বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে - বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা
বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে এবং বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন কারণ আমরা আজকের এই পোস্টে বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে? , বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় , ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন , বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর , বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে, বিসিএস পরীক্ষার বিষয়সমূহ এবং বিসিএস পরীক্ষার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন বিশেষ জন্য কত ঘন্টা পড়তে হয় এবং বিসিএস পরীক্ষা শিক্ষাগত যোগ্যতা কি। আমরা আজকের এই পোস্টে বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে সব কিছু খুঁটিনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনি যদি বিসিএস পরীক্ষা দিতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হতে চলেছে। চলুন ঝটপট দেখে আসি বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে? , বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় ,১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন , বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর , বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে, বিসিএস পরীক্ষার বিষয়সমূহ এবং বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা।
বিসিএস পরীক্ষা কি ও কাকে বলে?
বি সি এস এর পূর্ণরূপ হচ্ছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। যা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য বিপিএসসি কর্তৃক পরিচালিত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। বিসিএস বাংলাদেশ পরিচালিত সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলার মধ্যে একটি এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে আর সহজে যে কোন সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দান করা যায়।কয়েক বছর পর পর কিছু বিশেষ পেশার জন্য বিসিএস পরীক্ষা হয়। যেমন মেডিকেল ডাক্তার নিয়োগ পরীক্ষা হয়।
সাধারণত সার্ভিস দুই প্রকার।
সিভিল সার্ভিস
- প্রশাসন
- পুলিশ
- কাস্টমস শিক্ষা
- কৃষি
- মৎস্য
মিলিটারি সার্ভিস
- সেনাবাহিনী
- নৌবাহিনী
- বিমান বাহিনী
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ২০১৪ এর ভিত্তিতে যে পরীক্ষার মাধ্যমে বিসিএস ক্যাডার বাছাই করে সেই পরীক্ষায় বিসিএস পরীক্ষা। প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বিসিএস পরীক্ষা কি ও কাকে বলে। বিসিএস পরীক্ষা বলতে বোঝায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা যা প্রতি বছরে একবার হয়। এবার চলুন আমরা দেখে আসি একজন প্রার্থী কতবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবে।
একজন প্রার্থী কতবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবে
অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে একজন প্রার্থী কতবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবে? তাহলে বলি, একজন প্রার্থী তার যতবার ইচ্ছা সে কোন প্রকার সীমাবদ্ধতা ছাড়া পরীক্ষা দিতে পারবে। বয়স শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকাশিত সার্কুলারে প্রকাশিত বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে বিসিএস পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক প্রার্থীকে অবশ্যই
- প্রতিবার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে এবং নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
- আর প্রার্থীর বয়স অবশ্য ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে হতে হবে সর্বোচ্চ ৩২ পর্যন্ত হলেও চলবে।
- প্রথমে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই মৌখিক পরীক্ষায় চান্স পাবে।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি উপরের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার বুঝতে সুবিধা হয়েছে যে একজন প্রার্থী কতবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবে। একজন প্রার্থী প্রতিবছরে একবারই বিশ্বাস পরীক্ষা দিতে পারবে। চাইলে আবার দ্বিতীয় বছর নতুন ভাবে আবেদন করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। চলুন আমরা দেখে আসি ক্যাডার কারা।
ক্যাডার কারা
ক্যাডার কারা ? ক্যাডার মানে একদল চৌকস কর্মকর্তা। একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষভাবে প্রকাশিত ব্যক্তি ক্যাডার। পি এস সি বি এড সি পরীক্ষার মাধ্যমে 27 ধরনের ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হয়। একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষভাবে প্রকাশিত ভিত্তিক। এদের মধ্যে কিছু জেনারেশন জেনারেল ক্যাডার কিছু টেকনিকেল করার। প্রশাসন পুলিশ কাস্টম ইত্যাদির জেনারেল ক্যাডার। শিক্ষা কৃষি মৎস্য বর্ণ ইত্যাদি টেকনিক্যাল ক্যাডার।
প্রিয় পাঠকের আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ক্যাডার কারা ক্যাডার মূলত একদল চৌকস কর্মকর্তাকে বলা হয়। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কি প্রয়োজন অথবা কি কি যোগ্যতা থাকলে আপনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানতেই নিচে দেখুন।
বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা
বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন এটা ভাবছেন কি ? কত ঘন্টা এবং কিভাবে পড়াশোনা করলে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যাবে বা হতে পারবেন। কি ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে ?কোন কোন বিষয় ভালোভাবে জানতে হবে? পরীক্ষা কতবার দিতে পারবেন। কিভাবে করলে ভালো হবে এবং কিভাবে পড়লে ভালো রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব এই সমস্ত কিছু নিয়ে ভাবছেন কি?
তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে বিসিএস পরীক্ষার সমস্ত কিছু উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে বুঝতে পারবেন। বিসিএস পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন। প্রিয় পাঠকগণ তাহলে চলুন আর দেরি না করে ঝটপট দেখে আসি বিসিএস পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ গুলো। বিসিএস প্রস্তুতি : শূন্য থেকে যেভাবে শুরু করবেন
বিসিএস কি
বিশেষ এর পূর্ণরূপ হচ্ছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস। ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার জন্য যে পরীক্ষা দিতে হয় সেটা হচ্ছে বিসিএস। সরকারি চাকরিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে, সামরিক বা মিলিটারি সার্ভিস আরেকটি হল সামরিক বা সিভিল সার্ভিস। আর বেসামরিক বা সিভিল সার্ভিস হলো বিসিএস।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা হলো বিসিএস-বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। প্রতিবছর লাখো প্রার্থী আবেদন করেন। ক্যাডার হওয়ার সুযোগ পান ২ হাজারের মতো। এবার চলুন দেখে আসি বিসিএস এর পরীক্ষা কি।
বিসিএস এর পরীক্ষা কি?
বিসিএস পরীক্ষা বা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা হল, দেশব্যাপী পরিচালিত একটি প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যা বাংলাদেশে পি এস সি এর পূর্ণরূপ হল পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক পরিচালিত।
বিসিএস পরীক্ষার মূলত তিনটি ধাপে হয়ে থাকে প্রিলিমিনারি, ভাইভা ও লিখিত এই তিনটি ধাপে কার্যকর ভাবে উত্তীর্ণ হলে আপনি বিসিএস ক্যাডার বা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস হিসেবে গণ্য করা হবে।
একজন বিসিএস ক্যাডার এর বিপক্ষে প্রায় ২৭০ জন লড়ায় করে। পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড,কেমব্রিজ ,অক্সফোর্ড এর চেয়েও প্রতিযোগিতা বেশি হয় বাংলাদেশের বিসিএস পরীক্ষায়। প্রার্থীদের সংখ্যাটা দিন দিন বাড়লেও ক্যাডারের সংখ্যা বাড়ছে না। তাই প্রতিযোগিতার মাত্রা অকল্পনীয়।
এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে চাই প্রচুর পড়াশোনা। অধ্যাবসায়, নিয়মমাফিক বিসিএস প্রস্তুতি ছাড়া বিসিএস ক্যাডার অসম্ভব।বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চাকরি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করতে হয় অনেক আগে থেকেই। যে যত বেশি পড়বে তার থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নিব?
আপনারা কি জানেন বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নিব? বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার আগে আমাদেরকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে কারণ বিসিএস পরীক্ষা এটি বাংলাদেশের সব থেকে বেশি প্রতিযোগিতামূলক একটি পরীক্ষা। পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে পারলে আপনি সহজে যে কোনো সরকারি চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন। এই পরীক্ষাটির অনেক মূল্য তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নিব। বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে নিচে দেখুন।
প্রথমেই নিজের মাইন্ড সেট করে নিতে হবে। বিসিএস অন্য যেকোনো একটি পরীক্ষার মতোই একটি পরীক্ষা। তবে সেটা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন পরীক্ষা। তাই এই পরীক্ষায় পাশ করতে পড়াশোনা করতে হবে নিয়মিত। অনেক পার্টির টেবিলে দিনের পর দিন বিসিএস এর বইয়ের ওপর বই পড়ে থাকে। কেউ চোখ খুলেও দেখেন না। আজকে পড়ব, কালকে পড়বো এভাবেই কয়েক মাসের পর মাস চলে যায়।
বই এর উপর ধুলো পড়ে যায়, কিন্তু পড়া আর হয় না। তাই শুধু বই কিনে জমা করলেই হবে না। সিরিয়াস হয়েও সেই বইগুলো প্রতিদিন পড়তে হবে। তাহলে আপনার পড়ার আগ্রহটা বাড়বে এবং বিসিএস টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এইজন্য বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই একটু সিরিয়াস হতে হবে এবং প্রথমে নিজের মাইন্ড কে সেট করে নিতে হবে। একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি যে কোন কাজ শুরু করার আগে সে তার মাইন্ড কে প্রথমে সেট করে নেয়। তারপর আপনাকে জানতে হবে বিসিএস প্রস্তুতি কিভাবে করব।
বিগত বছরের প্রশ্ন সল্ভ করা:
