রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার গুলো কি কি?
রাতে ঘুম আসে না? রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখব রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার গুলো সাথেই ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় এবং ঘুম বৃদ্ধির খাবার গুলো কি কি সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কেন আপনার রাতে ঘুম আসে না এবং রাতে কি খাবার খেলে কি কি কাজ করলে দ্রুত ঘুম চলে আসবে। তাহলে আর দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে আসি ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় , রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এবং ঘুম বৃদ্ধির খাবার গুলো কি কি।
রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
বর্তমান সময় হাজার হাজার মানুষের একই সমস্যা রাতে ঘুম হয় না। রাতে সময় মত ঘুম আসে না এই পিছে বিভিন্ন প্রকার কারণ থাকতে পারে আজকে আমরা সেই সমস্ত কারণগুলো খুঁটিয়ে দেখব আসলে কোন কারণে আমাদের রাতে ঘুম হচ্ছে না? রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার গুলো কি কি? এটি কোন বড়সড় রোগে উপসর্গ নয় তো?
রাতে ঘুম না হওয়ার নিচের বিভিন্ন প্রকার কারণ থাকতে পারে তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি কারণ সম্পর্কে নিচে দেওয়া রয়েছে
- মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ
- অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচী
- সঠিক পরিবেশের অভাব অথবা পরিবেশের বিঘ্নতা
- ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ
- অ্যালকোহল পান
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ
- ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুমানো
- ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ
- ঘুমানোর আগে ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করা যেমন মোবাইল ফোন।
ঘুম না হওয়ার পিছে এ কারণগুলো অনেক বেশি কার্যকরী। আমাদের জীবনে বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ থাকে শারীরিক চাপ থাকে কাজের চাপ থাকে চাকরির চাপ থাকে বসের চাপ থাকে ব্যবসার বেহাল নিয়ে মানসিক চিন্তা থাকে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা তো রয়েছে এই সমস্ত চিন্তা গুলো আমাদেরকে রাতে ঠিকভাবে ঘুমাতে দেয় না ঘুম প্রতিটি জীবের জন্য জরুরী মানুষ যে সময়টুকু ঘুমিয়ে থাকে সেই সময়টুকু তাদের শরীর বিশ্রাম নেয়।
আপনি যত সময় পর্যন্ত জাগ্রত অবস্থায় থাকবে তাদের সময় পর্যন্ত ননস্টপ আপনার শরীর কোন না কোন কাজে নিয়োজিত থাকে। সেক্ষেত্রে ঘুমের মাধ্যমে আমাদের শরীর একটু বিশ্রাম নেয়। আর এই ঘুম হওয়া প্রতিটি জীবের জন্য খুবই জরুরী সঠিকভাবে ঘুম না হলে বিভিন্ন প্রকার রোগবালাই তৈরি হয়। অতএব রাতে ঘুম না হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে রয়েছে মানসিক চাপ অথবা শারীরিক চাপ। দ্বিতীয়ত অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচী।
অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচী বলতে বোঝায় আমরা যখন প্রতি রাতে 12 টা থেকে একটা কিংবা একটা থেকে দুইটায় ঘুমাবো তখন এটি আমাদের অভ্যাসে পরিণত হবে এবং পরবর্তী দিন থেকে আমাদের ঠিক একই সময়ে ঘুম আসবে অর্থাৎ রাত ১.০০ থেকে ২.০০ টাই। এর জন্য প্রথমে ঘুমের সময়সূচি নিশ্চিত করুন। এক্ষেত্রে ঘুমের সময়সূচি তৈরি করতে চাইলে প্রথমে একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করুন এবং সেই রুটিন অনুসারে প্রতিদিন রাত দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
সঠিক পরিবেশের অভাব থাকলেও অর্থাৎ ঘুমানোর রুমে অনেক বেশি আলো থাকলে কিংবা পাড়া-প্রতিবেশীর কোলাহল গাড়ির শব্দ থাকলে ঘুম আসে না। ঘুমানোর জন্য একটি সঠিক জায়গা প্রয়োজন যেমন অন্ধকার একটি রুম এবং চারিদিকে কোন কোলাহল নেই। এমন রুমে সহজেই ঘুম চলে আসে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা হলো ঘুমানোর আগে কখনোই ক্যাফিন সমৃদ্ধ কোন খাদ্য কিংবা অ্যালকোহল সমৃদ্ধ কোনো খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না।
