১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন গ্যারান্টি সহ A+ আসবেই

ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম

 প্রিয় শিক্ষার্থী তুমি কি ১০ ঘণ্টা পড়ার রুটিন বানাতে চাও? তাহলে তোমরা একদম সঠিক জায়গাতে এসেছ আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন শেয়ার করব সাথেই পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম, ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন এবং পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা শেয়ার করব। তাই উপকার পেতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকো।

১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন গ্যারান্টি সহ A+ আসবেই
তুমি যদি নিজের এই রুটির অনুসারে পড়াশোনা করো এবং নিচের এই টোটকা গুলো মেনে চলো তাহলে আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি তোমার পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন হবেই। আজকের এই পোস্টে আমরা পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করার টোটকা গুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করব চলো তাহলে ঝটপট দেখে আসি পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম, ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন এবং পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা।

পেজ সূচিপত্র

        ভূমিকাঃ        

বর্তমান সময়ে পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করা কিন্তু খুবই সোজা। আগে এ প্লাস পাওয়া ঠিক এতটা সাহস ছিল না কিন্তু এখন প্রতিবছর প্রায় 70% এর ওপরে শিক্ষার্থীরা এ প্লাস পেয়ে থাকেন। কারণ এখন আগের তুলনায় শিক্ষাব্যবস্থা আরও সহজ করে তোলা হয়েছে। তবে পরীক্ষাতে এ প্লাস পেতে চাইলে তোমাদের কিছু টোটকা ব্যবহার করতে হবে যে টোটকা গুলো আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে শেয়ার করব। আমরা প্রত্যেকেই চাই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে।

কিন্তু আমরা সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করি না যার কারণে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারিনা। আমরা খাটনি পরিশ্রম করি তবুও ভালো ফল পায় না। পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম কিংবা খাটাখাটনির প্রয়োজন নেই। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে নিচের টোটকা গুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করলে তুমি অল্প পরেই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। চলো তাহলে এবার আমরা ঝটপট দেখে আসি পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম।

পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম

১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন বানানোর আগে আমাদের knnকে পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে অর্থাৎ একটি রুটিন কিভাবে বানাতে হয়। রুটিনে কোন কোন কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হয়?  তুমি সকাল থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত কি কি কাজ করবে কি কি কাজ সম্পন্ন করবে সেই সমস্ত বিষয়গুলো রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এবং প্রতিটি কাজ তোমাকে সময়মতো সম্পন্ন করতে হবে। রুটিন অনুসারে চলতে হবে। 

রুটিন তৈরি করার আগে তোমাকে ভেবে নিতে হবে তুমি সকাল থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত কি কি কাজ করবে। যেমন প্রথমে সকালে উঠে ফ্রেশ হতে হবে তারপর সকালের নাস্তা সম্পন্ন করতে হবে। তারপর তুমি যদি ব্যায়াম করো তাহলে ব্যায়ামটিকে দুটি নিয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সকালে উঠে পড়াশোনা করতে হবে, আম্মুর কাজের সাহায্য করতে হবে, তারপর স্কুলের সময় হলে ব্যাগ গুছিয়ে স্কুলে যেতে হবে। 

ওপরে আমরা যা যা আলোচনা করলাম সেই সমস্ত বিষয়গুলোকে রুটিনের তালিকাভুক্ত করতে হবে। মনে করো তুমি সকাল ৭ টা তে ঘুম থেকে উঠলে তারপর সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে চা অথবা কফি খেয়ে ৭:১৫ তে হালকা ব্যায়াম করলে। ৩০ মিনিট ব্যায়াম সম্পন্ন করে ৭ টা ৪৫ থেকে পড়াশোনা শুরু করলে তারপর ৮:৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করে নয়টার মধ্যে স্কুলের জন্য বের হয়ে গেলে। তারপর স্কুল শেষে বাসায় ফিরে আবার সেই রুটিন অনুসারে কাজ করলে।