বিসিএস এর ইতিহাসের প্রতিবারই পূর্বের প্রশ্ন থেকে কিছু রিপিট হয়। তাছাড়া পূর্বের প্রশ্নগুলো সলভ করলে বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে বাস্তবিক জানা যায়। বাজারের প্রচলিত অনেক বই আছে। যেকোনো একটা কিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের ফাঁকে ফাঁকেই পড়ে ফেলা উচিত।
প্রতিদিনই একটি বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা পড়া উচিত।
পত্রিকার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিকার লেখার পড়লে বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষা অনেক কাজে দেয়। তাছাড়া বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে প্রশ্ন আসে। এই দুই বিষয়ের প্রশ্নগুলো সাধারণত পত্রিকা থেকেই করেন প্রশ্ন কর্তারা। তাই নিয়মিত পত্রিকা পড়লে এগুলো থেকে সহজে উত্তর করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের কিছু বিখ্যাত বই পড়ে ফেললে ভালো হয়।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী , লাল নীল দীপাবলি এই বইগুলো থেকে বিসিএসে হামেশাই কিছু প্রশ্ন থাকে। তাছাড়া ভাইবা বোর্ডের এই রকমের বইগুলো থেকে প্রশ্ন করা হয়। এগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কিত বই, মুক্তিযুদ্ধের উপর বই গুলোর পড়ে ফেলা উচিত।
আপনি আপনার নিজ জেলার সম্পর্কিত কতটুকু জানেন?
বিসিএস ভাইবা বোর্ডে সবাই কেউই তাদের নিজ জেলা থেকে প্রশ্ন করা হয়। তাই নিয়ে জেলা উপজেলা সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে রাখুন। উইকিপিডিয়া, বাংলা পিডিআই এর তথ্য গুলো পেয়ে যাবেন। নিজের জেলা সম্পর্কিত সকল ধরনের জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষ থেকে বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের জন্য বিষয় ভিত্তিক বই পড়া উচিত।
আপনি নিয়মিত পড়াশোনা করলে প্রতিটি বিষয়ে খুব ভালো একটা প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। পড়াশোনার সময় যে টপিকগুলো কঠিন লাগে সেগুলো খাতায় লিখে রাখলে ভালো হবে। সেগুলো কয়েকদিন পর পর রিভিশন দিলে মনে থাকবে। ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে একটি বিষয় পড়তে হবে। বিষয়টিকে না বুঝে পড়লে বোকামি হবে। বিষয়টির প্রত্যেকটি লাইন ভালোভাবে বুঝে শুনে তারপর পড়তে হবে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হলেও , কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়
আপনি বিশ্ববিদ্যালয় বা এইচএসসির কোন পরীক্ষার আগে রাতের যেভাবে পড়াশোনা করেছিলেন তার চার ভাগের একভাগ ও যদি প্রতিদিন বিসিএস পরীক্ষার জন্য পড়েন ,তাহলে বিসিএস পরীক্ষা আপনার দৌড় প্রথম ১০০ জনের মধ্যে থাকবে।
তাই সিরিয়াস হয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করা জরুরী। এক সপ্তাহ পরে বিশেষ পাস এ কথাগুলো পড়তে ভালো লাগলো বাস্তবে এমন প্রার্থীর দেখা মিলে না। তাই কম সময়ে খুব বেশি না পড়ে, বেশি সময় ধরে অল্প অল্প পড়ুন। তাছাড়া আপনি এই বিসিএস অ্যাপ ব্যবহার করে বিশেষ প্রস্তুতি ও অন্যান্য চাকরির সকল প্রস্তুতি নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।
আপনার যদি ইচ্ছা থাকে বিসিএস এ যোগ দেবার, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই পড়া শুরু করা উচিত। শুধুমাত্র বিসিএসকে টার্গেট রেখে সিলেবাস অনুযায়ী নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। আসলে ধরা বাধা বিসিএস পড়ার নিয়ম ওইভাবে নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন অবস্থায় বিসিএস সিলেবাস ও বিসিএস পরীক্ষার পদ্ধতি সকল তথ্যাবলী সম্পর্কে ভালোভাবে দেখে বিসিএস পরীক্ষার পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করা উচিত।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নিব। বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আগে থেকে ভেবে রাখতে হবে এবং সেভাবেই পড়াশোনা করতে হবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হয়। বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হয় সেই বিষয়ে জানতে নিচে দেখুন।
বিসিএসের জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে
অনেকের মনে এ প্রশ্ন থাকে যে বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে? যেহেতু বিসিএস পরীক্ষা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্যে একটি সেক্ষেত্রে এই বিসিএসের জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে? কে কত সময় পরবেন তার ওপর নির্ভর করবে কে কোন বিষয়ে পড়ছেন তার ওপর। যদি আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবজেক্ট এই সময় বেশি দিতে হয় তাহলে কম সময় পড়বেন। কোন ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা কম করে বিসিএস এর পড়াশোনা করা যাবে না।