ক্যাফিন সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন কফি অথবা আপনি যদি ঘুমানোর আগে কফি অথবা চা সেবন করেন তাহলে রাতে ঘুম না আসা স্বাভাবিক। শুধু রাতে ঘুমানোর আগেই নয় বরং সন্ধ্যার আগে কফি অথবা চা পান করবেন সন্ধ্যার আজানের পর কখনোই কফি অথবা চা পান করবেন না। অনেকে রয়েছে যারা দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকেন। দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুমালে রাতে ঘুম আসে না।
উপরের এই কারণগুলোর জন্য সাধারণত রাতে ঘুম আসে না। আর বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রাই ৭০% মানুষের এখন রাতে ঘুম আসে না এমন সমস্যায় ভুগছে। সুপ্রিয় পাঠকরা আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে রাতে ঘুম না আসার কারণ কি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় গুলো।
১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় খুঁজছেন? ১ মিনিটে কি সত্যিই ঘুমানো সম্ভব? প্রিয় পাঠক অনেকেই রয়েছে যারা খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ে আবার অনেকেই রয়েছে যারা দ্রুত ঘুমাতে পারেনা। সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো কার্যকারী নয় তবে এই নিয়মগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আশা করা যায় যে দ্রুত ঘুম আসা সম্ভবনা রয়েছে। তরুণ তাহলে আমরা ঝটপট দেখে আসি ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় গুলো কি কি।
- ঘুমানোর আগে হালকা শারীরিক ব্যায়াম করুন অথবা শরীরচর্চা।
- ঘুমানোর আগে ইলেকট্রিক ডিভাইস থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।
- ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাদ্য সেবন না করা।
- প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা।
- ঘুমানোর ঘর ঠান্ডা কোলাহলমুক্ত এবং শান্ত রাখুন।
- ঘুমানোর আগে হালকা খাবার গ্রহণ করুন।
- ঘুমানোর আগে জোরে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন।
- ঘুমানোর আগে মাইন্ড কে স্থির রাখুন। আজেবাজে চিন্তা দূর করুন।
- আরামদায়ক ঘুমের জন্য আরামদায়ক বিছানা হওয়া খুবই জরুরী
ঘুমানোর আগে অবশ্যই হালকা শারীরিক ব্যায়াম করবেন। ব্যায়াম করার পরে দ্রুত ঘুম আসার সম্ভাবনা রয়েছে এজন্য প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করবেন। ঘুমানোর আগে ক্যাফিন সমৃদ্ধ খাদ্য থেকে দূরত্ব বুঝিয়ে রাখুন। ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাদ্য বলতে বোঝায় যেমন কফি চা। চা এর তুলনায় কফিতে ক্যাফেইন নামক পদার্থের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই চেষ্টা করবেন ঘুমানোর আগে কফি অথবা চা থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কারণ ঘুমানোর আগে যদি আপনি চা অথবা কফি খান তাহলে কখনোই ঘুম আসবে না।
ঘুমানোর আগে ইলেকট্রিক ডিভাইস থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঘুমানোর আগে ইলেকট্রিক ডিভাইস আমার মোবাইল ফোন থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন এতে দ্রুত ঘুম আসবে। আমরা যখন ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তখন এটি আমাদের দৈনিক অভ্যাসে পরিণত হয় এতে দ্রুত ঘুম আসে না এর জন্য কখনোই ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। চেষ্টা করবেন ঘুমানোর ত্রিশ মিনিট আগে মোবাইল ফোন রেখে দেওয়ার।
ঘুমানোর আগে জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন এতে মাইন্ড ক্লিয়ার হবে এবং ব্রেন স্থির থাকবে। এতে দ্রুত ঘুম আসার সম্ভাবনা রয়েছে আর ঘুমানোর আগে অবশ্য একটু আরাম দাও বিছানা নিশ্চিত করুন আপনার বিছানা যত বেশি আরাম দেওয়া হবে আপনার ঘুম তত বেশি গভীর হবে। ঘুমানোর আগে ব্রেইনকে স্থির রাখা খুবই জরুরী। যদি ঘুমানোর সময় আপনি এটা ওটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে থাকেন তাহলে কখনোই ঘুম আসবে না।