এভাবে সকালে উঠে তোমাকে সবার আগে তোমার রুটিন তৈরি করতে হবে অথবা তুমি চাইলে ঘুমানোর আগে কালকে সারাদিনে কি কি কাজ করব সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে একটি রুটিন তৈরি করতে পারো। তোমাকে অবশ্যই তোমার রুটিন অনুসারেই চলতে হবে অর্থাৎ তুমি রুটিনের যে সমস্ত কাজ যেই সময়ে তালিকাভুক্ত করেছে সেই কাজ তোমাকে সেই সময়ই সম্পন্ন করতে হবে। তুমি যদি রুটিন অনুসারে চলো তাহলে আশা করছি পরবর্তী সময় তুমি ভালো কিছু অর্জন করতে পারবে।

তুমি লক্ষ্য করে দেখবে ভালো ছাত্ররা সবসময় তাদের রুটিন অনুসারে চলাফেরা করে। রুটিন অনুসারে চলাফেরা করা একটি ভালো গুণ। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে তুমি বুঝতে পেরেছ পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম সম্পর্কে এবার চলো আমরা এই নিয়মে ঝটপট ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন বানিয়ে ফেলি। নিচে দেখো ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন।

১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন

তুমি যদি দিনে 10 ঘণ্টা পড়াশোনা করতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই সকালে উঠতে হবে কারণ তুমি যদি সকালে না ওঠো তাহলে কিন্তু তুমি সময় ম্যানেজ করতে পারবে না। এছাড়াও সকালের পড়াটি সবচেয়ে বেশি ভালো হয় তুমি লক্ষ্য করে দেখবে যে পড়াটি পড়তে তোমার দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে, সে পড়াটি তুমি সকালে ১.৫ ঘন্টার মধ্যে কমপ্লিট করতে পারছো। এর কারণ কি তুমি জানো? 

আমরা যখন সকালে ঘুম থেকে উঠি তখন আমাদের ব্রেন সম্পূর্ণ ফ্রেশ থাকে এবং এই সময়ে আমরা যা করি তাই দ্রুত আমরা বুঝতে পারি এবং আমাদের ব্রেন দ্রুত কাজ করে। এইজন্য সবসময় সকালে উঠে পড়াশোনা করার চেষ্টা করবে সকাল সময়ে পড়াশোনা জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময়। সকালে উঠে যেকোনো পড়াশোনা  করলে যে কোন পড়া দ্রুত মুখস্ত হয় আবার যে কোন পড়া তুমি দ্রুত বুঝতে পারবে এই জন্য এখন থেকে চেষ্টা করবে সকালে উঠে পড়াশোনা করার। চলো তাহলে আমরা ঝটপট দেখে নেই ১০ ঘণ্টা পড়ার রুটিন টি।

  • প্রতিদিন দিনে ১০ ঘন্টা পড়াশোনা করতে চাইলে তোমাকে সকালে উঠতে হবে প্রতিদিন সকাল ৫.৪৫ মিনিটে ঘুম থেকে উঠবে।
  • তারপর ছয়টার মধ্যে ফ্রেশ হয়ে চা অথবা কফি খেয়ে পড়ার  টেবিলে বসতে হবে।
  • সকাল ছয়টা থেকে ৮.৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করবে। ( ২.৩০ মিনিট)
  • তারপর ৮.৩০ থেকে ৯:০০ টার মধ্যে স্কুল অথবা কলেজের জন্য রেডি হয়ে কলেজে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হতে হবে।
  • ৯ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত স্কুলে পড়াশোনা করতে হবে। 
  • স্কুল থেকে বাসায় ফিরে তিনটার মধ্যে খাওয়া-দাওয়া সব কিছু সম্পন্ন করে বিশ্রাম নিয়ে আবার পড়তে বসতে হবে। 
  • তিনটা পনেরো থেকে ৫.৪৫ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। (২.৩০ মিনিট)
  • তারপর পাঁচটা ৪৫ থেকে ছয়টা পর্যন্ত একটু হাঁটাহাঁটি অথবা বিকালের নাস্তা খেয়ে নিতে হবে।
  • বিকেলের নাস্তায় খেয়ে ৬.৩০ পর্যন্ত এই সময়টি তুমি চাইলে বাসায় পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারো অথবা একটু ব্যায়াম করতে পারো কিংবা টিভি দেখতে পারো।।
  • ৬.৩০ থেকে ৯.৩০ পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করতে হবে। আজকে স্কুলে তোমাকে কি কি পড়া দেওয়া হয়েছে সে সমস্ত পড়া গুলো এই সময় মুখস্ত করবে। (৩ ঘন্টা)
  • তারপর ৯ টা ৩০ থেকে ১০ টা এর মধ্যে রাতের খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট করে নিতে হবে।।
  • তারপর আবার রাত ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। ( ২ ঘন্টা)
  • তারপর রাত ১২ ঘুমিয়ে পড়তে হবে।