বিসিএস পরীক্ষার তিনটি ধাপ আছে। প্রার্থীদের কম্পিটিশন কামানোর জন্য এ পরীক্ষায় প্রথমে যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী নেওয়া হয়। এই পরীক্ষায় নম্বর থাকে ২০০। এখানে ২০০ তে ২০০ পেলেও কোন লাভ হবে না। শুধুমাত্র একটা পাশ মার্ক নিয়েই পাস করতে পারলেও হল। এযাবতকালের ইতিহাসে ১২০ বা এর একটু কম বা বেশি যারা পেয়েছেন তারা সবাই প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালোভাবে পাশ করেছেন। অতএব প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ করার জন্য ১০-১২টা বই না পড়ে যেকোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ বই ভালোভাবে পড়ুন তাহলেই পাশ করতে পারবেন।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে এবার চলুন আমরা দেখে আসি বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় অর্থাৎ বিসিএস পরীক্ষা কি প্রতি বছরই হয় নাকি তিন চার বছর পর পর হয় সেই বিষয়ে সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়।
বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়? সাধারণত বিসিএস পরীক্ষা প্রতি বছরই একবার অনুষ্ঠিত হয়। তবে আপনি যদি বিসিএস পরীক্ষা দিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিবছর একবার করে বিসিএস পরীক্ষা দিতে হবে। আর প্রত্যেকবার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আবেদন করতে হবে এবং আবেদন ফী দিতে হবে।
আর বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করার জন্য আপনার নূন্যতম বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। আপনার বয়স ২১ বছরের নিচে হলে, আপনি বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আমরা জানি বাংলাদেশের সরকারি চাকরির বয়স সময় ৬০ বছর। 60 বছর পর্যন্ত আপনি সরকারি চাকরি করতে পারবেন। ৬০ বছর বয়স হলে অবসান নিতে হয়। এতে প্রতিবছর শূন্য কটা হয়। এই শূন্য কোটা পূর্ণ করার জন্য প্রতিবছরের বি সি এস পরীক্ষা নেওয়া হয়।
প্রিয় পাঠক গন আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় এবং বিসিএস পরীক্ষা কত বছর বয়স পর্যন্ত দেওয়া যায়। পরীক্ষা সাধারণত প্রতিবছরে একবার হয় এবং বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনার ন্যূনতম বয়স ২১ হতে হবে। ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে আপনার বয়স হলে আপনি সহজেই বিসিএস পরীক্ষা আবেদন করতে পারবেন ।এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা।
বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা ও বয়স:
আপনি কি বিসিএস পরীক্ষা দিতে আগ্রহী? আপনি যদি বিসিএস পরীক্ষা দিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা ও বয়স সম্পর্কে। বিসিএস পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি। বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনি যেকোনো সাবজেক্টের উপর অনার্স ,মাস্টার্স ,সমমান ডিগ্রী পাস করে আপনি বিসিএস পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারেন। নিচে দেখুন বিসিএস পরীক্ষার অংশগ্রহণের বয়স।
বিসিএস পরীক্ষার অংশগ্রহণের বয়স:
বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য নির্দিষ্ট একটি সীমারেখা থাকে আর আপনি এই সীমারেখা অতিক্রম করলে আপনি বিসিএস বা বাংলাদেশের কোন সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। বিশেষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কারী 21 থেকে 30 বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। বয়স সর্বোচ্চ ৩২ হলেও বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এর বেশি বা কম হলে বিসিএস এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য সরকারি যে বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ওই বয়স থাকা পর্যন্ত আপনি বিসিএস এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে আপনার আবেদন কার জন্য কোন বাধার সম্মুখীন হতে হবে না। এইজন্য বাংলাদেশ সরকার নির্দিষ্ট একটি বয়স নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যাতে আপনার আবেদন করতে কোন সমস্যায় না পড়তে হয়।
বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা কি কি?
আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা কি কি? এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বিসিএস পাস করল ক্যাডার হতে পারেননি। কি, অবাক লাগছে। অবাক লাগার কিছু নেই। সিভিল সার্ভিস বাংলাদেশ এর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চাকরি। এই চাকরিতে আসার আগে, পার্টির এই চাকরির যোগ্যতা কিনা সেটা খুব ভালোভাবেই বিবেচনা করা হয়। তবে যোগ্যতার মানদন্ডে আহামরি কোন শর্ত নেই।
অনেকে রয়েছে যারা চোখে চশমা নিয়ে ভয় পান এবং ভাবেন, আমার চোখ তো মোটা ফ্রেমের চশমা, আমি কি বিসিএস দিতে পারব? যাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় ভালো সিজিপিএ নেই তারা হতাশাগ্রস্থ। এই কম সিজি নিয়ে কি ক্যাডার হতে পারব? এরকম অসংখ্য দুশ্চিন্তা ভয় থাকে আমাদের। আমরা নেগেটিভ বিষয় নিয়ে ভাবতে ভালোবাসি। কোন একটা জিনিস না থাকলে আমরা কি হবে সেটা নিয়ে আমাদের যত মাথাব্যথা।
মূলত চার ধরনের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা বিবেচনা করা হয় প্রার্থীদের জন্য। নিচে দেখুন সেই চার ধরনের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা গুলো কি কি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- বয়স সীমা
- নাগরিকত্ব
- শারীরিক যোগ্যতা
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা কি কি। বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনার মাঝে উপরের এই চারটি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন যে আমার শারীরিক যোগ্যতার বয়সসীমা নাগরিকত্ব এবং শারীরিক যোগ্যতা। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বিসিএস এর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কি।
বিসিএস এর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা
বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে বিসিএস এর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কি। বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে চাইলে বিসিএস থেকে স্নাতক পর্যন্ত পাস করতে হবে। স্নাতক বলতে চার বছর মেয়াদী কোর্স বোঝায়। এসএসসি থেকে স্নান তক পর্যন্ত সবগুলো পরীক্ষার যেকোনো দুটিতে তৃতীয় শ্রেণী বা সম্মান এবং একটি দ্বিতীয় নিবাস সমান এর নিচে পেলে সেই শিক্ষার্থী বা প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবে না।
যদি কোন পার্টি এইচএসসি পরীক্ষার শেষের ডিগ্রী বা তিন বছর মেয়াদী সমমান কোর্সের পড়াশোনা করেন, তাহলে ডিগ্রী পাসের পর স্নাতক তোর বা মাস্টার্স পাস করতে হলে হবে। তারপরে তিনি বিসিএসে আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে জিপিএ সিস্টেম থাকা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি নির্ধারণ করতে সমস্যায় ভোগেন প্রার্থীরা। ফলে অনেকে কনফিউজশননা হয়ে থাকেন।বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে এই নিয়ে। সহজ একটা হিসাব দিতে দিয়ে দিচ্ছি ফলে শিক্ষার ক্ষেত্রে বিসিএস এর ন্যূনতম যোগ্যতার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
জিপিএ থেকে শ্রেণী বের করার পদ্ধতি:
এসএসসি এবং এইচ এস সি এর ক্ষেত্রে:
৩ বা তদূর্ধ্ব=প্রথম শ্রেণী
দুই থেকে তিন এর কম সমান দ্বিতীয় শ্রেণী
এক থেকে দুইয়ের কম সমান প্রথম শ্রেণী
অনার্সের ক্ষেত্রে:
৩ বা তদূর্ধ্ব=প্রথম শ্রেণী
২.২৫ থেকে ৩ এরকম = দ্বিতীয় শ্রেণি
১ পয়েন্ট ছয় পাঁচ থেকে ২.২৫ এর কম সমান তৃতীয় শ্রেণী
কিছু ক্ষেত্রে বয়সসীমা শীতল যজ্ঞ।
• মুক্তিযোদ্ধা দের পুত্র বা কন্যা কিংবা প্রতিবন্ধী অথবা স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর।
• বিসিএস সাধারণত সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্যাডারের উপজাতিদের জন্য সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
নাগরিকত্ব:
বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন কোন ব্যক্তি বিশেষ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে কোন বিদেশি নাগরিকের বিয়ে করলে বা বিয়ে করার প্রতিজ্ঞা করলে তিনি বিশেষ পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
শারীরিক যোগ্যতা:
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করলে একটি মেডিকেল টেস্ট করানো হয়। আর এই মেডিকেল টেস্টে পাস করতে না পারলে বিসিএস ক্যাডার হওয়া সম্ভব না।
মেডিকেল টেস্টে:
- উচ্চতা, ওজন ও বক্ষ পরিমাপ করা হয়।
- দৃষ্টিশক্তি যাচাই করা হয় ।
- মূত্র পরীক্ষা করা হয়।
উচ্চতা ,ওজন ও বক্ষ পরিমাপ:
পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন উচ্চতা ৫ ফুট হতে হবে। ছাড়বো নিম্ন ওজন ৪৯.৯৯ কেজি। তবে পুলিশ ও আনসার ক্যাডারের জন্য সর্বনিম্ন উচ্চতা ওজন যথাক্রমে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ও ৫৪.৫৪ কেজি হতে হবে।সহজ কথায় চোখের সমস্যা থাকলে বা ও চশমা ব্যবহার করার পরে যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে ক্যাডার হতে কোন সমস্যা নেই। কেউ যদি রং ধরতে না পারেন তাহলে ও তিনি বিসিএস এ যোগ্য হবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে এই তথ্য ওনার রিপোর্টের লেখা থাকতে হবে।
বক্ষ পরিমাপ: উচ্চতার সাথে বক্ষ পরিমাপে করা হয়।
মূত্র পরীক্ষা: মূত্র পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে যাবতীয় রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোন প্রার্থী অযোগ্য বিবেচিত হলে তা প্রার্থীকে এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনকে জানানো হয়। একজন প্রার্থীকে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে এই যোগ্যতাগুলো ও বিসিএস পরীক্ষার পদ্ধতি সকল তথ্য বলি ভালোভাবে জানা উচিত। তাই বিশেষ পরীক্ষার যোগ্যতা ভালোভাবে দেখে বিশেষ পরীক্ষা প্রস্তুতি নিতে হয়।
চার বছরের স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে 30 বছর পর বয়স পর্যন্ত বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। ফলে একজন বিশেষ প্রার্থী অনেকগুলো বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। তবে সম্প্রতি দুই বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ এর সুযোগ বন্ধ এর চিন্তাভাবনা করেছেন সরকার। বিষয়টি এখনো প্রাথমিক আলোচনায় সীমাবদ্ধ রয়েছে।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বিসিএস এর নূন্যতম শিক্ষকতা যোগ্যতা সম্পর্কে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনার উপরের এ যোগ্যতা গুলো থাকা প্রয়োজন এবার চলুন আমরা দেখে আসি বিসিএস সার্কুলার নিয়ে।
বিসিএস সার্কুলার নিয়ে
আপনি কি বিসিএস সার্কুলার সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই পোস্টে আপনি বিসিএস সম্পর্কে সব কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন। বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই চার বছর মেয়েদের অনার্স বাস্নাতক পাস করতে হবে। অথবা এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করার পরে চার বছর মেয়াদে অনার্স বার সমমানের ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। এই হিসেবে আমাদের দেশে একজন শিক্ষার্থী সাধারণত সেবা 23 বছর রেগে যায় অনার্স পাস করতে।
আর যাদের কোন কোন কটা রয়েছে তারা ৩২ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারেন। আর বিসিএস পরীক্ষা প্রতি বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয় এবং এর পরীক্ষাতে আপনি একবারই অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিসিএস পরীক্ষায় একবার অংশগ্রহণ করে থাকলে এই বছরে আপনি আরো একবার বিসিএস করেছে অংশগ্রহণ করতে পারবেন আর প্রত্যেকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করতে হবে এবং নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বিসিএস ক্যাডার হতে কত বছর লাগে।
বিসিএস ক্যাডার হতে কত বছর লাগে
অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে বিসিএস ক্যাডার হতে কত বছর লাগে? তাই আজকের এই পোস্টে আমরা জানব বিসিএস ক্যাডার হতে কত বছর লাগে? আপনি যদি ২০২৪ সালে শুরুতে প্রকাশিত হওয়া একটি বিসিএস নিয়োগ সার্কুলার আবেদন করেন, তবে আপনার লিরি পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হবে আরো তিন বা চার মাস পরে। এই পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার জন্য আপনাকে আরো একমাস অপেক্ষা করতে হবে।
এরপরে আপনি পরীক্ষায় পাশ করলে লিখিত পরীক্ষা দিতে দিতে পুরো বসর টি শেষ হয়ে যাবে।লিখতে পরীক্ষা শেষে তার রেজাল্ট হতে হয় হতে দেড় বছর চলে যাবে প্রায়। আপনি লিখিত পরীক্ষায় পাস করলে সকল প্রার্থীর ভাইবা অনুষ্ঠিত হবে। ভাইভা শেষ হতে হতে ও তার রেজাল্ট দিতে দিতে প্রায় দুই বছর চলে যাবে। অর্থাৎ আপনি একটি বিশেষ পরীক্ষা দিয়ে তার প্রিলি লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা দিয়ে পাস করে কোন একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারে সুপারিশ পেতে পেতে আপনার প্রায় দুই বছর সময় লাগবে।
