়রন সম্পন্ন। অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে যার ফলে উচ্চমাত্রায় শরীরের রক্ত উৎপন্ন হতে পারে যা উত্তর সৃষ্টি করতে পারে এর জন্য অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া যাবে না। 

যাদের শরীরে রক্তের শর্করার পরিমাণ অনেকাংশে কম রয়েছে তারা অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এমনকি তরকারিতে কম লবঙ্গ খেতে হবে। অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া হাইপার গ্লাইসেমিয়া কারণ হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শরীরে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এলার্জির প্রভাব দেখা গেছে। অর্থাৎ লবঙ্গ খাওয়ার পরে শরীরে অস্বাভাবিকভাবে চুলকানি সৃষ্টি হয়েছে। 

এ বিষয়ে তথ্য পাওয়ার জন্য প্রথমে একটি অথবা দুইটি লবঙ্গ খেয়ে দেখতে হবে যদি অ্যালার্জি প্রভাব দেখা দেয় তাহলে লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ প্রত্যেকের শরীরে লবঙ্গ একইভাবে কাজ করবে না। অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা তৈরি হতে পারে এতে পেট ফেঁপে থাকতে পারে এবং পেটে ব্যথা হতে পারে।
লবঙ্গ তে উচ্চমাত্রায় ঘ্রাণ রয়েছে। এইজন্য অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে মুখের ভেতরের ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে মুখে জ্বালাপোড়া অনুভূতি হতে পারে। এছাড়াও উচ্চমাত্রায় লবঙ্গ খাওয়ার ফলে যকৃতের সমস্যা দেখা দেয়।

এইজন্য অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন অতিরিক্ত লবঙ্গ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর আমরা অনেকেই উপকার লাভের আশায় অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া শুরু করি।

বিশেষ করে কেউ যদি দীর্ঘদিন যাবত প্রতিদিন অতিরিক্ত লবঙ্গ খায় তাহলে তার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি সাধন হতে পারে এইজন্য সময় থাকতে সাবধান হোন এবং অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। উপরে আমরা লবঙ্গর ১৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করলাম। এবার চলুন আমরা দেখে আসি লবঙ্গর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে নাকি।

লবঙ্গর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে 

আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন বিরাজ করে যে লবঙ্গর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে নাকি কারণ যে কোন খাবার খাওয়ার আগে তো জেনে নিতে হবে সে খাবারে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিদ্যমান রয়েছে নাকি। লবঙ্গর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এটি একটি স্বাস্থ্যকর উপাদান। যা রোগবালায় কে দূর করে। এবং স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে। 

লবঙ্গ তে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিদ্যমান না থাকলেও যদি অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া হয় তাহলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কারণ অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে উত্তর রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে রক্তে আর করার মাত্রা অতি নিম্ন আকার ধারণ করতে পারে এবং যকৃত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সাথেই  লবঙ্গ খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জি প্রভাব দেখা গেছে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন লবঙ্গর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রি আছে নাকি লবঙ্গের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকলে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়ার ফলে ওপরে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। লবঙ্গের অপকারিতা সম্পর্কে আরও কালিয়ার তথ্য পাওয়ার জন্য উপরে দেখে নিন লবঙ্গের অপকারিতা ব্যাখ্যা করা রয়েছে। এবার আমরা দেখে আসি প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত। 

প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত 

অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত? প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খেলে পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করা যাবে? লবঙ্গ পুষ্টিগুনে ভরপুর এজন্য অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া যাবেনা অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। উপরে আমরা দেখলাম অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলস্বরূপ কি কি ক্ষতি হতে পারে। 

###সাধারণ শরীরে দিনে দুইটি লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। লবঙ্গ তে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন রয়েছে এর জন্য অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া যাবেনা। বিশেষ করে যাদের শরীরের শর্করার পরিমাণ কম রয়েছে তারা দিনে একটি লবঙ্গ খেতে পারেন। তরকারিতেও কম লবঙ্গ ব্যবহার করতে হবে। লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা কমে যায় যার ফলে ডায়াবেটিস বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। 

লবঙ্গ থেকে অ্যান্টি অক্সিজেন পাওয়া যায় যা শরীরের প্রদাহ দূর করে এবং শরীরকে প্রশান্তি দেয় মানসিক চাপকে দূর করে। আমাদের প্রতিজ্ঞা জীবনের বিভিন্ন কারণ নিয়ে মানসিক চাপ থাকে। এই জন্য মানসিক চাপকে দূর করতে লবঙ্গ খেতে পারেন। যখন আপনার অতিরিক্ত মাথা ব্যথা করবে কিংবা মাথায় অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি হবে। বিভিন্ন চিন্তা আসবে এই সময় একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেয়ে নিতে হবে অথবা লবঙ্গ চা বানিয়ে খেতে হবে।

লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় 

লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে বিভিন্ন উপকারিতা লাভ করা যায় আমরা অনেকেই জানিনা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয়। ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে দাঁতের মারীর সংক্রমণ দূর হয় এবং দাঁত আরো বেশি মজবুত হয়। লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে দাঁত শক্ত হয় এবং দাঁতের ব্যথা দূর হয় যেহেতু লবঙ্গ একটি প্রদাহ বিরোধী উপাদান সে ক্ষেত্রে লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে দাঁতের ব্যথা দূর হয়।

লবঙ্গ তে অ্যান্টিসেপটিক গুণ রয়েছে যা দাঁতের ব্যথাকে দূর করে এবং দাঁতের সংক্রমণকে রোধ করে। মুখের ভেতরের অংশের ঘা হলে কিংবা মুখের ভেতরের অংশ জ্বালাপোড়া অনুভূত হলে এই সময় লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে দ্রুত প্রদাহ থেকে রেহাই পাওয়া যায় এবং জ্বালাপোড়া দূর হয়। 

লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে ওপরে দেখে নিন আমরা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে উপরে আলোচনা করেছি। লবঙ্গ এর পরিপূর্ন উপকারিতা পেতে চিবিয়ে খেতে হবে অথবা লবঙ্গ চা বানিয়ে খেলেও উপকারিতা লাভ করা সম্ভব। 

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা 

ওপরে আমরা আলোচনা করলাম সকালে উঠে একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে হবে তবে রাতে লবঙ্গ খেয়ে ঘুমালে কি হবে? কোন ক্ষতি হবে? না লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে কোন ক্ষতি দেখা যায় না তবে অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে কিছু সম্ভাব্য ক্ষতি হতে পারে সেই বিষয়ে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। এবার আমরা জানবো রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা কি। 

  • রাতে লবঙ্গ খেলে মুখে দুর্গন্ধ দূর হয়। লবঙ্গ থেকে ইউজেনাল নামক উপাদান পাওয়া যায়। এই ইউজেনাল উপাদানের কারণেই লবঙ্গ থেকে এত সুঘ্রাণ পাওয়া যায়। এই জন্য প্রতিদিন রাতে একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং মাড়ির সংক্রমণ দূর হয়।
  • দাঁত তারা মজবুত হয় এবং দাঁত ব্যথা দূর হয়।
  • লবঙ্গ থেকে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান পাওয়া যায় যা অ্যাট্রাইটিসের প্রদাহ অথবা ব্যথাকে দূর করে এবং পেশির জয়েন্ট কে আরো বেশি মজবুত করে। আমাদের অনেকের গিরাই গিরায় অথবা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হয় এই ক্ষেত্রে প্রতিদিন একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে নিমিষেই এই এথ্থাইটিস নামক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। 

লবঙ্গ থেকে শক্তিশালী এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদানের পাশাপাশি আন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী শরীরের প্রদাহকে দূর করে ব্যথা দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও লবঙ্গ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় জয়েন্টে ব্যথা উপশমে সহায়তা প্রদান করে।

আমাদের শেষ কথা :জেনে নিন লবঙ্গর ২৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক বৃন্দরা আজকের এই পোস্টে আমরা লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করলাম সাথেই লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এবং রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা কি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে উপরে আলোচনা করলাম। ওপরে দেখুন এবং জেনে নিন লবঙ্গর ২৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো।

লবঙ্গ থেকে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার। তাই একজন ব্যক্তির শরীরে প্রতিদিন যা যা ভিটামিন প্রয়োজন রয়েছে সে সমস্ত ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলো লবঙ্গ তে বিদ্যমান রয়েছে যার ফলে একটি মাত্র লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শরীরের যাবতীয় ভিটামিনের চাহিদা কে মেটানো সম্ভব। এজন্য প্রতিদিন সকালে অথবা রাতে একটি কিংবা দুইটি লবঙ্গ দাঁতের নিচে নিয়ে চিবিয়ে খেলে উপরের এই ২৫ টি উপকারিতা লাভ করতে পারবেন। 

লবঙ্গ থেকে উচ্চ মাত্রায় এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান পাওয়া যায় যা পেশী ও অস্থিমজ্জার প্রদাহকে দূর করে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং চুলকানি জনিত কিংবা জ্বালাপোড়া সমস্যাকে দূর করে। তবে উপকারের আশায় অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে সেই বিষয়ে জানার জন্য উপরে দেখে নিন লবঙ্গর অপকারিতা গুলো। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আশা করছি আপনি উপকৃত হয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url