প্রিয় শিক্ষার্থী তুমি যদি এভাবে রুটির অনুসারে কাজ করো তাহলে আশা করছি পরীক্ষাতে খুবই ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। তুমি যদি দিনে দশ ঘন্টা পড়াশোনা করতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে এই জন্য প্রতিদিন সকাল ৫:৪৫ মিনিটে একটি আলার্ম সেট করে রাখবে। তারপর ছয়টার মধ্যে ফ্রেশ হয়ে সকালের চা অথবা কফি খেয়ে পড়ার টেবিলে বসে পড়বে। 

সকাল ছয়টা থেকে সকাল ৮ টা ৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করবে। তারপর নয়টার মধ্যে স্কুল অথবা কলেজের জন্য বেরিয়ে পরতে হবে। তারপর স্কুল থেকে দুইটার পর বাসায় ফিরে তিনটার মধ্যে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করে বিশ্রাম নিয়ে বিকাল ৩:১৫ থেকে ৫:৪৫ পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করতে হবে। তারপর ১৫ মিনিট একটু হাটাহাটি অথবা বিকালের নাস্তা খেয়ে নিতে পারো। তারপর ৩০ মিনিট তুমি চাইলে পরিবারের সাথে সময় কাটাবে।

তারপর ৬:৩০ থেকে আবার ৯ টা ৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করবে। ৯:৩০ এরপর ৩০ মিনিট খাওয়া-দাওয়া করে রাত দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত আবার পড়াশোনা।। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ তোমরা যদি এভাবে নিয়ম অনুসারে পড়াশোনা করো তাহলে দ্রুত পড়াশুনায় খুবই উন্নতি আনতে পারবে। একটু রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করার চেষ্টা করো পরিবর্তনটি তুমি নিজে দেখতে পারবে। আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে দিনে ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিনটি শেয়ার করলাম। 

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা আশা করছি ওপরের এই রুটিনটির মাধ্যমে তোমরা উপকৃত হয়েছে তোমাদের কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে একটি স্ক্রিনশট নিয়ে রাখো অথবা খাতায় নক করে রাখো। তবে তোমরা যারা সকালে উঠতে পারো না কিংবা সকালে ওঠার অভ্যাস নেই তাহলে চেষ্টা করবে সকালে ওঠার কারণ সকালে উঠলে সেখান থেকে তোমরা সময় বাঁচিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে অথবা অন্য কোন কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবে। এবার চলো আমরা দেখে আসি দিনে ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন। 

 ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন 

উপরে আমরা এতক্ষন দেখলাম ১০ ঘণ্টা পড়া রুটিন তবে এবার আমরা দেখব দিনে ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন। তোমরা অনেকেই রয়েছ যারা পড়াশোনা করতে খুবই ভালোবাসো কিন্তু সময় বের করতে পারছ না অথবা সময় বুঝতে পারছ না কোন সময়ে পড়াশোনা করতে হবে।। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে শেয়ার করব দিনে ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন তোমরা যদি এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করো তাহলে আশা করছি পড়াশোনায় দ্রুত উন্নতি আনতে পারবে এবং জীবনে ভালো কিছু অর্জন করতে পারবে। 

প্রিয় শিক্ষার্থীরা আমরা পড়াশোনা কেন করি? শুধুমাত্র ভালো রেজাল্ট  এর আশায়?  নাকি জীবনে ভালো একটি পর্যায়ে যে দাঁড়ানোর জন্য একটি ভাল চাকরি করার জন্য? আমাদের প্রত্যেকের পড়াশোনা করে ইচ্ছা থাকে ভালো চাকরি করার। সে ক্ষেত্রে তুমি যদি নিজেকে জীবনে সফল হিসেবে দেখতে চাও কিংবা ভালো কোন পর্যায়ে যে দাঁড়াতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই অনুসারে কাজ করতে হবে। তুমি লক্ষ্য করে দেখবা এখন পর্যন্ত যত মানুষ সফল হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই তাদের নিজের রুটিন অনুসারে কাজ করেন।