আমার দেওয়া এই হিসাব একটু কম বেশি হতে পারে। তবে বিগত বিসিএস নিয়োগ থেকে শুরু করে ক্যাডার হক হওয়া সময় হিসাব করে এমনটি দেখা গেছে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝে গেছে যে আপনি একটি বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করার পর থেকে শুরু করে ক্যাডার হতে হতে দুই বছরের মত সময় লাগবে তবে বর্তমানে কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষায় এক বছরের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা বাস্তবায় হলে আপনি এক বছরের মধ্যে বিসিএস ক্যাডার হতে পারবেন।
তবে অফিসে আপনার পরীক্ষায় দিয়ে পাস করার সামর্থ্য থাকতে হবে। আর অন্য অন্য সকল স্বার্থপূরণ করতে হবে। প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বিসিএস ক্যাডার হতে কত বছর লাগে। আপনার যদি ইচ্ছা থাকে বিসিএস ক্যাডার হয় তাহলে অবশ্যই একবার হলেও বিসিএস ক্যাডারের পরীক্ষা দিবেন। আমরা দেখে আসি কত বছর বয়সে বিসিএস পরীক্ষা আবেদন করা যায়।
কত বছর বয়সে বিসিএস পরীক্ষা আবেদন করা যায়
কত বছর বয়সে বিসিএস পরীক্ষা আবেদন করা যায়? বিসিএস পরীক্ষা আবেদন করার জন্য কি নির্দিষ্ট কোন বয়স রয়েছে? হ্যাঁ প্রিয় পাঠক বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করার জন্য আপনার একটি নির্ধারিত বয়সে প্রয়োজন রয়েছে। সে বয়সের আগে আপনি বিসিএস পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কত বছর বয়সে বিসিএস পরীক্ষা আবেদন করা যায়?
##বর্তমানে ২১ বছর বয়স হলে বা অন্যান্য সকল শর্ত ঠিক থাকলে বিশেষ পরীক্ষা আবেদন করতে পারবেন। আপনার বয়স যদি একুশের উপরে হয় তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে বিসিএস পরীক্ষা আবেদন করতে পারবেন। আপনার বয়সের নিচে হলে আমি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন না অথবা বিসিএস পরীক্ষা আবেদন করতে পারবেন না। বিসিএস পরীক্ষা তার জন্য অবশ্যই আগে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রথমে আপনার একুশ বছর বয়স হওয়া প্রয়োজন।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কত বছর বয়সে বিসিএস পরীক্ষা আবেদন করা যায়। এবার চলুন আমরা দেখে আসি একটি বছরে অথবা এক বছরে কতটি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায় অথবা দেওয়া সম্ভব। আমরা কি চাইলে এক বছরে দুই থেকে তিনবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারব? এক বছরে কথাটি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়? জানতে নিচে দেখুন।
এক বছরে কতটি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়
আমাদের অনেকের মনে এ প্রশ্ন থাকে যে এক বছরে কতটি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়? তাহলে আপনাদেরকে বলি বর্তমানে এক বছরে একটি করে বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার প্রকাশ হয়। তাই আপনি এক বছরে একটি মাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। কারন এক বছরে যদি বারবার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু বিসিএস পরীক্ষার কোন মূল্য থাকবে না প্রত্যেকেই দিন থেকে চারবার বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে একবার না একবার তো সফল হবেই।
বিশেষ পরীক্ষা বছর একবার হয় এবং এই পরীক্ষায় আপনি একবারই অংশগ্রহণ করতে পারবেন প্রতি বছর বিসিএস পরীক্ষায় একবার অংশগ্রহণ করা সম্ভব তবে আপনি চাইলে দুই থেকে তিনবার অংশগ্রহণ করতে পারবেন না আর আপনার বয়স যদি ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে হয় তাহলে আপনি বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এক বছরের কথাটি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায় এবার চলুন আমরা দেখে আসি বিসিএস পরীক্ষার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কখনো কিভাবে দেয়? বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে বিসিএস পরীক্ষার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কখন এবং কিভাবে দেয়। বিসিএস পরীক্ষার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কখন কিভাবে দেয় সে বিষয়ে জানতে নিচে দেখুন।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কখনো কিভাবে দেয়
প্রতিবছর পি এস সি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদের তালিকা প্রেরণের অনুরোধ করে। শূন্য পদের গায়ে পাওয়ার পর পিএসসি বিভিন্ন ক্যাডারের জন্য পদ শিক্ষাগত যোগ্যতা বয়স কি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ও আবেদনের নির্দেশনায় ইত্যাদি সম্মিলিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ও দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ করে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে প্রায় এক মাস আবেদন করার সময় থাকে।
আবেদন করার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কি?
উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর চার বছরের অনার্স পাস হলেও আপনি বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন মাস্টার্স হলে তো কথাই নাই। এমনকি চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায়। কেউ যদি তিন বছরের অনার্স বা পাস কোর্সের পরে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই মাস মাস্টার্স পাশ নিতে হবে। শিক্ষা হিসেবে একে অধিক তৃতীয় শ্রেণী থাকলে আপনি যত বড় ডিগ্রিধারী হন না কেন আপনি বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের অযোগ্য।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা হল এই বিসিএস পরীক্ষা। পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করার সহজ তবে এই পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হওয়া কিন্তু খুবই কঠিন এই পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য তিনটি ধাপ রয়েছে এবং তিনটি ধাপে সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে।। আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে সবকিছু খুঁটিনাটি আলোচনা করলাম আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় কি কি থাকে?
আবেদন যাচাই বাছাইয়ের পর প্রথমেই আপনাকে ২০০ নম্বরের একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে এই পরীক্ষায় ২০০টি mcq থাকবে। প্রত্যেকটি সঠিক উত্তরের জন্য আপনি এক মার্কস পাবেন। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য আপনার পর্যাপ্ত মার্ক থেকে পয়েন্ট পয়েন্ট পঞ্চাশ মার্কা হবে।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কখন কিভাবে দেয় এবং বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের জন্য কি কি করতে হয় এবং আবেদন করার পর পরীক্ষায় কেমন প্রিপারেশন নিতে হয়। আশা করছি সেই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আপনি বুঝতে পেরেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে, বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়, বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে?
বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হয় জানতে চান? তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে থাকুন আমরা আজকের এই পোস্টে বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হয় সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হয় এবং বিসিএস পরীক্ষার প্রিপারেশন কিভাবে নিতে হয়।
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়
২১ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে যতবার ইচ্ছা ততবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে ওপরে দেখুন।
১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন
আপনি কি ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন খুঁজছেন? তাহলে এই ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখুন আমরা এই ওয়েবসাইটে ১০ ঘন্টা পরে রুটিন সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়?
বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়? সেই বিষয়ে জানতে ওপরে দেখুন। আমরা আজকের এই পোস্টে বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয় সেই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
লেখক এর শেষ কথা
আমিও পাঠকগণ আমরা আজকের এই পোস্টে বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হবে? , বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় , ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন , বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর, বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে, বিসিএস পরীক্ষার বিষয়সমূহ, বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা কি , বিসিএস পরীক্ষা কি ও কাকে বলে এবং বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হয় এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন বিসিএস এর জন্য কত ঘন্টা পড়তে হয় এবং বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কিভাবে প্রিপারেশন নিতে হয় সে সম্পর্কে বিষয় সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার নাম হলো পরীক্ষা এর পূর্ণরূপ হল বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। আপনি যদি বিসিএস পরীক্ষা তে উত্তীর্ণ হতে পারেন তাহলে সহজে যে কোন প্রকার সরকারি চাকরিতে জয়েন করতে পারবেন।
এছাড়াও আমরা আজকের এই বছর আলোচনা করলাম বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা সম্পর্কে। বিসিএস পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন এবং কিভাবে প্রিপারেশন নিলে সহজে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব আজকের এই পোস্টে আমরা সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম। প্রিয় পাঠক বোন আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আপনার কাছে আজকের এই পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url