আর ঘুমানোর আগে হালকা খাবার গ্রহণ করুন ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে এতে অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে পাশাপাশি দ্রুত ঘুম আসবে না। আর প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করুন যদি আপনি প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমান এবং একই সময়ে সকালে উঠে তাহলে এটি আপনার অভ্যাসের পরিণত হবে এতে দ্রুত ঘুম আসবে। ওপরের এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে চলে আশা করছি দ্রুত ঘুম না আসা সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
আমরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করার পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করি যার কারণে আমাদের দ্রুত ঘুম আসে না এবং এটিকে আমরা কোন রোগ বালাই মনে করি। কিন্তু এ ধারণা গুলো সম্পন্ন ভুল বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের ঘুম হয়নি তার কারণ হলো তাদের অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচী। প্রথমে ঘুমানোর একটি সময়সূচি তৈরি করুন তারপর সেই সময় অনুযায়ী নিয়মিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে প্রতিদিন ঠিক একই সময় ঘুম আসবে। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় গুলো কি কি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ঘুম বৃদ্ধির খাবার গুলো।
ঘুম বৃদ্ধির খাবার
আপনি কি ঘুম বৃদ্ধির খাবার খুঁজছেন? কোন খাবার খেলে দ্রুত ঘুম আসে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? ঘুম বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে যে খাবার গুলো খাবার ফলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা দ্রুত ঘুম আসতে পারে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখব ঘুম বৃদ্ধির খাবার গুলো কি কি নিচে দেখুন ঘুম বৃদ্ধির খাবার গুলো দেওয়া রয়েছে।
- কলা
- মিষ্টি
- কাঁঠাল
- দুধ
- ডিম
- চেরী ফল
- বাদাম
- ওটমিন
- দই
আপনার যদি রাতে সঠিকভাবে ঘুম না হয় তাহলে এখন থেকে ঘুমানোর আগে একটি কলাম এবং দুধ খেয়ে নেবেন এতে দ্রুত ঘুম আসা সম্ভবনা রয়েছে অথবা বাদাম পাশাপাশি দই অথবা চেরি ফল খেয়ে নিবেন। চেরি ফল থেকে ঘুম উৎপাদনকারী উপাদান পাওয়া যায় । এতে চেরি ফল খাওয়ার পরে দ্রুত ঘুম আসতে পারে পাশাপাশি বাদাম খাওয়ার ফলেও দ্রুত ঘুম আসা সম্ভাবনা রয়েছে । এমনই ঘুম উৎপাদনকারী আরো বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে যেমন দুধ ডিম দই মিষ্টি ওটমিন।
উপরের এই খাবারগুলো খাবার পরে আশা করছি দ্রুত ঘুম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরেও যদি ঘুম না আসে তাহলে ওপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি রাতে ঘুমানোর আগে কোন কোন কাজগুলো আমাদেরকে করতে হবে। নিচের এই কাজগুলো করা খুবই জরুরী। তাই প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এই পাঁচটি কাজ অবশ্যই করবেন। তারপর দেখে আসি রাতে ঘুমানোর আগে কি কি করতে হবে।
রাতে ঘুমানোর আগে কি কি করতে হবে
রাতে ঘুমানোর আগে কি কি করতে হবে? আমরা প্রতিদিন সকালবেলায় টাইম পেলেও আমরা রাত্রে টাইম পাই না। সারাদিন কাজ করার পর আমরা রাত্রে বাসায় এসে শুয়ে পড়ি। ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার কারণে রাতে কিছু করতে ইচ্ছা করে না। এই আমাদের ক্লান্ত হয়ে গেলেও আমাদের এই ৫ টি কাজ প্রতিরাতে করতে হবে। এতে আমাদের ত্বক সুন্দর থাকবে শরীর সুস্থ থাকবে এবং শরীর থেকে রোগ বালাই দূর হবে। রাতে ঘুমানোর আগে এই ৫টি কাজ করবেন
১.রাতে ঘুমানোর আগে মুখের যত্ন
আমরা সারাদিন বাইরে ঘোরাঘুরি করি কিংবা কেউ কাজে ব্যস্ত থাকে। বাইরে ঘোরাঘুরির করি অনেক খাবার খেয়ে থাকি। তাই আমাদের প্রতিনিয়তই রাতে ব্রাশ করতে হবে। সারাদিন খাবার খাওয়ার পর বা অন্য কিছু খাওয়ার পর আমাদের মুখে অনেকে খাবার লেগে থাকে সেগুলো থেকে তৈরি হয় জীবাণ। তাই প্রতিনিয়তই রাতে আমাদের ব্রাশ করতেই হবে।
ব্রাশ না করলে আমাদের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের মুগ্ধ বিষয়টি খুব যত্নের সঙ্গে করতে হবে।ক্লিনজার ব্যবহার করলে আলফা হাইড্রোক্সিল, ল্যাকটিক অ্যাসিড অথবা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড আছে- এমন ক্লিনজারই ব্যবহার করুন।
২.রাতে ত্বকের যত্ন