রুটিন অনুসারে কাজ করলে যে কোন কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয় আবার সেখান থেকে আমরা সময় বাঁচিয়ে সেই সময় আরো অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করতে পারি। এই জন্য নিচের রুটিন খাতায় নোট করে ফেলো এবং সেই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করা শুরু করো। আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে দিনে ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন এবং দিনে ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন শেয়ার করব। 

তুমি যদি দিনে ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতে চাও তাহলে তোমাকে সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে প্রতিদিন সকাল ৫.৪৫ মিনিট ঘুম থেকে উঠবা। তারপর ১৫ মিনিট একটু ব্যায়াম করবা অথবা সকালের হালকা নাস্তা করে ব্যাগ নিয়ে পড়তে বসবা।

এই সময়টিতে কালকে রাতে কি কি পড়েছে সেই সমস্ত পড়া গুলো রিভিশন দিবা অথবা রাতে কোন পড়া গুলো তোমার বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল সেই সমস্ত পড়া গুলো সকালে আর একবার বোঝার চেষ্টা করবা। 

  • সকাল ৬.০০  থেকে  ৮.৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করবে। (২.৩০ মিনিট)
  • তারপর ৮:৩০ থেকে ৯:০০ টার মধ্যে স্কুল কিংবা কলেজে যেতে হবে।
  • ৯ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত স্কুলে থাকতে হবে তারপর বাসায় ফিরে তিনটার মধ্যে খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করে একটু রেস্ট নিতে হবে। 
  • ৩.৩০ থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত আবার তোমাকে পড়াশোনা করতে হবে। ( ২ ঘন্টা)
  • তারপর ৩০ মিনিট  বাইরে একটু হাঁটাহাঁটি করবা। 
  • তারপর ছয়টা থেকে ৬:৩০ পর্যন্ত পরিবারের সাথে সময় কাটাবে। 
  • ৬.৩০ থেকে ৯.০০ পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করতে হবে। (২.৩০ মিনিট)
  • তারপর ৯ টা ৩০ এ রাতের খাওয়া দেওয়া সম্পন্ন করে ১০.০০ মধ্যে আবার পড়তে বসতে হবে।
  • ১০.০০ থেকে ১১.০০ পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করতে হবে। 
  • তারপর ১১.৩০ এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। 

প্রিয় শিক্ষার্থী তুমি যদি উপরের এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা কর তাহলে প্রতিদিন দিনে ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতে পারবে। দিনে আট ঘন্টা পড়াশোনা করা কিন্তু খুব কঠিন কোন বিষয় নয় তোমরা যদি একটু চেষ্টা করো তাহলে সহজেই দিনে ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতে পারবে। হ্যাঁ তুমি যদি সকালে না উঠো তাহলে কিন্তু দিনে এক ঘন্টা পড়াশোনা করতে পারবে না এইজন্য আমি বারবার বলছি তোমাদেরকে তোমরা চেষ্টা করো প্রতিদিন সকালে ওঠার।

তুমি যদি সকালে উঠে পড়াশোনা করো তাহলে যেকোন বলে তুমি দ্রুত বুঝতে পারবে, প্রতিটি পরা দ্রুত মুখস্ত করতে পারবে, আবার সে পড়াটি দীর্ঘদিন তুমি তোমার ব্রেনের সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে তোমরা বুঝতে পেরেছ দিনে ৮ ঘণ্টা পরা রুটিন সম্পর্কে এবং দিনে ১০ ঘণ্টা বলার সম্পর্কে এবার চলো আমরা দেখে আসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা সম্পর্কে।

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা

তুমি কি পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাও?  তুমি পরিশ্রম করছো পড়াশোনা করছো কিন্তু ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারছ না? এর কারণ হলো তুমি সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করছ না। তুমি যদি সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করো এবং নিচের এই টোটকা গুলো অনুসরণ করো তাহলে আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি তোমার পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন হবেই। আমাদের উদ্দেশ্য হলো তোমাদের সমস্ত সমস্যাগুলো সমাধান বের করে দেওয়া তাই আজকের এই পোস্টে আমি তোমাদের সাথে আলোচনা করব পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা গুলো। 

পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য আমাদেরকে বেশি কিছু করতে হবে না শুধু আজকের এই পোস্টে যে যে উপায় গুলো আমরা তোমাদের সাথে শেয়ার করব, সেই সমস্ত উপায় গুলো  তোমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। তোমরা যদি এই উপায় গুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করো তাহলে আশা করছি পড়াশোনায় দ্রুত উন্নতি লাভ করতে পারবে। আমরা আজকের এই পোস্টে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি চলো তাহলে ছাড় পর দেখে আসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা। 

সময়ের মূল্য দেওয়া 
তুমি যদি তোমার পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই সময়ের মূল্য দিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা অনেকেই রয়েছে যারা সময়ের মূল্য বুঝিনা। তুমি কি জানো এই সময় আমাদের সবথেকে বড় শিক্ষক?  সময় আসলে আমরা সবকিছু নিজে নিজেই বুঝে যায়। তার বিজ্ঞানীরা বলেন সময় আমাদের সবথেকে বড় শিক্ষক এই জন্য সবসময় সময়ের মূল্য দিয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। প্রতিটি কাজ সময় অনুসারী সম্পন্ন করতে হবে।

কারণ চলে যাওয়ার সময় কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। আর সময় মূল্য দিয়ে যে যত বেশি পরিশ্রম করবে তার ভবিষ্যৎ তত উজ্জ্বল হবে। এইজন্য আজ থেকে আমরা সবসময় সময় মূল্য দিয়ে কাজ করব এবং প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করব। যেমন উপরে আমরা রুটিন শেয়ার করলাম তুমি যদি ওই দুটি অনুসারে কাজ কর তাহলে তোমার প্রতিটি কাজ সময়মতো সম্পন্ন হবে। আর তুমি যদি সকালের কাজ বিকালে কর বিকালের কাজ রাতে করো,

তাহলে তোমার রুটিন অনুসারে কাজ হবে না সাথে কোন কাজ সময় মত সম্পন্ন হবে না। এইজন্য চেষ্টা করবার সময় অনুসারে কাজ করার এবং সময়ের মূল্য দিয়ে কাজ করার কোন সময় অযথাই নষ্ট  করবে না। তুমি এখন যে সময়টি নষ্ট করছ এই সময় কিন্তু তুমি পরবর্তী সময়ে আর কখনোই ফিরে পাবে না। তুমি আজ যে সময়গুলো বসে বসে নষ্ট করছ সেই সময়গুলোর জন্য পরে একদিন আফসোস করবে। এইজন্য এখন থেকে সব সময় সময়ের মূল্য দিয়ে কাজ করতে হবে।

জ্ঞানী বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিশা 
কথায় আছে না সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে, এই কথাটুকু ১০০% যৌক্তিক। অর্থাৎ তুমি যেমন বন্ধুদের সাথে মিশবে তুমি নিজেও ঠিক তাদের মতই হতে থাকবে। অনেকেই এ কথাটির সাথে দ্বিমত পোষণ করলেও এই কথাটি প্রায় ১০০ পার্সেন্ট যৌক্তিক । এইজন্য সবসময়ই ক্লাসের যারা ভালো স্টুডেন্ট রয়েছে যারা ভালোভাবে পড়াশোনা করে তাদের সাথে মেলামেশা করবা তুমি যদি তাদের সাথে মেলামেশা করো তাহলে তাদের থেকে একটু শিখতে পারবে এবং ধীরে ধীরে ভালো স্টুডেন্ট হয়ে যাবে। 

তুমি লক্ষ্য করে দেখবা যারা সমাজে গণ্যমান্য ধনী ব্যক্তি রয়েছে তারা সবসময় তাদের মত ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশা করার চেষ্টা করে যেন তারা জীবনে আরও সফল হতে পারে এই জন্য তোমাকেও এখন থেকে ভালো স্টুডেন্টদের সাথে মেলামেশা করতে হবে আর খারাপ স্টুডেন্ট থেকে দূরে থাকতে হবে। সব সময় ভালো বন্ধু বান্ধবীদের সাথে মিশতে হবে। আর বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা যাবে না। দুই থেকে তিনজন বন্ধু বান্ধবই যথেষ্ট।

ডেইলি রুটিন তৈরি করা 
প্রতিদিন সকালে উঠে সবার আগে তোমার ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে অর্থাৎ তুমি কোন সময় কোন কাজগুলো সম্পন্ন করবে সেই সমস্ত বিষয়গুলোকে তালিকাভুক্ত করতে হবে। উপরে আমরা আলোচনা করলাম দিনে ৮ ঘন্টা পড়া দুদিন এবং দিনে ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন সম্পর্কে। প্রতিদিন সকালে উঠে আগে উপরে রুটিন গুলো অনুসরণ করবে এবং সেই রুটিন অনুসারে কাজ করবে। উপরে যেমন আমরা বললাম সময় মূল্য দিয়ে কাজ করতে হবে তুমি যদি সময় মূল্য দিয়ে কাজ না করো তাহলে কিন্তু রুটির অনুসরণ করা হবে না। 

আজকের এই পোস্টে যে উপায় গুলো আমরা তোমাদের সাথে শেয়ার করছি এসে সমস্ত উপায় গুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই কোন একটি উপায়ও বাদ দেওয়া যাবেনা প্রতিটি উপায় অনুসরণ করবে। আর প্রতিদিন সকালে উঠে আগে একটি রুটিন তৈরি করবে। এবং সে রুটিন অনুসারে কাজ শুরু করবে। তুমি যদি এখন থেকেই রুটিন অনুসারে কাজ করা শুরু করো তাহলে ভবিষ্যতে তুমি অনেক সফল হতে পারবে। রুটিন অনুসারে কাজ করলে প্রতিটি কাজ তোমার সময় অনুসারে সম্পন্ন হবে।

পড়া শেষে প্র্যাকটিস করা 
তুমি যখন যা পড়ছো সেই পড়াটি প্র্যাকটিস করবে। তোমরা অনেকেই কমেন্ট বক্সে আমাকে বলো আমি পড়া মনে রাখতে পারি না। তোমরা কি জানো? কেন তোমরা পড়া মনে রাখতে পারো না? এর কারণ হলো তোমরা পড়া শেষে প্র্যাকটিস করো না তোমরা ৮০ শতাংশ স্টুডেন্টরাই এই ভুলটি করো। পড়া শেষে সবসময় প্র্যাকটিস করতে হবে। যে কোন জিনিস তুমি যত বেশি প্র্যাকটিস করবে চর্চা করবে সে জিনিসটি তোমার ব্রেইনে ততটাই গেঁথে থাকবে।

তোমরা অনেকেই রয়েছ যারা একটি বই পড়া শেষে আরেকটি বই বের করে পড়তে শুরু করো কিন্তু এই পড়ার নিয়মটি সম্পূর্ণ ভুল। এভাবে পড়লে কোন পড়ায় মনে থাকবে না শুধু সময় নষ্ট হবে। এ জন্য এখন থেকে আর সময় না নষ্ট করে  পড়াটি বারবার প্র্যাকটিস করো যেন পরবর্তী সময়ে ভুলে না যাও। যেকোনো পড়া শেষে ছোট প্রশ্নগুলো খাতায় লিখে লিখে প্র্যাকটিস করবে আর বড় প্রশ্নগুলোকে না দেখে বলার চেষ্টা করবে এতে সেই পড়াটি দীর্ঘদিন তুমি মনে রাখতে পারবে।

বোর্ড বই পড়া 
তোমরা অনেকেই রয়েছে যারা বোর্ড বই বাদ দিয়ে গাইড বই পড়তে বেশি ভালোবাসো তার কারণ হলো গাইড বইয়ের সমস্ত সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া থাকে। এখন আমি একটা তোমাদের সত্য ঘটনা বলি। তোমরা যতই গাইড বই পড়ো না কেন প্রশ্ন কিন্তু বোর্ড বই থেকেই হয়। তোমরা যদি শুধুমাত্র বোর্ড বই পড়ো তাহলে এখান থেকে তোমাদের পরীক্ষার প্রিপারেশন প্রায় 80 পার্সেন্ট কভার হয়ে যাবে আর বাকি ২০% গাইড বই থেকে কভার করতে হবে।

এজন্য এখন থেকে বেশি বেশি পড়ো বোর্ড বই পড়ো। বোর্ড বই  এর প্রতি মেইন ফোকাস রাখো। তুমি যত বেশি বোর্ড বই পড়বে তোমার পরীক্ষা তত ভালো হবে আর তুমি যদি শুধু গাইড বই পড়ো তাহলে কিন্তু তুমি ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে না। তুমি লক্ষ্য করে দেখবে তোমার ক্লাসে যারা ভালো স্টুডেন্ট রয়েছে তারা কিন্তু সবসময় বোর্ড বই নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কারণ তারা জানে এই বোর্ড বই থেকে সমস্ত প্রশ্ন হয়ে থাকে।।