সুন্দর ত্বকের মূল মন্ত্র হলো পরিষ্কার পরিছন্নতা। আমাদের ত্বকের যদি ময়লা ঠিকমতো পরিষ্কার না করি তাহলে আমাদের মুখে ব্রণ বড় হতে শুরু হবে। ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে আমাদের মুখ খসখসে হয়ে যাবে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে ত্বক পরিষ্কার করে ঘুমালে রাতের লম্বা সময় আমাদের টক হয়ে উঠবে একেবারে তরতাজা। তাই আমাদের কে মৃদু সাবান দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
অথবা শুষ্ক ত্বকের জন্য সাবানের বদলে ক্লিনার ব্যবহার করতে পারি। তাহলে আমাদেরই ত্বকের যত্ন খুব ভালোভাবেই নেওয়া হবে। তাই আমাদের এইসব বিষয়ের দিকে খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
৩.ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা
রাত্রে মুখ ধোয়ার পর হালকা ভেজা মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।ময়েশ্চারাইজার আমাদের মুখে নরম রাখতে সাহায্য করে।ময়েশ্চারাইজার আমাদের ত্বক বেশ লম্বা সময় পর্যন্ত হাইড্রেটেড ধরে রাখে।
৪.বালিশের কভার পাল্টে নেওয়া
চেষ্টা করবেন কিছুদিন পর পর যে কভারগুলো ব্যবহার করেন সে ব্যবহার করলেও চেঞ্জ করে নেওয়া। কারণ আমরা বালিশের কভারে শুয়ে থাকি সেগুলোতে ময়লা লেগে থাকে। যা আমাদের নরম মুখের অনেক ক্ষতি করে। এক বালিশের কভার বেশিদিন ব্যবহার করলে এই কভারের ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। ঘুমানোর সময়ই এসব ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা ত্বকের স্পর্শে আসে।
তখন আমাদের মুখে ব্রণে দেখা দেই। তাই আমাদেরকে বালিশের কভার ১ থেকে ২ দিন পর পর চেঞ্জ করে নিতে হবে। এইসব বিষয়ে আমাদেরকে একদম খেয়াল রাখতে হবে।
৫.ঘরের আলো কমিয়ে রাখা
আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়ি তখন ঘরের আলো কমিয়ে রাখতে হবে। যেন আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমালে ত্বক খুব ভালো থাকে। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে বেশিক্ষণ ঘুমানোর। বেশি রাত জাগলে স্ক্রিন অনেক দাগে দেখা দিতে পারে। তাই সর্বদা চেষ্টা করতে হবে বেশি পরিমাণে ঘুমানোর। আর ঘুমানোর সময় বেশির ভাগ্য ব্যাঘাত ঘটায় অতিরিক্ত আলোতে। তাই চেষ্টা করতে হবে ঘরের আলো কমিয়ে রাখার। আর রাত্রে বেলায় ফোন ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে কি কি করতে হবে। ঘুমানোর আগে অবশ্যই ওপরের এ নিয়ম গুলো মেনে চলবেন এতে দ্রুত ঘুম আসবে পাশাপাশি ত্বক সুন্দর থাকবেন। ঘুমানোর আগে অবশ্যই ত্বকের যত্ন নিতে হবে এবং ঘরের আলো কমিয়ে রাখতে হবে ঘরে অনেক বেশি আলো থাকলে এতে দ্রুত ঘুম আসবে না। প্রথমে ঘুমানোর জন্য একটি ঘুম উপযোগী পরিবেশ তৈরি করুন তারপর ব্রেইনকে স্থির রাখুন এবং ঘুমিয়ে পড়ুন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ কি এবং রাতে ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার কি কি। রাতে ঘুম না হওয়ার পিছনে বিভিন্ন প্রকার কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কারণগুলো আমরা উপরে শেয়ার করেছি আপনি যদি উপরে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন কেন প্রতি রাতে আপনার ঘুম আসে না।
প্রতি রাতে ঘুম না আসা-বিচে সবচেয়ে বড় একটি কারণ হলো আমাদের মানসিক চাপ কাজের চাপ চাকরি চাপ অথবা বস এর চাপ। এজন্য প্রথমে ঘুমানোর আগে জোরে জোরে নিই নিঃশ্বাস নিতে হবে নিজের ব্রেইনকে স্থির রাখতে হবে। আপনি যদি ব্যাংকে স্থির রাখেন তাহলে খুব দ্রুত আপনার ঘুম চলে আসবে। আমরা ঘুমানোর আগে বিভিন্ন প্রকার চিন্তাভাবনা করতে থাকি এতে দ্রুত ঘুম আসতে চায় না এই জন্য ঘুমানোর আগে অবশ্যই জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে হবে এবং ব্রেনকে স্থির রাখতে হবে।
এছাড়াও আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি প্রতিবাদে ঘুমানোর আগে কি কি করতে হবে। তাই এই পোষ্টটি পড়ে যদি উপকৃত হন তাহলে আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন। যেন তারাও এসব বিষয়ে জানতে পারে। তাহলে তারা অনেক উপকৃত হবেন। তারা এইসব কাজগুলো নিয়ম মেনে করতে পারে। বাজে অভ্যেস থেকে দূরে থাকে। পোস্টটি ভালো লাগলে একটি কমেন্ট করে দিন।
বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url