সাজেশন অনুসারে পড়া 
কখনোই সমস্ত বই পড়ার ভুল করবে না। তোমাদের পরীক্ষাতে সমস্ত অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে না শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো থেকে প্রশ্ন আসে তাই সবসময় সাজেশন অনুসারে পড়াশোনা করবা। তোমরা কি এই কথাটি শুনেছ গাধার মতো পরিশ্রম না করে ঘোড়ার মত চালাক হও? অর্থাৎ গাধার মত সারাদিন পরিশ্রম না করে ঘোরার মত চালাক হওয়া এবং অল্প পরিশ্রমে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করো তাই আমি তোমাদেরকে বারবার বলছি তোমরা সাজেশন অনুসারে পড়ার চেষ্টা করো।

সাজেশন অনুসারে পড়লে একদিকে তোমরা অল্প পড়েও ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারছো আবার অল্প সময়ের মধ্যে এই সমস্ত পড়া কভার করতে পারছো। অনুসারে পড়লে সমস্ত অধ্যায় পড়ার প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো পড়ার মাধ্যমে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায়। এইজন্য সবসময় সাজেশন অনুসারে করার চেষ্টা করবে। তোমাদের স্কুল কিংবা কলেজে শিক্ষকদের থেকে সাজেশন নেওয়ার চেষ্টা করবে।

অথবা তুমি চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখতে পারো তোমার কোন বিষয়ে সাজেশন প্রয়োজন, আমরা চেষ্টা করবো তোমাদেরকে ভালো সাজেশন দেওয়ার। এইজন্য এখন থেকে সবসময় সাজেশন অনুসারে পড়াশোনা করবে। আর হ্যাঁ তুমি যখনই বোর্ড বই পড়বে সেখান থেকে যে অংশগুলো তোমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে, সেই অংশগুলোকে কালার পেনের সাহায্যে মার্ক করে রাখবে। যেন পরবর্তী সময় পরীক্ষার আগে তুমি এক নজরে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে দেখে নিতে পারো। 

বোর্ড প্রশ্ন পড়া
তুমি কি অল্প পড়ে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাচ্ছ? তাহলে এখন থেকে বোর্ড প্রশ্ন পড়া শুরু করো। তুমি কি জানো যে শুধুমাত্র বোর্ড প্রশ্ন পড়ার মাধ্যমে তুমি প্রায় ৭০% পড়া কভার করতে পারবে? প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা তোমাদের পরীক্ষাতে বেশিরভাগ বোর্ড প্রশ্ন  থেকেই প্রশ্ন আসে এই জন্য এখন থেকে তোমাদেরকে বেশি বেশি বোর্ড প্রশ্ন করতে হবে বিগত সালের সমস্ত বোর্ডে আসা প্রশ্ন গুলো মুখস্ত করবে। এতে তুমি অল্প করেও পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।

এই টোটকাটি অনেকেই জানেনা তবে তুমি যদি এই টোটকাটি অনুসরণ করো তাহলে আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি তুমি অল্প পড়েও পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। পরীক্ষার আগের এক মাস থেকে বোর্ড প্রশ্ন পড়া শুরু করবে বিগত ১০ বছরের সব বোর্ডের প্রতিটি প্রশ্ন মুখস্ত করবে একটি প্রশ্নও বাদ দিবে না। তুমি যদি এভাবে পড়াশোনা করো তাহলে আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি তোমার পরীক্ষাতে এ প্লাস আসবেই। 

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা উপরে আমরা আলোচনা করলাম পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা গুলো। পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে তোমাকে এই টোটকা গুলো অনুসরণ করতে হবে আজকের এই পোস্টটা আমরা তোমাদের সাথে সবচেয়ে সত্য এবং ১০০% গ্যারান্টি সহ কর্যকরাই টোটকা করলাম। পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা কিন্তু খুব কঠিন কোন বিষয় নয় তোমরা যদি একটু চেষ্টা করো এবং ওপরের এই টোটকা গুলো অনুসরণ করো তাহলে অবশ্যই পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করতে পারবে। 

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা কি?
প্রিয় শিক্ষার্থী তোমরা কি অল্প করে পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করতে চাও? আমরা তোমাদের সাথে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা গুলো শেয়ার করেছি তোমরা যদি উপরের এই টোটকা অনুসারে পড়াশোনা করো, তাহলে তোমরা অল্প পরেও পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।

দিনে ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন কোথায় পাবো?
দিনে ৮ ঘন্টা পরে রুটিন খুঁজছো? ভাবছো দিনে আট ঘন্টা কিভাবে পড়বো তাহলে তোমাকে সকালে উঠতে হবে। তুমি যদি সকালে না উঠো তাহলে কিন্তু দিনে ৮ ঘন্টা পড়তে পারবে না। এছাড়াও আমরা আজকের এই পোস্টে দিনে ৮ ঘন্টা পড়া রুটিন শেয়ার করেছি।

১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন কোথায় পাবো?
১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন খুঁজছো? তাহলে উপরে দেখো। আজকের এই পোস্টে তোমাদের সুবিধার্থে আমরা দিনের ১০ ঘণ্টা পড়ার রুটিন শেয়ার করেছি তোমরা যদি উপরের এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করো তাহলে আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি তোমার পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন হবেই।

অল্প পড়ে কিভাবে ভালো রেজাল্ট করব? 
অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করতে চাও? পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন অথবা এ প্লাস অর্জন করার জন্য কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম কিংবা খাটাখাটনির প্রয়োজন নেই শুধু ধৈর্য ধরতে হবে এবং উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করতে হবে।

সাজেশন কোথায় পাবো?
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা তোমরা কি সাজেশন খুঁজছো? পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য সাজেশন খুজছো? তাহলে  আমাদেরকে কমেন্টবক্সে জানিয়ে রাখো যে তুমি কোন সাবজেক্টের উপর সাজেশন চাও আমরা চেষ্টা করব তোমাদের সাহায্য করার। 

লেখকের শেষ কথা 

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা আজকের এই পোস্টে আমরা অল্প করে কিভাবে ভালো রেজাল্ট করব , ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন, পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম, দিনে ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন এবং পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা গুলো আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম। তোমরা অনেকেই রয়েছে ও যারা পড়াশোনা করতে খুব ভালোবাসো কিন্তু কিভাবে দিনে দশ ঘন্টা অথবা ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতে হয় সে বিষয়ে জানো না অথবা সময় বের করতে পারছ না। 

তাই আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে ৮ ফোনটা পড়ার রুটিন এবং ১০ ঘরটা পড়ার রুটিন শেয়ার করলাম। তোমরা যদি ওপরের এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করো তাহলে আশা করছি জীবনে ভালো কোন পর্যায়ে যে দাঁড়াতে পারবে এছাড়া রুটিন অনুসারে কাজ করলে যেকোনো কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয় সময় অনুসারে সম্পন্ন হয় আবার সেখান থেকে সময় বাড়ছে আমরা নিজেকে অন্য কোন কাজে যুক্ত করতে পারি।। এইজন্য এখন থেকে রুটিন অনুসারে কাজ করবা।

এছাড়াও আমরা আজকের এই পোস্টে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা গুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম। পরীক্ষা যে ভালো রেজাল্ট করার জন্য কিন্তু বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই শুধু একটু নিয়ম মেনে পড়াশোনা করতে হয়। একটু নিয়ম মেনে পড়াশুনা করলেই তোমরা দেখবে সহজেই পরীক্ষা দিয়ে তোমরা ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সুবিধার্থে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার কিছু টোটকা শেয়ার করলাম।

 তোমরা যদি ওপরে টোটকা গুলো অনুসরণ করো তাহলে গ্যারান্টি সহকারে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।  পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার প্রথম শর্ত হলো তোমাকে সময় অনুসারে কাজ করতে হবে সময়ের মূল্য দিতে হবে। সকালে উঠে সবার আগে একটি রুটিন তৈরি করতে হবে সে রুটিন অনুসারে কাজ করতে হবে। ভালো বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিশতে হবে আর বেশি বন্ধুবান্ধব রাখা যাবে না সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনজন বন্ধু-বান্ধব রাখতে হবে। সাথেই সাজেশন অনুযায়ী করতে হবে। এবং প্রতিদিন নতুন কিছু শিখার চেষ্টা করতে হবে। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা আজকের এই পোস্ট আমরা এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url